জ্বলদর্চি

অ্যাঁতেলেকত্যুয়েল বনাম আঁতেল -১৭

   অলংকরণ - প্রান্তিকা মাইতি 


অ্যাঁতেলেকত্যুয়েল বনাম আঁতেল -১৭


স ন্দী প  কা ঞ্জি লা ল

বুদ্ধিজীবী ও গণিকাবৃত্তি - ২

বেশ কয়েক বছর আগে টি.ভি. র এক টক শোতে কিছু হালের বুদ্ধি ও সংস্কৃতিজীবী হাজির হয়ে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন জনগণকে 'গণ' হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন। মোদ্দা কথা যা হল, তিনি বলছেন এই 'গণ'র আসলে বুঝে ওঠার ক্ষমতা কম। সেই কারণে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ তাদের ভোটেরও কোনো গুরুত্ব নেই। তাই তাদের উপর আস্থা রাখার কোনো মানে হয় না। তিনি একটি জুতসই উদাহরণও দিলেন। বললেন যে সত্যজিৎ রায়ের "গুপী গাইন বাঘা বাইন" এর রেকর্ড ভেঙেছে "বেদের মেয়ে জোছনা"। অর্থাৎ এই 'গণ' র কাছে 'গুপী' আর 'জোছনা' চরিত্রের কোন পার্থক্য নেই। আরও বিশদে বললে যে 'গণ' গুপীর চাইতে 'জোছনা'কে বেশি গুরুত্ব দেয়, তাদের ভালোমন্দের বোধটাই নেই। 
সুন্দর কথা! ভালো কথা! উদাহরণ ও জুতসই! এর দ্বারা তিনি বোঝাতে চাইলেন জনগণের মানসিকতার গঠন খারাপ। মানুষের মানসিক গঠন নির্ভর করে তার জ্ঞানের উপর। আবার জ্ঞান নির্ভর করে পরিবেশ পরিস্থিতির ও অন্যান্য উপাদানের উপর। জ্ঞান সম্পর্কে পরে বিশদে আলোচনা করা যাবে।  আমাদের কাঠামো সাজানো হয়েছে, জনগণের মন গড়া হবে না। জ্ঞান বাড়ানো যাবে না। কেননা জনগণের জ্ঞান বাড়লে তাদের ১০০ দিনের কাজ দিয়ে খুশী রাখা যাবে না। ২ টাকা কেজি দরে বা বিনা পয়সায় রেশন দিয়ে জনদরদী সাজা হবে না। কারণ জনগণের যদি একবার জ্ঞান চক্ষু ফোটে, তবে তাদের ভোটের বাক্সে গোণা যাবে না ঐভাবে। বর্তমান যে ছাত্রছাত্রী তারা আগামী দিনের 'গণ', তাদের জ্ঞানের বিকাশ হবে কিভাবে? দেখবেন অধিকাংশ শিক্ষক তাঁরা শিক্ষকতা ছাড়াও অনেক কাজে ব্যস্ত। তিনি বড় কোম্পানির সাহেবের মতো ক্লাসে ঢুকে রিডিং পড়ে বেরিয়ে গেলেন। যাদের বাবা মা শিক্ষক কিংবা যারা বড়লোক তাঁরা ইন্টারনেটে ডিসট্যান্ট লার্নিং এ পড়াশোনা করছে। আর গ্রামের গরীব ছেলে বই দেখে খাতায় টুকছে, তাও আবার ভুলভাল। শিক্ষকমশাই না দেখে ঠিক চিহ্ন দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন। আবার সেই সব শিক্ষকরা এপাশ ওপাশ করে দামী দামী প্রবন্ধ সংবাদপত্রে লিখে টকশোতে মিডিয়াায় হাজির হয়ে নাম কুড়োচ্ছে। যখন সরকারি পরীক্ষায় ঐ স্কুল ভালো রেজাল্ট করছে, তখন বুক ফুলিয়ে বলেন, মানুষ বলে আমরা পড়াই না, তাহলে পাশ করলো কি করে? সবিনয়ে, ঐ শিক্ষক মহাশয়কে বলবো, স্যার 'ভালো ছাত্র' মানে আমি যতটা বুঝি  'ভালো মুখস্থ' করতে পারে। 
অনেক শিক্ষক স্কুলে আসেন না, তাঁদের কাজ বিক্রি হয়। অর্থাৎ উনি অন্য আয়ে থাকেন, তাঁর বদলে কম পয়সায় শিক্ষক রাখা হয়। যার পয়সা ঐ শিক্ষক দেন। ইংরেজি মুখস্থ করানো হয়। অঙ্ক টোকা অভ্যাস করানো হয়। সরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রে স্কুলের ইজ্জত রাখার জন্য, ছাত্রদের পাশ করানোর ব্যবস্থা করানো হয়, এমনকি নোটও সাপ্লাই দেওয়া হয়। এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কাছে আমার প্রশ্ন, বলুন তো? আপনি কি গ্রামের প্রান্তিক হাড় জিড়জিড়ে মানুষটাকে আপনার সমান ভাবতে পারেন? সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে শুধু ভিক্ষা চায়। আমরা কি সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি, যাতে জনগণ ভাবতে পারে, তোমরা নয় সরকার তোমাদের কাছে ভিক্ষা চাইবে। 
আপনারা গ্রামের ধুলা-মাটি মাখা মানুষদের কিছু জানে না বলে, ঠান্ডা ঘরে বসে রঙ্গিন পানীয়ে হুল্লোড় তুলে নিজেদের লাভ লোকসানের হিসাব কষেন। আর সভা সমিতিতে 'রবীন্দ্রনাথ' কে সামনে এনে বলেন, "রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।" যদি প্রশ্ন করি, কে মানুষ করবে? আপনি কি করছেন? আপনি তো মহাজন সেজে সন্ধেবেলা আসর গরম করছেন। সেই হিসেবে দায়িত্বটা আপনার ওপরও ছিল। নিজের ব্যর্থতা যখন দেশের দশের উপর চাপান, তখন আপনার মুখে একটা স্বর্গীয় জ্যোতি খেলে। কারণ আপনি মান অপমানের বাইরে এক ফেরেস্তা। আপনি কোচ, যদি নাও হন তবে বিশেষজ্ঞ, তাইতো আপনার মতামত অমূল্য ভেবে আপনাকে ডেকেছে জনগণকে কোচিং করাতে। কিন্তু আপনি যদি খেলোয়াড়দের সঙ্গতি, ভাবনা ইচ্ছা না বুঝে জয়ের স্ট্রাটেজি ঠিক করেন, তাহলে কি সত্যি আপনি কোচিং দেওয়ার জন্য না পেটের দায়ে এসেছেন। হয়তো আমার এ সমস্ত বলা পাপ হচ্ছে। কারণ দেশের এই 'গণ' জানে বুদ্ধি ও সংস্কৃতিজীবীরা যা বলে যাবেন তাই সত্য বলে মেনে নিতে হবে, ঐ যে নজরুলের ভাষায় বলতে হবে, "হুজুরের মতে অমতকার।"
প্রথাগত মতানুযায়ী কবি লেখক প্রাবন্ধিক তারা এক একজন এমন জিনিয়াস যিনি যুগের ঊর্ধ্বে উঠে তাঁর সময়ে সমাজের জীবনের সারাৎসার ভবিষ্যতের জন্য লিপিবদ্ধ করেন। কিন্তু তাঁদের ভাষা যদি দুর্বোধ্য হয়, তবে তাঁরা ঐ 'গণ' র জন্য না লিখে বোদ্ধাদের জন্য লেখেন। যাঁরা এই সমস্ত লেখেন, তাদেরকে সরাসরি শরৎ বাবু প্রবঞ্চক বলেছিলেন। তাই যে সমস্ত জনগণ অবোধ, তাদেরকে সুবোধ করার দায়িত্ব কার? নিজে বুদ্ধিজীবী সাজবেন, অথচ ঐ বুদ্ধির সামান্য ভাগ ও তাদের দেবেন না। অথচ তাদের কঠোর পরিশ্রমের সমস্ত ফসল আপনারা তাঁর ভাগ নেন। খেয়ে পরে বেঁচে থাকেন। আবার তাদেরকে মূর্খ অবোধ বলে গালিগালাজ করবেন। আসলে এরা হচ্ছে সুবিধাবাদী। এরা বেনাবনে শেয়ালরাজা। এরা চান 'গণ'রা চিরকাল অবোধ থাকুক। এরা যদি কোনক্রমে সুবোধ হয়, এদের বিবেক জেগে ওঠে, তাহলে সমাজে ঐ সব তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের জায়গা হবে না। 
১৯৭৪ সালে দার্শনিক 'সার্ত্র' এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বুদ্ধিজীবীদের আত্মমূল্যায়নের অহংকার তাদের জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এইভাবে তিনি তাঁর শ্রেণি অবস্থানের অপরাধবোধ থেকে এবং বুর্জোয়া আত্মপরিচয় থেকে বেরিয়ে আসতে চান। 
এই প্রসঙ্গে 'লেনিন' তাঁর 'মাক্সিম গোর্কি'কে লেখা এক চিঠিতে লেখেন, "এরা বুর্জোয়া শ্রেণি, যারা নিজেদেরকে জাতির মগজ মনে করেন। তারা আসলে পুঁজির পা চাটা শ্রেণি। যারা মূলত মগজ নয় জাতির বিষ্ঠা। (Lenin, 1915:01) (" The intellectual forces of workers and peasants are growing and getting stronger in their fight to overthrow the bourgeoisie and their accomplices, the educated classes, the lackeys of capital, who consider themselves the brain of the nation. In fact they are not it's brains but its shit.") 
কিন্তু বুদ্ধিজীবী যে এক সর্বজনীনতার প্রতিনিধিত্ব করেন, সার্ত্র-র এই এলিট বিরোধী অবস্থান কিন্তু সেই মিথটিকে চ্যালেঞ্জ করেনি। সার্ত্র ও শেষ অবধি মনে করতেন জ্ঞানই ক্ষমতা ও সত্য, আর সেটাই বাস্তবকে গঠিত করে। অন্যদিকে আমরা দেখেছি বিশেষ বুদ্ধিজীবীর ধারণায় তিনি ন্যায় ও সত্যের মাস্টার হিসেবে কথা বলেন না, বরং ক্ষমতার সত্যকে আবিষ্কার করতে চেষ্টা করেন। সর্বজনীন বুদ্ধিজীবীর সামগ্রিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিরোধী অবস্থান থেকে মিশেল ফুকো-ই প্রথম বিশেষ বুদ্ধিজীবীর কথা বলেন। বিশেষ বুদ্ধিজীবীর বৌদ্ধিক কাজকর্ম তাঁদের নিজস্ব কর্মক্ষেত্র থেকেই উঠে আসে, তাঁদের বৌদ্ধিক প্রয়াস ও নিজের কর্মক্ষেত্রের বাইরে নয়। তিনি কোনও গুরুর মর্যাদা ও পেতে চান না। একটু অন্যভাবে আমরা বলতে পারি, তত্ত্বের কাজ এক সর্বব্যাপক বিশ্লেষণ করা নয় বরং ক্ষমতার বিশেষ প্রকাশকে অনুসন্ধান করা ও তার ভিত্তিতে ধীরে ধীরে 'স্ট্রাটেজিক জ্ঞান' গড়ে তোলা। তাই সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণমূলক প্রযুক্তির এক সর্বব্যাপী পরিবর্তনের ধারণার পরিবর্তে, ক্ষমতা ভিন্ন ভিন্ন নেটওয়ার্কে কীভাবে ছড়িয়ে আছে তার অনুসন্ধান জরুরি।  এবং এই যদি ক্ষমতার স্বরূপ হয় তাহলে লোকাল প্রতিরোধের স্ট্রাটেজি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ বুদ্ধিজীবী জনসাধারণের ইচ্ছা অনুসারে কাজ করার মাধ্যমে এক 'মুক্ত সমাজ' গড়তে প্রয়াসী নন, কারণ সেই ইউটোপিয়া বা স্বপ্নের দিন শেষ হয়ে গেছে। অন্য স্বপ্নের দিনও শেষ হয়েছে যেখানে এক আদর্শ, যুক্তিনির্ভর, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরি হবে যা মানুষের বিচ্ছিন্নতা দূর করবে। নতুন বুদ্ধিজীবী রাজনৈতিক আদর্শের এই ট্রানসেনডেন্ট নিয়মগুলিকে সন্দেহের চোখেই দেখেন। তিনি বরং বলেন আধুনিক রাজনীতিতে মূলত প্রভু ও প্রতিবাদীর মধ্যে বিরোধ হিসেবে না দেখে ক্ষমতার এক বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে দেখা উচিত। অর্থাৎ বুদ্ধিজীবীর কাজ সমবেত রাজনৈতিক ইচ্ছা বা উইলকে নির্ধারণ করা বা গড়ে দেওয়া নয়, অন্যের রাজনৈতিক ইচ্ছা গঠন করাও নয়, অন্যের কি করা উচিত সেটা বলা ও নয়। প্রশ্ন হল কোন অধিকারে তিনি এ কথা বলবেন? বরং তাঁর নিজের কাজের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনি বার বার প্রশ্ন করবেন সেইসব বিষয়গুলি যা স্বতঃপ্রমাণিত হিসেবে ভাবা হয়ে এসেছে, ডিস্টার্ব করবেন মানুষের মানসিক অভ্যাসগুলিকে, নাড়া দেবেন মানুষের ভাবার ধরনকে, তার পরিচিত ধ্যানধারণাকে। এই অর্থে বুদ্ধিজীবী একজন সাবভার্সিভ এজেন্ট হিসেবে কাজ করবেন, এ কথা একটু আগেই বলেছি। বুদ্ধিজীবীর কাজ হল মানুষকে এটা প্রদর্শিত করা যে তাঁরা নিজেকে যতটা স্বাধীন ভাবেন, তার চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীন। এটাও প্রদর্শিত করা যে, তাঁরা যাকে সত্য বলে গ্রহণ করেছেন এবং যার প্রমাণ গঠিত হয়েছে ইতিহাসের কোনো এক মূহুর্তে, সেই প্রমাণকে সমালোচনা করা যায়, ধ্বংস করা যায়। বুদ্ধিজীবী মানুষের মানসিক গঠনের ছাঁচকে পরিবর্তন করবেন। 
আর এই জন্য দার্শনিক 'দেল্যুজা' বুদ্ধিজীবীদের কথা বলতে গিয়ে একবার বলেছিলেন,"যখনই আমি এই কথা গুলো শুনি 'এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না... ' বা 'সকলেই একমত হবেন যে....' আমি বেশ বুঝতে পারি কোনো মিথ্যা বা কোনো শ্লোগান উচ্চারিত হতে চলেছে। রোজ সন্ধ্যাবেলা টিভির অনুষ্ঠানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনে যে পরিমাণ বিরক্তি ও বিবমিষার উদ্রেক হয় তা লিখে ব্যক্ত করা মুশকিল।"
নিজের অজ্ঞানতা সম্পর্কে ধারণা থাকলে জ্ঞান অর্জন সহজ হয়।একজন মানুষ যতই জ্ঞান অর্জন করেন ততই বুঝতে পারেন যে কোন কোন বিষয়ে তার জ্ঞানের অভাব আছে। যে ব্যক্তি ভাবে যে সে সব কিছু জানে তার অনেক জিনিসই জানতে বাকি আছে। অজ্ঞ ব্যক্তি জানে না যে তারা অজ্ঞ। তারা যে জানে না সেই তথ্যটিও তাদের অজানা। বস্তুতপক্ষে, অজ্ঞতা নয়, বড় সমস্যা হচ্ছে জ্ঞানের মোহ। এই মোহ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে। 
মিডিয়াকে প্রকাশ ও প্রচারমাধ্যম হিসেবে যদি বিবেচনা করি মিডিয়ার নিজেরও একটা রাজনীতি আছে নানান রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ এবং সমাজের শ্রেণি কাঠামোয় নিজস্ব একটা শ্রেণি চরিত্র আছে। সম্পাদক এবং প্রকাশকের কপালে যে কোন রংয়ের একটা প্রকাশ্য বা গোপন তিলক আছে, অনেক নিরপেক্ষতার দাবি করেন কিন্তু নিরপেক্ষতার ও একটা পক্ষ আছে। 
এখন সময় এসেছে সত্যটা জানার, এখন সময় এসেছে বুদ্ধি নিয়ে যারা গণিকাবৃত্তি করে সেইসব বুদ্ধিজীবীদের চেনার। এখনি সময় বর্তমান প্রজন্মকে বুদ্ধিগণিকাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে বলতে হবে তুই একজন বুদ্ধিগণিকা। তাদেরকে চিহ্নিত করে অবাঞ্ছিত করতে হবে সমাজ থেকে, তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে, তাদের কালো হাত গুড়িয়ে দিতে হবে। আপনার চারপাশে দেখুন, চোখ কান খোলা রাখুন তাহলে বুঝতে পারবেন কারা কারা বুদ্ধিগণিকা। নিজের বিবেক দিয়ে বুঝার চেষ্টা করুন কে বা কারা বুদ্ধিগণিকা, কে বা কারা সুশীলতার চাদরের তলে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত মৌলবাদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে।

Post a Comment

3 Comments

  1. অপূর্ব সুন্দর।

    ReplyDelete
  2. ভাল লেখা।বুদ্ধিগণিকার পরিবর্তে "শব্দবেশ্যা" বলাই সঙ্গত।

    ReplyDelete
  3. বুদ্ধিজীবী এখন বুদ্ধিবেচি তে পরিণত হয়েছে।

    ReplyDelete