কয়েকটি রম্য কবিতা
শুভশ্রী রায়
সকালের তাড়া
সকাল তড়িঘড়ি আসে, সঙ্গে পাঁউরুটি, সেদ্ধ ডিম
রঙীন টিফিনবক্স, জলের বোতল, মাথায় পড়া।
মায়ের হাত ধরে বাহারী ছাতার তলায় ছোট্ট শিশু,
দৃষ্টিতে খুলে যাচ্ছে পৃথিবীর বইখাতা বিস্ময় ভরা!
সোহমের ছড়া
সোহম সরকার!
ক'টা ছড়া দরকার?
চাই কম করে দশ
তবে আমি হব বশ।
দশ চাই একেবারে?
কমসম হ'বে না রে?
ঠিক আছে, আট খানা
তার কমে মানব না!
দাঁড়া খানিক তা হলে
যাস না যেন তুই চলে,
দাঁড়াব না আমি বেশী
দ্রুত করো ছড়া শেষই।
দিস না রে অত তাড়া
মিল হয়ে যাবে হারা!
তাড়াতাড়ি মিল করো
যা লিখছ ধীর বড়!
সোহম, তুই যুগ গতি
ছড়াতেও চাস দ্রুতি।
সময় ছটফটে যেমন
তালে আমিও তেমন!
পান্না চোখের শিশু
জন্মের পর মণি দুটো ছিল পান্না সবুজ
ভেতরে ঝকঝক করত পৃথিবীর সব খুশী!
কী করে জানি না, হয়ে গেল গাঢ় খয়েরি
তবে সমান ধারালো দৃষ্টি, মাখামাখি ধী।
সোহমের খেলাধুলো
সোহম সোনা নিচে ক্রিকেট খেলছে, ওপর থেকে
মন দিয়ে দেখছেন কয়েকজন আগ্রহী প্রতিবেশী,
আপাতত সে স্পিন বল করছে
ঘোরাচ্ছে বনবন; দেখে মাথা ঘোরে কম বেশী!
তারপরে যখন ধরল ব্যাট, সেটাও ভালো চালাল
এক বলে ছোটাছুটি করে নিল পুরো তিন রান,
পরের বলটায় বাউন্ডারি হ'ল;
যারা পাশ দিয়ে যাতায়াত করছেন, সাবধান!
সোহমের প্রশ্ন
সূর্য কী ঘড়ি দেখে ওঠে,
না ঘড়ি সূর্যের হুকুমে চলে?
ভেবে পায় না ছোট্ট সোহম,
কার সঙ্গেই বা কথা বলে!
শিশুর তাড়াহুড়ো
সোহম সকাল সকাল উঠে
পড়তেও বসে গেছে তাড়াতাড়ি,
এক্ষুণি খেলতেও যাবে, সকালকে
বলছে, তুমি বিদায় হও এবারই!
বিকেল তো আসবে নির্দিষ্ট সময়ে
কেন নিয়ম ভেঙে আগে চলে আসবে?
সোহম, ভেবো না, খেলা ঠিকই হবে!
তোমার জন্য সময়ের ছক কী ভাসবে?
0 Comments