জ্বলদর্চি

মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি

অলংকরণ- প্রান্তিকা মাইতি 


মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি

স ন্দী প  কা ঞ্জি লা ল 

পুরাণ বলে, ঈশ্বর আর দেবতা এক নয়। সে পার্থক্য পরে সুযোগ পেলে আলোচনা করবো। মানুষেরা আপন কর্মফলে দেবত্ব লাভ করে। যেমন পুরাণে পড়েছি রাজা 'নহুষ' ঋদ্ধি লাভ করে দেবতাদের রাজা ইন্দ্র হয়েছে। কিছু মানুষ শিক্ষা দীক্ষায় এবং পরোপকারে এমন ঝাঁপিয়ে পড়ছে তারাও দেবত্ব লাভ করছে। ফলে স্বর্গে দেবতাদের ভীড়ও বাড়ছে। দেবরাজের পক্ষে সামাল দেওয়া মুশকিল হচ্ছে। উপরন্তু এখন পৃথিবীতে জ্ঞান আর বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য,  মানুষ দেবতাদের রহস্য ধরে ফেলেছে। তাই পর পর কিছু মানুষের দেবতা সম্পর্কে সন্দেহ জন্মাচ্ছে। তার ফলে স্বর্গে খাদ্য প্রভৃতির টান পড়ছে। তখন ইন্দ্র সহ সব দেবতা সৃষ্টির ঈশ্বর 'ব্রহ্মা'র কাছে গিয়ে হাজির। সব জেনে বুঝে পিতামহ বললেন, "হ্যাঁ এটা বড় উদ্বেগের বিষয়। পৃথিবীতে এত জনসংখ্যা বাড়ছে আমার পক্ষে সুশাসন বজায় রাখাও মুশকিল হচ্ছে। তাছাড়া কিছু মানুষ আবার বিজ্ঞানের দ্বারা আমাদের রহস্য উন্মোচন করতে ভীষণ আগ্রহী।" পিতামহ সবশেষে এর একটা বিহিত করতে সম্মত হলেন। তিনি বললেন, "আমি সৃষ্টিকে ধ্বংস করবো না, কিন্তু কিছু  মানুষ মেরে ফেলে ওদের সমুচিত শিক্ষা দেবো। তাই আমি সংক্রামক রোগ সৃষ্টি করে, মর্তে পাঠাবো।" 
সেই মতো মন্বন্তর এসেছে, এসেছে মহামারী। মহামারী ভাইরাস ঘটিত ব্যাপার। একটি ভাইরাসের ও জীবন আছে। বংশবৃদ্ধি আছে। প্রত্যেক বংশবৃদ্ধিকারকের ধর্ম হচ্ছে সবার সঙ্গে সম্পর্কিত হবার ঐকান্তিক আগ্রহ। এই আগ্রহই তাকে সম্পর্ক স্থাপনের অভিমুখে চালিত করে। ভাইরাস হল একপ্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অনুজীব যারা জীবিত কোষের ভিতরই বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ভাইরাস ল্যাটিন ভাষা থেকে গৃহীত একটি শব্দ। রোগ সৃষ্টিকারী যে কোন বিষাক্ত পদার্থকে ভাইরাস বলা হয়। এটি একপ্রকার অতিক্ষুদ আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুকে বোঝায়। আবার বস্তু না জীব এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে। উদ্ভিদ প্রাণী ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি জীবদেহের সজীব কোষে ভাইরাস সক্রিয় অবস্থায় অবস্থান করতে পারে। আবার নিষ্ক্রিয় অবস্থায় বাতাস মাটি জলে প্রায় সব জড় মাধ্যমেও অবস্থান করতে পারে। এই ভাইরাস পোষকদেহে দ্রুত গতিতে বংশবৃদ্ধি করে। 
১১৭৬ সালে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর। এই মন্বন্তরে ১৫ই জুলাই থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৭৬,০০০ লোক মারা যায়। এই প্রসঙ্গে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের একটি উক্তির কথা মনে পড়ে, "মানুষের শত্রু অগণিত তাহারা ভিন্ন ভিন্ন রুপে বিভিন্ন সময়ে দেখা দেয়... লক্ষ লক্ষ লোক ধ্বংস হয়। দেশের সমৃদ্ধি নষ্ট হয়। গোলাগুলিতে লোক মারা যাবার পর, মানুষ মরতে আরম্ভ করে অনাহারে... কিন্তু আমাদের দৃষ্টির অন্তরালে যে কোটি কোটি শত্রু সর্বদাই প্রস্তুত হয়ে আছে তাদের সংহার মূর্তি শেষ পর্যন্তই প্রায়ই আমাদের অগোচরে থেকে যায়। নানা রোগের জীবাণু লক্ষ লক্ষ লোকের মৃত্যুর কারণ।"
বাংলায় প্রথম প্লেগ হানা দেয় ১৮৯৮ সালে। কলকাতা, হুগলি, চব্বিশ পরগণা, বর্ধমান, মেদিনীপুর, রাজশাহীতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে রোগ। মূলত নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা, আর গুদামজাত শস্যের লোভে ঘরে ঢুকে পড়া ইঁদুর। মিউনিসিপালিটির প্লেগ রিপোর্টে দেখছি, ১৮৯৮ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলায় প্রথম প্লেগে মৃত্যু হয়। কাপালিটোলা লেনের এক বাসিন্দার দেহ ময়নাতদন্ত করে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্তে আসেন- প্লেগেই মৃত্যু। ঝড়ের বেগে সংক্রমণ ছড়ায় বেনিয়াপুকুর, বড়বাজার, কুমারটুলি, শ্যাম পুকুরে। ৩০ এপ্রিল প্রশাসন বাধ্যত জানায়, কলকাতায় প্লেগ মহামারীর আকার ধারণ করেছে। 
"রিপোর্ট অন প্লেগ ইন ক্যালকাটা" এ প্রকাশ, প্লেগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল বড়বাজার, জোড় বাগান অঞ্চল। সেই সময়ের স্যানিটাইজেশন কমিশনার ডব্লিউ ডব্লিউ ক্লেমেসা প্লেগ পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত লেখালেখি করেছেন। "বাংলার প্লেগ পরিস্থিতি" শীর্ষক প্রবন্ধে তিনি দেখিয়েছেন, প্লেগ গ্রামবাংলার খুব বেশি ক্ষতি করেনি। গুদামজাত পণ্য থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়ে শহরাঞ্চলে। প্লেগে মৃত্যুহার ছিল মারাত্মক। সংক্রমিতদের ৯০ শতাংশকেই বাঁচানো যায়নি। 
প্লেগ যখন শহর খালি করছে তখন গোটা বাংলাতেই দাঁত নখ বের করেছে ম্যালেরিয়া ও কালাজ্বর। ম্যালেরিয়ার শুরু অবশ্য আনুমানিক ১৮৬১ তে। এই রোগ মারীর আক্রমণ করে ১৮৮০ সালে। শুরুর দিকে ম্যালেরিয়া বর্ধমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করায় একে বর্ধমান জ্বর বলে চিনত লোকে। প্রতি বছরই ম্যালেরিয়ায় কয়েক লক্ষ লোক মারা যেত। ম্যালেরিয়ার দাপট ছিল উত্তরবঙ্গেও। ১৮৫০ থেকেই দার্জিলিং সহ তরাই ডুয়ার্সে জঙ্গল কেটে চা বাগান গড়া শুরু করে ব্রিটিশ সাহেবরা। ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ। লেডি ক্যানিং ১৮৬৬ সালে দার্জিলিং যাওয়ার সময় এই জ্বরের প্রকোপে পড়েন। জীবদ্দশায় তাঁর জ্বর সারেনি। ১৯২১ সালের জনগণনার রিপোর্টে বলছে বাংলায় ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪৭৩ জনের। 
অন্নদাশঙ্কর রায়ের ছড়া মনে পড়ছে- "জাপানীরা ভাগল কেন, খবরটা কি রাখেন? কেশনগরের মশার মামা ইম্ফেলেতে থাকেন।" রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, "ম্যালেরিয়া রোগটা ভাল জিনিস নয় ওর সঙ্গে প্রেমের সম্বন্ধ পাতিয়ে শ্রীমতী ম্যালেরিয়াকে অর্ধাঙ্গিনী করবার চেষ্টা করলেও দেখতে দেখতে সর্ব্বাঙ্গিনী হয়ে ওঠে। সাধারণত প্রেয়সীরা হৎকমলে স্থান গ্রহণ করে থাকেন কিন্তু শ্রীমতী ম্যালেরিয়া হচ্ছেন যকৃৎবাসিনী, প্লীহাবিনোদিনী।কবিরা বলে থাকেন প্রেয়সীর আবির্ভাবে হৃদয়ে ঘন ঘন স্পন্দন উপজাত হয়, কিন্তু ম্যালেরিয়ার আবির্ভাবে সর্ব্বাঙ্গ মুহুর্মুহ স্পন্দিত হতে থাকে। অবশেষে অত্যন্ত তিক্ত উপায়ে তার বিচ্ছেদ ঘটাতে হয়। কিন্তু তার সঙ্গে একবার মিলন হলে বারে বারে সে ফিরে আসে। তাই আমি করুণ কণ্ঠে সানুনয়ে সকলকে অনুরোধ করে বলেছিলেম, "ভদ্র মহিলাগণ এবং ভদ্রলোক সকল, ধর্ম্মের নামে, দেশের নামে, সর্ব্বমানবের নামে আমি আপনাদের নিবেদন করচি, কদাচ আপনারা ম্যালেরিয়কে প্রশ্রয় দেবেন না, আপনাদের প্লীহা ও যকৃতকে কদাচ তার চরণে উৎসর্গ করবেন না। আর যদি কখনো শোনেন মশা কানের কাছে মৃদুমন্দ গুঞ্জনধ্বনি করচে তবে তার সেই মায়ায় ভুলবেন না, যদি দেখেন সে আপনাদের চরণাশ্রয় গ্রহণ করেচে তবে নির্ম্মমভাবে এক চপেটাঘাতে তাকে বিনাশ করতে কুষ্ঠিত হবেন না।" (চিঠিপত্র; অষ্টাদশ খন্ড) 
আজ থেকে ১০২ বছর আগের কথা। সারা বিশ্বে তখন মরণথাবা বসিয়েছে স্প্যানিশ ফ্লু। ১৯১৮ সালের এমনই এক বসন্তের দিনে ধরা পড়লো নতুন এক ভাইরাস। নাম তার এইচ ওয়ান এন ওয়ান। প্রায় দেড় বছর সেই রোগ মানবজাতিকে দুরমুশ করেছিল। সারা বিশ্বে পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ভারতেও এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। গান্ধীজী তখন বছর চারেক হল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরেছেন। তিনি তখন সবরমতী আশ্রমে থাকেন। তিনিও আক্রান্ত হলেন এই রোগে। আজ যেভাবে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোয়ারান্টাইন এবং আইসোলেশনের মধ্য দিয়ে এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে, সেদিনও তাই হয়েছিল। স্প্যানিশ ফ্লু'/ র কোনও ওষুধ ছিল না। এভাবে মানুষ সেদিন লড়াই করেছিল। সেই লড়াই আজও আমাদের কাছে এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে। সেদিন আমাদের দেশের এক কোটি সত্তর লক্ষের ও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন ছিল শিক্ষার অভাব। ছিল পরিকাঠামোর অভাব। পাশাপাশি ব্রিটিশ রাজ্যের অবহেলাতেই মানুষ পথে ঘাটে কুকুর বিড়ালের মতো মরেছিল। বলা হয়, সেই ব্রিটিশদের ওই অবহেলাই মানুষের মনে স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
"ইন্দ্র বলিল,মড়া।আজকাল ভয়ানক কলেরা হচ্ছে কিনা। সবাই তো পারে না..... মুখে একটুখানি আগুন ছুঁইয়ে ফেলে রেখে যায়। শিয়াল কুকুরে খায় আর পচে।"
বাংলা সাহিত্যের পাঠকমাত্রই জানেন উপরের উদ্ধৃতি, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'শ্রীকান্ত' র উদ্ধৃতি। বলা কওয়া নেই হঠাৎ একটা সংক্রমণ এসে আমাদের ঘরবন্দী করেছে।তখন সাহিত্যের পাতায় চোখ রাখলে বুঝতে পারবো, পাশ্চাত্যের বহু দেশ এই মারীকে নতুন দেখলোও এসব আমাদের গা সওয়া।
যখন এইসব মহামারী আমাদের সমূলে উৎপাটিত করতে আগে প্রয়াস চালাত, তখন সেসময় প্রচলিত সংবাদমাধ্যম জনগণের মধ্যে সচেতনতার প্রয়াস চালাত। সংবাদপত্রে লেখা হতো, 'কেউ বাইরে বেরবেন না।ঘরে থাকুন।অন্যজনের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকুন।'
কিন্তু আজকের দিনে সংবাদমাধ্যম যেমন জনগণের পাশে আছে তেমনি দুই সরকার ও মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এটাও একটা ভালো দিক যে, সমস্ত রাজনৈতিক দল মানুষের হয়ে কথা বলছে।  এই মুহুর্তে এই রোগের একমাত্র ওষুধ হল সচেতনতা। সচেতনতার প্রথম ধাপ হচ্ছে জনবিচ্ছিন্নতা। সংস্পর্শে এলে এই করোনা ভাইরাস ছড়াবে। ছড়ানোর  সুযোগ যদি না পায় ভাইরাস ধীরে ধীরে শক্তিহীন হয়ে পড়বে। প্রকোপ কমবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে একদল উন্মত্ত জনতা, তারা যেন বদ্ধপরিকর গায়ের জোরে এই  রোগকে বুড়ো আঙুল দেখাবে। এরা ভাইরাসের থেকেও অতি ভয়ংকর সমাজের পক্ষে, সভ্য সমাজের উচিত এইসব ভাইরাসকে আগে দমন করা। আর কিছু দিগগজ তারা করোনা ভাইরাসকে দমন করতে নানা রকম উপায় বাতলে যাচ্ছে। জনসাধারণের উচিত এদের থেকে সাবধান থাকা। যতই দুই সরকার হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করুক, তবু সাদা চোখে ও দেখা যাচ্ছে ভোটের সূক্ষ্ম রাজনীতি, আর ভোটে জেতার অঙ্ক সব কাজ করে যাচ্ছে। সরকার যা তথ্য দিচ্ছে বাস্তবে তা মিলছে না। হাসপাতালে বেডের সংখ্যা, সংক্রমিতের, সুস্থতার, মৃত্যুর সব হিসাবে গোলমাল। এমনকি লকডাউন চলার সময় লক্ষ্য করা গেছে সরকারের উদাসীনতা। তার ওপর চলছে প্রশাসনের এবং স্বাস্থ্যবিভাগের একদল অসৎ মানুষের নির্মম কার্যকলাপ। রোগী রাস্তায় পড়ে মরছে। এক কিলোমিটার রোগী নিয়ে যেতে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স দাবি করছে। এর মধ্যে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে গেছে বেসরকারি হাসপাতাল। সরকার এদের বিষয়ে নীরব। মানুষের গলা কেটে টাকা নিচ্ছে। গরীব মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েও, রোগী বাঁচছে না, কি চিকিৎসা চলছে কেউ জানতে পারছেনা। মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে এত কি মারা যাচ্ছে? দেবতাদের বাঁচাতে মন্দির, মসজিদ, চার্চের সব দরজা বন্ধ। তবু ভালো প্রমাণিত হলো,দেবতাদের ধরে এই রোগ থেকে বাঁচা যাবে না।কারণ এই রোগ সৃষ্টির পেছনে  দেবতাদের কোনো হাত নেই।উপরে বর্ণিত কাল্পনিক সংলাপ তৈরি করেছে, একদল ধর্ম ব্যবসায়ী। কারণ দেবতার অস্তিত্ব এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। 
তাই মানুষকে বাঁচতে হবে, বাঁচার তাগিদে। এক গোষ্ঠী সংবাদমাধ্যমের কাজ হচ্ছে এই রোগ সম্পর্কে ভয় ধরিয়ে দেওয়া। এতে ভয় পাওয়ার  কিছু নেই। রোগভীতি শারিরীক গঠনতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে তাকে দুর্বল করে দেয়।  সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির মত দেখুন। বুকে বল ধরুন। তুমি যেখানেই থাকো, জীবন সম্পর্কে একটি বিষয় অভ্রান্ত তোমাকে মরতে হবে। ভয় পাওয়া চলবে না। এমনিতে একটা কথা আছে, "যো ডর গিয়া, ও মর গয়া।" এসময় মনকে সংযত রাখতে যোগাসনে, এক্সারসাইজ আর সচেতনতা মানলে এই রোগকে আমরা পরাজিত করতে পারবো।
আমাদের এ পোড়া দেশে নানা দশকে দশকে উজার করে দিয়েছে মারী। শিল্প সাহিত্যের পাতায় আজও তা জ্বলজ্বল করছে। মনে রাখতে হবে,দেবতা বাঁচবে মানুষ বাঁচলে।তাই দেবতা নয়,মানুষের কপালের আছে অমৃতর টীকা। তার 'নাই নাই ভয়,হবে হবে জয়।' করোনা যতই ভয় দেখাক আমাদের অতীত বলছে,শেষ পর্যন্ত মানুষের জয়। তাই কবি সত্যেন্দ্রনাথ লিখেছেন, "মন্বন্তরে মরিনি আমরা,মারী নিয়ে ঘর করি / বাঁচিয়া গিয়েছি বিধির আশীষে অমৃতের টীকা পরি।"

Post a Comment

0 Comments