জ্বলদর্চি

জঙ্গলমহলের জীবন ও প্রকৃতি -২ /সূর্যকান্ত মাহাতো

জঙ্গলমহলের জীবন ও প্রকৃতি -২

সূর্যকান্ত মাহাতো

জেলা 'জঙ্গলমহাল' থেকে আজকের জঙ্গলমহল

ক্লাস নাইনের অরণ্যকে বাবা বললেন, "জানিস, আজ থেকে দুশো পাঁচ(২০৫) বছর আগে 'জঙ্গলমহাল' নামে একটা জেলা ছিল। শুধু তাই নয়। কয়েক বছর আগে মনে আছে! মাওবাদী পিরিয়ডে কেমন ভাবে পুলিশি অভিযান রুখতে জঙ্গলমহলের রাস্তায় রাস্তায় প্রচুর গাছ ফেলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এলাকাবাসীরা! দুশো চল্লিশ বছর আগেও ঠিক এভাবেই জঙ্গলমহলে ইংরেজদের অভিযান রুখতে রাস্তায় রাস্তায় গাছ ফেলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল।"

বাবার কথা অরণ্যের বিশ্বাসই হল না। বেশ অবাক হয়ে তখন সে বাবার কাছে পুরোনো সেই ইতিহাস জানতে বসল।

 কুলু কুলু করে বয়ে চলা সুবর্ণরেখা নদীকেই নাকি একসময় বাংলা ও উড়িষ্যার সীমারেখা ধরা হয়েছিল। আর এই চুক্তি করেছিলেন বাংলার নবাব আলীবর্দী খান আর মারাঠা সর্দার রঘুজি ভোঁসলে। সেটা ১৭৫১ সাল। পরে ১৭৫৭ সালে ইংরেজ কোম্পানি প্রথম বাংলার পশ্চিম দিকের সুবিস্তৃত অরণ্য ভূমিকে "জঙ্গলমহাল" বলে উল্লেখ করেন। তখন জঙ্গলমহলের রাজারা ছিলেন প্রকৃতপক্ষে জমির প্রতিনিধি মাত্র। রাজারা জমির মালিক ছিলেন না। কেবল  কর হিসাবে প্রজাদের কাছ থেকে ফসলের একটা ভাগ পেতেন মাত্র।

পরে পরে জঙ্গলমহলের স্থানীয় গোষ্ঠী সর্দাররাও জোর করে রাজা হয়ে উঠেছিলেন। ১৭৬৫ সালে দেওয়ানি লাভ করার পর ইংরেজরা জঙ্গলমহলে রাজস্ব আদায়ের আগ্রহ প্রকাশ করে। অনেক রাজা সেই সময় বাড়তি রাজস্ব দানের বশ্যতা অস্বীকার করেন ইংরেজদের কাছে। সেইমতো রামগড়, লালগড়, জামবনি, শিলদার রাজারাও প্রথমে ইংরেজদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করেননি। বাধ সাধল ধলভূম মল্লভূম আর ময়ূরভঞ্জের রাজারাও। তাঁরাও রাজস্ব দানে ইংরেজদের বশ্যতা অস্বীকার করলেন। কোনও ভাবেই ইংরেজদের পাত্তা দিলেন না। ইংরেজ প্রতিনিধিদের তখন কপালে ভাঁজ। কী করা যাবে?যে কোনও প্রকারে তাদেরকে অতিরিক্ত রাজস্ব দানের বশ্যতা স্বীকার করাতেই হবে। সেইমতো ১৭৬৭ সালে জানুয়ারি মাসে মেদিনীপুরের রেসিডেন্ট গ্রাহামের নির্দেশে এনসাইন ফার্গুসন চার কোম্পানি সিপাই আর কয়েকজন ইউরোপীয় সার্জেন্ট নিয়ে জঙ্গলমহল অভিযান করেন। তখনকার দিনে রাজাদের একটা দোষ ছিল। তারা সর্বদাই পারস্পরিক ঈর্ষাপরায়ন হয়ে কেবল নিজেদের মধ্যেই ঝগড়া-বিবাদে জড়িত থাকত। তাই ইংরেজরা অভিযান চালালে তাদের বিরুদ্ধে রাজারা মিলিত ভাবে একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ফার্গুসন সহজেই জঙ্গলমহলে প্রবেশ করেন। একে একে ঝাড়গ্রাম, রামগড়, লালগড়, জামবনী ও শিলদার রাজা বাড়তি রাজস্ব দানের বশ্যতা স্বীকার করে নেন। কিন্তু ধলভূমের রাজা এবং ময়ূরভঞ্জের রাজা তখনও ফার্গুসনের বশ্যতা স্বীকার করেননি। বরং ধলভূমের রাজা  ফার্গুসনকে আটকাতে রাস্তায় রাস্তায় গাছ কেটে ফেলে রেখে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। এই তো কয়েক বছর আগেও মাওবাদী পিরিওডে পুলিশি অভিযান রুখতে  লালগড় সহ জঙ্গলমহলের রাস্তায় রাস্তায় এভাবেই গাছ কেটে কেটে রাস্তা অবরোধ করে গড়ে তোলা হয়েছিল। প্রায় দুশো চল্লিশ বছর আগের ইতিহাসের সঙ্গে কী অদ্ভুত মিল, তাই না? যাইহোক সমস্ত বাধার প্রাচীর ভেঙে ফার্গুসন যখন ধলভূমে পৌঁছালেন তখন দেখেন পুরো এলাকা জনশূন্য। শস্যের গোলায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে রাজা পালিয়ে গেছেন। তাই ফার্গুসন রাজাকে ধরতে না পেরে তার ভাইপো জগন্নাথ ধলকে সেখানকার রাজা করলেন।

এই জগন্নাথ ধল পরবর্তীকালে ফের রাজা হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি মাঝে মাঝেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে লাগলেন। ইংরেজরা একসময় জগন্নাথ ধলকে বিদ্রোহে পরাজিত করে। জগন্নাথ আত্মরক্ষার জন্য অবশেষে ময়ূরভঞ্জ পালিয়ে যান।

দেওয়ানি লাভের পর কীভাবে আরো বেশি বেশি করে রাজস্ব আদায় করা যায় সেই দিকেই তখন  একমাত্র ধ্যান জ্ঞান ছিল ইংরেজদের প্রতিনিধিদের। এমনকি তারা নিষ্কর জমির উপরও রাজস্ব বসাতে শুরু করলেন। ফলে প্রজাদের উপর বাড়তে লাগল অতিরিক্ত করের বোঝা, বাড়ল অত্যাচার। শুধু কী তাই! পাইকান জায়গীর বাজেয়াপ্ত হওয়া শুরু হয়ে গেছিল। এদিকে আবার রাজা আর পাইকরাও উচ্চ হারে কোম্পানির নির্ধারিত খাজনা দিতে পারছিলেন না। তখন শহরের মহাজনদের কাছে ঋণ নেওয়া শুরু করলেন। রাজারা ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ক্ষমতার বলে একসময় এই মহাজনরাই হয়ে উঠলেন জঙ্গলমহলের নতুন করে জমিদার। জমি নয় বরং বাড়তি মুনাফায় ছিল তাদের একমাত্র লক্ষ্য। 

ইংরেজরা বেশি করে রাজস্ব আদায়ের জন্য চাপ দিতে লাগল জঙ্গলমহলের রাজা ও  জমিদারকে। জমিদার তখন আবার চাপ দিতে লাগল কৃষক প্রজাদের। ফলে রাজারা যেমন খাজনা দিতে গিয়ে নিঃস্ব হতেন, প্রজারাও তেমনি। সেই সঙ্গে পাইকরা তো আগে থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছিলেন। তাই জঙ্গলমহল জুড়ে রাজা পাইক ও প্রজারা সকলে মিলিত হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে একসময় প্রতিরোধের রাস্তাই বেছে নিলেন। গড়ে উঠলো কৃষক বিদ্রোহ- চুয়াড় বিদ্রোহ(১৭৬৫-১৭৯৯)। হান্টারের বিবরণ থেকে জানা যায় প্রায় ৩৫ বছর ধরে চলেছিল এই বিদ্রোহ। অবশেষে ১৮০০ সালে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াস দেখা যায়। ওদিকে ১৮০৩ সালে ময়ূরভঞ্জের রাজাও তখন ইংরেজদের বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

জঙ্গলমহলের এই দীর্ঘ পরাক্রমী আন্দোলন আর বিদ্রোহের পর ইংরেজরা বুঝলেন যে, এভাবে চলতে পারে না। এতে সুষ্ঠ প্রশাসনিক ব্যবস্থাও গড়ে তোলা যাবে না। তাই প্রশাসনিক সুবিধার্থে একটি আইন তৈরী করলেন। রেগুলেশন অ্যাক্ট(Regulation Act XVIII of 1805) ১৮০৫ সালে এই আইন অনুসারে ইংরেজরা তখন জঙ্গলমহলের ২৩ টি পরগণা বা মহাল নিয়ে গঠন করলেন "জঙ্গলমহাল" জেলা। এই ২৩ টি পরগণা নেওয়া হয়েছিল, পাঁচেট সহ এখনকার বীরভূম জেলা থেকে পনেরটি, বর্ধমান থেকে তিনটি, আর পাঁচটি ছিল- বরাভূম, মানভূম, অম্বিকানগর, সিমলাপাল,   ভালাইডিহা। একজন ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট এবং তার সসৈন্য ছিলেন জেলার দায়িত্বে। আর এই 'জঙ্গলমহাল' জেলার সদর দপ্তর ছিল বাঁকুড়া। রাজস্ব আদায়ের বিষয়টি পরিচালিত হত বীরভূম থেকে। নতুন এই জেলার শান্তি শৃঙ্খলার জন্য দুটি সামরিক শিবির গড়ে উঠেছিল। একটি ঝালদাতে, অন্যটি রঘুনাথপুরে। ১৮৩৩ সাল পর্যন্ত এই "জঙ্গলমহাল" জেলার অস্তিত্ব টিকে ছিল।

অরণ্য বলল, "তারপরে কি বিদ্রোহ দমন হয়েছিল?"

বাবা বললেন, "না। কিছুদিন শান্তি ছিল মাত্র। তারপর আবার বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। এবার নেতৃত্বে গঙ্গানারায়ণ। উত্তরাধিকার নিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে তার বিরাট মতানৈক্য ঘটেছিল। এমনকি ইংরেজদের ব্যবহারে অসন্তুষ্টও ছিলেন। অন্যদিকে উত্তরোত্তর অত্যাচার আর খাজনা আদায়ের প্রবল চাপে স্থানীয় সর্দাররা তো আগে থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছিলেন। তাই গঙ্গানারায়ণ ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতেই সর্দাররাও সেই বিদ্রোহে যোগ দিলেন। আবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল জঙ্গলমহল। বরাভূমের জমিদারকে বিদ্রোহে হত্যা করলেন গঙ্গানারায়ণ। ওই জমিদার নাকি আবার ইংরেজদের বন্ধু ছিলেন। তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মিস্টার ডেনট গঙ্গানারায়ণের বিদ্রোহকে দমন করার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অতি কষ্টে সেই বিদ্রোহকে তিনি দমন করতে পেরেছিলেন। ইংরেজ প্রতিনিধিরা তখন উপলব্ধি করলেন যে পাহাড় আর দুর্গম জঙ্গলে ঘেরা এই বিশাল জেলাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এই বিরাট বড় জেলাকে ছোট ছোট ভাগে ভাঙতেই হবে।  কেবল তাই নয়, এই বিশাল এলাকা জুড়ে অবস্থিত জঙ্গলমহল জেলায় ফের যাতে এমন বিদ্রোহ বা বিক্ষুব্ধ ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে, তাই জঙ্গলমহল জেলাকে ভেঙ্গে আলাদা আলাদা জেলা তৈরীর প্রস্তাব গৃহীত হল।"

১৮৩৩ সালে Section V Regulation 1833- এর ফলে সৃষ্টি হয় আলাদা করে মানভূম জেলা। ১৮৪৫ সালে সিংভূম জেলা। এরপর ১৮৮১ সালে গড়ে ওঠে বাঁকুড়া জেলা। তখন মানভূম জেলা বিহার ও উড়িষ্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরে বিহার ও উড়িষ্যা আলাদা প্রদেশে ভেঙ্গে গেলে মানভূম জেলা বিহারের সঙ্গে যুক্ত হয়। তারপর দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে ১৯৫৬ সালে মানভূম থেকে পুরুলিয়া জেলার জন্ম হল। অনেকেই এটাকে জেলা ভাগের রাজনীতির এক চক্রান্ত বলেও মনে করেন। যদি বাংলার মানচিত্র দেখা যায় তাহলে মাত্র ৭৮ বছর পর্যন্ত মানভূম জেলা বাংলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর বিহারের মানচিত্রে ছিল ৪৪ বছর।  ৫৪ টি পরগণা নিয়ে 'চাকলা মেদিনীপুর' অনেক আগে থেকেই ছিল। পরে পরে আধুনিক মেদিনীপুর জেলা গঠিত হয়। একবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় এসে সব থেকে বড় জেলা হিসাবে মেদিনীপুর জেলা আবার ২০০২ সালে দুই ভাগে বিভক্ত হয়। পূর্ব দিকটি হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। আর পশ্চিমের অরণ্যে ভরা ভাগটি হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। এভাবেই আরও ১৫ বছর পর ২০১৭ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আবার ভেঙে যায়। গড়ে উঠে ঝাড়্গ্রাম জেলা।

অরণ্য বাবার কথা শুনে বেশ রোমাঞ্চিত। জঙ্গলমহলের যে এমন একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে তা তার একেবারেই জানা ছিল না। তাই বাবাকে বলল, "তাহলে এখন পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া আর বাঁকুড়া এই চারটি জেলাই কি জঙ্গলমহল বলে পরিচিত?"

বাবা বললেন, "না। এই যে চারটি জেলার নাম বললি, এ জেলাগুলোও আবার পুরোটা এখন জঙ্গলমহলের মধ্যে পড়ে না। আগে যে বীরভূম জেলা ছিল, এখন সেই জেলাও আর জঙ্গলমহলের মধ্যে পড়ে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে একটি নোটিফিকেশন বের করে। তাতে জঙ্গলমহলের নতুন করে একটি এলাকা বা সীমারেখা তৈরি করে দেন। সেখানে দেখা যায়, এই ৪ টি জেলার মোট ২৩ টি ব্লককে জঙ্গলমহল বলে অভিহিত করা হয়েছে। এগুলো হলো---"

১)পুরুলিয়া জেলা:  বান্দোয়ান ব্লক, ঝালদা-১ ব্লক, ঝালদা- 2 ব্লক, বরাবাজার ব্লক, বলরামপুর ব্লক, মানবাজার- 2 ব্লক, বাগমুন্ডি ব্লক, আড়সা ব্লক।

২)বাঁকুড়া জেলা:  রানিবাঁধ ব্লক, সিমলাপাল ব্লক, রায়পুর ব্লক এবং সারেঙ্গা ব্লক।

৩)ঝাড়্গ্রাম জেলা:  বিনপুর- ১ ব্লক, বিনপুর- 2 ব্লক, জামবনি ব্লক, ঝাড়গ্রাম ব্লক, সাঁকরাইল ব্লক, নায়াগ্রাম ব্লক, গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক, গোপীবল্লভপুর-২ ব্লক অর্থাৎ পুরো ঝাড়গ্রাম জেলা।

৪) পশ্চিম মেদিনীপুর:  গড়বেতা-২ ব্লক, শালবনি ব্লক এবং মেদিনীপুর সদর।

এই হল চারটি জেলার ২৩ টি ব্লক, যেগুলো এখন জঙ্গলমহল বলে পরিচিত।

অথচ আজ থেকে একশ আঠারো বছর আগে ১৯০৩-১১ সালে বাবু রামপদ চ্যাটার্জি নামে এক সেটলমেন্ট অফিসার মেদিনীপুরের সেটলমেন্ট অপারেশন করতে গিয়ে জঙ্গলমহলের অস্তিত্ব ও  অবস্থান সম্পর্কে বলেছেন,
"The jungle mahal covers a tract of country which in extent 'is about eight miles in breadth and sixty in length. On the east it is bounded by Midnapur, on the west by Singbhum and on the north by Panchet and on the south by Mayurbhanj. The soil is characterised as very rocky country, mountaineous and everspread with thick forests'. The description might be true when Hunter wrote, but the explorations of the Bengal-Nagpur Railway has reduced the thickness of the forests, made the tract much more accessible to the outer world than it was 30 years ago, and revealed extensive areas of very fertile lands bordered on by barren laterite tracts". 
এক সময় যে বিশাল এলাকা জুড়ে "জঙ্গলমহাল" জেলা ছিল, সেটাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমতে কমতে এখন মাত্র এই ২৩ টি ব্লকে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে সেটা আবার কোথায় পৌঁছাবে তা কেবল ভবিষ্যতই বলতে পারে।

তথ্যসূত্র: ১) ঝাড়গ্রাম ইতিহাস ও সংস্কৃতি; লেখক- মধুপ দে
২) মেদিনীপুরের ইতিহাস; লেখক- যোগেশচন্দ্র বসু
৩) আনন্দবাজার পত্রিকা(৮সেপ্টেম্বর,২০১৯)
৪) জঙ্গলমহলের লোককথা: লেখক মধুপ দে

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇




Post a Comment

0 Comments