জ্বলদর্চি

কবিতা অ্যাভিনিউ -১৭/বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

কবিতা অ্যাভিনিউ 
বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

পর্ব ১৭ 

এই ধারাবাহিক গদ্য আসলে একজন পাঠকের জার্নাল। দীর্ঘ ১৬ পর্বে বিভিন্ন কবির কথা বলা হলেও তা মূলত কবিতাপথেরই বৃত্তান্ত। যে কবিতাপথ ছুঁয়ে আছে নিবন্ধকারের ব্যক্তিগত হৃদয়। কারোও কারোও  মনে হতে পারে  গুরুত্বপূর্ণ কবিরা  কেন অনুপস্থিত থেকে যাচ্ছেন এই গদ্যে? আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এ প্রশ্ন করেছেন, অনেকে সরাসরি না করলেও ইঙ্গিতে বিষয়টি বলবার চেষ্টা করেছেন। যদিও এই গদ্যে প্রশ্নগুলির জবার দেওয়ার কোন দায় নেই। যেহেতু এসবই  কবিতা সম্পর্কিত তাই এর সদুত্তর দিলেও তা মূলভাবনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। আমি এখানে সময়ের ধারা বিবরণী বা বাংলা কাব্য সাহিত্যের ইতিহাস তুলে ধরছি না। ফলে কালক্রমিক বিবরণের এখানে কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই। দ্বিতীয়ত এই পথ অন্তহীন। পৃথিবীতে কবিতা পড়ার শেষ হবে না কোনোদিন। ফলে কেউই অনুপস্থিত নন। সবাইকে ছুঁয়েই এই অভিযাত্রা। এই পথ তো কবিতারই পথ। যা তৈরি করে গেছেন চর্যাপদের পদকর্তারা। যা গড়ে তুলেছেন মঙ্গলকাব্যের কবিরা। এবং মাথার উপরে রবীন্দ্রনাথ  চির শাশ্বত হয়ে আছেন এই পথে, এই প্রবাহের মধ্যে।  
দুঃখ মিথ্যে, অলীক মনখারাপেরও কোন স্থান নেই আমাদের অমেয় জীবনে। যা সত্য তা হল শান্তি, তা হল আনন্দ ।রবীন্দ্রনাথ খুব প্রাঞ্জল ভঙ্গিমায় তা আমাদের বলে গেছেন-‘ আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহ দহন লাগে/ তবুও শান্তি তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে/’ কবিতা আমাদের এই অনন্তের সন্ধান দেয়। সেই আনন্দের স্পর্শে আমরা জেগে থাকি। আর জেগে থাকতে থাকতে ভাবি এই কথাগুলোই কি ঘুরে ফিরে আবর্তিত হয়নি আমাদের জীবনপ্রবাহে। পরবর্তী সময়ের কবিতায় –‘ তবু জীবনের বিজয়মাধুরী কমবে না এক তিলও’ বা ‘ আহা সুন্দর এ পৃথিবী এ জীবন বিনামূল্যেই অমূল্য রতন দান’ ।  কবি অমিয় চক্রবর্তী যখন বলেন-‘ যাই ভিজে ঘাসে ঘাসে বাগানের নিবিড় পল্লবে’  শব্দের বাগানের সেই নিবিড় পল্লবে ভিজতে ভিজতেই এই পথ চলা। এই পরিক্রমা। এই পথ চলতে চলতেই ‘ শুনেছি কিন্নর কণ্ঠ দেবদারু গাছে/ দেখেছি অমৃত সূর্য আছে’ আছে , অবশ্যই আছে আমাদের বোধির ভিতরে। তাই ‘ এই বোধির ভিতরে/ চলেছে নক্ষত্র, রাত্রি, সিন্ধু, রীতি, মানুষের বিষণ্ণ হৃদয়/ জয়, অস্ত সূর্য জয়, অলখ অরুণোদয় জয়।’
স্বাধীন বাংলা কবিতার সূত্রপাত রবীন্দ্র বিরোধিতার মধ্য দিয়ে। শেকল ছেঁড়ার বাসনায় কি কোথাও খাঁচাতেই আবদ্ধ হওয়ার, আত্মসমর্পণের গভীরতর বাসনা কি প্রতিফলিত হয়নি? প্রশ্নের মধ্য দিয়ে তাঁর ভাবনার কাছে প্রণিপাত করাই কি হয়ে উঠেনি অনিবার্য নিয়তি? 
বিগত শতাব্দীর তিরিশের মধ্যবিন্দু থেকে চারের দশকের শেষপ্রান্ত ছুঁয়ে যে কবিতাপ্রবাহ সেখানে আমরা দেখেছি প্রতিক্রিয়া এবং আত্মসমর্পণের দ্বন্দ্ব, দেখেছি বিদ্রোহ এবং ভক্তির যুগপৎ সহাবস্থান। আধুনিক বাংলা কবিতার স্পন্দনে ছোঁয়া লেগেছে রাজনৈতিক চেতনার। ক্রমবর্ধমান শ্রমিক কৃষক আন্দোলন, মানুষের রুটি রুজির লড়াই, এবং দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের মধ্য দিয়ে সমাজবিপ্লবের যে ভাবনা আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় নতুন তরঙ্গের সঞ্চার করেছিল। ম্যক্সিম গোর্কি, মায়াকভক্সি, পাবলো নেরুদা, লোরকা, পল অ্যালুয়ার হয়ে উঠেছিলেন বাংলার আত্মজন। ১৯৩১  এ রাশিয়ার চিঠি প্রকাশিত হয়েছিল। তার আগে ১৯৩০ সালে রবীন্দ্রনাথ রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। ১৯৩৬, তিনি প্রগতি লেখক সংখে যোগ দিয়েছিলেন।এর প্রভাব রবীন্দ্রমনেও পড়েছিল। তিনি ‘ওরা কাজ করে’ লিখলেন। লিখলেন ঐকতান। লিখলেন সভ্যতার সংকট। এবং আরও  অজস্র সৃষ্টির ভেতর তিনি শ্রমিক কৃষক ব্রাত্যজনের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ব্যক্ত করলেন। 
এই কবিতা সরণির উপর দিয়ে আমরা যখন হাঁটি তখন অজস্র কবির ভানবার সাথে সঙ্গতি রেখেই আমরা পথ হাঁটি। কবি সমর সেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সুকান্ত ভট্টাচার্য নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ কবিগণ আমাদের পথকে আলোক-উত্তীর্ণ  করেন। অন্যদিকে চারের দশকের মধুবংশীর গলি খ্যাত জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র আমাদের সামনে এসে দাঁড়ান, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তো আছেনই, তাঁর কবিতা নিয়ে কথা বলেছি পুর্ববর্তী পর্বে। আছেন দীনেশ দাস, মনীন্দ্র রায়, রাম বসু, সিদ্ধেশ্বর সেন, অরুণ সরকার, বাণী রায়, রাজলক্ষ্মী দেবী, নরেশ গুহ, রমেন্দ্রকুমার আচার্য চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায়,  পূর্ণেন্দু পত্রী, জগন্নাথ চক্রবর্তী, গোলাম কুদ্দুস, কবিতা সিংহ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা নিয়ে তো আগেই বলেছি, এছাড়া আছেন শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজয়া মুখোপাধ্যায়, কল্যাণকুমার দাশগুপ্ত, সুনীলকুমার নন্দী, অরবিন্দ গুহ প্রমুখ গুরুত্বপূর্ণ কবিরা আছেন আমাদের চৈতন্যের শিকড়ে। সমস্ত কবির সমস্ত কবিতা আমার পড়াও নেই। বিখ্যাত এবং বহুপঠিত কবিদের কবিতা তো সবাই কমবেশি পড়েন। ফলে এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার থাকে না।   
 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পটভূমির উপর নাগরিক জীবনের ক্লান্তি ও অবসাদ, গ্লানি ও বেদনা এসে ছায়া ফেলে। বিপণন দুনিয়ার চোখ ধাঁধানো আলোকের ঝর্ণাধারার মধ্যে এক অনুভূতিহীন ভোগবাদী পণ্যবাদী দুনিয়া আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। যার চূড়ান্ত ফল হিসেবে ব্যক্তির বিযুক্তিকরণ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে। ‘যে পথে  নিঃশব্দ অন্ধকার উঠেছে ঘন হয়ে/ ক্লান্ত স্তব্ধতার মতো/ সে পথে দক্ষিণ হতে  হঠাৎ হাহাকার এল/ শীতের আকাশে তীক্ষ্ণতায় তারাগুলি আঁকা/ হঠাৎ চাঁদ উঠে এল/ কঠিন পায়ে;/ কালো পাথরের মতো মসৃণ শরীর/ মেয়েটি চোখ মেলল বাইরের আকাশে-/ সে চোখে নেই নীলের আভাস, নেই  সমুদ্রের গভীরতা,/ শুধু কিসের ক্ষুধার্ত দীপ্তি/ কঠিন ইশারা/ কিসের হিংস্র হাহাকার সে চোখে’ কবি সমর সেন এই চোখকেই দেখেছেন বারবার-‘ মাঝে মাঝে তোমার চোখে দেখেছি বাসনার বিষণ্ণ দুঃস্বপ্ন/ তার অদৃশ্য অন্ধকার প্রতি মুহূর্তে / আমার রক্তে হানা দেয়; / আমার দিনের জীবনে  তোমার সেই দুঃস্বপ্ন / এনেছে পারহীন অন্ধকার” 
সম্পূর্ণ এ্যান্টি রোমান্টিক কবিতা কবিতায় নগ্ন ভাবে উঠে এসেছে বাস্তবের উজ্জ্বল প্রতিভাস। যেখানে মলিন হয়ে গেছে সমস্ত আতরের গন্ধ।‘ ম্লান হয়ে এল রুমালে রিভলভিং ইন প্যারিসের গন্ধ/ হে শহর, হে ধূসর  শহর।  কালিঘাট ব্রিজের উপরে কখনও কি / শুনতে পাও লম্পটের পদধ্বনি/ কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?’ 
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় মুখের কথাকে রূপান্তরিত করেছেন কবিতায়। পরে তাঁর কবিতা নিয়ে কোন এক পর্বে বলব। আরও সময় নিতে হবে এই উচ্চারণের জন্য। কারণ কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা জনজীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে সংযুক্ত হলেও তাঁর কবিতার যে চিন্তাবীজ তাকে আরও গভীরভাবে আত্মস্থ করতে হবে। বাংলা কাব্যের গঠনের, বাক্যের মুন্সিয়ানায়, ভাষায়, ছন্দে এবং বলবার প্রকৌশলে  তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন এক স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। 
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য/ আগুনের নীল শিখার মতন আকাশ রাগে রি রি করে/ সমুদ্রে ডানা ঝাড়ে দুরন্ত ঝড়’ তিনি তা অনুভব করেছেন হৃদয়ের গভীরতম প্রদেশ থেকে। তিনি দেখেছেন-‘ নখাগ্রে নক্ষত্রপল্লি  ট্যাঁকে টুকরো অর্দ্ধদগ্ধ বিড়ি’ মুখের সাদামাঠা কথাকে কবিতাবদ্ধ করবার যে পথ আমাদের সেই পথের উপর দিয়ে অবশ্যই হাঁটতে হবে। হাঁটতে হাঁটতে আমরা দেখতে পাব-‘ কী আশ্চর্য/ কখনই তুমি তো কাঁদো না/ পুঁটুলি পাকিয়ে রেখে গেছ/ যে মনোবেদনা/ পুড়ে যাচ্ছি আমি তার আঁচে’ তিনি এই আঁচে পুড়তে পেরেছেন বলেই লিখেছেন এরকম অজস্র কবিতা। ‘ তাঁর কবিতায় শব্দ ছিপ নৌকোর মতো  কবিতাটিকে নিয়ে দৌড় দিতে পারে। কোথাও গুরুভার হয়ে পথ জুড়ে থাকে না। মুখের ছিপছিপে সরু কথাকে বেতের মতো ব্যবহার করতে পারেন তিনি। এবং তাঁর উজ্জ্বল বর্ণিল শব্দের শাণিত ব্যবহার বাংলা কবিতায় ফলপ্রসূ হয়েছে।’ ( সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা প্রসঙ্গে প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত/ আধুনিক কবিতার ইতিহাস-সম্পাদনা অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ও দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়)।  
আমি যতদূরেই যাই
   আমার সঙ্গে যায়
ঢেউয়ের মালা-গাঁথা
এক নদীর নাম-

আমি যতদুরেই যাই।
আমার চোখের পাতায় লেগে থাকে
নিকোনো উঠোনে
সারি সারি
   লক্ষ্মীর পা

আমি যতদূরেই যাই।
এই কবিতাপথের উপর দিয়ে যেতে যেতে এই নদীর সাথে আমাদের দেখা হয় প্রতিদিন। 
 অন্যদিকে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে আমরা দেখেছি আপাদমস্তক রোম্যান্টিক কবি হিসেবে। এই বলাটুকুও সামগ্রিক অর্থে ঠিক নয়। তাঁর কবিতার ভেতর সমাজজীবনের ছায়া খুব সুগভীর ভাবে এসে পড়েছে। দেশ কালের শেকড়কে আত্মীকরন করে তাঁর কবিতায় রয়েছে সৎ জীবন দার্শনিকতা।অমলকান্তি কবিতা বারবার অনুবর্তিত হয় আমাদের জীবনে। কবিতাটি যদি আরেকবার পড়ি। ক্ষতি কী! 
‘অমলকান্তি আমার বন্ধু,
ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো, পড়া পারত না,
শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে
এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে,
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের।
আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে-সব কিছু হতে চায়নি।
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল!
ক্ষান্তবর্ষণ কাক-ডাকা বিকেলের সেই লাজুক রোদ্দুর,
জাম আর জামরুলের পাতায়
যা নাকি অল্প-একটু হাসির মতন লেগে থাকে।
আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সে এখন অন্ধকার একটা ছাপাখানায় কাজ করে।
মাঝে মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে;
চা খায়, এটা-ওটা গল্প করে, তারপর বলে, “উঠি তাহলে।”
আমি ওকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।
আমাদের মধ্যে যে এখন মাষ্টারি করে,
অনায়াসে সে ডাক্তার হতে পারত,
যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল,
উকিল হলে তার এমন কিছু ক্ষতি হত না।
অথচ, সকলেরই ইচ্ছেপূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সেই অমলকান্তি–রোদ্দুরের কথা ভাবতে-ভাবতে
ভাবতে-ভাবতে
যে একদিন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।’
এই কবিতা আমাদের জানায় যে জীবনকে বিচার করতে হবে বিফলতার মাত্রা দিয়ে। তোমার স্বপ্ন যদি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র বা উকিল এরকম পরিসরের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়, তবে তা পূরণ হবেই। যদি স্বপ্ন হয় কয়েক শো কোটী টাকা। তাও তো সীমাবদ্ধ স্বপ্ন। এই পূর্ণতা দিয়ে জীবনকে মাপা যায় না। কিন্তু যদি স্বপ্নটা এরকম হয় যে দুনিয়া থেকে অনাহার , অশিক্ষা দূরীকরণই হয়ে উঠবে জীবনের মূলমন্ত্র তাহলে সে স্বপ্ন  এক জীবনে পূরণ  হবে না কোনদিন।  এই বিফলতাই বুঝিয়ে দেয় স্বপ্নের সীমান। অমলকান্তি বেঁচে থাকে এখানেই। সে রোদ্দুর হতে চায়। সে  পৃথিবী থেকে সমস্ত অন্ধকার দূর করতে চায়। এই স্বপ্ন অসীমের স্বপ্ন। অনন্তপথের স্বপ্ন। কিংবা যখন নিচের লাইনগুলির সামনে এসে আমরা দাঁড়াই- 
যা গিয়ে ওই উঠানে তুই দাঁড়া 
লাউমাচার পাশে।
ছোট্ট একটা ফুল দুলছে, ফুল দুলছে, ফুল
সন্ধ্যার বাতাসে।
কে এইখানে এসেছিল অনেক বছর আগে
কে এইখানে ঘর বেঁধেছে নিবিড় অনুরাগে।
কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে
এই মাটিকে এই হাওয়াকে আবার ভালোবাসে।
ফুরায় না তার কিছুই ফুরায় না,
নটেগাছটি বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়োয় না। 
না, নটেগাছটি বুড়িয়ে যায় না। চির সবুজ হয়ে জেগে থাকে। ( চলবে)

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments