জ্বলদর্চি

ভাবনা/পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়


ভাবনা

পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

যেমন ভাবে লিখলে 
তবে কবিতা বলে লোকে।
তেমন ধারা ভাবনাগুলো
আমার আসে, শোকে।

মানিনা আমি শোকের সাথী
কবিতা পাশাপাশি।
তাই, না লিখে কেবল
কথা বলতে ভালবাসি।

কথায় বহু রঙের ছটা
ছটায় বড় ধাঁধা।
কখনও ফিরে ধূসর
তাতে হাত পা সবই বাঁধা।

সেই কারণে নেই কথাতে 
শেখানো কোনও বুলি।
কখনও চুপ, কখনও তাতে
ঝড়ের সুর তুলি।

ঝড় আমাকে সঙ্গী করে
আবার করে পরও।
তবুও মানি ,ঝড়ের স্থিতি
মনের থেকে বড়।

মন আমাকে মুক্তি দিলে
ঝড়, সে টানে কাছে।
মন বোঝালে, নিঃস্ব আমি
ঝড় বলে, সে আছে।

যখন ঝড় হাওয়ার বেশে
আমাকে বলে ,শ্বাস-
চির টা কাল বাঁচায় তোকে
এ কর বিশ্বাস।

সে আশ্বাসে মিথ্যে ভেবে
সাক্ষী করি নদী।
নদীর বুকে স্রোতের সাথে
চলতে নিরবধি।

স্রোত তা দেখে হেসেই মরে,
'বলিস খ্যাপা কী যে!
আমার বুকে কি  ব্যথা আছে
বুঝি কি আমি নিজে?

তবুও তোর সঙ্গ আশা?
এ তবে তোর দোষ।
যে হাসি তোকে শান্তি দিলো
আমাকে দেয় রোষ।

স্রোতকে আমি বাহবা দেব?
সে বুঝি সব জানে?
সে বোঝে, রাত ভোরকে খোঁজে
মুক্ত ঝরা গানে?

কি করি? তাতে নীরব থাকি
নীরব  প্রিয় বড়।
কথার সাথে বিবাদ করে
হয়না জড়সড়।

অথচ দেখ, মানুষ ভাবে
কথার দামই যত।
কথার কাছে চুপকথারা
কেবলই থতমত।

এসব শুনে আমার হাসি
থমকে ওঠে রুখে।
চেঁচিয়ে বলে টের'টা  পেলি
রিক্ততা কি সুখে?

রিক্ততারা তলিয়ে গেছে
সাত সাগরে বুঝি?
নইলে কেন মনের জ্বালা
আগুনে, তাকে খুঁজি?

হারাতে হয় খুঁজতে হলে,
মন কখনও মানে?
তাই সে, হাতে বৈঠা নিয়ে
উল্টো ডিঙি টানে।

এ সবই করে, পাঁজর জুড়ে
বিষের রমরমা।
সবকিছু তার ছন্নছাড়া?
কবিতা থেকে কমা?

কি আছে মিছে ছন্দে
শুধু তাকেই খোঁজে লোকে।
ঝাপসা স্মৃতি আর যা কিছু
হারিয়ে গেছে শোকে?

বুঝি না তাতে,কেমন করে
বৃষ্টি ঝরা বুক।
কবির মতে কেবল খোঁজে
কবিতা অভিমুখ!

কবিতা, তাই করেছি তোকে
আপন থেকে পর।
বুকের মাঝে সুখের আলো
জ্বালিয়ে নিরন্তর।

যেমন ভাবে লিখলে পরে
কবিতা হয় মনে।
তেমন ধারা কথার কথা
ভুলেছি সংগোপনে।

ভাবলে পরে আমায় ভেবো
সৃষ্টিছাড়া বোকা।
তবুও এই হৃদয় জুড়ে
পলাশ থোকা থোকা।

রঙের বুকে রামধনুরা
যে সুখে করে খেলা।
তেমন বাঁচা কেমন করে
করব অবহেলা?

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments