গুচ্ছ কবিতা
প্রদীপ কুমার পাল
রাতের শহরে
ঝরা পাতা নিয়ে বিষন্ন গোধূলিবেলা
জীবন জুড়ে খুঁটে খাওয়া খুদ দানা
চলতে চলতে পিছিয়ে পড়ি বারবার
লুকোচুরি খেলার দীর্ঘপথ টানা
ফিরে ফিরে আসে বর্ষার সজল মেঘ।
নবীন পাতার মালাটি নিয়ে হাতে।
তোমাকে খুঁজেছি রাতের শহরে রাস্তায়
খুজেছি ঠিকানা ডাহুক ডাকা রাতে।
তোমার মুখে না চেনার ছায়া ভাসে
আমার চোখে আজও অনন্ত আশা
কত অশান্ত রাত কেটে গেছে একা।
ম্লানমুখে ফোটেনি কোন ভাষা।
কানামাছি খেলা ছিল সারাটা জীবন
নিরুপায় গানের আর্তনাদ করে।
ফ্যাকাশে চাঁদের গায়ে কলঙ্ক লেখা
খুব ক্লান্ত হয়ে পাশ ফিরি রাতের সমুদ্দুরে।
টান
হাজারো নক্ষত্রালোক ছায়াপথ পেরিয়ে
দূর গ্রহের অদ্ভুত এক জীব
জন্ম জন্মান্তরের সীমানায়
ভৌগোলিক সীমারেখা ধরে
ইতিহাস রচনা করে চলেছি.....
ক্লান্ত প্রানের সাধ জিরিয়ে নেবার,
আর তাই মাধ্যাকর্ষণ উপেক্ষা করে
পৌঁছেছি তোমাদের কাছে.....
বিস্ময়ের সুরে অনুভূত দূরন্ত পাগলামি
বিশ্ব ব্রক্ষান্ডকে খানখান করে
আবিষ্কার করে পারস্পরিক সম্পর্ক
জন্ম মৃত্যুর হিসেবের পাওনাগন্ডা
চাওয়া না পাওয়া লন্ডভন্ড হয়ে
বাজে নান্দনিক সুর, আর তার টানেই
আমাদের কাছে আসা
পরস্পরকে কাছে পাওয়া,
ভয়
দাঁড়িয়ে আছি সাঁকোর উপরে,
দুই পাড় থেকে দোল আসে...
ভয় লাগে, সে কী মৃত্যু ভয়!
কবেই তো মরে গেছি।
তাই আর বিসর্জনের ভয় নেই।
ঠিকানা
হয়তো কোনও একদিন
কথা যাবে হারিয়ে,
নির্বাক নিশ্চুপে
মুখোমুখি বসে
ভাবনার অতলে যাবো তলিয়ে।
তবুও থাকবে না কারও মুখে কথা--
চাঁদ, তারা, ফুল, পাখি থাকবে না আর কোনও নাম
আমাদের মুখে।
যে ধ্রুবতারা দেখে পার হয়ে যাই গাঢ় রাত
ভুলে যাবো তাও।
শুধু বন্ধুরা যেন না ভোলে প্রিয় ঠিকানা--
সাড়ে তিন হাত কবরের জমি
বা কাছের শ্মশান।
জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇
আরও পড়ুন
1 Comments
প্রথম কবিতাটি অসাধারণ লাগলো। বাদবাকি ও ভালো। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো।
ReplyDelete