জ্বলদর্চি

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Today is the 12 February, 2021
আজকের দিন 
বাংলায়---২৯ মাঘ শুক্রবার  ১৪২৭

উনিশ শতকের  ইংরেজ জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন (Charles Darwin) ১৮০৯ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। তিনিই প্রথম  বিবর্তনবাদের ধারণা দেন। তিনিই সর্বপ্রথম সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন যে সকল প্রকার প্রজাতিই কিছু সাধারণ পূর্বপুরুষ হতে উদ্ভূত হয়েছে এবং তাঁর এ পর্যবেক্ষণটি প্রাকৃতিক নির্বাচন হিসাবে অভিহিত করেন।

  আজ, আন্তর্জাতিক ডারউইন দিবস। বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন-এর সামগ্রিক বৈজ্ঞানিক অবদান এবং সমাজে তাঁর বিবর্তন তত্ত্বের প্রভাব স্মরণ করে সারা বিশ্বে ডারউইনের জন্মবার্ষিকীতে (১২ই ফেব্রুয়ারি) ডারউইন দিবস পালন করে থাকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক এবং মানবতাবাদী সংগঠন।

   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকন (ইংরেজি: Abraham Lincoln)১৮০৯ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রথম রাষ্ট্রপতি, এবং ১৮৬১ হতে ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। দাস প্রথার চরম বিরোধী এই রাষ্ট্রপতি ১৮৬০ সালে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৮৬৩ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাসদের মুক্তি ঘোষণার মাধ্যমে দাস প্রথার অবসান ঘটান।

  বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবি ও গদ্যকার সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১৯১৯ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ পদাতিক। কবিতা তাঁর প্রধান বিচরণক্ষেত্র হলেও ছড়া, রিপোর্টাজ, ভ্রমণসাহিত্য, অর্থনীতিমূলক রচনা, বিদেশি গ্রন্থের অনুবাদ, কবিতা সম্পর্কিত আলোচনা, উপন্যাস, জীবনী, শিশু ও কিশোর সাহিত্য সকল প্রকার রচনাতেই তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সম্পাদনা করেছেন একাধিক গ্রন্থ এবং বহু দেশি-বিদেশি কবিতা বাংলায় অনুবাদও করেছেন। তিনি পদাতিক কবি নামেও পরিচিত।

   আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা দয়ানন্দ সরস্বতী ১৮২৪ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। একেশ্বরবাদী এই ব্যক্তি বিধবা বিবাহের স্বপক্ষে ছিলেন। সত্যার্থ প্রকাশ নামক গ্রন্থের রচয়িতা।

   ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একনিষ্ঠ সেবক দীনবন্ধু চার্লস ফ্রিয়ার এন্ড্রুজ ১৮৭১ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। বিশ্বভারতীর আদর্শ প্রচারে রবীন্দ্রনাথের একান্ত সহকারী এই বন্ধু ছিলেন  মানবপ্রেমিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক। জাতীয় কংগ্রেসের আন্দোলনে যোগ দিয়ে  ১৯১৩ সালে  মাদ্রাজের তুলো শ্রমিকদের ধর্মঘটের সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মানুষে মানুষে বর্ণবৈষম্য আর জাতি ও সম্প্রদায়গত ভেদানৈক্যের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন - প্রবল প্রতাপ শক্তিমান শাসকের বিরুদ্ধে - দীনদরিদ্রের পক্ষ নিয়ে।
   বাংলাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৪৩ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। দুইটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন এই নিয়ে ছিলেন  সমাজবাস্তবতার অনন্যসাধারণ রূপকার। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তার রচনাকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী সুষমা।

   ১৯৫১ সালে আজকের দিনে চৌধুরী রহমত আলি প্রয়াত হয়েছিলেন। মুসলিম এই জাতীয়তাবাদী পাকিস্তান সৃষ্টির প্রবক্তাদের অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিমদের পৃথক আবাসভূমির জন্য পাকিস্তান শব্দটি তার সৃষ্ট। ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত পুস্তিকা নাউ অর নেভার; আর উই টু লিভ অর পেরিশ ফরএভার? এর লেখক হিসেবে তিনি খ্যাত।

   প্রখ্যাত আইনজীবী ও রসতত্ত্বের ব্যাখ্যাকার অতুলচন্দ্র গুপ্ত ১৯৬১সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। ছাত্রাবস্থায় অতুলচন্দ্র কার্লাইল সার্কুলারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। সাহিত্য, সমাজ, শিক্ষা, ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ে তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেন। ভারতীয় অলঙ্কারশাস্ত্রে তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। থাকায় তাঁর রচনায় যুক্তিবাদ ও মননশীলতার ছাপ পড়ে। শিক্ষা ও সভ্যতা, কাব্যজিজ্ঞাসা, নদীপথে, সমাজ ও বিবাহ  এবং ইতিহাসের মুক্তি তাঁর প্রধান রচনা।

   বিখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও প্রথম জীবনে বিপ্লবী রাজনৈতিক কর্মী খগেন্দ্রনাথ মিত্র ১৯৭৮ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। বিখ্যাত রচনা ভোম্বল সর্দার ছাড়াও ডাকাত অমনিবাস, পাতালপুরীর কাহিনী, অতীতের পৃথিবী, আবিষ্কারের কাহিনী, ঝিলে জঙ্গলে, বাংলার ডাকাত, রবীন্দ্র শিশুপরিক্রমা ইত্যাদি শতাধিক বই শিশু কিশোরদের কাছে জনপ্রিয় হয়। তিনি অনুবাদ করেছেন 'বেন হুর’, ‘লাস্ট ডেজ অফ পম্পেই’, ‘ব্ল্যাক অ্যারো’র মমত বিশ্বসাহিত্য। বড়দের জন্যে লিখেছেন গড় জঙ্গলের কাহিনী, ঠাকুরদার বুনো গল্প, ডাকাতের ডুলি, গণেশচন্দ্রের অশুভ যাত্রা ইত্যাদি।

   পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট ১৮০৪ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর লেখা  ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দর্শন বিষয়ক বই, ক্রিটিক অব পিউর রিজন ---- যেখানে প্রথাগত দর্শন এবং অধিবিদ্যার বাইরে গিয়ে অভিজ্ঞতার সাথে যুক্তির সমন্বয় করা হয়েছে। সেই সাথে ভাববাদ এবং সংশয়বাদের বিপরীতে যুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে।

   স্কটল্যান্ডের নাগরিক আলেকজান্ডার ডাফ  ঔপনিবেশিক ভারতে সরকারের শিক্ষামূলক এবং সামাজিক নীতিমালা বিষয়ে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। তিনি ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধ গৃহীত সরকারের বর্বরোচিত পদক্ষেপের প্রচণ্ড সমালোচনা এবং নীলচাষীদের উপর নিষ্ঠুর নির্যাতনের প্রবল বিরোধিতা করেন। ১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, এর পাঠ্যক্রম প্রণয়ন এবং পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তনে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সক্রিয়। ১৮৭৮সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন।

মনীষী উবাচ :
ধর্মকে পরিমাণের দ্বারা বিচার না করে তার উৎকর্ষের দ্বারা বিচার করাই শ্রেয়। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

পেজ-এ লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments