তিনটি কবিতা
মোনালিসা পাহাড়ী
মানুষ খুঁজছি শুধু... মড়াদের দেশে
শুধু কি দিয়েছো আগুন বদ্ধ ঘরে-
সভ্যতার মুখে নুড়ো জ্বেলে দিয়েছো তো আচ্ছা করে
কে তোমরা?
সভ্যতার সন্তান-?
মানুষ মায়ের গর্ভ থেকে সৃষ্টি তোমাদের?
রক্ত- মাংস, দয়া-মায়া দিয়ে গড়া আর পাঁচটা
মানুষ যেমন হয় তেমনি কি?
নাকি পাপের পাশাখেলার অদৃশ্য মোহরা সব
হৃদয় কুরে কুরে পোরা শুধু হিংসা ঘৃণা দ্বেষ লোভ
জীবন্ত মানুষ হয়ে পাশাপাশি হাঁটো
বাসে ট্রামে ভিড়ে মিশে যাও আমজনতার
অকুস্থল চিনিয়ে দেয় স্বরূপ তোমার
শিশুর আর্তনাদে ফেটে পড় উল্লাসে
বিসর্জনের বাজনা বাজে ঘোর অবেলার
তোমাকে চিনিনি আমি,চিনেছি নিজেকে
ভয়ে ঘৃণা লজ্জায় মানবিক মুখ
ভেঙে চূরে চূরমার ... জাগতিক সুখ
অতি সন্তর্পনে খুঁজে ফিরি- মানুষ, মানুষ।
তোমাকে
তুমি তো নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছো আখের
ক্ষমতাও পুষেছো মুঠোয়
আমজনতার কথা শুনে আর করনি তো
এতটুকু সময় অপচয়।
দেশ যাক্ ভেসে তবু, তুমি তো শক্ত ঘাঁটি
গেড়ে নিতে পেরেছো সমাজে
মেহনতি মানুষের সম্পদ কেড়ে নিতে
কাঁপে নাতো দুটি হাত লাজে।
তোমার পকেটে অস্ত্র, উঁকি দেয় দিনে রাতে
শঙ্কায় ভয়ে ওরা কাঁপে,
আশে পাশে তাঁবেদার, ভিড় করে চারধার
ক্ষমতায় তোমাকে যে মাপে।
তবু জেনো দিন যায়,দিন ফেরে, দিন যায়
সময় এক না কভু থাকে,
কবে যে কোথায় কে,পড়ে যাবে কোন পাঁকে
কে আর খবর তার রাখে।
কেউ কেউ
আমাদের পথ ছিল ভিন্নরকম
সে পথে হেঁটেছি সব যে যার মতন।
পায়ে পায়ে বদলেছে ছন্দের রীতি
বদলেছে ভালোলাগা, স্নেহ প্রেম প্রীতি।
কেউ বাঁচে দৃঢ়তায়, কেউ দলদাসে
কেউ বা দুনিয়া ভরায় মৃতদেহ, লাশে।
কেউ জ্বালে শিক্ষার প্রদীপ দুহাতে
আগুনে পোড়ায় কেউ প্রতিবেশী রাতে।
ছাই ঘেঁটে জীবনকে কেউ তুলে আনে
কেউ বা জীবন শুধু জ্বালাতেই জানে।
0 Comments