জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা-কাব‌্যপিয়াস/আবীর ভট্টাচার্য্য

গুচ্ছ কবিতা-কাব‌্যপিয়াস

আবীর ভট্টাচার্য্য

কিমাশ্চর্যম্!…

সাগরজলে সদ্যস্নাতা,উপল কূলের মেয়ে
একলা স্রোতে ভেসেছিলো নুড়ি-ঝিনুক ব'য়ে
পলাশতলীর রাখাল তাকে দেখলে শুধু চেয়ে
মুগ্ধদৃষ্টি-সুখটান!একে বুঝি কাব্যসোহাগ বলে!

 নিদ্রাবিহীন রাতের গানে চান্দ্র-পথরেখা
দূরের কোন পথিকজনের লিখন-শ্রমে আঁকা
খুঁজতে খুঁজতে হারালো সেই চাহনি অনিমিখা
জন্মপরেও অনেক জন্ম শুধুই ভেসে গেলো!
কাব্য তবু পৌঁছলো কি হৃদয় সানুমূলে! 

তবু আবেগ,মধুস্ফুরণ; নদী-প্লাবণও যত্রতত্র ঘটে
উপচিয়ে এ অকিঞ্চিৎ পললকণা যত;সে সব খুঁটে,
চাষী-হৃদয়ক্ষেতে ধান রোপে বৌ;দিনে এবং রাতে।
ছপছপ জল লক্ষ্মীছাপ  সে পদচিহ্ন টানে
ঘরেই ফের মন। ভুলে যাওয়া জীবনাধিক গানে;
স্বপ্ন সে নয়। ঘাম ও শ্রমের মোহের সাধন টানে,
কাব্যতীর্থে পৌঁছনো সহজ,কবিতার চরণে চারনে।


প্রাণ ভরিয়ে

একটি কোমলছায়া পড়লাে মহুল গাছের তলে 
কে এলে গো এ অবেলায়!.... অচিন পথগামী! কাজে-অকাজে আত্মগত বেশতাে ছিলাম আমি, কাজ ভুলােনাে খেলার নেশায় তুমি কখন এলে!

অপেক্ষারা মন্দসুখে দুয়ারে বসে ছিলাে, আকৈশোর তাে স্বভাবদোষে আসন পাতা র'য় চোখের আলােয় ঝর্ণাধারা কলস্বরে বয়…
পরদেশিয়া তারেই বুঝি আপন করে নিলো!

কিছু কথা ভীষণ একা,অপ্রাপ্য সে সুপ্ত আকুলতা শীতের বনে শালের পাতায় মর্মরে সে ঢেউ 
স্মৃতিমেদুর অবগাহনে ডুবে যাচ্ছে কেউ; 
কুড়িয়ে নিয়ে হলুদপাতা......... স্বপ্নচয়নরতা!

এলে যদি খসিয়ে দিয়ে পল্লবজাল যত
পাতাে তােমার তপের আসন হৃদয় সানুমুলে আমার সব ডুবতই তো, তুমি না কুড়িয়ে নিলে 
ভুলিনি তবুও,সে দান ক্ষণিক!....হে স্বয়মাগত


নিবিড় বেদনায়…

বাক্যালাপে আস্পর্শী প্রণয়!মুগ্ধতার আনত অন্বয়
অথবা সৌজন্য ভার,উপহারে শুভেচ্ছা-নিচয়!
কখনও দিয়েছ বলে মনেও পড়ে না।
তবু নির্বাক আহ্বান এলে, নির্বিরোধে ভেঙে যাই।
যেভাবে শব্দবৃষ্টি দুর্বার ভঙ্গিতে ঢেউ তোলে
মননে,গোপনে। যাত্রাপথে কতশত চড়াই-উৎরাই...
পেরিয়ে পেরিয়ে নদী নেমে আসে সঙ্গম তৃষায়।
তেমনই অমোঘ; তোমার সে ডাক এলে,
শরীরে ঘনিয়ে ওঠে মেঘ,অন্তর্দাহী বিদ্যুৎ লতায়
ডেকে আনে অনন্ত বিরহ,যা ছিলো একান্ত গোপন
 বসন্ত  কি বাক দেয় কবিকে আমার?
ইমনকল্যাণে দ্রবে অবরোহী কোমলগান্ধার!
মর্মরের মর্মে বাজে বাঁশি,কবেকার বিনির্মোহ আশে
কার শুশ্রুষা-প্রত্যাশায়,মধুরতর কোন সর্বনাশে...

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇
 

Post a Comment

0 Comments