জ্বলদর্চি

আজ ২০ মার্চ ২০২১


Today is the 20 Match,2021
আজকের দিন 
বাংলায় ---৬ চৈত্র শনিবার ১৪২৭

আজ, আন্তর্জাতিক সুখ দিবস( International Day of Happiness)। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাবে এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে  বলা হয় মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য সুখে থাকা।ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির  মাধ্যমে যথাসম্ভব উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণসহ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য দিবসটি পালন করা হয়।
হেনরিক যোহান ইবসেন ১৮২৮ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। স্বনামধন্য নরওয়েজীয় এই নাট্যকার আধুনিক বাস্তবতাবাদী নাটকের সূত্রপাত করেছেন। তাঁকে  আধুনিক নাটকের জনক বলা হয়। বিখ্যাত নাটক আ ডলস হাউস। এছাড়াও লেখেন গোস্টস, অ্যান এনিমি অফ দ্য পিপল, এমপেরর এন্ড গ্যালিলিয়ান ইত্যাদি ।

স্বনামধন্য বাঙালি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী আচার্য চিন্ময় লাহিড়ী  ১৯২০ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। তিনি বংশপরম্পরায় সঙ্গীতশিল্পী না হয়ে, রেওয়াজের শ্রমে আর তালিমের গুণে যেমন একাধারে বাংলা তথা ভারতের খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী হয়েছিলেন, তেমনি বিভিন্ন রাগে ঠুমরি, দাদরা, হোলি, ত্রিবট, চতুরঙ্গ, গীত, ভজন, গজল সহ বাংলা রাগপ্রধান সঙ্গীতের স্রষ্টা ছিলেন।

ভারতের  বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ কাজী ইমদাদুল হক ১৯২৬ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। ইনি কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য রচনা করেছেন। বাংলার মুসলিম সমাজের কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে তিনি সাহিত্যকর্মে নিয়োজিত হয়েছিলেন। আবদুল্লাহ উপন্যাসের জন্য তিনি অধিক খ্যাত। তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে আঁখিজল, 
মোসলেম জগতে বিজ্ঞান চর্চা, ভূগোল শিক্ষা প্রণালী, নবীকাহিনী, প্রবন্ধমালা ইত্যাদি।

১৯৪৪ সালে আজকের দিনে সাহিত্যিক মন্মথনাথ ঘোষ প্রয়াত হয়েছিলেন। বাংলার যুবকদের শিক্ষার জন্য তিনি ‘ক্যালকাটা টেকনলোজিক্যাল কলেজ’ এবং ‘চুঁচুড়া কৃষি বিদ্যালয়’ স্থাপন করেছিলেন।  ‘বিদ্যাবিনোদ’ উপাধি পেয়েছিলেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ সুপ্ত জাপান,  নব্য জাপান,
জাপান প্রবাস প্রভৃতি।

১৯৮৮ সালে আজকের দিনে অখিলবন্ধু ঘোষ প্রয়াত হয়েছিলেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম থাকলেও বাংলা আধুনিক গানেই ঝোঁক ছিল। তাঁর গায়কির বিরহ ও অভিমান ছুঁয়ে যেত শ্রোতার মন। নিজের অধিকাংশ গানে সুর দিয়েছিলেন নিজেই। শিপ্রা নদীর তীরে’, ‘কবে আছি কবে নেই’, ‘এমনি দিনে মা যে আমার’, ‘তোমার ভুবনে ফুলের মেলা, আমি কাঁদি সাহারায়’... প্রতিটি জনপ্রিয় গানই তাঁর নিজের সুর করা।

ভারতের প্রখ্যাত প্রাণ-রসায়ণবিদ বীরেশচন্দ্র গুহ ১৯৬২ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। বিশিষ্ট এই অধ্যাপক  ভারতে প্রাণ-রসায়ণের জনক হিসাবে যাঁর পরিচিতি। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার দুর্ভিক্ষের সময়ে ঘাস-পাতা থেকে প্রোটিন বিশ্লেষণের গবেষণা শুরু করেন এবং মানুষের খাদ্যে এই উদ্ভিজ্জ প্রোটিন মিশ্রণের নানা পদ্ধতি দেখান। মূলত তাঁর প্রয়াসে ভারতে প্রাণ-রসায়ন বিজ্ঞান ও জৈবপ্রযুক্তি বিদ্যার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
ভারতের বিখ্যাত রম্যলেখক ও সাংবাদিক খুশবন্ত সিং ২০১৪ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর লেখা জনপ্রিয় বইগুলোর মধ্যে অন্যতম ট্রেন টু পাকিস্তান, আই শ্যাল নট হিয়ার দ্য নাইটিঙ্গেল এবং দিল্লি। তিনি  ৯৫ বছর বয়সে ‘দ্য সানসেট ক্লাব’ উপন্যাস লেখেন। এছাড়াও তাঁর ননফিকশন দুইখণ্ডের রচনা, ‘অ্যা হিস্টরি অব দ্য শিখস’ ছাড়াও অনুবাদ, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে লেখা, উর্দু কবিতা সব মিলিয়ে তার লেখার পরিমাণ অনেক। তাঁর আত্মজীবনী ‘ট্রুথ, লাভ অ্যান্ড এ লিটল ম্যালিস’ উল্লেখযোগ্য।

বঙ্গভঙ্গের মূল হোতা জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন ১৯২৫ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় হিসেবে ১৮৯৯ থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।

মনীষী উবাচ :
অনেক লোক একত্র হইলে সেই একত্র হওয়ার জন্যই যে আমোদ, শুধু পরস্পরের সহিত আলাপ- পরিচয়, কথাবার্তা কহিবার যে সুখ, তাহা আমরা ভালো করিয়া উপভোগ করিতেই পারি না। আমরা আলাপ- পরিচয়, আমোদ- প্রমোদ, হাস্য- পরিহাস করিতে নিমন্ত্রণ- সভায় যাই না, আহার করিতে যাওয়াই মুখ্য উদ্দেশ্য।(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
 
আরও পড়ুন 

Post a Comment

0 Comments