জ্বলদর্চি

২০২৪:ভাইরাসের মাঝে বেঁচে থাকার জোরদার লড়াই /অনিমেষ দত্ত

২০২৪: ভাইরাসের মাঝে বেঁচে থাকার জোরদার লড়াই

অনিমেষ দত্ত

 2024

পরিচালক :রোহিন রবীন্দ্রন নায়ার
অভিনয় : মুসকান জাসফেরি,ময়ূর মোর,শার্দুল ভরদ্বাজ,তেজস্বী সিং আহলত,মিহির আহুজা প্রমুখ।
মুক্তি – 23 নভেম্বর 2021 (ডিজনিপ্লাস হটস্টার)
IMDb রেটিং : 5.9 /10



সিনেমা সম্বন্ধে বিস্তারিত বলার আগে বলে নেওয়া ভালো যে এই সিনেমার পুরো শুটিং ওয়ান প্লাস মোবাইল ক্যামেরায় তোলা।এর আগে কোন সিনেমা পুরোটাই মোবাইলে তোলা হয়েছে বলে মনে আসে না।যদিও মোবাইলে পুরো ভিডিওগ্রাফি তোলা হলেও সাধারণ চোখে ধরা যায় না যে এটি মোবাইলে তোলা।

একটি ভাইরাস কিভাবে জীবন বদলে দিতে পারে তা করোনা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতে আরো কি কি ভাইরাস আসতে পারে তার ভাবনা হয়তো আমাদের জানা নেই।


সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে নিয়ে তৈরি হয়েছে 2024 সিনেমাটি।ভাইরাসটি এখানে C-24 নামে প্রকাশ পেয়েছে।হাত নীল হয়ে যাওয়া সাথে শ্বাসকষ্ট ও শেষে মৃত্যু।শ্বাসকষ্টের হাত থেকে রক্ষা পেতে কোন ওষুধ নেই।হাত নীল হয়ে যাওয়া শারীরিক অসুস্থতা থেকে বাঁচতে কিভাবে মৃত্যুর সাথে লড়াই করা যাবে তার উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত ডাক্তারেরা এর মাঝেও চমক আছে।বিক্রমাদিত্য মোটাওয়ানি প্রেজেন্ট করেছেন আর পরিচালনা করেছেন রোহিন রবীচন্দ্রন নায়ার।
ছবিটা এক ঘন্টার।পাঁচজন ছেলেমেয়ে নিয়ে চলেছে পুরো সিনেমায় সাথে অনাথ আশ্রমের গল্পকে এমনভাবে বলা হয়েছে যা ভবিষ্যতে হতে পারে তা সিনেমাটি দেখলে বোঝা যাবে।

বাস্তবে একজন  আরেকজনের পরিপূরক না হলে যে বেঁচে থাকা সম্ভব না তা দেখলেই বোঝা যায়।
তীব্রতার সাথে এই ভাইরাসের লক্ষণগুলো দেখানো হয়েছে।

সরকার অনেক ভাবনা চিন্তা নিয়েছে C-24 নিয়ে।একসময় দেখা যায় সরকার রাতারাতি মুম্বাই শহর কে লকডাউন এবং ধারাভিকে রেড জোনে রূপান্তরিত করেছে।

পুলিশ চেকিং, মুখে মাক্স এবং ঘন ঘন হাত ধোয়া ফিল্মের মধ্যেও দেখা যায়।এছাড়া সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার বিভিন্ন রকমের উপাদান দেওয়া হয়।সাধারণভাবে এটি একটি ভবিষ্যতের সাইন্স ফিকশন সিনেমা।এই ঘটনা আরো একটি চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পরিচালক তা সহজে আমরা দেখতে পাই।পরিচালক এখানে গল্পের মধ্যে সাসপেন্স রাখার জন্য গল্পকে ২০১৯ থেকে ২০১৮ বিভিন্ন সময় নিয়ে গিয়েছেন।তখনকার মানুষদের মধ্যে টানাপড়েন সম্পর্ক ছাড়া প্রেম -লড়াই- দাঙ্গা সবকিছুই হালকা চালে দেখিয়ে গিয়েছেন।

তবে কিছু জায়গায় তা এত বেশী যা চোখে লাগে।এতটাও বাড়াবাড়ি করার দরকার ছিল না মনে হয়।

বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যখন মানুষ চাইছে কিভাবে এই রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ঠিক সেই সময় ভ্যাক্সিনেশন যে দরকার তা আমরা সব সময় দেখেছি।আর এই সিনেমার মূল টার্নিং পয়েন্ট ওটাই।কিছু সংস্থা বাচ্চা ছেলে মেয়েদের কে তুলে নিয়ে গিয়ে এক গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে রেখে দেয়।তাদের উপর বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকে।

নায়ক-নায়িকা সেই জায়গা থেকে সেইসব বাচ্চা ছেলেদের কে বাঁচিয়ে আনে এবং তাদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করে তা দেখার মতো।

শেষে মনে হয় করোনার সময়ে মানুষদের বেঁচে থাকার কথা। এমন এক পরিবেশ রচনা করেছে এই সিনেমা যা সব মনে করিয়ে দেয়।ঐ বিষাক্ত পরিবেশ থেকে সবাই অনেক দূরত্বে থাকে নিজেদের মতো।

তারা গাছে জল দেওয়ার মাধ্যমে নতুন পৃথিবীতে বেঁচে থাকার বার্তা দেয় যেন একটি গাছ একটি প্রাণ। 
ক্যামেরার ভিডিও কোয়ালিটি সব জায়গায় সমান না।
ফোনের মাধ্যমে তোলা বলে আলো সব জায়গায় সমান ভাবে আসেনি।তবে একবার হলেও সিনেমাটি ভবিষ্যৎ পৃথিবীর বিভিন্ন দিক সামনে আনে।মানুষের আরও সচেতনতা না এলে ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার তা সিনেমা দেখলেই বোঝা যায়।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇



Post a Comment

0 Comments