জ্বলদর্চি

তুর্কী নাচন /পর্ব-৮/ মলয় সরকার

তুর্কী নাচন 

পর্ব-৮ (পূর্ব প্রকাশিতের পর)

মলয় সরকার

                                             
এবার যে একটা আশ্চর্য লাগার মত জিনিস দেখলাম। তা হল গণশৌচাগার। একটি ঘরে  চার দেওয়াল জুড়ে রয়েছে , একটি উঁচু বেদীর উপরে ,বর্তমান যুগের ভারতীয় শৌচালয়ের ল্যাটরিনের মত নিটোল কাটা মলত্যাগের জায়গা।এরকম অনেক রয়েছে পরপর। অর্থাৎ একসঙ্গে অনেক মানুষ বসে মলত্যাগ করতে পারত। স্ত্রী -পুরুষের এ ব্যাপারে কোন ভেদাভেদ ছিল কি জানি না , গাইড দিদিও বলতে পারলেন না। এরকম আমি অন্যত্রও (রোমে) দেখেছি।সেগুলির নীচে বোধ হয় ঢাকা ড্রেন ছিল মানব বর্জ্য বাইরে যাওয়ার জন্য। সামনেও একটি টানা ড্রেন রয়েছে জল নিকাশের জন্য। তবে বোধ হয় এ ব্যাপারে তাদের পাশাপাশি বসার লজ্জা ছিল না। অন্ততঃ এটা দেখে তা বোঝা গেল না। 
                                                          

এ ছাড়া দেখলাম, একটি আর্চ করা কারুকার্য খচিত  গেট , যেটি একটি মন্দিরের। এটি রোমান সম্রাট হার্দিয়ানের প্রতি শ্রদ্ধায় করা হয়েছিল। এর ভিতরেও অনেক দেওয়ালে অনেক মূর্তি খোদিত আছে। এই এফেসিয়াসের উপর অনেক রাজনৈতিক ঝড় বয়ে গেছে। এই শহর দেখেছে অনেক উত্থান পতন। এটি একসময় সম্রাট আলেক্সাণ্ডারেরও অধীনে আসে।কখনও স্পার্টান, কখনও রোমান, কখনও গ্রীকদের হাতে শহরটি আসে। রোমান সম্রাট অগাস্তাস যখন এখানকার সম্রাট হন ২৭ খ্রীঃপূঃতে তখন সমৃদ্ধি এর চরমে ছিল, প্রায় রোমের পরেই ছিল এর গৌরব।আবার ৮৮ খ্রীঃপূঃ তে একসময় প্রায় আশি হাজার রোমান কে এখানে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড চালায় গ্রীকরা।


প্রায় ১০০০ একরের এই শহরের ভিতর ছিল না এমন কিছুই নেই। পরবর্তী কালে এটি খ্রীষ্টানদের এক বড় ঘাঁটিতে পরিণত হয় রোমানদের হাত ধরে। এখানে তৈরী হয় বেশ কিছু চার্চ। এখানেই দেখলাম আর এক আশ্চর্য জিনিস, তা হল গ্রীক দেবী নাইকির পাথরের উপর খোদিত মূর্তি, যে নামে আজ সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে বিখ্যাত জুতো বা ড্রেস কোম্পানী, যার হেড অফিস আমেরিকার ওরেগন স্টেটের বিভারটনে।

ক্রমশঃ যত এগোচ্ছি, ধাপে ধাপে নেমে যাচ্ছি নীচের দিকে। 


   দেখতে পাচ্ছি একটু নীচে একটা, ঠিক সিনেমা স্টুডিওতে যেমন নকল ঘর তৈরী করা থাকে তেমন একটা, দোতলা বাড়ীর সামনের অংশটুকু। ধীরে ধীরে ঢুকে পড়ছি একটা পৌরানিক শহরে। গাইড তো একেবারে প্রফেশনাল। হুড় হুড় করে বলে যাচ্ছেন। তাঁর বোধ হয় সময় মাপা আছে যে, এই সময়ের মধ্যে দেখানো শেষ করতে হবে।কিন্তু আমি তো যা দেখছি তাতেই চোখ আটকে যাচ্ছে।পাথরের বাঁধানো অনেক চওড়া সিঁড়ি নেমে গেছে নীচের দিকে আর তার দুই পাশে সমস্ত দ্রষ্টব্য ভিড় করে আছে ইতিহাসকে বুকে ধরে।রাস্তার দুপাশে কোনটা ছিল মন্দির, কোনটা প্রাসাদ, কোনটা দোকানপাট।সব একেবারে এখন যে কোন বড় শহরে যেমন পাশাপাশি সব দাঁড়িয়ে থাকে মাথা তুলে, তেমনই দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধু ভগ্নস্তুপ হয়ে।

একেবারে সামনে এসে হাজির হলাম সেই দোতলা বাড়ির । এটি আসলে বিখ্যাত একটি লাইব্রেরীর। একতলায় আটটি থাম, প্রায় ৩০-৩৫ ফুট উঁচু, দোতলাতেও তাই। অত বড় বাড়ীর শুধু সামনের অংশ টুকু প্রথম দেওয়ালসহ দাঁড়িয়ে আছে। সেই থামে ও দেওয়ালে নানা কারুকার্য করা।নানা মূর্তি খোদিত আছে দেওয়ালে।উপরে ও নীচে তিনটি করে দরজা রয়েছে। প্রতি দরজার পাশে বড় বড় মূর্তি রয়েছে।এখানে প্রায় ১২০০০ বই পত্র থাকত।নীচের দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করা যায় । তবে উপরে ওঠার কোন জায়গা বা সিঁড়ি আজ আর নেই।উপরের সিলিং এও রয়েছে কারুকার্য।এটি তৈরী দ্বিতীয় শতাব্দীতে, রোমান সম্রাট হার্দিয়ানের সময়ে।এটি এখানকার এক বিখ্যাত দ্রষ্টব্য। লাইব্রেরীর ভিতরে ঢুকে দেখি ভিতরের দেওয়াল মাটি থেকে কিছুটা পাথরের, এবং তার পর থেকে পাতলা ইঁটের তৈরী। ভিতরে যথেষ্ট ঠাণ্ডা থাকার কথা।ভিতরে রয়েছে বেশ কিছু কুলুঙ্গি বা বই রাখার জায়গাও হতে পারে।যে দেওয়াল দাঁড়িয়ে আছে তাতে বেশ কিছু পাথরের ফ্রেম করা জানালাও রয়েছে।


ফিরে গেলাম নিজের অন্তর্জগতে। লক্ষ্য করে দেখলাম, চারিদিকে রোমান বিদ্যার্থী পণ্ডিতেরা আসছেন লাইব্রেরীতে। বসছেন, পড়ছেন, আলাপ আলোচনা করছেন।আমিও তাঁদের পাশে বসে চুপ করে শুনতে লাগলাম। সত্যি ,লাইব্রেরীর ব্যাপারে এত সচেতন না হলে একটা দেশ কখনও বড় হতে পারে না। রোম এবং গ্রীকরা যে সারা পৃথিবীতে এত সমৃদ্ধি লাভ করেছিল তার কারণ ওদের এই জ্ঞানচর্চা।


এগোতেই হল সব ভুলে। সময় বড় বালাই।পাশেই একটা উঁচু দেওয়াল ঘেরা জায়গা। তার ওপাশে যাওয়ার জন্য রয়েছে তিনটি বিশাল দরজা। আসলে এটি বড় রাস্তার উপর তিনটি গেট।হয়ত তখনও রাস্তার একদিক দিয়ে চলার নিয়ম ছিল বা গাড়ীঘোড়া ও মানুষের যাতায়াতের পথ আলাদা। রাস্তার ওপাশে গিয়ে দেখি সামনে চলে গেছে বিশাল রাস্তা , বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তার পাশে পাশে সমানে চলেছে বড় বড় থামের সারি। নিশ্চয়ই রাস্তার পাশে পাশে দোকান পাটের সুন্দর ব্যবস্থা ছিল।


এছাড়া পেলাম একটি প্রায়ান্ধকার ঘরে একটি দণ্ডায়মান দেবী মূর্তি যাঁর বুকের থেকে অনেকখানি নীচে পর্যন্ত প্রচুর স্তন রয়েছে।গাইড বললেন, ইনি পালিকা, উর্বরতা, শিকার ও সমৃদ্ধির দেবী মাতৃমূর্তি। স্তনগুলি হল পালয়িত্রীর প্রতীক।এনাকে গ্রীকরা পূজা করত আর্টেমিস নামে আর রোমানরা বলত  ডায়ানা।বলা হত এনার জন্মস্থান কাছেই। ইনি যথেষ্ট প্রতিপত্তিশালী দেবী ছিলেন।


সামনে রয়েছে বেশ অনেকখানি ফাঁকা মাঠ। এখানেই বসত দাসদাসীদের বাজার। ক্রীতদাস ক্রীতদাসী এবং লড়াকু গ্ল্যাডিয়েটরদের কেনা বেচা হত এখানে।আর একটা জিনিস দেখলাম এখানে।এছাড়াও আরও অনেক জায়গায় দেখেছি -তা হল মৃতদেহ রাখবার জন্য পাথরের বিশাল ভারী ভারী ঢাকনা সহ কফিন বাক্স। সেগুলির গায়ে খোদাই করা রয়েছে মালার ছবি। অর্থাৎ মৃতদেহকে ফুল দিয়ে সম্মান জানানোর প্রথা তখনও ছিল।এরকম অনেক, ছোট বড় কফিন বাক্স দেখলাম চারিদিকে রয়েছে।এর ভিতরে কিছু পাওয়া গিয়েছিল কি জানি না।।


এর পর আমরা দেখলাম আর এক বিশাল অডিটোরিয়াম। এটিকে বলা হত গ্রেট থিয়েটার।৩০ মিটার উঁচু ও ১৬৫ মিটার চওড়া বিশাল অডিটোরিয়ামের অনেক প্রশস্ত ছিল মঞ্চ।এটি তৃতীয় খ্রীঃপূর্বাব্দে তৈরী হয়েছিল। এখানে সভা সমিতি, উৎসব, নাটক এমন কি গ্ল্যাডিয়েটরদের লড়াই ইত্যাদি সমস্তই প্রদর্শিত হত। এটিতে গ্রীক পিরিয়ডে ১০০০০ দর্শক বসতে পারত। রোমান যুগে এই ক্ষমতা বাড়িয়ে ২৫০০০ দর্শকাসনের ব্যবস্থা করা হয়। পিছনে  উঁচু পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে ছিল দর্শকাসন । রাজকীয় দর্শক ও সম্মানিত অতিথিরা নীচে সামনের সারিতে বসতেন। ৬৬ টি ধাপে এর বসার আসন গুলি ছিল, যার অনেকখানিই এখনও অবিকৃতই আছে।বর্তমানেও মাঝে মাঝে এই অডিটোরিয়ামে বিশেষ বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান করা হয়।এখানেই সেন্ট পল খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচার করার জন্য বক্তৃতা দিয়েছিলেন।প্রতিটি আসনে নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। অর্থাৎ টিকিট বা আসন নির্দিষ্ট করার ব্যবস্থাও ছিল নিশ্চয় এখনকার মতই।

রোদে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। বসলাম খানিকটা একটা দেওয়ালের পাশে। ইতঃমধ্যে দেখি বুলবুল একটু দূরে দাঁড়িয়ে কি নিয়ে বেশ নিবিষ্ট মনে খেলা করছে। খেয়াল করে দেখি, একটা সাদা তুলোর মত বেড়াল পেয়েছে ও। সেটিও দেখলাম- ভয় ডর নেই, আদুরী ভঙ্গীতে ওর সঙ্গে খুনসুটি করছে।ওদের তো আর দেশ জাত ভাষা ধর্ম কোন বোধ নেই। ওরা বোঝে একটাই ধর্ম, ভালবাসার ধর্ম।যেখানেই কোন বেড়াল পায় রাস্তার ধারে বুলবুলের সেখানেই যায় পা আটকে।

শেষ হল এফেসাসের পর্ব ।


আমরা এবারে এলাম একটি পশমের কার্পেটের ফ্যাক্টরীতে। তুরস্কের কার্পেট জগদবিখ্যাত। কিনি আর নাই কিনি এটি দেখাও একটা ভাগ্যের ব্যাপার। ঢুকতেই তার মালিক আতিথ্য করে আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে চললেন ভিতরে। ভিতরে গিয়ে আমাদের চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়।
দেখি দেওয়াল জুড়ে জুড়ে বড় বড় নানা রকমের কার্পেট ঝুলছে।কর্মীরা নিবিষ্ট মনে কার্পেট বুনছে। বেশিরভাগই মহিলা কর্মী। তারা নানা রঙীন , সাদা ইত্যাদি রেশমের সূতা দিয়ে কি অদ্ভূত দক্ষতায় বুনছে কার্পেট এবং ফুটিয়ে তুলছে তার নিখুঁত কারুকাজ।মালিক আমাদের একগাদা গুটিপোকার রেশমগুটি নিয়ে দেখালেন, কি করে সুতো বের করা হয়। তাকে পরিস্কার করা , প্রয়োজনে রঙ করা, ইত্যাদি করে কার্পেট বোনার উপযুক্ত করা তোলা হয়।তারপর সেগুলো চরকায় গুটিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ হাতে , তাঁত বোনার মত  মেসিনে কার্পেট বোনা হয়। সমস্ত ব্যাপারটাই হাতে করা হয়। এর জন্য যন্ত্রচালিত কিছু নেই। এক একটা কার্পেট বুনতে একমাস বা দেড়মাসও লেগে যায়।এখানে ঘুরতে ঘুরতে একটা ঘোর লেগে যাচ্ছিল। এত সুন্দর শিল্প , এর কারিগরী যে কোন মানুষকে মোহগ্রস্ত করে ফেলবে। অবশ্যই তার সঙ্গে আছে গোলাপী আপেলের মত টুকটুকে গালের হাস্যময়ী তুর্কী মহিলা কর্মীরা।আমরা অনুরোধ করতেই আমাদের সঙ্গে তারা ছবি তোলার অনুমতি দিল। 

এখানে কার্পেটের যা দাম আর প্লেনে করে দেশে নিয়ে যাবার যা ঝামেলা , মনে করে আর ও ইচ্ছাকে মনে স্থান দিলাম না।বনের ফুল বনে থাকাই ভাল।তা ছাড়া এ কার্পেট রাখার জন্য যে জায়গা দরকার, তা-ও আমার নেই।

এখান থেকে চলে এলাম পাটমোসে। এখানেই সেন্ট জন নিয়ে এসেছিলেন মাতা মেরীকে জীবনের শেষদিন গুলো শান্তিতে কাটানোর জন্য। তখন তাঁর বিখ্যত পুত্রকে হত্যা করা হয়েছে (?)। তিনি একা। তাই যীশুর শিষ্যরাই তাঁর দেখা শোনা করেন। এই জায়গাটি বা এর তথ্য নিয়ে নানা মতবাদ থাকলেও খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশেষ করে ক্যাথলিকরা এটি তাঁদের বিশেষ ভক্তি নিয়ে দর্শন করে থাকেন। তার চিহ্ন দেখলাম ঢোকার মুখে দেওয়াল জুড়ে সাদা কাপড়ের অজস্র বাঁধা টুকরোতে, যেগুলো মানুষের কামনা ও প্রার্থনার চিহ্ন স্বরূপ বাঁধা হয়।এটির নাম মানতের দেওয়াল বা “ Wishing Wall” । জায়গাটি একটু উঁচু পাহাড়ের উপরে। এটি যে মাটি খুঁড়ে আবিষ্কার করা হয়েছে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে কারণ এটি মাটির তলের বেশ কিছুটা নীচুতে এবং এখনও পরিত্যক্ত খননের চিহ্ন রয়েছে।সাদা পাথরের ইঁটের মত টুকরো দিয়েই এটি তৈরী। গাছে ছাওয়া বেশ শান্ত জায়গাটি।বিশাল কোন চাকচিক্য ও আড়ম্বর বিহীন জায়গা। ঢোকার মুখে একটি ছোট ঘরের মত রয়েছে এবং সেখানে  ঢোকার মুখেই বাঁহাতে আছে পাথরের বেদীর উপরে একটি বহু পুরাতন গাছ। এই স্থানটি এখন একটি গীর্জা হিসাবে রক্ষিত আছে। ভিতরে একটি বড় মেরীর প্রতিমূর্তি আছে।


আমাদের আজকের যাত্রা প্রায় শেষ হয়ে এল।বিকালও অনেক খানি এগিয়ে এসেছে। এবার আমরা গেলাম আমাদের আজকের শেষ দ্রষ্টব্য পৃথিবীর অতীত দিনের সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য্যের জায়গায়। তা হল দেবী আর্টেমিস বা ডায়ানার মন্দির। এর বিশালত্ব বা আশ্চর্যত্বকে উপলব্ধি করার জন্য আজ বিশেষ কিছুই আর বাকী নেই। যা আছে তা হল এর ভিত্তির চিহ্ন রেখা গুলো আর একটি মাত্র বিশাল উঁচু স্তম্ভ, যার গায়ে আছে যথেষ্ট কারুকার্য এবং মাথার উপরে একটি চিলের বাসা। এছাড়া এধারে  ওধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু সেই প্রাচীন মন্দিরের টুকরো টাকরা।তবে স্থাপত্যবিদেরা বা ঐতিহাসিকেরা এর যে সম্ভাব্য চিত্র এঁকেছেন, সেই সুদূর অতীতে তার বিশালত্ব সত্যিই আশ্চর্য জনক ছিল বৈকি। আমার গায়ে শিহরণ লাগছিল এই ভেবে যে, আমরা শিশুকাল থেকে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের কথা শুনে এসেছি যার বেশির ভাগেরই আজ আর অস্তিত্ব নেই। তবু তারই মধ্যে একটা আশ্চর্যের জায়গায় অন্ততঃ ,আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি, এটা আমারও সৌভাগ্য।

শেষ হল আমাদের আজকের সফর।

পরদিন আমরা ছেড়ে দেব এই কুসাদাসির হোটেল। চলে যাব আর এক আশ্চর্য দৃশ্যের প্রেক্ষাপটে—

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments