জ্বলদর্চি

সানদকু/ব্রেক আপ উপত্যকা পর্ব ২/রাজ অধিকারী

সানদকু

রাজ অধিকারী

ব্রেক আপ উপত্যকা 
পর্ব ২.

(একটা অদ্ভুত কাট। ক্যামেরা এখন নীরার মাথায়। হেয়ারব্যান্ডের ওপরে ফেভি ক্যুইক দিয়ে সাঁটা। একটি আল্লাদী মেয়ের উপাখ্যান শুরু হতে চলেছে। থ্রি...টু..ওয়ান...)

এটা শুধু ওর দিকটা শুনলেন। এতেই আমাকে, মানে এই নীরা বাড়ুজ্জ্যে জাজ করবেন? বলে দেবেন, হ্যাঁ! মেয়েরা এইরকমই হয়। "ন্যাকা ন্যাকা!" বারবার শুধু এক্স-এর কথা বলে ইনসিকিউরিটির জন্ম দেয়। তারপর "আই ডোন্ট থিংক ইটস্ ওয়ার্কিং এনিমোর" বলে সব চুকিয়ে দেয়। তাহলে একবার আমার দিকটাও বলি?
৩টে রিলেশনে ৪৬ বার ব্রেক আপ! মানে আন্দাজ করে বললে প্রত্যেক রিলেশনে ওকে ১৫.৩ বার ব্রেক আপ করতে হয়েছে। দশমিক তিনটা হয়তো ব্রেক আপ করবো করবো ভেবেও হয়নি। যাই হোক, ১৪টা ব্রেক আপ করার পর ফাইনালি ব্রেক কষেছে সে। আরেহ বাবা একই রান্নায়  বারবার নুন দিলে কি রান্না ভালো হয়ে যায়? যত বেশি দিবি, তত খারাপ হবে! 
এইখানেই শেষ হয়না সব। মেয়েদের বাহানা বেশি? আরেহ মেয়েরা তো তাও মুখে বলে সবটা, "ওর সাথে কথা বলবি না, আমার পছন্দ না!" অথবা, "তোর ওই বন্ধুটাকে আমার ভালো লাগে না!"
আর ছেলেরা! মুখে এদিকে বড়ো বড়ো বুলি; "তুই একজন আধুনিক নারী। যেটা মন চায় পড়বি। যার সাথে ইচ্ছে মিশবি, কথা বলবি, ঘুরতে যাবি।" 
এসব কথা শুনে যখনই তোমার মনে, "আহারে! কি লাকি আমি! ঘোড়া না হোক, এই তো আমার মিনিবাস চড়া সেই রাজপুত্র।" আর এই ভেবে তুমি তোমার বন্ধুদের সাথে একটু মজা করবে, ইচ্ছে মতো ক্রপ টপ পড়বে, ঘড়ি বা-হাতে পড়বে; ওনারা মুখ ফুটে কিছু বলবে না। কিন্তু মুখটা করে রাখবে বাংলার পাঁচ। ওই মুখের এক্সপ্রেশনে তোমাকে বুঝে নিতে হবে, বাবু বাইরে যতই বুলি কপচাক, ভেতরে পুরুষতন্ত্রের বীজ মজ্জায় মজ্জায় ঠুসে আছে। এইতো সেদিনের ঘটনা...

- সিড, আমি জানি রাহুল তোর পুরোনো বন্ধু। কিন্তু ও একদম বখে গেছে। ওকে পারলে একটু শুধরে দে।
- দ্যাখ, নীরা! রাহুলের মতো প্রেমে ছ্যাঁকা আমরা কেউ খাইনি। ও শুধুমাত্র সারভাইভ করার জন্যে রোজ রাতে মদটা খায়। তাছাড়া আমার সমস্ত সুখ-দুঃখে ওরা সবসময় ছিল। আমার সাথে থাকতে হলে, তোকে আমার বন্ধুদেরকেও একসেপ্ট করতে হবে। 

কোনওভাবেই সম্ভব না আমার এই ছেলের সাথে থাকা। আজ একটা এসপার-উসপার করেই ফিরবো বাড়ি।

(ক্রমশঃ)

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇


Post a Comment

0 Comments