জ্বলদর্চি

মহম্মদ ইয়াসিন পাঠান, ('কবির' পুরস্কার জয়ী মন্দির রক্ষক, পাথরা) /ভাস্করব্রত পতি

মেদিনীপুরের মানুষ রতন, পর্ব -- ৪

মহম্মদ ইয়াসিন পাঠান, ('কবির' পুরস্কার জয়ী মন্দির রক্ষক, পাথরা)

ভাস্করব্রত পতি

নিজে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তবুও ধর্মের বেড়াজালে তিনি নিজেকে কখনও আবদ্ধ করেননি। মুক্তমনা এবং উন্মুক্ত হৃদয় নিয়েই তাঁর পথচলা। নামাজ পাঠ কিংবা সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণে তাঁর ঠোঁট আটকায় না। তাঁর কাছে 'ঈদ মোবারক' এবং 'শুভ শারদীয়া' সমোচ্চারিত শব্দ। তাঁর কাছে দেওয়ালী পুতুল এবং পীরের থানের ঘোড়া সমান সমাদর পায়।

হিন্দুদের মন্দির রক্ষায় বদ্ধপরিকর অপরাজেয় এক সৈনিক। তাঁর চিন্তনে মন্দির ভেঙে মসজিদ নয়, মসজিদ ভেঙে মন্দির নয়। মন্দির মসজিদ হোক সকলের আত্মার আত্মীয়। ধর্মের বিষবাষ্পে এগুলোর যেন মেরুকরণ না হয়। এই লক্ষ্যে অবিচল তিনি আজও। তিনিই মহম্মদ ইয়াসিন পাঠান।

অপাপবিদ্ধ এই মুসলমিকে হুমকি শুনতে হয়েছিল, ‘মন্দির নিয়ে মাতামাতি বন্ধ কর, নইলে মেরে ফেলা হবে।' হিন্দুদের চোখে তিনি ‘পাগল’। আর মুসলিমদের কাছে ‘কাফের’ বা বিশ্বাসঘাতক। ১৯৭০ এর ৬ ই নভেম্বর মেদিনীপুরের এক পুরাক্ষেত্র পাথরার পুরাকীর্তি রক্ষায় চিঠি লেখেন তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ইনফরমেশন অ্যাণ্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের জয়েন্ট সেক্রেটারি এ. কে. ব্যানার্জীকে। সেই চিঠির উত্তরে এজন্য পুরাতত্ববিদ তারাপদ সাঁতরার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। পেয়েছিলেন তারাপদ সাঁতরাকে। পেয়েছিলেন আরেক পুরাতত্ববিদ ড. প্রনব রায়কেও। পেয়েছিলেন আরও অনেককে। সংসারের অভাব অনটনের দুঃখময় বেদনা ভুলে মেতে উঠেছিলেন এক অজানা ইতিহাসের অন্বেষণে। ধীরে ধীরে সেই মাতামাতি পর্যবসিত হয় একটা ইতিহাস, একটা সংস্কৃতি, একটা দলিল, একটা ঐতিহ্য রক্ষার সংগ্রামে। সেই সংগ্রাম তথা লড়াই এখনো চলছে।
অথচ এই 'পাগল'কেই ১৯৯৪ সালের ১৩ ই আগস্ট সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি শঙ্করদয়াল শর্মা দিয়েছিলেন 'কবির পুরস্কার’! এই 'বিশ্বাসঘাতকে'র জীবন নিয়েই দু'খানা তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। একটি ২০০০ সালে ভারত সরকারের ফিল্ম ডিভিসনের উদ্যোগে কে. জি. দাসের পরিচালনায় ‘কাণ্ডারী’। ১৪ টি ভারতীয় ভাষায় অনুদিত হয়েছিল এই তথ্যচিত্র। অন্যটি ১৯৯৯ সালে সমীর দত্তের পরিচালনায় ইংরাজি ভাষায় 'রিপন কমিউনিকেশনস' এর ‘প্রস্তর প্রণয়’ । স্রেফ পাথরকে ভালোবেসে, পাথরার প্রস্তরময় মন্দিরকে ভালোবেসেই ঐ 'পাগল' তথা 'বিশ্বাসঘাতক' এক মুসলিম মানুষ সারা দেশের পুরাতত্ত্ব গবেষকদের কাছে এক অতি শ্রদ্ধার নাম হয়ে উঠেছে। সেখানে ধর্মের বেড়াজাল বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। আত্মার মিলন যখন সম্প্রদায়গত কন্টকময় পথ ডিঙিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে, তখন খুনের হুমকিও তুচ্ছ বলে মনে হয় ইয়াসিনের। 

এই মানুষটি কবির পুরস্কার ছাড়াও পেয়েছেন অজস্র সম্মান, পুরস্কার এবং উপাধি। এগুলির মধ্যে জঙ্গলমহল সম্মান (২০১৮), দাদাগিরি অ্যাচিভমেন্ট (২০১৪), ভ্রমণ সম্মান (২০১৫), সি আই ডি গ্যালান্ট্রি সম্মান (২০১০), ২৪ ঘন্টা অনন্য সম্মান (২০০৯), সকলের কথা সৃজন সম্মান (২০১৫), তারাপদ সাঁতরা মেমোরিয়াল সম্মান, আমি আমার মতো সম্মান (২০১৫), সাইনিং স্টার অফ বেঙ্গল (২০১৬) ইত্যাদি। যদিও এসব পুরস্কার তাঁর পরিচিতিকে উজ্জ্বল করেছে। কিন্তু তিনি তাঁর বিরল কাজের জন্যেই স্বমহিমায় উজ্জ্বল। 

মেদিনীপুর শহর থেকে ১০ কিমি দূরেই পাথরা। মোহনপুর সেতুর তলা থেকে (আমতলা স্টপ) ডানদিকে ‘কপিশা’ নদীকে পাশে রেখে সোজা পূর্বে গেলেই হাতিহলকা গ্রাম। এরপর কলাইচণ্ডী খাল। তা পেরোলেই মন্দিরময় পাথরা। এক সময়ের কপিশা নদী কিন্তু আজকের কংসাবতী বা কাঁসাই নামেই সকলে জানে। ১৭৭৯ সালে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর তৎকালীন সরকারি সার্ভেয়ার জেনারেল জেমস রেনেল সাহেব একটি ঐতিহাসিক মানচিত্র তৈরি করেন। এই মানচিত্রে তিনটি পথের মিলনস্থলে পাথরার অবস্থিতি নির্দেশিত। আনুমানিক ১৭০০ থেকে ১৭৭৫ সালের মধ্যে নির্মিত পাথরার মন্দিরগুলি নিয়েই পাথরাকে ‘মন্দিরময় পাথরা’ বলে প্রথম আখ্যা দেন ইয়াসিন। সারা দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন হিসেবে গড়ে উঠতে চায় পাথরা। 

বর্তমানে অবশ্য ২৮ বিঘা জমির ওপর ঝোপঝাড় জঙ্গলে ঢাকা মাত্র ৩৪ টি মন্দির রয়েছে। বাকি মন্দির তলিয়ে গেছে কংসাবতীর জলে। আরও কিছু মন্দির কংসাবতীর ভয়াল গ্রাসের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। একদিকে নদীর করাল গ্রাস, অন্যদিকে স্বার্থান্বেষী, ধর্মভীরু এবং দুরভিসন্ধি যুক্ত মানুষের লোভ ও অসহযোগিতা— এগুলির মাঝে পড়ে দৃষ্টিনন্দন শিল্পসমৃদ্ধ এখানকার পুরাকীর্তিগুলি পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটার কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকলেও ASI অবশেষে অধিগ্রহণ করেছে এটিকে। কিন্তু অনেক জমিদাতা আজকেও জমির দাম পায়নি। ক্ষুব্ধ বিরক্ত অভিমানী ইয়াসিন তাই মনোকষ্টে ছেড়ে দিতে চেয়েছেন পাথরার কমিটির দায় দায়িত্ব।

রতনচক তখন পরগনা। জমির পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩০০ বিঘার মতো। মুর্শিদাবাদের নবাব আলিবর্দি খাঁ। দোর্দণ্ডপ্রতাপ সেই নবাব রতনচক পরগনার খাজনা আদায় এবং নবাবি মহলে জমা করার জন্য নিয়োগ করলেন এক ব্রাহ্মনকে। তাঁর নাম বিদ্যানন্দ ঘোষাল। কংসাবতীর পলিমাটির সুবাস মাখা এই জনপদের আর্থিক স্বচ্ছলতা শুরু হয় সেই বিদ্যানন্দের আমলেই। জনপ্রিয় এই মানুষটির হাতের ছোঁয়ায় প্রস্ফুটিত হয় রতনচক। প্রাণে লাগলো আলোর রোশনাই। দিনে দিনে কোলাহল মুখর হয়ে উঠল রতনচক। সেই রতনচক সময়ের হাত ধরে আজকের ‘পাথরা’। কিন্তু রতনচক কেমন করে পাথরায় পরিণত হলো? রয়েছে ইতিহাস। রয়েছে জনশ্রুতিও। রয়েছে এক অনন্য পট পরিবর্তনের কাহিনী।

এই বিদ্যানন্দের জন্ম ভূশুরের ছান্দড় রাঢ় অঞ্চলের বাৎস গোত্রীয় এক ব্রাহ্মণ পরিবারে। তাঁর বাবা রাঘবরাম ঘোষাল পূজারি হিসেবে রতনচকে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁর আদি নিবাস ছিল বর্তমান উত্তর ২৪ পরগণার আড়িয়াদহ গ্রামে। রাঘবরাম সংস্কৃতে পণ্ডিত ছিলেন। দারুণ খ্যাতি ছিল তাঁর। তাঁর দুই বৈমাত্রেয় পুত্র। বিদ্যানন্দ এবং বিদ্যাধর। প্রথমজন হলেন রতনচকের নায়েব এবং দ্বিতীয়জন দায়িত্ব পান বড়িশা পরগনার নায়েবের। বিদ্যানন্দেরও দুটি বিয়ে। প্রথম পক্ষের সন্তান দয়ারামকে তিনি ত্যাগ করেন। অনেকে বলেন, দয়ারাম নাকি তাঁদের পৈতৃক পদবী ‘ঘোষাল’কে ‘মজুমদারে' পরিবর্তন করতে চাননি।
রতনচকের নামকে স্মরণীয় রাখার জন্য তিনি দ্বিতীয় পক্ষের ছেলের নাম রাখেন রত্নেশ্বর। কোনও কারণে বিদ্যানন্দের সততায় সন্দেহের উদ্রেক হয় নবাবের। ফলে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। সে সময় হাতির পায়ের তলায় পিষে মারা হত মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামীকে। কিন্তু পাগলা হাতির পায়ের তলায় ফেলা সত্ত্বেও হাতি বিদ্যানন্দকে মারেনি। বেঁচে যান তিনি। সসম্মানে মুক্তি পেয়ে নবাবি দান স্বরূপ লাভ করেন রতনচক পরগণার জমিদারি। সুদিন চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন— ‘সুবেদার তাঁকে রতনচক পরগনার স্থায়ী মুসমদার’ অ্যাখ্যা দেন। বিদ্যানন্দকে সবাই বলতে শুরু করে সাধক তপস্বী মুসমদার। ‘মুসমদার’ ফারসি শব্দ। অর্থ মালিক বা জমিদার। বিদ্যানন্দ ছিলেন নায়েব, এখন হলেন জমিদার। কালানুবর্তনে এই ‘মুসমদার’ মজুমদারে পরিণত হল।‌ তাঁর পুত্র রত্নেশ্বর পরবর্তীকালে জমিদার হয়ে পিতার নবজীবন প্রাপ্তিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য রতনচকের নাম দেন 'পা-উৎরা’। বা ‘পাথরা’। হাতির পা উৎরে বিদ্যানন্দ ঘোষাল বেঁচেছিলেন। তাই ‘পা-উৎরা’। অনেকের অবশ্য বিশ্বাস ‘পাথর-আড়া’ অর্থাৎ পাথর পাওয়া যায় এমন স্থান বলেই নাম হয়েছিল ‘পাথরা।' সে সময়ের মজুমদার, বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি পরিবার পাথরায় তৈরি করেন নানা মন্দির। এই পাথরা  ইতিহাসের স্রোত বেয়ে হয়ে উঠেছে ‘মন্দিরময় পাথরা’। সেই পাথরার মন্দিরগুলি এই ইয়াসিন পাঠানের বদান্যতাতেই ২০০৪ সালে পেয়েছিল "Monuments Of National Importance" উপাধি।

১৯৭০ সালে তিন বন্ধুকে নিয়ে 'গ্রামবার্তা' পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করেন ইয়াসিন। সেই সূত্রেই পাথরার প্রতি আকর্ষণ। এর পাঁচ বছর পর আলাপ হয় পুরাতত্ত্ববিদ তারাপদ সাঁতরার সঙ্গে। তিনিই হয়ে ওঠেন তাঁর পথপ্রদর্শক। পুরাতত্ত্ব বিষয়ে উৎসাহী হয়ে ওঠেন তখনই। ভারতীয় ইতিহাস গবেষণা পর্ষদ তাঁকে দিয়েছে 'ডক্টরেট' ডিগ্রি। প্রকাশ করেছেন 'মন্দিরময় পাথরার ইতিবৃত্ত' নামের বই। এতে মুখবন্ধ লিখেছিলেন স্বয়ং তারাপদ সাঁতরা। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, "মহম্মদ ইয়াসিন পাঠানের জীবনচর্যায় গ্রাম্য সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর চেতনা বোধটি আমি অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে লক্ষ্য করেছি। বঙ্গ সংস্কৃতির ঐতিহ্য সংরক্ষণে একজন অনুরাগী হিসেবেই তিনি গ্রহণ করেছেন"।

কাঁইচকলা, হাতিহলকা, উত্তর শিমলা, বামনশ্মশান, কুলদা, বেনাটি, ভূতগোড়া, পালগিরা ইত্যাদি গ্রামের গর্বের আকর পাথরার মন্দির। এসব গ্রামে সব পেশার মানুষই বাস করেন। গবেষক সুদিন চট্টোপাধ্যায়ের মতে, স্বয়ংসম্পূর্ণ গঞ্জ হিসেবে গড়ে ওঠার কালে জমিদারদের চেষ্টায় পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকে নানা বৃত্তির লোকজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল এখানে। মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত পাথরা গ্রাম। তবে হাতিহলকাতে ৯০ শতাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের প্রতিনিধি হয়েও পাথরার প্রতি দৃষ্টি পড়ে এই মানুষটির।

এক সময় এখানে নীলচাষ ও রেশম শিল্পের যথেষ্ট প্রসার ছিল। ধনী ও রুচিশীলদের সেই থেকে অগাধ ঐশ্বর্য্যের কারণেই দেবভক্তি আসে। নির্মিত হয় একের পর এক মন্দির। পাথরা গ্রাম শুধু পুরাকীর্তির জন্য নয়। অনেক সংস্কৃতিবান মানুষের জন্মও এখানে। বাংলাদেশের টাঙ্গাইল কলেজের অধ্যক্ষ রামদয়াল মজুমদার তথা ‘মহাত্মা রামদয়াল’ এখানেই জন্মগ্রহণ করেন। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সমসাময়িক নীলকণ্ঠ মজুমদারের (রামদয়ালের ভাই) জন্মস্থানও এখানে। তিনি ঢাকা, রাজশাহী কলেজ ছাড়াও ওড়িশার র‍্যাভেনশ কলেজে শিক্ষকতা করেছিলেন। ইংরাজি সাহিত্যে তাঁর ছিল অসাধারণ ব্যুৎপত্তি। এখানকার আর এক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ড. শান্তিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসা শাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ দক্ষতা ছিল। ডেভিড ম্যাকাচ্চিয়ানও এক সময় তাঁর মন্দির সংক্রান্ত গবেষণামূলক গ্রন্থে উল্লেখ করেছিলেন পাথরার কথা।

এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক ড. রশ্মি কোমলের উদ্যোগে পাথরা নিয়ে একটি ইংরেজি ভাষায় বই লিখেছেন "PATHRA -- A VILLAGE OF TEMPLES"। সেখানে জেলাশাসক লিখেছেন, "A simple and unpretentious discussion in this book, help the readers to know the history of PATHRA as well as to be acquainted with the soil of a real Village" ( প্রকাশক -- arindam's )। সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে জনৈক দুই ব্যক্তি লিখেছেন, "পাথরার পাঠান" নামে এক আত্মজীবনী মূলক বই (প্রকাশক -- arindam's)। সেখানে লেখা হয়েছে, "মহম্মদ ইয়াসিন পাঠান আসলে আমাদের কাছে একটি শিক্ষা। হাজার বিরুদ্ধতাতেও হাল না ছাড়ার প্রেরণা। অশিক্ষা কুশিক্ষা কুসংস্কার আর অন্ধ সাম্প্রদায়িকতার বিদ্বেষ পেরিয়ে'আমরা করব জয়' -- এই মন্ত্রোচ্চারণের এক জীবন্ত প্রণোদনা"।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

2 Comments

  1. আমি ইয়াসিনের বন্দ্ধু হিসেবে গর্বিত।।অসম্ভব সুভদ্র ও বন্দ্ধু বৎসল মানুষ

    ReplyDelete
  2. মেদিনীপুর জেলার গর্ব।

    ReplyDelete