জ্বলদর্চি

আগডুম রাজ্যে ৩ /অলোক চট্টোপাধ্যায়

আগডুম রাজ্যে ৩ 

অলোক চট্টোপাধ্যায়

চলতে চলতে মাঠ ফুরিয়ে লোকালয় এসে পড়ল। চতুর্দিকে নানা রকমের অদ্ভুত পোশাক পরা লোকজন, ছোটো বড় দোকান, একতলা দুতলা বাড়ি। হাত ঠেলার মত চাকা লাগানো গাড়ি। তাতে জিনিসপত্রও চাপানো আবার লোকেরাও চড়ছে। ছেলেরা সব ঢোলা পাজামা আর ফতুয়ার মতন জামা পরা। তবে সেপাইজির মত সাদা কালো ডোরা বা চৌখুপি কাটা নয়, বেশ রঙচঙে। মেয়েদের পরনে নানা রঙের ফুল পাতার নকশা আঁকা আলখাল্লা মত পোশাক। আলখাল্লার সঙ্গে আবার কারো কারো কাপড়েরই টোপা মতন লাগানো। ভাগ্যিস বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে প্যান্ট না পরে পাজামার ওপর ফতুয়া পরে বেরিয়েছিলাম, শার্ট প্যান্ট পরা থাকলে আমাকে দেখেই নিশ্চয়ই সকলে বুঝতে পারত আমি এখানকার লোক নই। তবে এ সব দেখতে দেখতে আমি কিছুক্ষনের জন্যে হলেও ভুলেই গেলাম যে আমি বেজায় বিপদের মধ্যে আছি। শুধু মাথার ভেতর একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল – আমি এখানে এলাম কি করে?
সে যাই হোক সেই লোকজনের ভিড়ের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে আমরা পৌঁছে গেলাম বিশাল এক প্রাসাদের সামনে। মস্ত গেটের ভেতর অনেকটা খোলা জায়গা, গাছপালা বাগান দিয়ে সাজানো। লোকজন, সেপাই সান্ত্রী গিজগিজ করছে চারদিকে। বুঝলাম এটাই সেই বিচারসভা।
আমাদের ঢুকতে দেখেই জমকালো জামাকাপড় পরা একজন লোক খুব ব্যাগ্র ভাবে এগিয়ে এল। সেপাইজি আমাকে তার হাতে সমর্পন করে তার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কি সব যেন বলে, মনে হয় আমার বিষয়েই, আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল। নতুন লোকটি, মনে হয় সেই হয়ত মেজো কোতোয়াল, আমাকে কাঁধের কাছটা খামচে ধরে নিয়ে এল মস্ত একটা হলঘরের মত জায়গায়। দরজায় দরজায় বল্লম হাতে সেপাইরা দাঁড়িয়ে। ভেতরে দুদিকে সারি দেওয়া রংবেরঙের আসনে ভালো ভালো পোশাক পরা পাগড়ি মাথায় লোকজন বসে। আর হলের শেষ প্রান্তে বিরাট এক সিংহাসনের ওপর ঝলমলে জাব্বাজোব্বা আর মাথায়  মুকুট পরা মস্ত গোঁফওলা একজন দিব্যি বসেবসেই ঘুমোচ্ছে। আন্দাজে বুঝলাম সে-ই আগডুম রাজ্যের রাজামশাই।
মেজো কোতোয়াল ঘরের একপাশ দিয়ে আমাকে নিয়ে এল কাঠের খাঁচা মতন একটা জায়গায়। ভেতরে ঢোকাবার আগে কড়া গলায় বলল – যেমন যেমন বলা হয়েছে সেই মত চলবে। বাঁদরামি করবেনা। যা বলতে বলব সেটাই শুধু বলবে। মনে রেখো, একটু বেচাল হলেই সোজা শূলে চড়িয়ে দেব।
শূলের কথায় আবার আমার বুকের ভেতরটা আবার ধড়াস ধড়াস করতে লাগল। আগেকার দিনে শুনেছি অপরাধিদের শূলে চড়িয়ে শাস্তি দেওয়া হত। এবার চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে এল। তাই দেখে মেজো কোতোয়াল হঠাৎ ভীষণ রকম নরম গলায় বলল – আহা আহা, কেঁদোনা। আমার কথা শুনে চললে তোমার কিচ্ছু হবেনা, ভয় পেয়োনা।
এই বলে সে আমাকে খাঁচাটার ভেতর ঢুকিয়ে বলল – বলো, - জয় শ্রী শ্রীল শ্রীযুক্ত শ্রীমন্ডিত মহারাজ বৃন্দবাদন সিংহগোপালের জয়। আমি ফ্যাঁসফ্যাসে গলায় বললাম, কিন্তু তার সেটা পছন্দ হলনা। -অমন মিনমিনিয়ে বললে কি কেউ শুনতে পাবে? চেঁচিয়ে বলো।
আমি চ্যাঁচালাম। প্রানপনেই চ্যাঁচালাম। গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোলো ফেঁসে যাওয়া জয়ঢাকের মত। সেই আওয়াজে গোটা সভায় একটা শোরগোল পড়ে গেল। পাত্র মিত্রেরা সব চমকে উঠে জোরে জোরে কথা বলতে শুরু করল। একজন সেপাই সভার একপাশে টাঙানো একটা বড় পেতলের ঘন্টাতে দমাদম করে হাতুড়ি পিটতে লাগল। বাকি সেপাইরা ঝনাঝন তলোয়ার খুলে টানটান হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। আর এই গোলমালে রাজামশাই হঠাৎ জেগে ধড়মড় করে উঠতে গিয়ে উলটে পড়ে যান আর কি। কোনোমতে সামলে নিয়ে একটা রাজদন্ড গোছের কিছু ডানহাতে বাগিয়ে ধরে ভুরুটুরু কুঁচকে বললেন – অমন চ্যাঁচাল কে?
মেজো কোতোয়াল আমার পাশ থেকে চেঁচিয়েই বলল – আজ্ঞে মহারাজ, এই হল আজকের সাতাশ নম্বর চোর। একদম টাটকা হাতেনাতে ধরা।
মহারাজ আমার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে আপাদমস্তক দেখে বললেন – তাই নাকি? কিন্তু কি রকম মানুষ? কেমন যেন অন্যরকম দেখতে লাগছে। আমি তো প্রমাদ গুনলাম। বাইরের লোক বলে বুঝতে না পারে। তবে মেজো কোতোয়াল নিজের থেকেই বলে দিল – মহারাজ, এ হল পশ্চিম প্রদেশের মরুভুমি পাড়ার লোক।
-চল্লিশ দিন আর একচল্লিশ রাতের সশ্রম কারাবাস। মহারাজ হাই তুলতে তুলতে ঘোষনা করলেন। - রোজ কুড়িটা করে অঙ্ক কষতে হবে আর পঁচিশ পাতা দস্তাবেজ নকল করতে হবে। ভালো কথা বাপু, তুমি সত্যিই চোর তো? বাটপার বা প্রবঞ্চক তো নও? শেষের প্রশ্নটা আমাকেই সরাসরি করলেন।
মেজো কোতোয়ালের কথামত আমি হাত জোড় করে বললাম – না মহারাজ। আমি বাটপার বা প্রবঞ্চক নই। এমনকি গাঁটকাটাও নয়। একবার ভাবলাম বলি চুরিও আমি করিনি, কিন্তু সাহস পেলাম না।
-বেশ বেশ। রাজামশাই খুশি হয়ে বললেন। - আসলে আজকাল চারদিকে এমন ভ্যাজালের উপদ্রব যে সন্দেহ না করে উপায় নেই। এইতো আজকেই এরা একজন ডাকাতকে চোর বলে চালিয়ে দিচ্ছিল।
ঠিক এই সময়ে সিড়িঙ্গি চেহারার একজন লোক সভার মধ্যে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে বলল – মহারাজ, একটু শুধিয়ে দেখুন তো এ লোকটা কী চুরি করেছে? আন্দাজে বুঝলাম এ নিশ্চয়ই সিপাইজির বলা সেই ধুর্ত ফোড়নদাস।
মহারাজও অমনি বললেন – হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক কথা। ওহে কোতোয়াল, এ লোকটা কী চুরি করেছে?
আচমকা এই কথায় মেজো কোতোয়াল বেশ ঘাবড়ে গেল মনে হোল। খানিক মাথা টাথা চুলকে সে হাঁক পাড়ল – বটকেষ্ট, বটকেষ্ট। অমনি সভার দরজার কাছ থেকে সেই সেপাইজি এগিয়ে এল, -বলুন হুজুর।
মেজো কোতোয়াল জিগ্যেস করল – এ লোকটা কী চুরি করেছে মহারাজকে বলো।
বটকেষ্ট একটু খানিক চিন্তা করে জানাল –আজ্ঞে মহারাজ, সেটা তো জেনে নেওয়া হয়নি। তবে আন্দাজ হয় ওকে তল্লাশ করলেই কিছু না কিছু চোরাই মাল বেরিয়ে পড়বে।
আমার ফতুয়ার পকেট হাতড়ে বটকেষ্ট যে কটা টাকা ছিল আর তাছাড়া কয়েকটা বাজে কাগজ, আধখানা পেনসিল, দুটো কোকাকোলার ছিপি, একটা ডাঁটি ভাঙা রোদ চশমার ফ্রেম, ঐ যা যা একজন সাধারণ লোকের পকেটে থাকে আর কি, সেই সব বার করল। কাগজ গুলো নেড়েচেড়ে দেখে কোতোয়াল চাপা গলায় বটকেষ্টকে শুধোলো – হ্যাঁ হে, এ লোকটা পাশের রাজ্যের গুপ্তচর-টর নয়তো? 
বটকেষ্ট তাই শুনে কাঁদো কাঁদো গলায় বলল – ওকথা বলবেন না স্যার। তাহলে আমাকে এই দুপুর রোদ্দুরে আবার চোর খুঁজতে বেরোতে হবে।
(এইখানে ঝিমলি-পাপাইএর দাদু নিতাইকে থামিয়ে দিয়ে বললেন – বটকেষ্ট কোতোয়ালকে স্যার বলেছিল? ঠিক মনে আছে তো তোমার? তাই শুনে নিতাই জিভ কেটে বলল – না না স্যার নয়, বোধহয় হুজুর টুজুর কিছু একটা বলেছিল। ওটা আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। গল্প আবার এগোলো।)
হঠাৎ রাজামশাইএর চোখ পড়ল আমার হাতের ঘড়িটার ওপর। - আরে, ও লোকটার হাতে ওটা কী বস্তু? হাতের গয়নার মত দেখতে লাগছে। আমি নিজের থেকেই বললাম – মহারাজ এটা একটা ঘড়ি।
মহারাজ শুনে ভারি চিন্তায় পড়লেন মনে হোল। মাথা নাড়িয়ে বললেন – ঘড়ি আবার কি পদার্থ? ঘড়া হয়, ঘুড়ি হয়, শুনেছি ঘোড়া বলে একটা প্রানীও হয় – যদিও এ দেশে সেটা দেখা যায়না। কিন্তু ঘড়ি? সেটা কিরকম জিনিস? কি হয় ওটা দিয়ে?
আমি ভারি অবাক হয়ে বললাম – আপনারা কেউ কি ঘড়ি দেখেননি? যা দিয়ে সময় মাপে?
শুনে সভার সব লোকজন তো অবাক। হেসেও ফেলল অনেকেই। - সময় কি মাপার জিনিস? সে আবার দেখা যায় নাকি যে গজ ফিতে দিয়ে মাপবে?
আমিও অবাক। বললাম – তাহলে আপনারা সময়ের হিসেব রাখেন কি করে?
-কেন? সুয্যিঠাকুরকে দেখে। রাজামশাই নিজেই বললেন। - আমার এই প্রাসাদটার বাঁ দিকে তিনি থাকলে তখন সকাল, মাথায় থাকলে দুপুর আর ডানদিকে হেলে পড়লে বিকেল। যেই পাহাড়ের নিচে চলে গেল তখন শুরুটা সন্ধ্যে তারপর রাত্তির। ব্যাস। এতে আর হিসেবের কি আছে?
আমি বললাম – আর রাতে? যখন সুয্যিঠাকুর থাকেননা? তাই শুনে লোকজন আবার একদফা হেসে কুটিপাটি। রাত্তিরে তো লোকেরা খেয়েদেয়ে ঘুমোবে। তখন তারা সময় নিয়ে করবেটা কি?
ইতিমধ্যে বটকেষ্ট আমার হাতঘড়িটা খুলে রাজামশাইএর হাতে দিয়ে এসেছিল। তিনি সেটা নেড়েচেড়ে দেখছিলেন। আমি এইফাঁকে চেষ্টা করলাম ঘড়ির বিষয়ে তাকে বোঝাতে। কিভাবে একটা গোটা দিনকে চব্বিশটা ঘন্টায়, ঘন্টাগুলোকে ষাট ষাট মিনিটে আর মিনিটগুলোকে সেকেন্ডে ভাগ করে এই ছোট্টো যন্ত্রের ভেতর হিসেবটা পুরে দেওয়া হয়েছে। মহারাজ আর সভার লোকজনও বেশ আগ্রহ নিয়েই শুনছিলেন। এইফাঁকে মেজো কোতোয়াল হঠাৎ আমার পাশ থেকে চেঁচিয়ে ঊঠে বলল – মহারাজ, এ লোকটা সময় চুরি করেছে।
ব্যাস। সভার যাবতীয় লোকজন যেভাবে হৈ হৈ করে উঠল তাতে মনে হল তারা যেন মস্ত একটা সমস্যার থেকে উদ্ধার পেল। রাজামশাই কিন্তু সন্তুষ্ট নন। বটকেষ্টর হাত দিয়ে ঘড়িটা আমার কাছে ফেরৎ পাঠিয়েখুব চিন্তান্বিত মুখে গোঁফে তা দিতে দিতে বললেন – ধুৎ, তা আবার হয় নাকি? বোলাও বাঞ্ছারামকো।
অমনি একজন সান্ত্রী হুঙ্কার ছাড়ল – পন্ডিত বাঞ্ছারাম অস্করম হাজি –ই –ই –র।
সভার এক কোনে একজন ছোটোখাটো চেহারার ন্যাড়ামাথা বিশাল টিকিওয়ালা লোক অঘোরে ঘুমোচ্ছিল। অদ্ভুত চেহারার জন্যে আর সভার সবাই যখন হৈচৈ করছিল তখনও তার ঘুমের ব্যাঘাত হয়নি বলে আগেই তাকে খেয়াল করেছিলাম। সান্ত্রীর হাঁক শুনে সে ধড়মড় করে উঠে তড়াক করে দাঁড়িয়ে খনখনে সরু গলায় বলল – মহারাজের জয় হোক।
আমার কানে কানে মেজো কোতোয়াল বলল – ইনি হলেন এ রাজ্যের সবচেয়ে বড় পন্ডিত আর জাদুকর শ্রীযুক্ত বাঞ্ছারাম অস্করম। স্বয়ং মহারাজের ভারি পেয়ারের লোক। 
রাজামশাই তাকে বললেন – ওহে বাঞ্ছারাম, ও লোকটা কি বলছে শোনো। ও নাকি সুয্যিঠাকুর না থাকলেও সময়ের হিসেব কষতে পারে। মনে হচ্ছে, ও সকালের থেকে সময় চুরি করে রাত্তিরে জুড়ে দেয়। তুমি ব্যাপারটা ঠিকমত জেনে নাও ওর থেকে।
বাঞ্ছারামের বোধহয় সম্মানে লাগল কথাটা শুনে। হাজার হোক সে এ রাজ্যের প্রধান পন্ডিত। তাকে কিনা শিখতে জানতে হবে একটা সাধারণ লোকের কাছ থেকে! তাই বোধহয় সে একটুও না ভেবেই বলল – মহারাজ, ও এতক্ষণ যা বলল তাতে মনে হয় লোকটা বদ্ধ পাগল।
আমার পাশ থেকে বটকেষ্ট কাঁপা গলায় বলল – এই মরেছে! পাগল হলেও তো একই বিপদ।
আমার কিন্তু ভয়ানক রাগ হয়ে গেল কথাটা শুনে। এমনিতে বাচ্চারা অনেক সময়ে আমাকে পাগল-টাগল বলে ক্ষ্যাপাবার চেষ্টা করে বটে, না পাপাইদাদা, কথাটা তোমাকে ভেবে বলিনি কিন্তু, তবে লোকটা কিচ্ছুটি না শুনে এসব কথা বলবে কেন? আমি চেঁচিয়ে বললাম – তুমি তো এতক্ষণ অঘোরে ঘুমোচ্ছিলে, কি কথা হচ্ছিল কিছুই শোনোনি। আর এখন বলছো আমি বদ্ধ পাগল?
শুনে বাঞ্ছারাম পন্ডিত তো ক্ষেপেই আগুন। দাঁত কিড়মিড় করে বলল – কি ?  আমি ঘুমোচ্ছিলাম? এতবড় আস্পদ্দা? মহারাজ –
রাজামশাই মিনমিনে গলায় বললেন – কি? 
বাঞ্ছারাম কান-টান লাল করে টিকি নেড়ে ছড়া কেটে বলল –
     আমি পন্ডিত শ্রী বাঞ্ছারাম অস্করম –
     আর   আমার সঙ্গে করছে কিনা মস্করম
     কোথাকার এই উটকো একটা তস্করম !
এই বলে সে ভাঁটার মত লাল চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। আর সভাসুদ্ধ লোক একসঙ্গে বলতে লাগল – বটেই তো, বটেই তো। কত বড় আস্পদ্দা !
রাজামশাই ম্রিয়মাণ মুখে বললেন – এই কোতোয়াল, হাঁ করে দাঁড়িয়ে না থেকে এ লোকটাকে বন্দীশালায় নিয়ে যাও না কেন? তারপরেই, বটকেষ্ট আমাকে নিয়ে যেতে যেতেই শুনলাম, তিনি বললেন – তবে বাঞ্ছারাম, ও লোকটা চোর বা পাগল যাই হোক না কেন, ঐ রকম একটা সময় ধরার যন্তর কিন্তু আমার চাই। আর সাত দিন আট রাত্তিরের মধ্যেই।
যেতে যেতে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে পেলাম সে কথা শুনেই বাঞ্ছারাম মাথায় হাত দিয়ে ধুপ করে নিজের জায়গায় বসে পড়ল।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇


Post a Comment

0 Comments