জ্বলদর্চি

অরুণ দাসের 'Manifesto of Supreme consciousness' /সঞ্জীব ভট্টাচার্য

অরুণ দাসের 'Manifesto  of Supreme consciousness'

সঞ্জীব ভট্টাচার্য 


কবিতিকা থেকে কবি অরুণ দাসের 'Manifesto  of Supreme consciousness ' গ্রন্থটি একটি আধারে তিনটি ভাষায়  সন্নিবেশিত হয়েছে। বাংলায় কলম ধরেছেন কবি তথা লেখক অরুণ দাস স্বয়ং আর ইংরেজি ও  হিন্দিতে অনুবাদ করেছেন যথাক্রমে শ্রী রূপ কুমার নাগর এবং ডঃ রঞ্জিত কুমার  সিনহা।

          সত্যি বলতে কী প্রথমে বোঝাই যায় না দুই মলাটের মধ্যে কী পরম মূল্যবান সম্পদ লুকিয়ে আছে।বরং বেশী করে কমলেশ নন্দের শৈল্পিক অলংকরনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। তারপর কখন যে বইটা পড়া শুরু করলাম এবং কখন যে আমার অদেখা জগতের মধ্যে প্রবেশ করলাম, খেয়ালই করি নি।প্রকৃত পক্ষে লেখক ও পাঠক উভয়েই সেখানে অবলুপ্ত। এক পরম বোধ যেন বাহ্যজগতকে অনন্ত সম্ভাবনার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়।লেখক যেভাবে তাঁর গভীর দর্শন ভাবনাকে তুলে ধরেছেন তাতে করে এই পরিণাম হওয়াই  অনিবার্য। 

অরুণ দাস অনায়াশ ভঙ্গিতে তুলে ধরেছেন এক  গূঢ় তত্ত্ব যা শুধু কবিতা নির্মাণে বা কবির দৃষ্টিকোণ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেই নয় একই সঙ্গে একজন সাধারণ পাঠকের দৃষ্টিকে উন্মুক্ত করতেও যথেষ্ট। শব্দ, বর্ণ  প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কী গভীর ব্যাঞ্জনাময়  ব্যাখ্যা। চেতনার  জগতে লেখকের স্বচ্ছন্দ বিচরণ। মানুষের মধ্যেকার উচ্চ চেতনার স্থিতি এবং তার গুণাবলী যথেষ্ট নিপুণতার সংগে তুলে ধরেছেন তিনি।তারপরই এসেছেন পরম চেতনার প্রসঙ্গে। দুই- এর পার্থক্য এবং প্রথমটি থেকে দ্বিতীয়টিতে উত্তরণের ধাপ নির্মাণে তিনি যে বক্তব্য উপস্থাপিত করেছেন এক কথায় তা অনবদ্য। কবিতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই চেতনার ভূমিকার স্বরূপ উপস্থাপনে লেখক তার লেখনীকেই শুধু উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাননি, একই তৈরি করে দিলেন এমন একটা জায়গা যেখানে পৌঁছতে পারলে সৃষ্টি এবং স্রষ্টা উভয়েই এক চরম ও পরম আলোকদ্যূতির সাক্ষাৎ পেতে পারে।

এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে গুগুলে সার্চ করে পড়ে নিতে পারেন অরুণ দাসের জেড প্রজন্মের কবিতা আলোচনাগুলো। বাংলা কবিতাকে নতুন পথ দেখাতে চাইছেন অরুণ।


Post a Comment

0 Comments