জ্বলদর্চি

লাবণ্যে পূর্ণ প্রেমে /মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস

লাবণ্যে পূর্ণ প্রেমে 

মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস

দাবি 

যা কিছু আমার 
সব কিছুতেই দাবি রাখতে পারো।
যা কিছু তোমার তা সব‌ আমাদের‌ই।
যা কিছু মন্দ আছে আমার 
তা বদলাতে পারো।
ও পক্ষে যা কিছু মন্দ 
রেখো না আড়ালে।
মন নয়, 
ভেঙে যাক ভুল বোঝাবুঝি।
ক্ষণিকের ঝড়ে যেন 
নাই ভাঙে সেতু কোনোদিন।
আর কিছু দাবি নেই এই ফাল্গুনে। 


পূর্ণতার প্রত্যাশা 

আবার কিশোরী হলে হবে তুমি ন‌ওল কিশোর?
গুলমোহরের পথে ধুলো ওড়া গোধূলি বেলায়
বাজাবে কি মাউথ অর্গানে সদ্য শেখা রূপালী কবিতা 
'তুমি আমার চোখের মণি, তুমি আমার রানী',
জলকে চলব না তো, টিউটোরিয়াল 
অছিলায় পিঠে ভারী ব্যাগ‌ই কলস।
সহপাঠিনীর টিকা ও টিপ্পনী শুনে কান ঝনঝন।
তবুও রাখবো মন মাউথ অর্গানে।
ও কিশোর, ও চির বাউল আবার কিশোরী হলে
গড়বে না আর কোনো দূর
বিষণ্ণ একাকিত্ব কেল্লাবাড়ি দিয়ে।
আবার কিশোরী হলে পাঠাবে তো স্বরচিত দু এক কলম? 


ভ্যালেনটাইন 

দীপ জ্বেলে সেই সন্ধ্যাবেলায় দাঁড়িয়ে আছি বেড়ার ধারে
লোডশেডিংকে পাত্তা দিলে চলবে কেন এমন ভেবে।
দুরন্ত গাছ বেড়ায় বাড়ে, পড়ন্ত চাল মাথায় পড়ো।
সে হোক, আমি অন্য সকল কষ্ট হেলায় তুচ্ছ করে
তোমার সাথে থাকতে রাজি।
বুঝলে তুমি বরং বাবাজী? 

রং পেন্সিল, রঙিন ছবি, রেশম রেশম চকোলেটের
লোভ ছিল সেই কিশোর বেলায়
অন্য লোকের যেমন থাকে
কিন্তু সে সেই ফার্স্ট ইয়ারে ফেস্টে আমি ভেস্তে গেলাম।
আকাশ ভাঙা বৃষ্টি দিনে দৃষ্টি মিলে। 

মোটর গাড়ির সঙ্গে বাঁধা খাবার ব্যাগের সঙ্গে ঘুরে
রাত গভীরে ফিরবে বাড়ি পেট ভরিয়ে সব লোকেদের,
আগলে জাগি ভাতের হাঁড়ি।
নিভৃত সব জানলা কপাট, পড়লে ফেটে কপট রাগে
হাসতে হাসতে বলতে পারো, আরে সে তো বলবে আগে,
অন্য কাউকে দিতাম দিয়ে মন্ত্র পড়ে। 

আজকে ভীষণ ব্যস্ত তুমি, জমিয়ে খাচ্ছে, ভ্যালেন্টাইন,
দাঁড়িয়ে আছি প্রতীক্ষাতে শুধুই তোমার, ক্লান্তিবিহীন।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇



Post a Comment

0 Comments