জ্বলদর্চি

বাঙালির মহালয়া ও 'মহিষাসুরমর্দিনী': এক মহান উত্তরণের গল্প

বাঙালির মহালয়া ও 'মহিষাসুরমর্দিনী':
এক মহান উত্তরণের গল্প

তু ল সী দা স মা ই তি



'মহালয়ার গান'। আধুনিক কালের বাঙালির সংস্কৃতিতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রসঙ্গ। আপাতভাবে 'মহালয়ার গান' শব্দটির মধ্যেই একটা তাৎপর্যগত ভুল আছে। প্রকৃতপক্ষে মহালয়া একটা বিশেষ তিথি বা লগ্ন। সনাতন ভারতীয় শাস্ত্রে বা জ্যোতির্বিদ্যায় দিনটির বড়ো গুরুত্ব রয়েছে। এ সবের মধ্যেই বাঙালির আধুনিক সংস্কৃতিতে 'মহালয়া' অন্য মাত্রা পেয়েছে। মহালয়া তিথির 'পুণ্যপ্রভাতে': 'মহিষাসুরমর্দিনী' শিরোনামের বেতার অনুষ্ঠান ও তার অনন্যতা ও জনপ্রিয়তা থেকেই 'মহালয়ার গান' কথাটি জুড়ে গেছে। মহালয়ার গান প্রসঙ্গটি স্পষ্ট করতে স্বাভাবিক ভাবেই পূর্বসূত্রগুলো বলে নেওয়া জরুরি।

আগেই বলেছি মহালয়া একটা তিথি। আশ্বিন মাসে গণেশ চতুর্থীর পর যে পূর্ণিমা সেদিন পিতৃপক্ষের সূচনা। আর অমাবস্যায় তার অবসান। শাস্ত্র মতে এই ষোলো চান্দ্রমাস পিতৃপক্ষ। পিতৃপক্ষের অবসানে মাতৃপক্ষের সূচনা। আর দুই পক্ষের যে সন্ধিক্ষণ লগ্ন তাকেই বলা হয়ে থাকে 'মহালয়া'। এই দিনে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। বলা হয়ে থাকে আগের তিন পুরুষেরর আত্মা এই সময় পিতৃলোকে অবস্থান করেন। মহালয়ার দিন পবিত্র সকালে স্রোতোজলে অঞ্জলিসহ তাঁদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করলে
তারা তৃপ্ত হন। এই ক্রিয়া পরম্পরাগত চলে আসছে।
প্রকৃত অর্থে দুর্গা পূজার সাথে তার যুক্ত থাকার কথা নয়। বাঙালির নিজস্ব উৎসব দুর্গাপূজায় তার যুক্ত হয়ে যাওয়ার ঘটনা আসলে একটা উত্তরণের গল্প। 'মহিষাসুরমর্দিনী' আলেখ্যটির গুরুত্বটিও তাকেই ইঙ্গিত করে।
আমরা জানি, বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজা। সমগ্র বিশ্ব জুড়েই বাঙালিরা আনন্দে মেতে ওঠে।  এমন বৃহৎ আনন্দোৎসব বাঙালির সংস্কৃতিতে কমই আছে। এই আনন্দেই যুক্ত হয়ে মহালয়া বিষয়টি। মহালয়া থেকেই ধরে নেওয়া হয় উৎসবের আরম্ভ। পুরাণ অনুযায়ী মহিষাসুর নামক অসুর কে বধ করার দায়িত্ব দেবতারা ওই দিনই দিয়েছিল। দীর্ঘ নয়দিন যুদ্ধ শেষে অসুর বধের এই কাহিনির সাথে যুক্ত হয়েছে বাঙালির দুর্গা- আরাধনা। আসলে অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠাই এখন প্রতীক হয়ে বাঙালি মননে সঞ্চারিত হয়েছে। মাতৃপক্ষের সেই সূচনাকালকে স্মরণীয় করতে এবং মায়ের আগমনবার্তাকে ধ্বনিত করতে আকাশবাণী কলকাতার এই প্রয়াস ব্যতিক্রমী অভিনব এবং চমকপ্রদ। এক অনন্য ধ্রুপদী মাত্রা তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। বলা বাহুল্য, বাঙালির সংস্কৃতিতে এ যেন একটা মিথ হয়ে উঠেছে। 

বাঙালির দুর্গাপুজো অকাল বোধন। তার ইতিহাস ও উৎস নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় তা বিশদ না করেই আমরা মহালয়ার গান অর্থাৎ আকাশবাণী অনুষ্ঠিত 'মহিষাসুরমর্দিনী-'র আলোচনায় যেতে চাই। পিতৃপক্ষের অবসানে ও মাতৃপক্ষের সূচনালগ্নে  বাংলার প্রকৃতির মধ্যেও একটা অসাধারণ রূপ দেখা যায়।
আকাশবাণীর অনুষ্ঠানটির শুরুতে শুনি-

"আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির
ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা;
প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত
জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগামনবার্তা।
আনন্দময়ী মহামায়ার পদধ্বনি অসীম ছন্দে বেজে ওঠে 
রূপলোক ও রসলোকে আনে নবভাবমাধুরীর সঞ্জীবন।
তাই আনন্দিতা শ্যামলীমাতৃকার চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ীতে আবাহন।..."
প্রকৃতির অপরূপ রূপে মায়ের আগমন উপলক্ষে যে গান তাই আগমনী। 'মহিষাসুরমর্দিনী'-তে আছে  আগমনী ভক্তিগীতি ও ধ্রুপদীসংগীত সহ চণ্ডীপাঠ।' 'দুর্গা সপ্তসতী' অর্থাৎ শ্রীশ্রীচণ্ডী থেকে গৃহীত স্তোত্র।
ভাষ্যের মধ্যে যুক্ত হয়েছে বিবিধ পৌরাণিক অনুষঙ্গ। ভারতের বেতারের ইতিহাসে দীর্ঘতমকাল ধরে প্রচারিত এই আলেখ্যটি বাঙালির দুর্গোৎসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একক।

 'মহিষাসুরমর্দিনী' নির্মাণের ইতিহাসটি সংক্ষেপে এরকম। ১৯৩১- ৩২ সাল। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের তৎকালীন অধিকর্তা নৃপেন্দ্রনাথ মজুমদারের কাছে আর্জি নিয়ে এলেন বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, বেতার জগৎ পত্রিকার সম্পাদক প্রেমাঙ্কুর আতর্থী  প্রমুখ ব্যক্তিত্ব। তাঁরা মহালয়ার পূণ্যপ্রভাতে এরকম একটা আলেখ্য করার প্রস্তাব দেন। আবেদন গৃহীত হয়। শুরু হয় প্রস্তুতি। ১৯৩২ সালে  চৈত্র মাসে বাসন্তী পুজোর সময় 'বসেন্তেশ্বরী' নামে একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছিল। তা ছিল বাণীকুমারের লেখা।  বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য-এর অন্য নামই  বাণীকুমার। 'দুর্গাসপ্তশতী' অর্থাৎ মার্কন্ডেয় পুরাণ থেকে চণ্ডী স্তোত্র নিয়ে এই আগের অনুষ্ঠানের অনেকটা অনুকরণেই নির্মিত হলো বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় বেতার লিপি। এই স্ক্রিপ্ট লেখায় প্রভূত সাহায্য করেছিলেন পন্ডিত অশোক কুমার শাস্ত্রী। প্রথমে তা দুর্গাষষ্ঠীর দিন সম্প্রচারিত হয়। এ ক্ষেত্রে সংগীত পরিচালক ছিলেন রাইচাঁদ বড়াল পরে পঙ্কজ মল্লিক সংগীত পরিচালনা করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে চন্ডীপাঠ করেন স্বয়ং বাণীকুমার। আর নাট্যাংশ সূত্র, গীতাংশ গ্রহণ ইত্যাদিতে ছিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু পরিবর্তন করা হয়। পরে পরেই গ্রন্থনা ও শ্লোক পাঠ করেন দায়িত্ব পান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত মূল লিপিতে নানান পরিবর্তন করা হয়। নতুন গান, নতুন শ্লোক, স্তব-এসবের বদল ঘটে। ১৯৩৭ সাল থেকে থেকে সম্পূর্ণ বেতারলিপি প্রচারিত হতে থাকে। নতুন নাম দেওয়া হয় 'মহিষাসুরমর্দিনী'। আগে 'শারদবন্দনা', 'মহিষাসুরবধ', 'প্রভাতী অনুষ্ঠান' এসব নামে প্রচারিত হতো। ১৯৫০ সালে হেমন্ত মুম্বাইতে ছিলেন। শিল্পীদের মহড়ায় অসুবিধে হচ্ছে দেখে বাণীকুমারের নির্দেশে তিনি বাদ পড়েন। ডাক পরে শচীন গুপ্তের। কিন্তু তিনিও অসুস্থ ছিলেন। যোগ দেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়।  ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত মহালয়ার ভোরে অপরিবর্তিত ভাবেই শিল্পীরা গিয়ে অনুষ্ঠান করতেন।  ওই সালেই অনুষ্ঠানটি রেকর্ড করা হয়। এবং আজও পর্যন্ত ওই রেকর্ডটিই মহালয়ার ভোরে রেডিও তে বাজে। আমামর বাঙালি আনন্দে ও আবেগে মেতে ওঠে।
পুরাণের সংস্কৃত শ্লোক, বাংলা ভাষ্য ও ১৯ টি গান নিয়ে তৈরি এই অনন্য 'মহিষাসুরমর্দিনী'। রেকর্ড অনুযায়ী  নির্মাতা, পরিচালক ও শিল্পী তালিকাটি এমন-

রচনা ও প্রবর্তনা: বাণীকুমার (বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য)
সংগীত পরিচালনা: পংকজ কুমার মল্লিক
গ্রন্থনা ও স্তোত্র ও ভাষ্যপাঠ : বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র

১৯ টি গানের মধ্যে ৬টি গান সমবেত ভাবে গাওয়া হয়েছিল। ক্রম অনুযায়ী: 
যা চণ্ডী মধুকৈটভাদি:  সমবেত, সিংহস্থা শশীশেখরা: সমবেত, বাজলো তোমার আলোর বেণু: সুপ্রীতি ঘোষ, জাগো তুমি জাগো: দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় (এই গানটি আগে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় গাইতেন।), ওগো আমার আগমনী আলো: শিপ্রা বসু, তব অচিন্ত্য রূপ চরিত: মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, অহং রুদ্রো: সমবেত, অখিল বিমানে তব: কৃষ্ণা দাশগুপ্ত, শুভ্র শঙ্খ রবে: শ্যামল মিত্র, অসীমা ভট্টাচার্য, আরতি মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্য, জটাজুটসমাযুক্তা : সমবেত, নমো চণ্ডী: বিমলভূষণ, মাগো তব বিনে: সুমিত্রা সেন, বিমানে বিমানে আলোকের গানে: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, জয় জয় জপ্যজয়ে: সমবেত, হে চিন্ময়ী- তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অমল কিরণে ত্রিভুবন মনোহারিণী: প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়ন্তী মঙ্গলা কালী: পঙ্কজ কুমার মল্লিক ও সহশিল্পীবৃন্দ, শান্তি দিলে ভরি: উৎপলা সেন।
রেকর্ডের আগে নানা শিল্পীর পরিবর্তন ঘটে। বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন খ্যাতনামা শিল্পীরা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। বেতার জগৎ পত্রিকা থেকে জানা যায় তাঁদের নাম: জগন্ময় মিত্র, পান্নালাল ভট্টাচার্য, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, সাবিত্রী সকলে, আখিলবন্ধু ঘোষ, শচীন গুপ্ত, বাঁশরী  লাহিড়ী, কল্যাণী মজুমদার, শৈলেন ঘোষ, রাধারানী দেবী, ইলা বসু, ইলা ঘোষ, শৈল দেবী, কল্পনা সরকার, সুপ্রভা সরকার প্রমুখ। 

বাদ্যযন্ত্রশিল্পীগণের মধ্যে ছিলেন খুশি মহম্মদ (হারমোনিয়াম), তারকনাথ দে (বেহালা), মুন্সি (সারেঙ্গি), আলী(চোলে), সুরেন পাল (ম্যান্ডলিন) সুজিত নাথ(গিটার),অবনী মুখোপাধ্যায় (বেহালা), রাইচাঁদ বড়াল(পিয়ানো), নিত্যানন্দ গোস্বামী(পাখোয়াজ), শান্তি বোস(ডবল বাস) সহ অনেকেই। বাদ্যযন্ত্রীপক্ষের পরিচালনায় ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ দাস। পরে অবশ্য ভি বালসারা যন্ত্রীদের মাথায় ছিলেন।
সময় ও প্রকৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে গানগুলিতে রাগরাগিনী আরোপ করা হয়েছিল। মালকোষ ও ভৈরবী সহ অন্যান্য সময়োপযোগী রাগরাগিনী।
সংগীত পরিচালক পঙ্কজ মল্লিক হলেও 'আলোকের গানে', 'অখিল বিমানে' সহ কয়েকটি গানের সুর করেন হরিশচন্দ্র বালী। 'শান্তি দিলে ভরি' গানটি  সুর করেন সাগির খাঁ। প্রথমের দিকে রাইচাঁদ বড়ালও দু-একটি গানের সুরারোপ করেন। তার মধ্যে প্রথমের দিকে থাকা 'নিখিল আজি সকলি ভোলে' গানটি পরে বাদ দেওয়া হয়।
১৯৪৪- ১৯৪৫ এ সংগীত পরিচালনা করেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় দাঙ্গা হয়েছিল। মহালয়ার অনুষ্ঠানের জন্য শিল্পীদের বেতার কেন্দ্রে আনতে সক্ষম হননি আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ। ওই বছরের জন্য অনুষ্ঠানের ছেদ পড়ে।

এর মধ্যে একটু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যায় ১৯৭৬ সালে। কম বেশি এ ঘটনা সবার জানা। আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ 'মহিষাসুরমর্দিনী'-র বদলে নতুন কিছু করার অভিপ্রায়ে গোপনে বৈঠক করেছিলেন। বাদ পড়লেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। এলেন উত্তম কুমার। বাণীকুমারের স্ক্রিপ্ট বদলে নতুল লেখক বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান গোবিন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়। সংগীত পরিচালনায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। নতুন নাম 'দেবীং দুর্গতিহাণীম‌্'। সমালোচনার ঝড়ে আকাশবাণী চরম অস্বস্তিতে পরে গেল। প্রভাতী অনুষ্ঠান চলাকালীন হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ করে ভিড় করলো আকাশবাণীর গেটে। ভাঙচুর হলো। ওই বছর ষষ্ঠীর সকালে কর্তৃপক্ষ পুনরায় 'মহিষাসুরমর্দিনী' সম্প্রচার করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এই নানান আলোচনায় বোঝা যায়, বাঙালির সংস্কৃতিতে কতখানি ছিল 'মহিষাসুরমর্দিনী'। পৌরাণিক পটভূমিতে নির্মিত হলেও বাঙালির নিজস্ব আবেগকে এটি মথিত করতে পেরেছিল সন্দেহ নেই। এমন জনপ্রিয় স্থায়ী অনুষ্ঠান পৃথিবীর বেতার ইতিহাসে আছে কিনা সন্দেহ। বাঙালির মেধা-শিল্প-আবেগের প্রতীক হয়ে উঠতে পেরেছে এই আয়োজন। ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে মানুষের হৃদয়ে আসন করে নিতে পেরেছে। 
সর্বোপরি মহালয়ার সাথে দুর্গাপুজোর সমন্বয় ঘটিয়ে সংস্কৃতির নতুন মাত্রা দিতে পেরেছে এই অনুষ্ঠান।
পিতৃপক্ষ ও মাতৃপক্ষের বিষয় ছড়িয়ে এক মহা আনন্দের ব্যপ্তি ছড়িয়ে গেছে তার শব্দব্রহ্ম-এর শক্তিতে।  'মহালয়া' শব্দটির অর্থ প্রসারিত হয়েছে নীরবেই।

Post a Comment

4 Comments

  1. অত‍্যন্ত গবেশনা ধর্মী লেখা , কিছু জানা কিছু অজানা ঘটনা পরম্পরায়
    বিষয়টির উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করেছে ।
    মহালয়া মানেই ছুটি ছুটি গন্ধমাখা কাশ শিউলের ডাক , কালীপটকা আর ফুলছরির আবদারে বাবার পিছু নেওয়া এই ছিলো আমাদের ছোটবেলা ।
    সেই মহালয়ার সঙ্গে এতোকিছু জানার কোন যোগ ছিলো না , ছিলো কেবল মহালয়া মানেই দূর্গাপূজা ।
    অসম্ভব সুন্দর লেখা । কিন্তু মননে গাঁথা পূজোর গন্ধ ।
    ভালো থাকবেন ।

    ReplyDelete
  2. Khub bhalo laglo. Onekkichu jante parlam

    ReplyDelete