জ্বলদর্চি

বাবু গো গণতন্ত্র কে চিনি না জানি না, ধর্ষণ তো দূরের কথা /সন্দীপ কাঞ্জিলাল

বাবু গো গণতন্ত্র কে চিনি না জানি না, ধর্ষণ তো দূরের কথা


সন্দীপ কাঞ্জিলাল

পুলিশ -চল শালা, থানায় চল।
বৃদ্ধ- বাবু আমার অপরাধ কি? 
পুলিশ- তুই কালকের অঞ্চল অফিস ঘেরাও করে ভাঙচুর করেছিস, তুই গণতন্ত্রকে ধর্ষণ করেছিস। 
বৃদ্ধ- বিশ্বাস করুন বাবু, গণতন্ত্রকে আমি চিনি না। ধর্ষণ তো দূরের কথা। তাকে আমি জানি না। চোখেও দেখিনি কোনোদিন। 

এটি হচ্ছে একটি কাল্পনিক ডায়লগ। সত্যি তো যে গণতন্ত্রকে আমরা চিনি না জানি না তাকে ধর্ষণ করবো কিভাবে? গণতন্ত্র খায়-না মাথায় দেয়? তা-ও জানি না। আচ্ছা বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, গণতন্ত্র কি-আপনি আমি সত্যি জানি? তাহলে প্রশ্ন গণতন্ত্র কি? আসুন একটু উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি।

বাংলা গণতন্ত্রের ইংরেজি ডেমোক্রেসি(Democracy) শব্দ থেকে এসেছে। এই ইংরেজি শব্দটি এসেছে আবার গ্রিক শব্দ 'দেমোক্রাতিয়া' শব্দ থেকে। যার অর্থ দাঁড়ায় জনগণের শাসন। 'দেমোস' কথাটির অর্থ জনগণ ও 'ক্রাতোস' মানে ক্ষমতা। খ্রীস্টপূর্ব ৫ম শতকে অ্যাথেন্স এবং অন্যান্য গ্রিক নগররাষ্ট্রে রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বোঝাতে শব্দটির প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। বিশ্বের প্রথম গণতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছিল গ্রিসের ছোট্ট শহর এথেন্সে। 

প্লেটোর জন্মলগ্নে তাঁর মাতৃভূমি এথেন্স ছিল এক জাতীয় সংকটের সম্মুখীন। প্রতিবেশী রাষ্ট্র স্পার্টার সাথে দীর্ঘদিন যুদ্ধের পর এথেন্স যখন সম্পূর্ণরূপে পরাভূত, তখন প্লেটোর বয়স মাত্র তেইশ বছর। মাতৃভূমির শোচনীয় পরাজয়ে প্লেটো বিচলিত বোধ করেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে, এথেন্সের পরাজয়ের মূল কারণ তথাকথিত গণতন্ত্র। তাই তিনি ভাবলেন, এই গণতান্ত্রিক সরকারের অবসান ঘটিয়ে এক নতুন সু-সরকার আবিষ্কার করা যায় কী করে? প্লেটো গুরু সক্রেটিসের মতবাদ মনেপ্রাণে ধারণ করতেন। তাই সে গুরুর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েই বলেছিলেন "গণতন্ত্র হচ্ছে মূর্খের চর্চা, এখানে মত এবং মাথার (সংখ্যার) বিবেচনা করা হয়, জ্ঞান-বুদ্ধি, ন্যায়-কল্যাণের বিবেচনা করা হয় না।"
আধুনিক গণতন্ত্রের জনক হলেন 'জন লক'। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট 'আব্রাহাম লিঙ্কন' গনতন্ত্রের সংজ্ঞা দেন- "Government of the people, by the people, for the people."

এই পৃথিবীতে কোনও সত্যই নিত্য নয়। মানুষের নিজের কোনো সত্তা নেই। প্রতি অবস্থাতেই সম্ভাব্য বিকল্প থাকে, মানুষকে বাছতে হয়। কিন্তু এই বেছে নেওয়ার  কোনো মাপকাঠি বা সূত্র নেই। কিন্তু একটি সূত্র আছে মানুষের নিজের বোধ, জ্ঞানই সঠিক নির্বাচন করতে পারে। যদি তার প্রকৃত শিক্ষা থাকে। 
গণতন্ত্র শুধু আমার অথবা আমার পরিচিত জনের ভালোর জন্য নয়। আর এই বোধ জন্মায় প্রকৃত শিক্ষা থেকে। কিন্তু এই গণতন্ত্রে যারা ভোট দেয় তাদের কি সে শিক্ষা আছে? তাই দেখি যে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রবল হচ্ছে, অথচ ভোটের সময় সেই শাসকের পক্ষে রায় যাচ্ছে। কারণ এটাই গণতন্ত্রের অঙ্ক- ভোট গোনা। গণতন্ত্র মানে শুধু আমার গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র বলতে সমাজে সবার- এমনকি চোর ডাকাত পাজি বদমাশ সকলকে সমান ভাবতে হবে। এই অধিকার এবং সমান-অধিকারের মধ্যে বিবাদ কিছুটা হলেও কমতে পারে প্রকৃত শিক্ষার দ্বারা। 
আবার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলেও যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হল, তা-ও বলা যাবে না। কারণ মানুষ যদি না প্রকৃত শিক্ষিত হয়, তবে তার নির্বাচন সঠিক না-ও হতে পারে। তাই কোনদিন আন্দোলন করে কিছু হয় না। কারণ আন্দোলন যখন থিতোবে তখন পুরনো অবস্থানে ফিরে আসবে। নইলে বিপ্লবের এত পরাজয় হতো না। তাই আমরা যেভাবে জাতের শ্রেণী বিভাগ, লিঙ্গের শ্রেণি বিভাগ, আমাদের মন যেভাবে মানতে প্রস্তুত নয়, তেমনি এই ভোট সংখ্যার বিচারে গণতন্ত্র আমাদের জোর করে মানতে বাধ্য করা হয়। এইভাবে মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। 
কিন্তু বর্তমানে যে শিক্ষা, সেই শিক্ষা কি শাসকগোষ্ঠীর মনোভাব ছাড়া অন্যকিছু তৈরি করতে পারে। প্রকৃত শিক্ষা মানে ভদ্রলোকের শিক্ষা নয়, শুধু পয়সা উপার্জনের শিক্ষা নয়। সেই শিক্ষায় থাকতে হবে মানবতা। যেমন ডাল রান্না করতে লাগে ফোড়ন, তেমনি এই শিক্ষায় থাকবে হিউম্যানিটির ফোড়ন। শুধু মুখস্থ বিদ্যা অথবা ফাঁকিবাজি শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের হাতে গণতন্ত্র রক্ষা হতে পারে না। আর 'গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক' এর কথায় "Real knowledge depends on cooking the soul." বর্তমানে যে শিক্ষা ব্যবস্থা তাতে শেখানো হয়, কিভাবে ভিক্ষা করতে হয়। সরকারের কাছে কিভাবে অনুদান চাইতে হয়। আমাদের সেই শিক্ষা দরকার, যাতে সরকারকে ভিক্ষা করানোর শিক্ষা শেখাতে হবে জনগণের কাছে। এই শিক্ষায় মানুষের 'মন' গড়া হয় না। কারণ মন গড়া হলে, আমরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য এই করোনা মহামারির সময় গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে চাইবো না। আমাদের ১০০ দিনের কাজ দিয়ে খুশী রাখা যাবে না। ক্লাবে অনুদান দিয়ে যুবকদের ভোলানো যাবে না। কারণ আমাদের মন আর মাথা যদি একবার খাটে, তবে ঐ ভোট গোনা যাবে না। 
আজকাল যে আমরা নেতাদের কুকথার বন্যা দেখি, সেটা হচ্ছে সেই নেতার ভাবাদর্শ। এই কুকথার ভাষা এক প্রাধান্য বিস্তারকারী ক্ষমতা থেকে উৎপন্ন হয়। আর এই প্রাধান্য জোগায়  আমাদের মতো কিছু ভিখারীর দ্বারা। ইংরেজি 'গভর্ন' কথাটির বাংলা অর্থ যেমন শাসন করা বোঝায়, আবার পরিচালন করাও বোঝায়। এই 'গভর্ন' কথা থেকে এসেছে 'গভর্নমেন্ট'। অর্থাৎ গভর্নমেন্ট বলতে আমরা এক কার্যপ্রণালী বুঝি যার উদ্দেশ্য হল মানুষের আচরণকে গড়ে-পিটে নেওয়া, তাকে পরিচালনা করা। কিন্তু যিনি এই 'গভর্নমেন্ট'-র মাথায় থাকবেন, যদি নিজেকে না গভর্ন করেন, অর্থাৎ নিজেকে নিজের শাসন বা পরিচালনা না করতে পারেন, তবে জনগণকে কিভাবে গভর্ন করবেন?

এখন এই গণতন্ত্রের শাসন ক্ষমতা বজায় রাখতে অশিক্ষিত নিন্মবর্গ ভোটারদের ছেলে ভুলিয়ে এবং মাথায় হাত বুলিয়ে যেসব নেতারা কাজ হাসিল করছেন, পক্ষান্তরে তাঁরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন।  নানা ধরনের বাজে কথা বলে জনগণের সঙ্গে বাজে ইয়ার্কি মারছেন। 

গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে যেমন প্রকৃত শিক্ষা দরকার, তেমনি দরকার নেতাবাজি বন্ধ করা। সংসারে সমাজে কি দেশে নেতৃত্ব নয়, নেতাবাজি নাগরিকতাকে নষ্ট করে। আমরা সমগ্রকে বা সমষ্টিকে ভালোবাসার শিক্ষা পাইনি। আমরা রাজনীতিতে ব্যক্তিকে ভালোবাসি, সম্মান করি তার পা চাটি। 

এখনও ভোট শুরু হয়নি! সবেমাত্র প্রস্তুতির শুরু! অথচ প্রত্যেকদিন প্রায় কোথাও না কোথাও একের বেশি মানুষ বিভিন্ন দলের মারা যাচ্ছে। শুধু নিজেদের স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য। মারা যাচ্ছে যে যার দলের নাক কাটা গাল কাটাদের হাতে। এদের আমরা কী শহীদ বলবো? গণতন্ত্রের শহীদ? না কি স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য হত্যা? অথচ যে সমস্ত রাজনীতির লোকজন সশস্ত্র অভিযান বা গেরিলা যুদ্ধের কথা বলে, তারা কিন্তু হিংসার কারণে, সংসদীয় রাজনীতিতে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই যে দিনের পর দিন একদলের হাতে অন্য দলের মানুষ মরছে- এটা কি সন্ত্রাসবাদ নয়? ভোট দিতে গিয়ে আঙ্গুলে কালি নয়, বুকে বুলেট নিয়ে পড়ে থাকে রাস্তায়। আমার মত প্রকাশ্যে বলতে গেলে খুন হতে হয়, বা মিছিলে হাঁটলে নিখোঁজ হয়ে পরে লাশ মেলে। এক রাতের মধ্যে গোটা পরিবারকে পুড়িয়ে মারা হয়। এসব কি সন্ত্রাসবাদ নয়?

সরকারের কাজ হল প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা সুরক্ষিত করা। কিন্তু যে সরকার নিজে স্বাধীনতার দ্বারা গঠিত নয়, জোর-জবরদস্তি বা নাগরিকের ভোট দেওয়ার ক্ষমতাটুকু কেড়ে নেয়, সে সরকার কিভাবে অপরের স্বাধীনতা রক্ষা করবে। 

তাহলে এই নির্বাচন কি আদৌ গণতন্ত্রের জন্য? না ক্ষমতা দখলের জন্য? শুধু ভোটের অধিকারটুকু বজায় রাখতে প্রাণ দিতে হয়, সে দেশে কি সত্যি গণতন্ত্র বলে কিছু আছে। আসলে গণতন্ত্র হচ্ছে শিখণ্ডী যাকে সামনে রেখে ক্ষমতালোভী দুর্বৃত্তরা নিজেদের ক্ষমতার চেয়ারগুলিকে সুরক্ষিত রাখে। 
অথচ আমরা মুখে বলি মানবাধিকারের কথা। আমাদের দেশে মানবিকারের কথা বলা আছে সেই প্রাচীন যুগ থেকে। ঋকবেদ, অথর্ববেদ ও অর্থশাস্ত্রের মত ধর্মীয় গ্রন্থেও মানবাধিকার স্বীকৃতি লাভ করেছে। ব্যক্তির অধিকার সম্পর্কে মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে। এবং অত্যাচারী রাজা অথবা যে দুর্বল রাজা তাঁর প্রজাদের রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন, তার বিরুদ্ধে প্রজাদের বিদ্রোহ করার অধিকারও মহাভারতে স্বীকৃত হয়েছে। প্রাচীন ভারতের অন্যতম নীতিপ্রণেতা মনু, দেওয়ানী, আইনী ও অর্থনৈতিক- এই তিন রকম অধিকারের ধারণাই বিকাশ ঘটিয়েছেন। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মেও সাম্য ও অহিংসার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। 

এমনকি ভারতবর্ষের মুসলমান শাসকরাও, যুদ্ধের সময়, নারী ও শিশুদের রক্ষার জন্য আইন প্রনয়ণ করেছিলেন। মুঘল সম্রাট আকবর ও নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য কতগুলি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। 

ভারতীয় সংবিধান যে মানবাধিকারকে একটি পবিত্র ও অলংঘনীয় মৌলিক অধিকারূপে তার অন্তর্ভুক্ত করেছে, সে সম্পর্কে আমরা সম্পূর্ণ সচেতন। এই অধিকারগুলি অবশ্যই বিচারযোগ্য, কিন্তু এগুলি রূপায়ণ করা খুবই কষ্টসাধ্য। বস্তুত, মানবাধিকার বিষয়টি পৃথিবীর গভীরতম সমুদ্রের চেয়েও গভীর, আকাশের চেয়েও বিস্তৃত। যাইহোক, মানবাধিকার রূপায়ণের সমস্যাটি যতই কঠিন হোক না কেন, যাদের জন্য এই অধিকারগুলি তৈরী করা হয়েছে, তাঁরা যদি এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়, তা হলে গণতন্ত্র কিছুতেই বেঁচে থাকতে পারে না। 

অথচ নির্বাচন হয় হচ্ছে হবে। মানুষ আবার ভোট দিতে যাবে। ভোট দিতে যাবে সেই সব দলগুলিকেই যারা স্বয়ং মৃত্যু হয়ে, হিংসার ঔদ্ধত্য হয়ে, সন্ত্রাসের বিষ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে তাদের শিয়রেই। আবার বেশ কিছু মানুষ মারা যাবেন, বেশ কিছু মায়ের কোল শূন্য হবে, বেশ কিছু স্ত্রী হারাবেন ভালোবাসা, বেশ কিছু সন্তান হারাবে মাতা বা পিতাকে। কিছুই পাল্টাবে না। রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকবে জনপদবধূর মতো। কিন্তু হাসপাতালে আসবে না ঔষধ। কারখানা খুলবে না। চাকরি পাবে না শিক্ষিত বেকাররা। মিডল ম্যানদের দাপট বাড়বে। যেমন ছিল মনের কথা, মনেই থাকবে। যেমন ছিল মাটির সঙ্গীত তেমন-ই থাকবে। তবু মানুষ ভোট দিতে যাবে।

মানষ যখন একটু ভাবতে শিখছে ভগবান ভাগ্য  কিছুই নয়, মানুষই মানুষের ভাগ্য বিধাতা। ঠিক তখনই বুর্জোয়া অর্থনীতির তল্পি বাহকরা রামনবমী হনুমান জয়ন্তী ক্লাবে পূজার অনুদান দিয়ে ও নিয়ে আবার ধর্মশাস্ত্র অধ্যাত্মবোধের নামে জাদুমন্ত্র কুসংস্কার গোঁড়ামি ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়েছে। যাতে মানুষকে ধর্মের আফিম খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা যায়।
সিরিয়ালে দেখছি শাশুড়ী বৌমার ঝগড়া, সিরিয়ালের টি.আর.পি বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর তাই দেখার জন্য রান্না বা সংসারের কাজ হয় না বলে সংসারে অশান্তি। কিন্তু সেই দর্শকরা জানেনা এটা অভিনয়। গ্রীণরুমে একটা বিড়ি দুজন ভাগ করে খায়। আর পর্দায় তাদের ঝগড়া দেখে আমরাও সংসারে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যাই।
রাজনীতিতে দু'পক্ষের লড়াই আসলে বাস্তবে ওরা এপিঠ ওপিঠ।

হয়তো ভাবছেন একদিন সবকিছু ঠিক হবে।"ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।"বেকার চাকরি পাবে, দুর্নীতি হবে না, উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে না থেকে আপনার বাড়িতে পৌঁছাবে। যখনই আপনি এসব ভাববেন তখনই হয়তো আপনার উপর নেমে আসতে পারে বুলেট বা লাঠির ঘা। সরকার বলবে জনরোষ। এসব কি কেউ বোঝেনি? সবাই বোঝে। ঈশ্বর বুদ্ধিজীবী মানুষ সবাই বোঝে। কেউ মুখ ফোটায় না।কারণ এই সবকিছুর দেখভাল করে ক্ষমতা। আবার ভোট হবে। ভোট দেবো। আবারও ভোট দেবো। তাই বলছি আমরা গণতন্ত্রকে কোনোদিন চোখে দেখিনি।বিশ্বাস করুন বাবু, গণতন্ত্র কি জানি না চিনিও না আমরা তো জেলখানার কয়েদি। আমাদের পেছনে নম্বর। আমাদের শুধু গোনা হয়। আর এইটুকু কাজের জন্য আমরা জন্মাই, ভোট দিতে যাই।


জ্বলদর্চি পেজ- এ লাইক দিন👇


আরও পড়ুন
সত্যি আমাদের এই মানুষ নামে প্রাণীটি বড় অদ্ভুত। কত বিচিত্র সব পেশা। তবে কিছু পেশায় আসতে গেলে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিকে ভালবেসে আসতে হয়। এই জীবন্ত মডেল পেশাটিও তাই। 

Post a Comment

0 Comments