অপেক্ষা
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়
আকাশে তারার ঘর
তারাদের বুকের উনানে।
গোপন বিষাদ তাপ
পুড়ে হয় টিমটিমে আলো।
আমাদের স্মৃতিগুলো
কবে ধুয়ে গেছে চোরা বানে!
যদি মনে পড়ে ভালো
না যদি পড়ে, তা আরো ভালো।
স্মৃতিদের ডালপালা,
কখনো ভীষণ ঘেঁষাঘেঁষি।
হঠাৎ সেগুলো ফিকে ,
বৃষ্টি ছাটের মরুভূমি।
কখনো বা মেঘে মেঘে
বেলা যাওয়া, খেপি এলোকেশী।
কখনো নিকষ বড়,
আলগোছে সে আঁধারে চুমি।
যখন মাটিতে ছিলে
হৃদয়ের ডানা মেলা পাখি।
তখন তোমাকে আমি
কোনোদিন ভাবিনি উড়ানে।
যা শুধু শ্বাসের মতো
অবহেলা দিয়ে বুকে রাখি।
তাকে কি তেমন করি-
হেলাফেলা? মনই শুধু জানে!
অথচ বোঝেনা এতো
থাকে যারা ঘুমে পাশাপাশি।
এও ভাবে অগোচরে
নাটকে হুজুগে যারা বাঁচে,
তারাই আকাশ জোড়া
রামধনু চেতনা বিলাসী।
বাকি যারা, শুধু শুধু
মরে মিছে উদাসীন আঁচে।
আমারই কি ভুল ছিল?
নাকি ভুল ভাবনার দেশে।
বিছিয়ে তোষক খানি
আলুথালু প্রলাপের প্রথা।
প্রমাদের ছিরিচাঁদ
ভুলে সব আবেগে নিমেষে।
শিশিরের ধোয়া চোখে
স্থাণু হয়ে বাঁচে বোবা কথা!
তারারা কখনো তাই
হয়তো বা গ্রহদের মতো-
উজ্জ্বল,খরতেজা
হয়না রে, রূপে তেজে জ্বলা।
তাদের সাধের স্বাদে
মাথা নিচু করে অবিরত,
নিরুপায় করজোড়ে
মানে বিষাদের ছলাকলা।
আশা,তোর বুক জ্বলে
আকাশের সুনিবিড় গায়ে।
টিমটিমে আলো মাখা
সাদামাটা মামুলি পোশাকি।
একদিন ডানা মেলা পাখি
তুমি ছিলে পায়ে পায়ে।
আবার ফিরবে বলে
সে বাসনা বুকে নিয়ে থাকি।।
আরও পড়ুন
0 Comments