জ্বলদর্চি

দিল্লি দর্পণ - ১১

দিল্লি দর্পণ – ১১

কা লী প দ  চ ক্র ব র্ত্তী  


নয়ডা, ফরিদাবাদ কালীবাড়ি ও অন্যান্যদের অবদান
 
উত্তর প্রদেশ ঔদ্যোগিক বিকাশ আইন (U.P. Industrial Development Act,1976) অনুসারে ১৯৭৬ সালে  নয়ডা শহরের গোড়াপত্তন হয়। দিল্লির উপকণ্ঠে এই ছোট ঔদ্যোগিক ও আবাসিক শহরটিকে গড়ে তুলতে নয়ডা প্রশাসন বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিল।১৯৮৩ সালে এখানকার বাঙালিরা নয়ডার প্রথম দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ১৯৮৪ সালে নয়ডার বাঙালিরা ‘নয়ডা বেঙ্গলী কালচারাল এ্যাসোসিয়েশন’(NBCA) গঠন করেন। এই সংগঠনের উদ্যোগে এবং প্রচেষ্টায় নয়ডা প্রশাসনের কাছ থেকে একখণ্ড জমি নিয়ে ১৯৮৬ সালের ২৬ সেক্টরে কালী মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় ওই সালের আগস্ট মাসে। দ্বিতল এই কালীবাড়িতে বর্তমানে অষ্টধাতুর মাকালীর মূর্তি ছাড়াও আছে শিব এবং রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। মন্দির সংলগ্ন ধর্মশালায় ১১টি কামরা এবং ৪০টি বেডের ব্যবস্থা আছে। অতিথিদের খাওয়া দাওয়ার জন্য রয়েছে ক্যান্টিনের (ভোগ প্রসাদের) ব্যবস্থা। নয়ডা কালীবাড়ি কর্তৃপক্ষ ২০০২ সাল থেকে ‘ সমন্বয়’  নামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশিত করে চলেছেন (প্রথম সম্পাদক ছিলেন শ্রদ্ধেয় দীপক ঘোষ মহাশয়) এবং এই পত্রিকায় দিল্লি এবং কলকাতার বহু প্রতিষ্ঠিত লেখকরা গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ লিখে থাকেন। এই প্রসঙ্গে জানাই, এই পত্রিকার সম্পাদক-মণ্ডলীতে আছেন শ্রদ্ধেয় নলিনাক্ষ ভট্টাচার্য অ্যান্ড শ্রদ্ধেয় শুভময় চট্টোপাধ্যায় মহাশয়। নলিনাক্ষ-বাবু একজন নামকরা সাহিত্যিক। দেশ ও আনন্দবাজার পত্রিকায় লিখে থাকেন। এবছর দিল্লির ‘কলমের সাত রঙ’ পত্রিকায়ও লিখেছেন। নলিনাক্ষ-বাবু একজন ভদ্র, গুণী এবং উদার মানুষ।  গতবছর পর্যন্ত 'সমন্বয়' পত্রিকাটির এবং মন্দিরের সম্পাদক ছিলেন, শ্রদ্ধেয় রজত ব্যানার্জ্জী মহাশয়। মাঝে মাঝে রজত-বাবুকে দেখে অবাক হই ভেবে যে একজন মানুষ কিভাবে এত কাজ একসাথে সুচারুরূপে করতে পারেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওনার গুণগ্রাহী। বহু অসাধ্য কাজও তিনি অনায়াসে সমাধান করে দেন। নয়ডা এবং দিল্লিতে রজত ব্যানার্জী একটি সুপরিচিত নাম। সমাজসেবামূলক কাজে নিজে থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েন। বর্তমানে অবশ্য নয়ডা কালীবাড়ির পরিচালনা সমিতির কিছু পরিবর্তন হয়েছে জানতে পারলাম। তবে রজত-বাবুর নিরলস প্রচেষ্টা আজও পত্রিকাটিকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। উত্তরোত্তর এই পত্রিকাটির শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে। এই প্রসঙ্গে জানাই রজত-বাবুর পিতা স্বর্গীয় বীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভাল গল্প লেখক ছিলেন। তার লেখা বইগুলোর মধ্যে 'হেড মাস্টার' বইটি পাঠক সমাজে খুবই সমাদর লাভ করে। 'মাতৃমন্দির সংবাদ'-এ নিয়মিত তাঁর লেখা প্রকাশিত হত। বর্তমানে নয়ডা কালীবাড়ির সভাপতি হলেন শ্রদ্ধেয় অশোক আর্য এবং সম্পাদক হলেন শ্রদ্ধেয় জহরলাল দে মহাশয়। 
নয়ডা কালীবাড়িতে প্রতি বছর যেসব সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  হয় তার মধ্যে রয়েছে বর্ষা-মঙ্গল, রবীন্দ্র জন্মোৎসব, নজরুল জয়ন্তী, পয়লা বৈশাখ, পৌষ-মেলা ও বইমেলা। কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে নয়ডার ছেলেমেয়েদের নৃত্য, গীত এবং অঙ্কন শিক্ষার ক্লাস নেওয়া হয়। প্রতি রবিবার বাংলা শেখাবার ক্লাস খোলা হয়েছে এখানে। হোমিওপ্যাথিক এবং এ্যালোপ্যাথি্ক নিঃশুল্ক চিকিৎসা এবং দরিদ্র রোগীদের জন্য বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ করারও ব্যবস্থা আছে এখানে। অন্যান্য পরিষেবার মধ্যে রয়েছে প্রতিবছর দরিদ্রদের মধ্যে বিনামূল্যে বস্ত্র বিতরণ এবং রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা।  
এককথায় বলা যায় নয়ডা বেঙ্গলী কালচারাল এ্যাসোসিয়েশন নয়ডার বাঙালিদের বঙ্গ সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত করার কাজটি অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং যোগ্যতার সঙ্গে করে আসছে গত সাঁইত্রিশ বছর ধরে।     
বিগত প্রায় ছ’বছর ধরে ফরিদাবাদের (হরিয়ানা) সুরজকুণ্ড বিমলা কালীমন্দিরের উদ্যোগে “অনন্ত চেতনা”   নামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। সম্পাদনায় আছেন আদিত্য মাইতি।  এই পত্রিকার সাথে  যুক্ত আরও একজনের নাম উল্লেখ না করলে অন্যায় হবে, তিনি হলেন নীলাশীষ ঘোষদস্তিদার। নীলাশীষ-বাবু একজন গুণী সাহিত্যিক এবং শিল্পীও বটে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখে থাকেন। অবশ্য আজকাল 'অনন্ত চেতনা' পত্রিকাটি একটু অনিয়মিত হয়ে পড়েছে।      
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রায় প্রত্যেকটি কালীবাড়িতেই বা মন্দিরগুলোতেই বাংলা বই-এর গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা আছে। দিল্লিতে বর্তমানে বাংলা সাহিত্যের এবং নাটকের জোয়ার এসেছে বলা যায়। মন্দিরগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থাগুলো বাংলা সাহিত্যের প্রচার ও প্রসারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে মাতৃমন্দির, নিউ-দিল্লি কালীবাড়ি, শিবমন্দির, চিত্তরঞ্জন ভবন এবং  বেঙ্গল এ্যাসোসিয়েশনের নাম উল্লেখযোগ্য। প্রতিবছর বেঙ্গল এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক, তপন সেনগুপ্তের নেতৃত্বে দিল্লী নাট্যোৎসব এবং বইমেলার আয়োজন করা হয় এবং তা দিল্লি-বাসীদের সবাইকে এক-সূত্রে গাঁথতে সাহায্য করে।  

এই মন্দিরগুলোতে এখনও বারো মাসে তেরো পার্বণ দেখা যায়। দুর্গা পুজো, কালী পুজো ছাড়া বিভিন্ন পুজো-পার্বণের ব্যবস্থাও আছে। দিল্লিতে দুর্গাপুজো প্রায় সব মন্দিরগুলোতেই অনুষ্ঠিত হয় এবং সেসময় সারা ভারতবর্ষ থেকে এবং বাংলাদেশ থেকে শিল্পীরা আসেন তাদের অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে। পুজোর সময় দিল্লির বাঙালিরা কেউই দিল্লির বাইরে যেতে চান না। সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই দুর্গাপুজোর জন্য। আমি যখন মাতৃমন্দিরের কালচারাল কমিটিতে ছিলাম তখন সৌভাগ্য হয়েছিল মান্না দে, ঊষা উথুপ, আনন্দ-শঙ্কর, তনুশ্রী-শঙ্কর,মমতা-শঙ্কর, নচিকেতা, রুনা লায়লা-র মত বহু নামকরা শিল্পীদের সান্নিধ্যে আসা এবং  সাহিত্যিক শক্তিপদ রাজগুরু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি অরুণ চক্রবর্তী ইত্যাদিদের সাথে পরিচয়  সে এক মধুর অভিজ্ঞতা যা আজও আমাকে আনন্দ দেয়, তৃপ্তি দেয়। দিল্লি ও এন সি আর-এর বেশিরভাগ কালীবাড়িগুলোতে পর্যটকদের জন্য থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্তও আছে। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে আসা ছাত্রদের জন্য এবং চাকরী করতে আসা লোকেদের জন্য স্বল্প খরচে থাকার সুবন্দোবস্ত আছে এসব মন্দিরগুলোতে। এই মন্দিরগুলো একদিকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার সাথে সাথে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজও করে চলেছে। দিল্লির বাইরে থেকে যারা বিভিন্ন কাজে আসেন তারা এর উপকারিতা বেশ উপলব্ধি করতে পারেন। তাই দিল্লি আজও সবার কাছে অতি প্রিয় হয়ে আছে এবং থাকবে।   দিল্লি এবং এন সি আর-এর এই মন্দিরগুলোর কার্যকলাপ ইতিহাসের পাতায় অমর ও অক্ষয় হয়ে থাকবে বলে আমার আশা। 

তবে এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি এই মন্দিরগুলো ছাড়াও বহু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান আছে যারা বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে রাতদিন কাজ করে চলেছেন। এরমধ্যে আছে – বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন (তপতী সেনগুপ্ত এবং তপন সেনগুপ্ত নিরলস প্রচেষ্টা করে চলেছেন বাংলা ভাষা এবং দিল্লির বাঙালিদের জন্য), চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীমন্দির সোসাইটির বর্তমান সম্পাদক, শ্রীবাস ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য সকলে, চিত্তরঞ্জন ভবন সংস্থার জয়ন্ত রায়চৌধুরী থেকে শুরু করে প্রতিটি সদস্য বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছেন,দিল্লির বঙ্গভাষী সমিতির সভাপতি, স্বপন কুমার চক্রবর্তী এবং  সম্পাদক, রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য নানা অনুষ্ঠান করেন। এই সংস্থার পক্ষ থেকে একটি পত্রিকাও প্রকাশিত হত।দিল্লির সাহিত্যিকেরা মিলে এবছর শারদীয়া সংখ্যা থেকে ‘কলমের সাত রঙ’ নামে একটি নতুন সাহিত্য পত্রিকা শুরু করতে চলেছেন।এতে লিখেছেন কলকাতা এবং দিল্লির প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকেরা। প্রতিমাসে শ্রদ্ধেয় সুব্রত ঘোষ মহাশয় ‘দ্যুতি’ নামে একটি সাহিত্য সভার আয়োজন করেন। বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাবের জন্য এই সাহিত্য সভা অনলাইনে হচ্ছে।  

আর একজনের নাম না করলে অন্যায় হবে,তার নাম হল আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সমিতির সুভাষ রায়। সুভাষবাবুও দিল্লি ও প্রবাসের সব সংস্থাগুলোকে বাংলা ভাষার জন্য প্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও দিল্লির আরও বহু ব্যক্তি ও সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলো সমানে বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন। এরমধ্য আছেন সোনার তরী টি ভি চ্যানেলের শ্রদ্ধেয় শুভাশিস দত্ত মহাশয় এবং তার সঙ্গী-সাথীরা, চিত্তরঞ্জন  পার্কের মহিলা সমিতি এবং মর্নিং ক্লাব। সোনার তরী টি ভি চ্যানেলটি বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেলেও শুভাশিস-বাবু কিন্তু থেমে নেই। নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদির আয়োজন করে এই অগ্রগতিকে অব্যাহত রেখেছেন। দিল্লিতে সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে যুক্ত সব মানুষই শুভাশিস-বাবুকে চেনেন। 
আজকাল দিল্লি থেকে বহু ওয়েব ম্যাগাজিন শুরু হয়েছে, তার মধ্যে ‘দেহলিজ’(পীযুষ  বিশ্বাস), ‘দিল্লি থেকে’ (জ্যোতির্ময় রায়), তাৎক্ষণিক (https://tatkhanik.blogspot.com) ইত্যাদি ওয়েব ম্যাগাজিনগুলোর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। এছাড়াও শম্পা দাস ফেসবুক ও ইউ টিউবের মাধ্যমে এবং আকাশবাণী মৈত্রী-ও বেশ ভাল কাজ করে চলেছেন।শ্রদ্ধেয়া মল্লিকা সরকার, জাহানরা রায়চৌধুরী এবং প্রণব দত্ত প্রতিদিন দিল্লি থেকে আকাশবাণী মৈত্রী-র বাংলা অনুষ্ঠানগুলো সুচারুরূপে পরিচালনা করে চলেছেন।দিল্লির বিভিন্ন সাহিত্য সভা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গেলে একজন মানুষকে আপনারা সর্বত্র খুঁজে পাবেন, তিনি আর কেউ নন সবারই খুব প্রিয় বিজয় ভট্টাচার্য। সবাইকে নিয়ে চলার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে ভদ্রলোকের।দিল্লিতে কোথাও সাহিত্য বা সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা সভা হচ্ছে আর সেখানে বিজয়-বাবুকে পাওয়া যাবে না একথা অনেকেই ভাবতে পারেননা। এইসব সংস্থাগুলো এবং ব্যক্তিরা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।   

তথ্যসূত্র–   সংশ্লিষ্ট মন্দিরের ওয়েবসাইটগুলো 
কৃতজ্ঞতা স্বীকার  –   শ্রদ্ধেয় রজত ব্যানার্জী, শ্রদ্ধেয় নলিনাক্ষ ভট্টাচার্য
ছবি  –   সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

Post a Comment

10 Comments

  1. অনেকদিন পর প্রবাসী বাঙালিদের নানান নৈপুন‍্যতা ও কার্যকলাপের নিদর্শনের সমন্বয় জানার সৌভাগ্য হোলো। পরবর্তী ব্লগের অপেক্ষায়‌।

    ReplyDelete
  2. খুব খুব ভালো লাগলো, ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন।
    ইতি ,শ্রী সোমনাথ মুখার্জ্জী,(অজ্ঞন)।

    ReplyDelete
  3. দিল্লির মন্দির গুলি ঘিরে গড়ে ওঠা বাঙালির সংস্কৃতির ইতিহাসের এক দলিল কালীপদ চক্রবর্তীর লেখায় ফুটে উঠেছে।
    খুব ভালো লাগছে।

    ReplyDelete
  4. অসাধারণ সব তথ্য ।জেনে গর্বিত বোধ করছি।এরকম আর ও চাই।

    ReplyDelete
  5. অনেক অজানা তথ্য জেনে সত্যিই সমৃদ্ধ হলাম . তবে দিল্লিতে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা ও প্রচারের ক্ষেত্রে ইম্প্রেসারিও ইন্ডিয়া ও বিজন মুখার্জীর অবদান অবশ্যই উল্লেখযোগ্য .

    ReplyDelete
  6. অনেক কিছু জানতে পারলাম।

    ReplyDelete
  7. অনেক কিছু জানতে পারলাম।

    ReplyDelete