জ্বলদর্চি

আদিরিপু / শ্রীজিৎ জানা

আদিরিপু

শ্রীজিৎ জানা


নরম বিছানা কখনো পাথুরে মনে হয়। তুলোর মোলায়েম আদর ধারালো আলপিনের মতো শরীরে বেঁধে। সারা বাড়িময় কুসুমহীন সার সার কাঁটাগাছ! শোবার রুমে অসহ্য আঁশটে গন্ধ। পালিশ করা রঙিন দেয়ালে থোকা থোকা বিরক্তি। জানলা দরজার পর্দারা  কেঁপে উঠে বিষাদ বাতাসে। কতদিন যেন সুর নামের অন্তর্গত আনন্দটুকু পাড়ি দিয়েছে অজানায়। গলা বেয়ে শুধু সাড়া বেরোয়।তিয়াসার মনের  চারপাশ জুড়ে এমনই কতশত ভাবনার ছায়াছবি! চোখের দিকে নিষ্পলক তাকিয়েও কেউ তার থই পায় না!ঠিক যেন কাঁকি নদীটির মতো। বর্ষায় মনে হবে কতো ভরভরন্ত ঘরদোর তার। অম্নি যেই ভাদ্র ফুরাবে ভেতরের বালুময় চর হাহাকার করে উঠবে তার।

 তিয়াসার ভিতরেও আর্তনাদের স্বর ছটপট করে। কিন্তু কার কাছে মেলে ধরবে তার যন্ত্রণার দিনলিপি!এমনিতে মনে হবে তার সংসারে যেন সুখ দু'কুল ছাপাচ্ছে। দুজন দুজনকে ভালোবেসেই পিঁড়িতে বসেছে। দুবছর ধরে কম চরে বেড়ায়নি তারা। এলাকার পার্কের বেঞ্চগুলো, পাতাবাহার গাছগুলো, নির্বাক স্ট্যাচুগুলো তাদের কথাবলায় কান পেতেছে। রেস্তোঁরার চেয়ারটেবিল তাদের কত খুনসুটির স্মৃতি মেখে আছে।তারপর সপ্তক চাকুরীতে জয়েন্ট করার পরেই বাড়িতে জানিয়ে দ্যায় তিয়াসা। ফ্যামিলিতে কারো তেমন কোনো সম্মতি ছিল না।
 
  শরীর থেকে অগ্নুৎপাত হয়।তিয়াসাকে সেই গনগনে লাভা স্রোতের প্রথম হদিশ দিয়েছে সপ্তক। তার শরীরের মধ্যেই যে এক আশ্চর্য টিয়াবন লুকিয়ে আছে সেকথাও তাকে প্রথম বলেছে সপ্তক। আদিম অরণ্যচারীর মতো সমস্ত টিয়াবন দাপিয়ে বেড়ায় সে। তিয়াসা রোমাঞ্চিত হয়। সপ্তক বনময় খনন করে তুলে আনে মণিমাণিক্য। সেইসব বিস্ময়কর খনি গহ্বরের কথা তিয়াসাকে শোনায়। তিয়াসা আবিষ্ট হয় তার শরীরের আরণ্যক উপাখ্যানে।

---তিয়াসা তোমার বুকের উপর পুঞ্জিভূত যেন শরতের সাদা মেঘ।সেই নরম মেঘের ভিতর ডুব দিলেই আদ্যপ্রান্ত ভিজিয়ে দ্যায় সাদা বৃষ্টিতে।
তিয়াসার আহ্লাদভরা দুটি হাত জাপ্টে টেনে নেয় সপ্তককে। অজগরের মতে জোরালো মোচড়ে দিয়ে যেন তার নিজের শরীর সাথে পিষে দিতে চায় সে।

  বর্ষার মরসুমে মাঠময় কৃষকের হালকর্ষণ দৃশ্য কী তবে মানুষের আদিরিপুর চিত্রাভাষ। ঊর্বরা ক্ষেত যেন নারী। লাঙলের ফলা যেন পুরুষ। কৃষক কামনা আর বলদ তার প্রচণ্ড শক্তি। সপ্তক বহুবার এমন কর্ষণ দৃশ্য রচনা করেছে। শহর অথবা শহর ছাড়িয়ে দূরের কোন লজের চিলতে কামরায় উর্বরা তিয়াসার মৃত্তিকাভেদ করে অজান্তেই বপন করেছে বীজ। গর্ভের ভিতর সেইসব শিশুবীজ বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে কৃষক-কৃষকী স্বেচ্ছায় । তারপরও প্রচণ্ড প্রাণশক্তি নিয়ে একটি বীজ অজান্তেই নাড়ীর স্পন্দনে এক অনন্য অনুভূতির স্পর্শসুখ দিয়েছে তিয়াসাকে । তিয়াসা তাকে ধারণ করতে চায়। সে এখন জগতের সব থেকে সুন্দর সৌভাগ্যবতী নারী হতে চায়। সে যেন ফলবতী  স্বর্গীয় পারিজাত বৃক্ষ।

  বাড়ির ঘোর আপত্তি থাকলেও তিয়াসা তার সিঁথিতে মোরগফুলের মতো টুকটুকে সূর্য এঁকে নেয় সপ্তকের হাতে। বাপের বাড়ির সঙ্গে একপ্রকার সব সম্পর্ক চুকে যায়। ভিন রাজ্যের সুসজ্জিত ফ্ল্যাটে তিয়াসার সংসার। ক্লোজ ফ্রেন্ড অর্ণা ছাড়া বাপের বাড়ি অথবা শ্বশুরবাড়ির কেউই জানেনা তিয়াসার ভিতর প্রায় দু'মাসের একটা প্রাণ রয়েছে সুষুপ্তিতে। ডক্টর জানিয়েছেন,এখনো অব্দি সব ঠিকই আছে। সামান্য মেডিসিন আর একটক ডায়েটচার্ট প্রেসকাইব করেছেন।

  তিয়াসা তার ঘরের ভিতর  কচি দুটো নড়বড়ে পায়ের হাঁটাচলার খুশি অনুভব করে। কতরকম আগত খুশির সম্ভাবনায় সে তলিয়ে যাচ্ছিল মাতৃসুখ নামক সুখানুভূতির অতল প্রদেশে। দিন দু'য়েক পরই তার হঠাৎ সম্বিত ফেরে। গুচ্ছের ঝক্কিঝামেলায় তার খেয়াল হয়নি। সপ্তকের চোখেমুখের রোদ্দুরে তার আঁচল পেতে দেওয়া হয়নি এই কদিনে।বিছানায় তারা দুজনেই ছিল অথচ কেউ কারো নিঃশ্বাসটুকুও যেন টের পায়নি এই ক'রাতে। ডক্টর জানিযেছেন,
---এই প্রেগিনেন্সি পিরিয়ডে সেক্সচুয়াল বিষযে কিছুটা সেল্ফ কন্ট্রোলে থাকা বেটার। 
 তার জন্যই কী সপ্তকের ব্রহ্মচর্য পালন। নাকি টিয়াবনের সমস্ত রহস্যময়তা সপ্তকের মন থেকে ক্রমশ বিলীন। তিয়াসা ডুব দ্যায় ভাবনার গভীরে।

অফিস থেকে ফেরা অব্দি তিয়াসার চোখের রঞ্জনরশ্মিতে পোস্টমর্টেম হতে থাকে সপ্তকের গতিপ্রকৃতি । কথা বিনিময় হয় প্রতিদিনের মতো। টুকরোটাকরা হাসি,একআধ চিমটি ইয়ার্কি,কিম্বা চরেবেড়ানো কলেজ লাইফের দিনের মতো গটাকয়েক স্ল্যাং ওয়ার্ড স্বচ্ছ্ন্দে বাক্যে বসে যায়।কোনরকম টের পায়না সপ্তক। রাতের নরম বিছানায় তিয়াসা তার স্তুপাকার শরতের সাদা মেঘের  আগল খুলে দেয়,নরম জমির প্রান্তর মেলে ধরে। নাইট বাল্বের মায়াবী সবুজ আলোয় তিয়াসা যেন কর্ষণ উন্মুখ সপ্তকের গাঁয়ের বামুনকুড়ের মাঠ। হঠাৎ সপ্তক বলে উঠে,
---এই আলোয় তোমাকে অর্ণার মতো লাগছে। আজ তুমি অর্ণা হোয়ে যাও।
চমকে উঠে তিয়াসা। তবু সহজেই সিচুয়েশনের সাথে তাল মেলায়,
---অর্ণা খুব মেসেজ করছে নাকি আজকাল?
টিয়াবনের অরণ্যচর তখন পাড়ি দিয়েছে দূরের কোনো গহীন বনে।

  সপ্তক অফিস যাওয়া মাত্রই বড্ড ফাঁকা ফাঁকা লাগে তিয়াসার। অনেকদিন এসেছে তারা এখানে। মা-বাবা একবারও তাকে ফোন করেনি। শ্বশুর বাড়ির লোকজন সাধেস্বপ্নে একআধবার। যেন সময় কাটতেই চায় না তার। ডক্টরের পরামর্শে গান শোনা আর বইপড়ার মধ্যে কিছুটা সময় কাটিয়ে দ্যায় সে। সপ্তক রাত করে ফেরে। অতরাতে কোথাও বেরোতে তিয়াসার মন চায় না। উইকএন্ডে একটু ঢুঁ মেরে আসে কাছেপিঠে।

  সকাল থেকেই গতরাতের ঘটনাটা তার মাথায় আঁকিবুঁকি কেটে চলেছে। মনে মনে তিয়াসা ভাবে এই কদিনেই টিয়াবনের সৌন্দর্যরহস্য, রোমাঞ্চ সব কী হারিয়ে গেল! অর্ণা কেন ঢুকে পোড়লো তাদের একান্ত জীবনের ভিতর। সপ্তকের ফোনের আগাপাছতলা চিরুনিতল্লাশি করেও কিচ্ছু পায়নি সে। তিয়াসা আরো কিছু বুঝে উঠতে চায়। তবে এটুকু কদিনে বুঝেছে সপ্তক যেন অন্য মানুষ হোয়ে উঠছে দিনদিন। রাতে সপ্তকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিয়াসা জড়িয়ে ধরে। হাত ছাড়িয়ে মিয়ানো একটা হাসি মেলে ধরে কাত হোয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সপ্তক। 

 কৃষকের ফসল ফলানোর আনন্দ কতখানি তা গাঁয়ের কৃষকদের চোখমুখ দেখলে বোঝা যায়। যেন সে যুদ্ধ জয় করেছে যুদ্ধক্ষেত্রে। সপ্তকের চলনবলনে সেই জয়ের আভাস বারবার খুঁজতে থাকে তিয়াসা।আবারো রাতে সে মোহময়ী হোয়ে উঠে।এবার ক্ষুধার্ত সপ্তক অন্য এক খাবারের সন্ধান দ্যায়।
---আজ তুমি অফিসের অমৃতা।
বলা মাত্রই তিয়াসা ঝাঁকুনি দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দ্যায় সপ্তককে। উঠে বসে বিছানার উপর। কিন্তু সামনে তখন এক অন্য সপ্তক। যেন লালা ঝরছে তার মুখ থেকে। সমস্ত বাধা হার মেনে যায়। কঁকিয়ে উঠে তিয়াসা। চোখের পাতা জোড়া লাগেনা তার সারারাত। রণক্লান্ত যোদ্ধার মতো ওদিকে ঘুমে অচেতন হোয়ে পড়ে থাকে সপ্তক। কিছুতেই মেলাতে পারেনা তিয়াসা তার আগের সপ্তকের সাথে।তবে কী শুধু তার শরীর পেতে চেয়েছিল সপ্তক! সেই শরীরের সমস্ত অলিগলি তার চেনা হোয়ে গ্যাছে। এখন সে ওই শরীরের ভিতর খুঁজতে চাইছে অন্য এক শরীর।তিয়াসার গা গুলোতে থাকে। বাথরুমে ছুটে যায়। এক ঝলকা বমিজল বেসিনে উগরে দ্যায়। সপ্তককে তার মানসিক রুগী মনে হয়।

পরের দিন সকালে চায়ের টেবিলে গর্জে উঠে তিয়াসা।
--এগুলো কী হচ্ছে সপ্তক? ওসব আমার এক্কেবারে ভাল লাগে না।
---এনজয় করতে শেখো। ইজি ভাবে নিতে তো পারো। ইটস আ ওয়ান টাইপ প্রোসেস অপ সেক্সচুয়াল এন্টারটেইনমেন্ট।
---ইটস এ হেটফুল মেন্টালিটি। শুধু শরীরী সম্ভোগকেই সেক্স বলে না সপ্তক!তার সাথে মানসিক তৃপ্তির একটা রিলেশন  আছে।
---অন্যকে মনে মনে ভাবলেও আসলে তো তোমার দেহেই মিশে যাচ্ছে আমার ইচ্ছে,আমার আগুন।
---সেক্সকে তুমি শুধু ফিজিক্যাল ও হরমোনাল জায়গায় রেখে ভাবছো। কিম্বা যৌনতা হয়তো সেটাই কিন্তু মনকে আমি বেশি গুরুত্ব দিতে চাই।
----তুমি সিরিয়াস করে দিচ্ছো সব। রোবোটিক যুগে এসব ভেরি ইজি ডার্লিং।
---আই কান্ট টলারেট। তোমাকে এভাবে দেখতে চাই না সপ্তক। আমার কাছে তোমার ফেসলস হচ্ছে!কারেকটারও! বুঝতে পারছো না? বিছানা ক্রমে বিষময় হোয়ে উঠছে। ডোন্ট ডু দিস এগেন।

 সপ্তক কতদিন কথা বন্ধ রাখে। তিয়াসাও কোন সাড়া দ্যায় না। শরীরের ভিতর মাঝেসাঝে নড়ে উঠা প্রাণ তিয়াসাকে সব ভুলিয়ে দ্যায়। দুজনের নীড়ে কতদিন আর পরস্পর মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারে। দেহজ ক্ষুধার উত্তাপ সপ্তকের আচরণে স্পষ্ট হোয়ে উঠে। এই সময়ে শারীরিক চাহিদা থেকে দূরে থাকাই শ্রেয় জেনেও তিয়াসা সেইরাতে এগিয়ে যায়। চরম মুহুর্তে অস্ফুটভাবে একটা নাম সপ্তকের মুখ থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে। তিয়াসার মাথায় বিদ্যুৎ খেলে যায়। এবার সে সজোরে ধাক্কা মারে সপ্তককে। চেঁচিয়ে উঠে সে
---আই হেট ইউ সপ্তক। একটা দেহভূক মেন্টাল পেসেন্ট কোথাকার। এতো নীচে নেমে গ্যাছো তুমি।একটা কাজের মেয়েকে বসাতে চাইছো আমার শরীরে।
বলেই পেটের উপর মমতার হাত রেখে চিৎকার করে কেঁদে উঠে। দূরে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকে সপ্তক। তার চাহুনিতে যেন পরাজিত সৈনিকের রাগত  হতাশা। সারারাত ঘুমহীন কাটে দুজনের। তিয়াসা ভেবে পায় না তার কী করা উচিত এখন। তার গর্ভের প্রাণকে সে সর্বস্ব দিয়ে আগলাবে নাকি শেষ করে দেবে। এই ঘৃন্য কামনার গরল তার গায়ে লাগতে দেবেনা সে কিছুতেই। নাকি নিজেকেই ঠেলে দেবে মৃত্যুর দিকে।বাড়িতে  কীভাবে বলবে এসব কথা। গোপনে সে একজন সাইকাটিস্টের সাথে কথা বলে। ডক্টর কাউন্সিলিং করার জন্য পেসেন্টকে আনতে বলেন চেম্বারে। সপ্তককে সেকথা বল্লে তুমুল ডিবেট হয় দুজনের।ইউনিভারসিটি পাশ তিয়াসার মন কখনোই কনজারভেটিভ নয়। তাবলে হাজবেন্ড -ওয়াইফের সেক্সচুয়াল রিলেশনসদশিপের এমন কদর্য রুচিকে সে নারীত্বের অবমাননা মনে করে। গ্রাম্য সাধারণ মধ্যবিত্ত এক মেয়ের জীবনবোধের সাথে বেমানান। যৌনাচার তিয়াসার কাছে আদিম,অনিবার্য, উপভোগ্য কিন্তু পবিত্র এবং সৎ। 

 পরিজনহীন এই ভিন্ রাজ্যে তার এই অসহায়তার কথা কার কাছে শোনাবে! সপ্তক এখন তার জীবনে একটা ভয়ার্ত অনুভূতির নাম! বিকৃতরুচির সপ্তককে সে এক মুহুর্তের জন্য মেনে নিতে পারছে না। ভালোবেসে বিয়ে করেছে সে সপ্তককে।সপ্তকের ভিতর এমন এক অসহ্য মানুষ লুকিয়ে ছিল সে ভাবতে পারেনা। আজকের এই চরম সংকটের জন্য আর কেউ নয় দায়ী সে নিজেকেই মনে করে।
কামনার কাছে দ্রুত সহজলভ্য হোতে নেই। তীব্র ক্ষুধার কাছে পর্যাপ্ত খাবার শেষপর্যন্ত বিষময় পরিস্থিতির জন্ম দেয়। তিয়াসার কাছে সবচেয়ে কঠিন, সে ক্যামন করে আগলে রাখবে পাপগন্ধী কামনার আগুন আঁচ থেকে তার গর্ভের সন্তানকে। 

সপ্তক অফিস বেরিয়ে গেলে তিয়াসাও বেরিয়ে পড়ে। আজ সে যেকোন একটা পথ বেছে নিতে মরিয়া। কিছুতেই এভাবে সে সপ্তকের সঙ্গে জীবন কাটাতে পারবে না। অটো থেকে নেমে ধীর পায়ে হাঁটা শুরু করে তিয়াসা। মনে ভেসে উঠছে গ্রাম,কলেজবেলা,মা-বাবা,সেদিনের সপ্তক আর গর্ভদেশের ঘুমন্ত এক নিষ্পাপ মুখচ্ছবি। 

  দুপুরে  দিকে প্লাটফর্মটা সাধারণত খালিই থাকে। বেঞ্চের উপর বসে পড়ে আনমনেই। সামনেই মৃত্যুর হাতছানি। জঠরে নতুন জীবনের শিহরণ। তিয়াসার কাছে এই মুহুর্তে সব তালগোল পাকিয়ে যায়।হঠাৎ করে মোবাইলটা গর্জে ওঠে। স্ক্রিনে ভেসে ওঠে সপ্তকের মুখ। সেই নিষ্পাপ মুখের আড়ালে থাকা আরেকটা মুখই তিয়াসার চোখে বেশি স্পষ্ট হোয়ে ওঠে।  সাড়া দিতে মন চাইছে না তার। শুধু প্রবল একটা শক্তি নিয়ে উঠে দাঁড়ায় সে। এত সহজে হেরে যেতে পারবে না তিয়াসা। চোয়াল শক্ত করে। আরেকবার সে ফিরতে চায় আগুনের কাছে ফিনিক্স পাখির মতো।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments