জ্বলদর্চি

কবি জয় গোস্বামী / সন্দীপ কাঞ্জিলাল


"এ গণতান্ত্রিক দেশে আজ/আমাদের সমস্ত কথায়/হ্যাঁ বলাই আপনাদের একমাত্র কাজ"

  জয় গোস্বামী 
(১০/১১/১৯৫৪)
  
সন্দীপ কাঞ্জিলাল

বাংলা ভাষার উত্তর-জীবনানন্দ পর্বের অন্যতম কয়েকজন জনপ্রিয় কবির মধ্যে কবি জয় গোস্বামী এক উল্লেখযোগ্য নাম। তাঁর কবিতা চমৎকার চিত্রকল্পে, উপমা এবং উৎপ্রেক্ষায় ঋদ্ধ। কবিতা ও চিত্রকলা কিংবা কবি ও শিল্পীর পারস্পরিক সম্পর্ক ও সাযুজ্যের ইতিহাস অত্যন্ত সুপ্রাচীন। কবিতার মাধ্যম শব্দ এবং চিত্রের উপকরণ রং। কবির দৃষ্টিবদ্ধ চিত্রকল্প প্রকাশ পায় কবিতায় আর শিল্পীর দেখা চিত্ররূপ ফুটে উঠে ক্যানভাসে। কবির অনুভূতির রূপান্তর ঘটে শব্দে এবং শিল্পীর অনুভূতির প্রকাশ ঘটে ছবিতে। তাইতো বিশ্ববন্দিত পিকাসো বলেছিলেন, "কবিতা শিল্পকলারই পরিপূরক। যে কথা রঙে বলা যায় না, সেটা ভাষার অক্ষরে বলা সম্ভব।" যাঁর কবিতায় এই দুয়ের সংমিশ্রণ দেখা যায়, তাকে নিয়ে আলোচনা কোনো ক্লাসরুমের রচনা হতে পারে না। হতে পারে তাঁর কবিতার দৃষ্টি নান্দনিক আলোচনা, ফুটে উঠতে পারে ভালোবাসার লাল গোলাপ বা অসহায়ের করুণ আর্তনাদ। শব্দকে কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করতে করতে তিনি এমন এক জায়গায় নিয়ে যান, যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় দেবালয়, পাঠক আসে প্রণাম সারে, ফুল চড়ায়। কতগুলি ধ্বনির সন্নিবেশ থেকে একটি অখণ্ড শব্দ। আর বারবার তা ব্যবহারের ফলে একটি বিশেষ শব্দের সঙ্গে একটি বিশেষ অর্থের যোগ প্রকাশ হয়। ১০ই নভেম্বর ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করলেও, যখন তিনি বলেন, "আমি জন্ম নিয়েছি মায়ের মৃত্যুর পর।" ১৯৮৪ সালে। তাই মা যখন মারা যায়, তাঁকে আর কোনদিন দেখা যাবে না। তাঁকে আর কোনদিন ডাকা যাবে না, তীব্র দহন, একাকীত্বর কী সুন্দর প্রকাশ- "নাম লিখেছি একটি তৃণে/ আমার মায়ের মৃত্যুদিনে।" "কবির কোনো দেশ নেই, ধর্ম নেই, সীমান্তে নেই" চলে সব দেশের সীমানা ভেঙে, সব ধর্মের ধ্বজা উড়িয়ে, লাল বসনে মুখে দাঁড়ি তিনি বসে আছেন চেয়ার নিয়ে জ্যোৎস্নায় গা ভিজিয়ে। পরিষ্কার জ্যোৎস্নায় তাকে দেখাচ্ছে এক সাধক ঋষি। শান্ত সৌম্য মূর্তি। কাগজ কলম হাতে তুলে নিলেন। যার মনে অহরহ ঢেউ তুলছে "ব্রক্ষসত্য জগৎ সত্য।" রবীন্দ্রনাথ তাঁর গানের মধ্যে উপনিষদের এই মূল বাণীটিকেই রূপ দিয়েছিলেন।" প্রথম আদি শক্তি- /আদি পরমোজ্জল জ্যোতি তোমারি হে/ গগনে গগনে।" আর তিনি লিখছেন, সেই জ্যোৎস্নালোকিত রাত্রে "হ্নদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে", ঘুমিয়েছো, ঝাউপাতা?- কাব্যগ্রন্থের প্রবেশক কবিতা। তাঁর লেখনীতে ফুটে উঠছে উপনিষদের সেই ভাবনা, আদিতে ব্রহ্ম একক-সত্তা হিসেবে একা বোধ করেছিলেন, কোনো আনন্দ পাচ্ছিলেন না। তাই আনন্দের জন্য সেই আদি ও একক সত্তা বহু হলেন। সেই পুরাকালের ঋষি বলেছিলেন- " অপাবৃণু"। অর্থাৎ হে জগতের অন্তরসত্য, আবরণ সরিয়ে তুমি উন্মোচিত হও। আমি যেন নিজেকে তোমার মধ্যে দেখতে পাই। যেন উপলব্ধি কবি তোমার আমার কোনো ভেদ নেই। তুমি আর আমি এক। অহং ব্রহ্মাস্থি। রবীন্দ্রনাথ তাই বলে ওঠেন, "আর রেখো না আঁধারে, আমায় দেখতে দাও।" আর কবি জয় গোস্বামী বলে ওঠেন- "অতল, তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনিতে পারিনি বলে/ হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে।" তিনি যেন বলতে চেয়েছেন, মহাবিশ্বের প্রতি কণায় "ব্রহ্ম" উপস্থিত। "ব্রহ্ম" শব্দটির ধ্বনিগত অর্থ হলো, যা সর্বব্যাপী, যা সকল বস্তুর মধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে ব্যাপ্ত। কঠোপনিষদের সেই মন্ত্র- "একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রুপং রুপং প্রতিরুপো বহিশ্চ।" অর্থাৎ একই আত্মা, সৃষ্টির আদি উৎস বিভিন্ন জীবের রূপে প্রকাশিত। একই অদ্বিতীয় ব্রহ্ম বিশ্বের সবকিছুর মধ্যে থেকেই বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর সেই কথাটিকেই কবি বললেন। অতল মানে যার সীমা পরিসীমা নেই, সেই ব্রহ্ম, তুমি আমার মধ্যে আছো, সর্বজীবের মধ্যে আছো, অথচ আমি তোমাকে চিনতে পারিনি। তাই ছুটে মরছি মন্দির মসজিদ গীর্জায়। আর এই না চিনতে পারার দুঃখে আমার মন ভেসে যায় অলকানন্দার জলে। কবি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "দৈব একটা ব্যাপার আছে। আমি একটা কবিতা লিখতে পারবো কিনা এটা দৈবাধীন।" 
কবি চাইছেন যাকে  তিনি ভালোবাসেন এবং জানেন সেও তাঁকে খুব ভালোবাসে, সে যেন অন্তত একবার লুকিয়ে হলেও তাঁকে তার সবটা দিয়ে ভালোবাসুক।
 সেই অসাধারণ চার লাইন,
"অসামান্য আগুন, সেই/
আগুন অসাধারণ /
একটিবার রেখেছ হাত
দুবার রাখা বারণ।"

আামাদের অনেকের জীবনেই ঘটে এই ঘটনা, যেখানে প্রেমিককে বাধ্য হয়ে প্রেমিকার হাত থেকে রাখি পরতে হয় আর ভুলে যেতে হয় ভালোবাসা বা ভলোলাগা। একটুকরো সুতো আটকে দেয় ভালোবাসাকে। এই কবিতার নাম 'রাখি'।
আমার আরেকটি প্রিয় কবিতা হল-'শ্রাবণ'।
"ওই মেয়েটির কাছে 
সন্ধ্যাতারা আছে।"

একটি মেয়ের কাছে তার পরম প্রাপ্তি হল, সে তার ভালোবাসার মানুষের কাছে 'শুধুই তুমি' হয়ে থাকতে চায়। কত শত প্রেমিক তাদের নিজের ভঙ্গিতে, ভাষায় এই কথা অগুনতি বার তাদের নিজের প্রেয়সীদের বলেছে। অথচ, আমার প্রিয় এই কবি, কেবলমাত্র পাঁচটি শব্দকে কবিতার আকার দিয়ে আমার মনের মধ্যে নাড়া দিয়ে গেলেন। এতো পরিপূর্ণ ভাবে ভালোবাসা দুটি অসামান্য লাইনে - 
"ওই মেয়েটির কাছে 
সন্ধ্যাতারা আছে।"
একটি মেয়েরএর থেকে বেশি কি- ই বা চাওয়ার থাকতে পারে? সে এইটুকুতেই বুঝতে পারছে, প্রতিটি পদক্ষেপে তার প্রেমিক তাকে তার আলোর দিশারি মনে করে, সে তার প্রেমিকের জীবনের সুখ দুঃখ, ছোট, বড় সমস্ত কিছুর এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানেই কবি অসাধারণ এক প্রেমিক সত্তা দেখিয়েছেন, এবং সমস্ত মেয়ের মনে ঠিক এরকম ভালোবাসার কথা বলতে পারা প্রেমিকের আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলেছেন।

জয় গোস্বামীর জন্ম বিখ্যাত কলকাতা শহরে। ছোটবেলায় তাঁর পরিবার রানাঘাটে চলে আসে। তখন থেকেই তাঁর স্থায়ী নিবাস সেখানে। তাঁর পিতা মধু গোস্বামী ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী রাজনীতি করতেন। তাঁর তখন আট বছর পাঁচ মাস বয়স তখন পিতৃহারা হন। তাঁর মা শিক্ষকতা করে তাকে লালন পালন করেন। প্রথম কবিতা লিখেছিলেন ১৩-১৪ বছর বয়সে। নিয়মিত কবিতা লিখতে শুরু করেন ১৬-১৭ বছর বয়সে। তিনি ছোটবেলা থেকে খুব গান শুনতেন।গানের সুর থেকে বাণী তাঁকে খুব আকর্ষণ করতো। এ আকর্ষণেই তার অন্তর্জগতে কবিতার জন্ম হতে থাকে। ছোটবেলায় এক অনুষ্ঠানে বনলতা সেন কবিতাটির আবৃত্তি শুনে কবিতার গঠন, রচনাশৈলী ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে তার প্রথাগত ধারণা আমূল বদলে যায়। 
জয় গোস্বামীর প্রথাগত লেখা পড়ার পরিসমাপ্তি ঘটে একাদশ শ্রেণিতে থাকার সময়। সত্তরের দশকে তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন। সাময়িকী ও সাহিত্য পত্রিকায় তিনি কবিতা লিখতেন। এভাবে অনেক দিন কাটার পর দেশ পত্রিকায় তাঁর কবিতা ছাপা হয়। এর পরপরই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পরে তাঁর প্রথম কাব্য সংকলন "ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ" প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি "ঘুমিয়েছো, ঝাউপাতা" কাব্যগ্রন্থের জন্য আনন্দ পুরষ্কার লাভ করেন। ২০০০ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে তিনি "পাগলী তোমার সঙ্গে" কাব্য সংকলনের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরষ্কার লাভ করেন। 

জয় গোস্বামীর ভাষায়, "আমার  প্রতিদিনের জীবনে মনের ভেতর যে ভাষা জন্মায়, যে অভিজ্ঞতা জন্ম নেয়, তাকে ভাষা দেওয়ার চেষ্টা করি।" তিনি আরো বলেন, "আমার জীবন হচ্ছে ধারাবাহিক বিচ্ছেদের মালা গাঁথার ইতিহাস। আমি, মাস্টার মশাই, আমার মা, আমার ভাই, আমার বন্ধু, নারী, সহকর্মী, যাঁরা আমার জীবনে এসেছেন, তাঁরা কেউ আমাকে নিয়ে সুখী নন। তাঁরা কোনো না কোনো কারণে হতাশ বা আমাকে নিয়ে ক্লান্ত।" তাইতো তিনি লিখলেন, "বিশ্বাস" কবিতায়- "আমার শরীরবীজ, তাও কেউ ধারণ করলো না।"
জয় গোস্বামীর ব্যক্তিগত জীবন কিছুটা জানা যাক। ১৯৯৪ সালে জয়-কাবেরীর বিয়ে হয়। কবির স্ত্রী বলেন, "ওর কবিতা পড়ে প্রেমে পড়ি। তারপর বিয়ে। ও তখন বেকার।" তিনি আরও বলেন, "আমি এত রাঁধতে ভালোবাসি। কত লোক খায়। ওকে কিছুই খাওয়াতে পারি না। এ এক ভীষণ কষ্ট।" তাঁদের একমাত্র মেয়ে বুকুন। ফ্যাশন ডিজাইনার। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। বৌদ্ধ। উনি বলেন, "জামাই কত ভালো। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে।" ধর্ম নিয়ে তাদের কারোরই মাথাব্যথা নেই। বাড়িতে লক্ষী পূজা করলেও ধর্মকর্মের প্রয়োজন করেন না। মেয়ের আবার বিড়াল-কুকুর পোষায় শখ। তা আবার বাড়াবাড়ি পর্যায়ের। ২৬টি বিড়াল ছিল। রাস্তায় কোনো অসহায় বিড়ালছানা দেখলেই হলো। জয় আবার তাতে আস্কারাও দেয়।" এখন অবশ্য ৪টি বিড়াল ও একটি কুকুর আছে। মেয়ে বাবাকে জয় দাই বলে ডাকে। ছোটবেলায় দেখেছে সবাই জয় দা জয় দা করে- ও তেমনি বলেছে।" জয়  গোস্বামী বলেন, "আমার দাড়ি ধরে টানতো আর বলত দায়ি দায়ি- যা দাই হয়ে টিকে আছে।"

কবি জয় গোস্বামী তিন বছর কোনো কবিতা লিখতে পারেননি। সেটা হলো তাঁর ৫৩-৫৬বছর বয়সে। এই তিন বছর তিনি কোনো কাব্য ভাষা খুঁজে পাননি। অজানা রাস্তা খুঁজে পাননি। সত্যি তো অজানার পথে না যদি হাঁটা যায়,তবে নতুন জীবন আবিষ্কার হবে কিভাবে। কমফোর্ট জোনের বাইরে বেরোনো সত্যি এক মজার ব্যাপার। 

আজকের এই রাজনীতির দোলাচল, চারদিকে অস্থির ভাব তার প্রতিবাদ কবির কলমে উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন এখন ঘরে বসে কাব্য করার সময় নয়, যখন খবরের কাগজ খুললেই প্রত্যেকদিন দেখা যায়, হয় ধর্ষণ নয়তো খুন। তিনি বলছেন এসব যদি না আটকাই তবে, "আমার সমস্ত শিল্প আজ থেকে  গণহত্যাকারী।"

বয়োজ্যেষ্ঠ শ্রদ্ধেয় কবি শ্যামলকান্তি দাশকে নিয়ে লিখলেন 'লোকজন' কবিতা। যার প্রথম লাইন, "প্রতিটি লোক যৌনভাবে সৎ"। এই লাইন মনে করিয়ে দেয় দার্শনিক 'রাসেলে' এর সেই বিখ্যাত উক্তি, "একটি নদীতে কেউ দুবার স্নান করে না"। সত্যি তো নদীর জল গতিশীল। অহরহ নদীতে নতুন জল আসছে, আবার চলে যাচ্ছে। প্রত্যেক সময় নদীর নতুন জন্ম হচ্ছে। যখন কেউ একবার ডুব দিল, পরের বার ডুব দেওয়ার সময় নতুন জল, নতুন নদী। তাই কোনো মানুষ বহুগামী হলেও, নতুন ভাবে নতুন সবকিছু। 

কবি এই বয়সে এসে, চারপাশের ঘটনাবলী কবিকে মর্মাহত করে। তাই তো তিনি লিখলেন "সপাং সপাং" কাব্যগ্রন্থ। তাই তাঁর এখন একটাই ইচ্ছে 'কীর্তি' কবিতায় লিখলেন, "আর কোথাও রক্তনয়, কাঁটাও নয়, ছুরি-কাঁচির মহিমা নয়/বমির বেগ, থুথুকীর্তি নয় কিচ্ছু নয় কেবল আমগাছের তলায়  একটা মরবার আকাশ।"এরপর মৃত্যু বলবার কিছু নেই।
--------
আরও পড়ুন

 কবি শ্যামলকান্তি দাশের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালেন কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। স্কেচ- দেবাশীষ দেব।

Post a Comment

7 Comments

  1. খুব আন্তরিক, মনোরম ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা। উত্তম আলোকপাত।

    ReplyDelete
  2. খুবই ভালো লাগলো

    ReplyDelete
  3. খুব ভালো লাগলো আলোচনা

    ReplyDelete
  4. আলোচনা খুব সুন্দর

    ReplyDelete
  5. জয়দার জীবন এবং কবিতা নিয়ে আলোচনাটি ভালো লাগলো, কিন্তু তৃপ্তি পেলামনা। জয় গোস্বামীর কবিতায় যে উন্মাদনা আছে, আছে কবিতার উর্দ্ধে উঠে শ্লোক এবং পদাবলি লেখার আকুতি তার খোঁজ কেউ কি পেয়েছে! পেয়েছে কি জয়দার মধ্যে নিরন্তর চলতে থাকা পরস্পর বিরোধী সংলাপ! পেয়েছে কি সময়ের সামনে আত্মসমর্পণ করা একজন নিতান্ত দুর্বল মানুষের আকুতি! পেয়েছি কি কালজয়ী হতে চাওয়া একজন কবি কিভাবে শুধুমাত্র সমকালীন হয়ে গেলেন! নাহ কেউ পায়নি, খুঁজে দেখেও নি! কবিতা আর কিছুই না, শুধুমাত্র একজন পরাজিত ভাবুকের আত্মজীবনী....

    ReplyDelete