জ্বলদর্চি

দূরদেশের লোকগল্প—এশিয়া (ভিয়েতনাম) /চিন্ময় দাশ

দূরদেশের লোকগল্প—এশিয়া (ভিয়েতনাম) 

চিন্ময় দাশ


এক বাঁশের একশ’ গাঁট

এক গ্রামে ছিল একটি ছেলে। মা নাই, বাবা নাই। পেটে দেবার দু’মুঠো ভাতও নাই তার ঘরে। পাড়া-পড়শির দয়ায় দিন কাটে সেই ছেলের। 
দেখতে দেখতে একটু বড় হোল যখন, গাঁয়ের লোকেরা বলল—এক কাজ করো, বাপু। এখন বড় হয়েছ। জমিদারবাবুর বাড়ি যাও। কিছু একটা হিল্লে হবে নিশ্চয়। 
জমিদার বাবু খুশিই হোল তাকে দেখে। সদ্য জোয়ান ছেলে। তাগড়াই চেহারা। বোকা-হাবা নয়, চৌকশ বলেই মনে হয়। ভালোই কাজ পাওয়া যাবে এমন ছেলেকে পেলে।
জমিদার লোক। নিজেও কম চৌকশ নয়। বলল—সবই তো বুঝলাম, বাপু। এদিকে আমারও সময় তেমন ভালো যাচ্ছে না। তা, বাড়ি বয়ে এসেছ, ফেরাতে তো পারি না। কাজে লেগে যাও। তবে বাপু, আগেই বলে রাখি, মাইনে-কড়ি দিতে পারব না। খাওয়া-পরাটা কেবল পাবে এখানে।
এটাই বা কম কী? এই ভেবে, ছেলেটা রাজি হয়ে গেল মাথা নেড়ে। 
বেশ কিছুদিন গেল এইভাবে। কঠোর পরিশ্রম করে ছেলেটা। ফাঁকি দিতে জানেই না সে। যেমন বিনয়ী, তেমনই বিশ্বাসী। জমিদার, গিন্নিমা, তাদের একমাত্র মেয়েটি-- সকলেরই ভারি পছন্দ ছেলেটিকে। 
এদিকে হয়েছে কী, গ্রামের কিছু লোকের দয়া হোল ছেলেটার উপর। বিনা মাইনেয় খেটে মরছে ছেলেটা। জমিদার বাবু ঠকাচ্ছে তাকে। চোখ টাটাল তাদের। ছেলেটার কানে মন্ত্র দিতে লাগল তারা।
জমিদার বলে কথা। গন্ধটা ঠিক পেয়ে গেল। ভাবল, আর দেরী করা যায় না। যা করবার এখনই করতে হবে। 
সেদিন কাজ থেকে ফিরতেই, জমিদার বলল— একটা কথা বলি তোমাকে। এখন পুরো জোয়ান হয়েছ। কতদিন আর বিনে মাইনেতে খেটে মরবে? চাইলেই অনেক কাজ জুটে যাবে তোমার। তবে…
মালিকের মিষ্টি গলার কথা। ভালোই লাগছে তার। সে  জিজ্ঞেস করল—তবে মানে? কিছু বলবেন?
--আসলে হয়েছে কী, তোমাকে ভারি মনে ধরে গেছে আমাদের। আমি, গিন্নিমা দুজনেরই। আর জানো তো, একটি মেয়ে আছে আমাদের। আমাদের বুকের ধন সেই মেয়ে। দেখতেও যে সে বেশ সুন্দরী, তা তুমিও জানো। সেই মেয়েরও তোমাকে ভালো লেগেছে। বুঝতে পারি তো আমরা। তাই বলছিলাম…
আবারও থেমে গেল জমিদার। ছেলেটা বলল—কী বলছেন, বলুন। 

তোমার হাতেই দিতে চাই আমরা মেয়েটিকে। তবে, একটি শর্ত আছে। আজ থেকে তিন বছর যদি মাইনে ছাড়া কাজ করে দাও, তবেই পাবে আমার মেয়েকে। একথাটাও মনে রেখো, ছেলে নাই আমাদের। বিষয় সম্পত্তি যা আছে, ভবিষ্যতে সবই আমার মেয়ের।
ছেলেটার না করবার কোন কারণ নাই। সারা জীবনের জন্য হিল্লে হয়ে যাবে। দেরী না করে, মাথা নেড়ে দিল। 
জমিদার বলল—বলে রাখছি, যেদিন তিন বছের পূর্ণ হবে, সেদিনই বিয়ে হবে আমার মেয়ের। নড়চড় হবে না কথার। 
কাজে লেগে গেল ছেলেটা। জীবন বাজী রেখে পরিশ্রম করে। গতরে খাটে না কেবল, মাথা খাটিয়ে কাজ করে। মাথায় একটাই চিন্তা, কী করে বাড়তি লাভ হবে মালিকের। ঝোপঝাড়ে ঢাকা যায়গা হাসিল করে, নতুন নতুন খেত বানায়। নদীর জল তুলে সেচের বন্দোবস্ত করে ফসলের জমিতে। গরু-ছাগলের সংখ্যা বাড়িয়েছে অনেক। দুধ বিক্রি করে হাটে নিয়ে গিয়ে। 
টাকা-পয়সা উপচে পড়তে লাগল জমিদারের। জমিদারিও বড় হচ্ছে একটু একটু করে। 
দিন যায়, মাস যায়। গড়িয়ে যায় বছরও। কিন্তু ছেলেটা তো হিসাবকড়ি কিছুই বোঝে না। গাঁয়ের মোড়ল তাকে ডেকে গোপনে পরামর্শ দিয়েছিল একেবারে গোড়াতেই। একটা গাছের গায়ে দাগ কেটে কেটে মাস-বছরের হিসাব রাখে ছেলেটা। 

জমিদারও চুপ করে বসে নাই। অতি ধূর্ত লোক। একটা ভিখারী মজুরের সাথে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার লোক সে নয়। তিন বছর একজন জোয়ান মদ্দকে খাটিয়ে নেওয়ার জন্য তার ফন্দী আঁটা। দেখতে দেখতে দু’বছর কাটল। আড়াই বছরও কাটল যখন, আর দেরী নয়। মেয়ের জন্য উপযুক্ত ছেলের খোঁজ শুরু করল। বেশি দিল গেল না। জুটেও গেল ভালো ছেলের খবর। পাশের জমিদার রাজী হয়েছে তার ছেলের বিয়ে হবে এখানে। 
জমিদার তার মেয়ের জন্য ছেলে খুঁজছে, এ খবর কী আর চাপা থাকে? মোড়ল ঠিক জেনে গেল। কথাটা তুলেও দিল ছেলেটার কানে।
ছেলেটা তো অতি সরল। বিশ্বাসই করতে চায় না। মোড়ল বলল—বিশ্বাস করা না করা তোমার ব্যাপার। কেন না, জীবনটা তোমার। আমাদের আর কী স্বার্থ এতে? সতর্ক থেকো, এটুকুই কেবল বলে রাখছি। 
ছেলেটার কী মনে হোল, গাছের গায়ে দাগ গুনে দেখল, দিন দশেক আর বাকি তখন। 
ঘরে ফিরে নজরে এল, কিছু একটার সাড়া পড়েছে বাড়িতে। দেখতে দেখতে সাজো সাজো রব পড়ে গেল। আত্মীয় বন্ধুদের জমায়েত হতে লাগল। মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছে সারাবড়ি জুড়ে।
তিন বছর পূর্ণ হোল যেদিন, সকাল না হতেই, একটা চাকর এসে ছেলেটাকে ডেকে নিয়ে গেল মালিকের কাছে। জমিদার বলল—শোন বাপু, বলেই ছিলাম, যেদিন তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে, সেদিন হবে আমার মেয়ের বিয়ে। আজ সেই দিন। কথার খেলাপ আমি করি না।

একটু থেমে আবার বলল—এবার আমার বংশের একটা রীতির কথা বলি তোমাকে। বিয়েতে গাঁ শুদ্ধ লোক নেমন্তন্ন খাবে বাড়িতে। আমাদের রীতি হোল, নতুন চপস্টিক দিতে হয় সকল অতিথিকে। সেই স্টিক তৈরি হয় নতুন বাঁশ থেকে। তারও আবার দুটি নিয়ম আছে। বাঁশে থাকতে হবে গুণে গুণে একশঁটি গাঁট। একটি কমও নয়, একটি বেশীও নয়। আর, বাঁশটা কেটে আনতে হয় বরকে নিজেকেই একা। মেয়ের জন্য কতখানি যোগ্য সে, তার প্রমাণ হয় এই রীতির মাধ্যমে। 
ছেলেটা তো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল। কখনও এমন কথা শোনেনি জীবনে। ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে দেখতে লাগল সবার মুখের দিকে। জমিদার বলে উঠল—কীগো, ঠিক বলেছি তো? বলো, তোমরা সবাই। 
সবাই এক সুরে সায় দিতে লাগল। জমিদার বাবুর পাশটিতেই বসেছিল একজন লোক। ধোপদুরস্ত পোষাক। দেখলেই বেশ বনেদি মানুষ বলে মালুম হয়। তার তো যেন বেশি উতসাহ। 
সে বলে উঠল—একদম সঠিক কথা। এত কাজের মাঝেও, বংশের রীতি নিয়মের কথা মনে আছে দেখে, আমি অবাক হয়ে গেছি। যত বড় ঝক্কির কাজই হোক, মাথা ঠাণ্ডা রেখে, রীতিনিয়মগুলো মেনে চলতেই হয় সবাইকে। 
সবাই হই হই করে উঠল সে কথায়। ছেলেটা জানেই না, এই লোকটাই আসল বরের বাপ। ছেলেকে নিয়ে আগেভাগেই চলে এসেছে এ বাড়িতে। জমিদারের ফন্দী পুরোটাই তার জানা। 
জমিদার তাড়া লাগালো—তাহলে আর দেরী নয়। চটপট বেরিয়ে পড়ো। একটু গভীর জঙ্গলে না ঢুকলে, একশ’ গাঁটের বাঁশ সহজে মেলে না। আর শোন, সূর্যের দিকে একটু চোখ রেখো। সূর্য ডোবার আগে ফিরে আসতে হবে বাঁশ নিয়ে। 
কী আর করে? একটা ধারালো ছুরি নিয়ে, বেরিয়ে পড়ল ছেলেটা। দুই জমিদার হাসিমুখ করে তাদের ছেলেমেয়ের বিয়ের আয়োজনে লেগে গেল।  
জমিদারের আনন্দ ধরে না। বরের বাবা বলল—দেখো ভাই, ফিরে এসে, শুভ কাজের সময় ঝামেলা বাধাবে না তো? 
জমিদার চোখ কপালে তুলে বলল—কে ফিরবে? বুনোশেয়ালের পেটে যাবে আjজ হতভাগাটা। 
এদিকে ছেলেটার তো একেবারে কাহিল অবস্থা। দূপুর হতে চলল। একশ’টা গাঁট আছে, এমন বাঁশের চিহ্নটিও নাই কোথাও। সবচেয়ে লম্বা যে বাঁশের দেখা পেয়েছিল, পঞ্চাশের বেশি গাঁট নাই তাতে। 
সারাদিন নাওয়া নাই, খাওয়া নাই। ঘেমে নেয়ে হয়রান হয়ে বসে পড়ল একটা গাছের তলায়। মোড়লের কথা মনে পড়ে গেল তখন। হাঁটুতে মুখ গুঁজে কাঁদতে লাগল মনের দুঃখে। 
--কী হোল বাছা? কাঁদছো কেন? হঠাত একজনের গলা শুনে তাকিয়ে দ্যাখে, সামনে একজন বুড়ো মানুষ দাঁড়িয়ে। মাথাভর্তি একঝুড়ি চুল। রূপোর মতো ঝকঝকে রঙ তার বুক পর্যন্ত নেমে আসা দাড়ির। ভারি স্নেহমাখা  মুখখানা। দেখলেই বুক ভরে যায়। বড্ড আপন মনে হয় সাথেসাথে। 
(ভিয়েতনামের মানুষজনের বিশ্বাস, কেউ কোথাও বিপদে পড়লে, স্বয়ং বুদ্ধ এসে হাজির হন। সাহায্য করেন সঙ্কট থেকে রেহাই পেতে।) 
ছেলেটার এসব জানা নাই। ভালো মানুষ ভেবে, নিজের সব কথা গড়গড় করে বলে গেল বুড়োকে। 
বুড়োমানুষটি হাসি মুখ করে বলল—গরীবের ছেলে তুমি। এবং বেশ সরল। মালিক ঠকাবার ফন্দী করেছে তোমাকে। ঠিক আছে, এক কাজ করো তুমি। আস্ত বাঁশ নয়, বাঁশের একশ’টা গাঁট এনে দাও আমাকে। সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে তোমার। 
এ আর এমন কী কঠিন কাজ? তিন-চারটা বাঁশ কাটতেই হয়ে গেল একশ’টা গাঁট। খানিক বাদেই বুড়োকে এনে দিল  গাঁটগুলো। 
বুড়ো বলল—এবার তুমি সোজা করে একটা সারিতে সাজিয়ে দাও গাঁটগুলোকে।
ছেলেটা একটা লাইন করে মাটিতে পেতে দিল গাঁটগুলো। বুড়ো বিড়বিড় করে দু’বার উচ্চারণ করল—গাঁটগুলো জুড়ে যাক, গাঁটগুলো জুড়ে যাক!
অমনি কী অবাক কাণ্ড! সব গাঁট জুড়ে গিয়ে একটা বিশাল একখানা বাঁশ পড়ে আছে সামনে। ভয়ানক খুশিতে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে ছেলেটা দেখে, কেউ কোথাও নাই। মানুষটা যেন বাতাসে মিলিয়ে গিয়েছে।
কী আর করা যায়? বাঁশ ঘাড়ে তুলে, মালিকের বাড়ির দিকে চলল ছেলেটা। কিন্তু সমস্যা দেখা গেল একটু বাদেই। এতবড় একখানা বাঁশ। যেমন ভারি, তেমনি লম্বা। বইতে কাঁধ যেন ভেঙ্গে পড়ছে। আর বনের গাছপালার ভিতর দিয়ে অত বড় একখানা বাঁশ নিয়ে যাওয়াও কম ঝক্কি নয়।
বাঁশ ফেলে দিয়ে, ধপাস করে বসে পড়ল মাটিতে। চোখে জল এসে গেল আবার। 
তখনই বুড়ো এসে হাজির সামনে। -- হোল কী? আবার কাঁদছো কেন? 
--এক পাও এগোতে পারছি না আর এটা নিয়ে। যেমন ভারি, তেমন লম্বা। 
বুড়ো বলল—এই কথা? ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। বলেই বুড়ো বিড়বিড় করে বলল—গাঁটগুলো খুলে যাক, গাঁটগুলো খুলে যাক! 
মুখের কথা ফুরোল কি ফুরোল না, অত বড় বাঁশটা একশ’টা গাঁট হয়ে গেল আবার। 
ছেলেটাকে গাঁট খোলা আর জোড়ার মন্ত্র শিখিয়ে দিয়ে, আবার মিলিয়ে গেল বুড়োটা। গাঁটের গোছা নিয়ে মালিকের বাড়িতে হাজির হোল ছেলে। তখন বিয়ের আয়োজন চলছে পুরো দমে। তাকে ঠকাবার সব ব্যবস্থা যে পাকা, ভালো মতন বুঝে গেছে ছেলেটা। কিন্তু মুখে কিছুই বলল সে। উঠোনে সারি করে সাজাতে লাগল গাঁটগুলোকে। 

জমিদার তার কাণ্ড দেখে, কিছু ঠাহর করতে পারল না। অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখল একটু। তারপর নেমে এসে দাঁড়াল গাঁটের সারির পাশে। অবাক হয়ে বলল—আরে হাঁদারাম, পুঁটলি বেঁধে একশখানা গাঁট আনতে বলিনি তোমাকে। একশ’ গাঁটের বাঁশ আনতে বলেছি। আস্ত একখানা বাঁশ। গাঁট দিয়ে চপস্টিক তৈরি হয় না কি?
ছেলেটার তখন গাঁট সাজানো শেষ হয়েছে। সে বলে উঠল—গাঁটগুলো সব জুড়ে যাক! গাঁটগুলো সব জুড়ে যাক!
অমনি সেই যাদুর খেলা। গাঁটগুলো সব পরপর জুড়ে যেতে লাগল। জমিদার বাবু দাঁড়িয়ে ছিল গাঁটের সারির গায়ে। তার পা দুটোও বাঁধা পড়ে গেল বাঁশের সাথে। 
আর, দু’-দুটো পা বাঁধা পড়ে গেলে যা হয় আর কী। যেই ছাড়াতে গেল জমিদার, অমনি ধপাস। উঠোন ভরা লোকজন। সকলের সামনে এমন বেইজ্জতি কাণ্ড।
আরে হোলটা কী? হোলটা কী—বলতে বলতে দৌড়ে এল হবু বরের বাপ। মেয়ের বাপকে টেনে তুলতে গেল। অমনি সে মানুষটাও জড়িয়ে গেল বাঁশের প্যাঁচে। এবং আবার ধপাস।
ঘর ভর্তি লোক। সবার সামনে মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে দুই হবু বেয়াইঠাকুর। সে কী নাজেহাল অবস্থা দুই জমিদারের।
গাঁয়ের মোড়লও ছিল ভীড়ের ভিতর। মওকা বুঝে, সে বলে উঠল— পুরুত মশাইকে ডাকো এবার। বিয়ের ব্যাপারটা সেরে ফেলুক এসে। সারা জীবন বেগার খেটেছে। শেষ শর্ত ছিল একশ’ গাঁটের বাঁশ। সেটাও এনে হাজির করেছে এই তালেবর ছেলে। তাহলে আর দেরী কীসের?
সবাই হইহই করে উঠল। সবাই খুশি। একজন ছুটল পুরুতকে ধরে আনতে। 
জমিদার লুটিয়ে পড়ে আছে ধুলোয়। সে ককিয়ে উঠল—ঘাট হয়েছে আমার। আমাকে ছেড়ে দাও, বাছা। তোমার সাথেই বিয়ে হবে আমার মেয়ের। নিজেই সম্প্রদান করব আমি। 
বাহাদুরি দেখাবার কাজে মোড়ল কম ওস্তাদ নয়। সে ছেলেটার কাছে এগিয়ে এসে বলল—হ্যাঁ, বাপু! ভুল করেও, কেউ স্বীকার করে নিলে, তাকে মাফ করে দিতে হয়। এটাই আমাদের বুদ্ধের শিক্ষা।
সবাই তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে। সে হাসি মুখ করে বলল-- গাঁটগুলো সব খুলে যাক! গাঁটগুলো সব খুলে যাক! 

ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে গেল। গ্রামশুদ্ধ লোক ভোজ খেল পেট ভরে।
তবে, সেই একশ’ গাঁটওয়ালা বাঁশটা থেকে চপস্টিক বানানো হয়েছিল কি না, বা তা দিয়েই ভোজ খেয়েছিল কি না গাঁয়ের লোকজন—হইহুল্লোড়ে সে খবরটা নেওয়া হয়নি আমাদের।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments