বিষকথা
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়
●●
আমার যা কিছু আছে উপর চালাকি।
যা যা নিয়ে খেয়ে পরে খাসা বেঁচে থাকি।
সে সবই দিয়েছি লিখে মনে মনে হেসে।
পাঠক কবিতা ভেব ভিখারির বেশে।
●●
স্মৃতিতে পড়লে ধুলো মনখারাপেরা।
সাদা কালো কথা নিয়ে করে চুল চেরা।
তারপরে দিন যায়,
সব ফের বদলায়,
মন ফের শুরু করে ঠিকানাতে ফেরা।
●●
যেটা হাসি বলে ভাবো, সেটা হাসির মতো।
আসলে বুড়িয়ে গেলে সখে চাওয়া ক্ষত,
মুক্তির স্বাদটাকে,
'হেসে মরা' বলে ডাকে,
ভাবে, যারা সে ভাবে কি ভাবে অতশত?
●●
আসলে ,আমি প্রচার বিমুখ আপাত দৃষ্টিতে।
যেমন, ছাটেরা কখনও ভেজে না প্রবল বৃষ্টিতেও।
এমন ভাবেই কবিতার দল,
ধোঁয়াশা যাদের নিট সম্বল,
ধ্বংসের বীজ অনায়াসে বোনে কবির সৃষ্টিতে।
●●
আলোচনা থাক।
আলোচনা সবই পথের ধুলোর মতো।
অপমান সয় মানুষের পায়ে পায়ে।
বিশ্বাসী নই তাইতে কথাতে,
সবকিছু রেখে নিজের দু'হাতে,
স্বেচ্ছাচারীর তকমা আয়েশে
মেখেছি নিজের গায়ে।
●●
কাউকে দিই না কথা
কথা আমার কাছে থাক।
রাখতে পারি না,
তাইতে দেওয়ায় জীবন পুড়ে খাক।
দেওয়া নেওয়া চাওয়া পাওয়ার
সময় বড় অল্প।
বাধ্য হয়ে খোশমেজাজে
বানাই সুখের গল্প।
●●
তুমি কি মনমরা, না
নিচু মনের লোক?
কিছু না বুঝতে পেরে,
নিজের কাছে কেবল হেরে,
'হার জিত খেলায় আছে।'
এমন বলার ঝোঁক!
●●
যার কান আছে
তার মাথাও আছে, এমন নয়।
দু'কান কাটা, শব্দটাকেও
মান্যগণ্য করতে হয়।।
চোখ থাকলে পড়বে তাতে
কেবল চোখের বালি।
অবাস্তবিক বাস্তবে এ
কেবল জোড়াতালি।
●●
এক সুর অন্য গানে লাগে না।
লজ্জা তাতে সুরের নাকি গানের?
এমন ভাবনা আগে হতো না ছাই,
এখন দশা, যা পেয়েছি খাই,
খুঁতখুঁতেরা,সব কথাতে খোঁজে কেবল মানে।
●●
যাকে অনায়াসে চাইতে ভালবাসি,
তাকে কথায় কথায় মিথ্যে বলার সাধ্য নেই।
আসলে ঘটে এমন কিছুই,
পাঁচিল সামনে তুললে তখন
তোমার প্ৰতি
তেমন বাধ্য নেই।
0 Comments