জ্বলদর্চি

মারণবীজের আজব ধাঁধা /পর্ব ১/বাসুদেব গুপ্ত

মারণবীজের আজব ধাঁধা 

পর্ব ১

বাসুদেব গুপ্ত

এই কাহিনী সম্পূর্ণ কল্পনাভিত্তিক কল্পবিজ্ঞানের কাহিনী। সব চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তব কোনো মানুষের সংগে বিন্দুমাত্রও মিল থাকলে তা একেবারে কাকতালীয়। 

 রাজস্থানে হিল স্টেশন? মাইলের পর মাইল বালিয়াড়ির ঢেউ, প্রান্তরের প্রহরীর মত শাণিত কাঁটাগাছ, আর অর্চি বৃদ্ধের মত মাথা দূর দিগন্তের দিকে মুখ করে হেঁটে যাওয়া উটের কাফিলা। এই তো ইতিহাসের রাজপুতানা। কোথাও অনেক খুঁজলে হয়ত দেখতে পাওয়া যাবে মুছে যাওয়া সেনানীদের রক্তাক্ত নাগরার ছাপ। কোথাও কান পাতলে শুনতে পাওয়া যাবে নীলা ঘোড়ার ক্লান্ত খুরের শব্দ। রাজস্থান কিল্লার দেশ। বালির দেশ। আর মাথায় ঘড়ার ওপর ঘড়া সাজিয়ে দীর্ঘ বিদ্যুল্লতার মত বেণী পাগলের মত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ভাওয়াই নাচ। বালিয়াড়ির বুক কেটে কেটে সেই পায়ের মুদ্রা ছুরির মত যখন গাঁথতে থাকে বেদে মেয়েদের পায়ের ঘূর্ণি, যখন প্রতিটি মুহূর্ত প্রতীতি হয় না মাথা থেকে ওই ঘড়াগুলো খসে পড়ে না, যেমন করে আমাদের সংস্কৃতি সভ্যতা, ঐতিহ্য মাথায় বয়ে আমরা ইতিহাসের পথ পেরিয়ে যাই, খসে যেতে যেতেও আমাদের ভারতীয়ত্ব আমাদের জড়িয়ে থাকে…… 
প্রতিদিন ঘোরাঘুরির পরে ছবিগুলোকে সাজিয়ে ফোল্ডারে রাখা আর কয়েক পাতা কমেন্টারি লিখে রাখা অভ্যেস অর্চির। এটা ওর পেশা বটে নেশাও বটে। লেন্সগুলো গুছিয়ে রেখে এই লিখতে বসেছিল, রুচি এসে গড়িয়ে পড়ল পাশে। ডবল বেডের অনেকটাই জায়গা তবুও তাড়াতাড়ি আইপ্যাডটা নিয়ে উঠে পড়ে পাশের চেয়ারে গিয়ে বসে অর্চি বলল,
কি খুব টায়ার্ড মনে হচ্ছে। শাড়ী টাড়ী কি কি কিনলে আধ ঘণ্টা ধরে, না দেখেই গড়িয়ে পড়লে দেখছি। 
-বাজে কথা নয়, দুটো জুসের অর্ডার দাও দেখি। এই গরম, বালি বালি আর ভাল লাগছে না। মাউন্ট আবুতে গিয়ে বাঁচব। 
-কেন সোনার কেল্লা দেখলে, জয়সলমীরের বালিয়াড়িতে তাঁবুর মধ্যে রাত কাটালে, বিজলীর নাচ দেখলে, পছন্দ হল না? সুইজারল্যান্ডের যাবার মত আমার এখনো পয়সা নেই বলে দিলাম। 
-ধ্যাত। তোমার পয়সা হবেও না আর হতেও হবে না। এই বেশ। কিন্তু সত্যি এবার একটু ঠাণ্ডায় যেতে ইচ্ছে করছে। যখন শুনলাম, রাজস্থানে একটা হিল স্টেশন আছে, আমার বিশ্বাসই হয় নি। সেখানে সত্যি ঠাণ্ডা হবে গো? না এমনই গরম?
-তা বলা মুশকিল, তবে আবুর টপ হাইট হচ্ছে ৫০০০ ফুটের মত। আমাদের কালিম্পঙ্গের হাইট মাত্র ৪০০০ ফুট। কাজেই আমরা ভাল কিছু আশা করতেই পারি। 
ইতিমধ্যে জুসের অর্ডার চলে গেছে এবং তৎপর রুম সারভিস দুটো লেমন জুস উইথ সোডা বসিয়ে দিয়ে গেছে। 

 ঠাণ্ডার আশায় রুচির মনে কিছু ফুর্তি এল, গুন গুন করে গান এল, ঘরেতে ভ্রমর এলো গুন গুনিয়ে। অর্চির পিছনে দাঁড়িয়ে গলাটা আদুরে ভঙ্গীতে জড়িয়ে ধরে ওর চুলে মাথা রাখল। অর্চির মাথায় ঘন পাগলা চুলের ঝাঁক, রুচির খুব পছন্দ। লম্বা টানা জানলার পর্দাটা সরিয়ে রাখা একপাশে, দূরে বালিয়াড়ির আড়ালে তখনো যেন সূর্যের অস্ত আভা লুকিয়ে আমাদের দেখছে। দুষ্টু লোক। রুচির মজা লাগল ভেবে। একটু নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসতে, কানে কানে অর্চিকে বলল, লেখা রাখো। চলো না। 

 যোধপুরের লাল মাস বিখ্যাত। টকটকে খুনী লাল, কিন্তু মোটেও ঝাল নয়। এই লঙ্কার নাম মাথানিয়া। কাশ্মীরি নয়, অন্ধ্রের অন্ধ করে দেওয়া ঝাল লঙ্কা নয়, বরং এর ঝালিমা ও লালিমা এক গোপন রহস্যময় অনুভবের জন্ম দেয়। পরোটা আর লাল মাস খেয়ে অর্চি বুঝতে পারল আজ মাথানিয়া রুচির মাথায় চড়েছে। পর্দা খোলাই রইল, বালিয়াড়ির আড়ালে দুষ্টু সূর্য চলে গিয়ে নেমে এল চাঁদ, সে কি দেখল সেই জানে। অনন্তকাল ধরেই সে আকাশের পিপিং টম। 

 বেলের আওয়াজ হতে তবে দুজনের ঘুম ভাঙ্গলো । গাড়ী রেডি, স্টেশন যাবার। ড্রাইভার নীচে। আপনারা নাস্তা করে বেরিয়ে যেতে পারেন। রিসেপ্শানের এই সংবাদ। ঘড়িতে একেবারে আটটা। দুজনেই দুজনের মুখের দিকে চেয়ে মুচকি হেসে ফেললো। হনিমুন হয়ে গেছে ৫ বছর আগে। এরকম উঠতে দেরী হয় নি অনেক দিন। 

  কম্পিউটার গতিতে রেডি হয়ে চেক আউট করে যখন দুজনে স্টেশনে পৌঁছল তখন সবরমতী এক্সপ্রেস এসে গেছে। ভাগ্যিস বড় স্টেশন, অনেকক্ষণ দাঁড়ায়। সীট খুঁজে গুছিয়ে বসতে না বসতেই ট্রেন সাঁ করে ছেড়ে দিল, দুজনের মুখোমুখি সীট। অর্চির চোখে পড়ল রুচির নীচের ঠোঁট একটু ফুলে আছে, ছোট্ট কিছু একটা কামড়ানোর দাগ। আঙ্গুল দিয়ে দেখাতেই, রুচি অদ্ভুত মুখ করে হাসলো। শুধু বলল, কি জানি, মৌমাছি হবে হয়ত। 

 মধুকর অর্চির আর একবার মধুপানের ইচ্ছা জাগার আগেই ক্যাডবেরী, লজেন্স, কোল্ড ড্রিঙ্কসের পসরা গলায় ঝুলিয়ে ভগ্নদূত ফিরিওলার আবির্ভাব। অর্চি নিল একটা থামস আপ, রুচি একটা ফ্যান্টা। 
-এবারে ঠাণ্ডা হয়ে বসো। আমরা এখন যাচ্ছি হিল স্টেশনে। ২৫০ কিমি রাস্তা এখন বসে বসে দৃশ্য দেখ। 
-দেখছিই তো, বলে অর্চি একবার নিজের ঠোঁটেই হাত বোলালো। 
-ধুত। ছবি তোল দেখি বাইরে। আমাকে এবার ছাড়ো, আমি একটু ঘুমোই। ১২টায় মারোয়ার। লাঞ্চের অরডার নিয়ে গেল, ভেজ। রুটি, ডাল, আচার, গাঁঠিয়ার তরকারী, দই। অর্চি একবার বলতে গেল, 
-এই দেখো, এই সেই প্রখ্যাত মারোয়ারীদের জন্মভূমি। কলকাতার সব পাইকারী ব্যাবসা জুটমিল থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সাপ্লাই, সব এখানকার মানুষেরা ওই সুদূর কলকাতায় গিয়ে জমিয়ে নিয়েছেন। কতটা ইনিশিয়েটিভ আর পরিশ্রম করার ক্ষমতা বলো? আমরা বাঙ্গালীরা খালি ঘরকুনো। রুচি মুখ বেঁকিয়ে জবাব দেয়, 

-এমন বিশ্রী বালি আর কাঁটাগাছের দেশে জন্ম নিলে আমরাও পালিয়ে যেতাম অন্য দেশে। এটা কোন কৃতিত্ব নয়। 
-রুচির কাছে অর্চি ছাড়া কেউই খুব পাত্তা পায় না। ও ঠিক তাদের একটা কিছু খামতি বার করবেই। একের পর এক স্টেশন যায়। দুপুর গড়াতে থাকে। ফ্যলনা, নানা, বনস, অদ্ভুত সব নাম। টানা ৬ ঘণ্টার পরে ট্রেন এসে দাঁড়ায় আবু রোড। কুড়ি মিনিট হল্ট। রুচি দুপুরের সুন্দর ঘুমটি দিয়ে, চটপট মেকাপ ঠিক ঠাক করে নামার জন্য রেডি। এখান থেকে যেতে হবে মাউন্ট আবু। ৩০ কিমি রাস্তা। গাড়ী চাই। এদিক ওদিক দেখে অর্চি। প্রায় ফাঁকা স্টেশন। দুটো ট্রাভেলের বাসে হৈহৈ করে কিছু লোক উঠে পড়ে, বাসে যাওয়া যাবে না। ওদের সঙ্গে বড় বড় বাক্স, ক্যামেরার সরঞ্জাম, গাড়ী চাই। 
একটা ইন্ডিকা ট্যাক্সি এগিয়ে আসে, দরজা খুলে বেরিয়ে আসে একটি লোক, জিন্সের ওপর একটা পাটভাঙ্গা খাকী শারট, কপালে একটা চন্দনের টিপ, চুল দুদিকে পাট করা, বেশ ঝরঝরে পরিচ্ছন্ন চেহারা। শুধু ঠোটের কোলে একটু অদ্ভুত বাঁকা হাসি আর বড় বড় চোখের দৃষ্টি একটু ফোলা ফোলা ভিলেনিশ। 
-কোন হোটেল যাবেন? 
রুচি একটু ইতস্তত করছিল ওই চোখ দেখে, অর্চিই উত্তর দেয়,
-আপ ক্যা হোটেল সে আয়ে হ্যাঁয়? 
-আপনি যেখানে বলবেন নিয়ে যাবো। আর যদি ঘুরতে চান তাহলে পুরো প্যাকেজ আছে, হোটেলে ড্রপ পিকাপ, নাক্কি লেক, গুরুশিখর, দিলোয়ারা মন্দির, সানসেট পয়েন্ট সব। 
-ঠিক আছে আগে তো হোটেল চল, গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে নি তার পর কথা হবে বলে দুজনে চড়ে বসল ইন্ডিকা ট্যাক্সিতে। ভিতরট বেশ পরিষ্কার, হাল্কা ধূপের গন্ধ। 
-আপকা নাম ক্যা? 
-হুকুমচাঁদ সাব। 
-কতদিন আবুতে ট্যাক্সি চালাচ্ছো?
-দশ বছর তো হবেই। এখানেই আমার বাড়ি, অন্য ড্রাইভারদের মত দিনের শেষে আমি আবার নীচে চলে যাই না। এখানেই আমার সব। 
-বাঃ, রুচি মন্তব্য করে। ফ্যামিলি ট্যামিলি সবই ইধর? 
-হাঁ ভাবিজি। মেরা সবকুছ ইধর। গানা হ্যায় না, জীনা ইহাঁ, মরনা ইহাঁ।
৩০ কিমি গাড়ী যেতে প্রায় এক ঘণ্টা লাগে। হোটেল আবু ইন্টারন্যশানালে ওদের বুকিং করাই ছিল। ঘরে বাক্স তোলা ও জল দেওয়া ও বখশিস দেবার পালা শেষ হয়ে এলে, অর্চি রুচিকে সাপ্টে ধরে বলল ‘কি এবার ঠাণ্ডা তো?’

 ঝকঝকে পাহাড়ী সকাল। ফুরফুরে ঠাণ্ডা হাওয়া। গাড়ীতে উঠতে উঠতে একদল বিদেশীর ঝাঁক পেরোতে হল। সবার বয়স সত্তর পেরিয়ে গেছে। একটি করে বুড়ো একটি করে বুড়ি। কে বেশি খুশি বোঝা দায়। একটি জোড়ার গলায় মালা আর হাতে একটি পোস্টার। World Travellers club New Zealand. কলবল করতে করতে সবাই উঠল একটা Traveller গাড়ীতে। রুচি অনেকক্ষণ নারীসুলভ পর্যবেক্ষণ করে একটু ঘন হয়ে এসে অর্চির হাত ধরল। 
-আমরা যখন সত্তর হব আমরা আবার আসবো এখানে, আসবো তো? কথা দাও। 
অর্চি হাল্কা করে ওর হাতটা চেপে ধরে সম্মতি জানাতেই ওদিকে হুকুমচাঁদের তাড়া। 
-জলদি আইয়ে। তারপরে সানসেট পয়েন্টে যেতে লেট হয়ে যাবে। 

 ২৬শে মার্চ। নীচে সমভূমি তেতে উঠছে, কিন্তু এখানে এখন শীতশেষের ঠাণ্ডা আমেজ গাছের পাতায়। গাড়ী ঘুরে ঘুরে উঠছে। পাহাড়ী রাস্তা। একদিকে খাদ। আস্তে আস্তে গভীর হচ্ছে। আর একপাশে ছোট ছোট দেয়ালের মত ধীরে ধীরে দাঁড়িয়ে উঠছে অভ্রংলিহ পাহাড়। তার মাথায় লম্বা লম্বা গাছ, অনেক দিনের। অনেক যাত্রার সাক্ষী। 

 গাড়ীটা একটু দুলছে না? রুচির হঠাৎ খেয়াল হয়। 
-ও একটু হবে ম্যাডাম। এতো আর বিমডব্লু না। বলে হুকুমচাঁদ মাথা ঘুরিয়ে আশ্বস্ত করে। 
-তোমার চোখ দুটো অত লাল কেন? সকালেই কিছু খেয়েছ নাকি? অর্চি ওর চোখ দেখে একটু শঙ্কিত হয়ে ওঠে, বেশ লাল দুটি চোখ। 
-ছি ছি স্যার, মর্নিংএ ওসব চলে না কি? এই পাহাড়ী রাস্তা। বলতে বলতেই গাড়ীটা হঠাৎ একটা বিরাট ঝাঁকুনি খেয়ে সাঁ করে পাহাড়ে ধাক্কা মারতে গিয়ে আবার বোঁ করা খাদের দিকে ঘুরে কোনমতে সোজা হয়ে চলতে থাকে, উলটো দিক থেকে আসা একটা ছোট ট্রাক ব্রেক কষতে কষতে, কোনমতে নিজেকে বাঁচিয়ে বেরিয়ে যায়। 
-কি করছ এটা হুকুমচাঁদ? এরকম করে চালাচ্ছো কেন? রুচি ককিয়ে ওঠে। 
-আমি কি করলাম সাব? সামনের গাড়ীটা হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে এসে পড়লে কি করি? সব ঠিক আছে, ভয় পাবেন না, এই রাস্তায় দশ বছর চালাচ্ছি। চোখ বন্ধ করেও নিয়ে যেতে পারি আপনাদের। 
রুচি ভয়ে অর্চির হাতটা চেপে ধরেছিল, গাড়ী আবার সোজা হয়ে ঠিকঠাক চলতে শুরু করলে হাতটা সরিয়ে নেয়। 

 -সরালে কেন থাক না, অর্চি একটু মুচকি হেসে আর একটা হাত দিয়ে ওর হাতটা জড়িয়ে নেয়। 
ঠিক সেই সময় ব্যাপারটা ঘটে। হঠাৎ গাড়ীটা বোঁ করে বেঁকে সোজা পাথরের দেওয়ালের দিকে ছুটে যায়। হুকুমচাঁদ কোনমতে সেটা সামলে বাঁ দিকে ঘোরাতেই গাড়ীর দরজাটা হাট করে খুলে রুচির শরীরটা আকাশে পাখীর মত কিছুক্ষণ ভেসে খাদের ভিতর কোথায় হারিয়ে যায়। গাড়ীটা কিছুটা রাস্তা, কিছুটা আকাশের মাঝে বোকার মত ঝুলতে থাকে।
অজ্ঞান অর্চি কে টেনে তোলে একটা ট্যুরিস্ট বাসের ড্রাইভার আর হেল্পার। হুকুমচাঁদের শরীরে কোন আঘাত নেই। শুধু তার চোখ দুটো যেন কে টেনে বার করে দিয়েছে, নাকের নীচে হাত দিয়ে দেখা যায়, নিঃশ্বাস পড়ছে না। 

 পুলিশ এসে সবাইকে ডান্ডা উঁচিয়ে তাড়া দিয়ে জায়গাটা খালি করে। বডিটা একটা ব্যাগের মধ্যে ভালো করে সীল করা হয়। সেই ব্যাগটা চলে যায় ডক্টর রাজেন বেরার ল্যাবে। আরো একটা কেস। এই নিয়ে ২২টা আজ পর্যন্ত। একবার ফোন করে খোঁজ নেন ঠিক মত আইসোলেট করা হয়েছিল তো? ক্যাসুয়াল্টি বাড়ছে ক্রমাগত।

 হেলথ মিনিস্টার ফাটকেজি র কাছে খবর যায়, কিন্তু তাঁর প্রাসাদে তখন হোম আরতির ধোঁয়ায় চারদিক অন্ধকার। লাল হলুদ গেরুয়ার ঐশ্বরিক বর্ণচ্ছটায় চারদিক ঝলমল করছে। একজন এসে হাতে একটা ফোন ধরিয়ে দিয়ে যায়। ফাটকেজি মেসেজটা দেখেন, একটু ভুরুটা কুঁচকে কিছু বলতে যান, ততক্ষণে ভজন শুরু হয়ে গেছে। ফোনটা ফেরত দিয়ে হাতে তালে তালে তালি দিতে থাকেন হেলথ মিনিস্টার শশাঙ্ক ফাটকে। অর্চির শরীরে তখন অপারেশান চলছে ওয়াটামাল হসপিটালের ওটিতে। ওষুধের ঘ্রাণে নিশ্চেতন ঘোরের মধ্যে অর্চির হাত খোঁজে রুচির আঙ্গুল। 
 -ক্রমশঃ-

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

1 Comments

  1. খুব নতুনত্ব ….পরের পর্বের অপেক্ষায়

    ReplyDelete