জ্বলদর্চি

মেদিনীপুরের কৃষিবিজ্ঞানী ড. রামচন্দ্র মণ্ডল-এর বর্ণময় জীবনের উত্থান-পতনের রোমহর্ষক কাহিনী/উপপর্ব — ০৫ /পূর্ণচন্দ্র ভূঞ্যা

বিজ্ঞানের অন্তরালে বিজ্ঞানী — ৭০

এগ্রিকালচারাল রেটুনিং

(মেদিনীপুরের কৃষিবিজ্ঞানী ড. রামচন্দ্র মণ্ডল-এর বর্ণময় জীবনের উত্থান-পতনের রোমহর্ষক কাহিনী)

উপপর্ব — ০৫

পূর্ণচন্দ্র ভূঞ্যা

(১)
নতুন ভোর :

ঈষৎ অন্ধকারে মোড়া চরাচর। প্রজাপতি রঙে তখনও রাঙানো হয়নি পুব আকাশ। দূরে, অন্য কোথাও ভোরের মোরগ ডেকে ওঠে। অল্প সময় পর আরামের বাসা ছেড়ে আকাশে ডানা মেলবে পাখি সব। কিচিরমিচির শব্দে তারই প্রস্তুতি শোনা যায়। একনাগাড়ে মৃদু মন্দ ঠাণ্ডা পুবালি হাওয়া বইছে। শিরশির করে ওঠা অল্প হিমের আবেশ তার ছোঁয়ায়। তন্দ্রা কেটে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। ধড়পড় করে রাম উঠে পড়ে বিছানা ছেড়ে। কুপির আলো জ্বলছে মাটির ঘরে। প্রাত্যহিক কাজ কর্ম সারতে ব্যস্ত হয় রাম। ফটাফট প্যান্ট জামা পরে তৈরি সে। জামা প্যান্ট বই খাতা ব্যাগ জিনিসপত্র সব গোছগাছ রয়েছে। শেষ মূহুর্তে টুকটাক যা গোছানো বাকি ছিল, মা সাবিত্রী দেবী সবকিছু সুন্দর গুছিয়ে রামের ব্যাগে ভরে দেয়। যেকোনও সময় অনন্তদা এসে পৌঁছবে। হাতে একদম সময় নেই। খেজুরী থেকে সূদূর পার্বতীপুর! অনেকখানি পথ। দোরো পরগনার সুতাহাটা থানা এলাকার বিদ্যালয় পার্বতীপুর পতিতপাবনী হাইস্কুল। প্রায় কুড়ি কিলোমিটার মতন রাস্তা। কশাড়িয়া গ্রাম থেকে। মাঝে নন্দীগ্রাম থানা এলাকা। দীর্ঘ পথ পদব্রজে পাড়ি দিতে হবে দুজনকে। তাই ভোর থাকতে রওনা হওয়াই শ্রেয়।

নাম উচ্চারণ করতে না করতেই অনন্তদা এসে হাজির। ব্যাগপত্তর সমেত। রামও প্রস্তুত। পা ছুঁয়ে বাবা মা পিসিমাকে প্রণাম করে সে। দুচোখে তার বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন। লক্ষ্য জয়ে পড়াশুনাই একমাত্র সলতে – সে জানে। আবছা অন্ধকারের মধ্যে সম্মুখে এগিয়ে যায় সে। তৎক্ষণাৎ মৃদু ধ্বনিতে কেঁপে ওঠে সাবিত্রী দেবীর কণ্ঠস্বর — 'দুগ্গা, দুগ্গা'। 
পেছনে না-তাকিয়েও মায়ের আশীর্বাদ ভরা স্নেহাশীস স্পষ্ট শুনতে পেল রাম। 

তারা দুজন যখন হুগলী নদীর তীরে পৌঁছয়, হুগলী নদীর জল কলকলিয়ে ওঠে। দূর থেকে শোনা যায় সে মিষ্টি আওয়াজ। পুব আকাশ তখন সবে মাত্র আঁধারের গ্লানি মুছে রক্তিম আভার স্পর্শে ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। এরপর সোজা রাস্তা। নদীর পাড় ধরে নাক বরাবর ঋজু বাঁধের উপর দিয়ে উত্তর অভিমুখে হেঁটে চলে তারা। সম্মুখে অনন্ত কুমার। পশ্চাতে রাম। নদীতে তখন বেশ কয়েকটি ছোট ছোট নৌকা। মাঝিদের দাঁড় টানার শব্দ শোনা যায়। ছলাৎ! ছলাৎ! জেলেমাঝির দল বুঝি নৌকা বায়; জাল পাতা আছে নদীতে! মাছ ধরতে বেরিয়েছে সকলে। সারাদিনের খোরাকি জোগাড়ের আপ্রাণ চেষ্টা। দূর থেকে জেলে মাঝিমল্লার জীবন জীবিকার জলছবি দেখতে দেখতে ওরা এগিয়ে যায়। পথের কষ্ট পথে লাঘব হয়। সকাল পেরোয়। বেলা গড়ায়। মধ্যাহ্ন সূর্যের প্রখর তেজ বাড়ে। নিজের ছায়া কখন যে ঢাকা পড়ে যায় নিজের ভেতর, সে খেয়াল থাকে না! বালুঘাটা খেয়া এসে গেল। এ পারে নন্দীগ্রাম। খেয়া পার হলেই ওপাশে সুতাহাটা থানা। তারপর পার্বতীপুর।
       
গন্তব্যে পৌঁছতে পৌঁছতে বেলা দ্বিপ্রহর গড়িয়ে যায়। অনন্তদার বাসায় যখন তারা পৌঁছল, তখন বিকেল তিনটা বাজে। দুজনে আপাতত ক্লান্ত। অবসন্ন। বাসায় রামের খানিক বিশ্রামে কেটে গেল বিকেলের সময়টা। বন্দোবস্ত বেশ ভালো। মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবার। বাড়িওয়ালার দুটি ছেলে। বাচ্চা দুটোকে পড়ানোর গুরু দায়িত্ব অনন্তদার কাঁধে। তার বদলে থাকা-খাওয়া জোটে। সকাল থেকে সন্ধ্যা খুব ব্যস্ততায় কাটে অনন্তদার। ছেলে পড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার নিজের লেখাপড়ার অনন্ত চাপ। অথচ, সবকিছু কী সুন্দর সামলে চলেছে অনন্তদা। বয়সে ছোট রামের ঠাঁই আপাতত তার বাসা।

অনন্তদা স্কুলে গেছে। ক্লাস করতে আর রামের ভর্তির ব্যাপারে স্কুলের সঙ্গে কথা বলতে। পার্বতীপুর পতিতপাবনী হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হবে রাম। একদিন বাসা বাড়ির বারান্দায় বসে রয়েছে সে। সামনে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ। শেষ বিকেলের লালচে আলোয় ধুয়ে যাচ্ছে মাঠ ঘাট। সরু সরু আলপথ। আলপথের উপর পায়ে হাঁটা দাগ। আঁকা বাঁকা মেঠো পথ। সেই পথে ধুলো উড়িয়ে বাড়ি ফিরছে গুটিকয়েক ছেলে। স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরত দুষ্টু ছেলের দল। ছুটির আনন্দ কোলাহলে মত্ত সবাই। ওদের মধ্যে ধীর স্থির যে ছেলেটি চুপচাপ হেঁটে যায়, তার নেড়া মাথা। ছেলেটার নাম বলরাম। বলরাম গাঙ্গুলি। পার্বতীপুর পতিতপাবনী হাইস্কুলে ক্লাস সেভেনের ফার্স্ট বয়। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে প্রথম হয়ে সপ্তম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে চলতি বছর ক্লাস সেভেনে রামের ভর্তি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেজন্য চাপা উত্তেজনায় ফুটছে উদ্বেলিত রামের জ্ঞানপিপাসু বুভুক্ষু মন। চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিগত তিন বছরের জমানো কষ্ট। পণ্ডশ্রম। সময়ের করাল স্রোতে ভেসে গেছে জীবনের মূল্যবান তিনটি বছর। হাতছাড়া হয়েছে ন্যূনতম জ্ঞানান্বেষণের সম্ভাবনা। শিক্ষার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে সে বঞ্চিত। এবার তার প্রবল জেদ। মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা —
'ওই ন্যাড়া মাথা ছেলেটিকে যেমন করেই হোক, টপকে যেতে পারলে স্কুলের সব সুযোগ সুবিধা পেতে অসুবিধা হবে না তার।'

জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 
(২)
দৌড় :

সময়টা ১৯৪৫ সাল। পার্বতীপুর পতিতপাবনী হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হল রাম। মন দিয়ে ক্লাস করে। শিক্ষক মশাইয়ের অবাধ্য হওয়া তার ধাতে নেই। একদিন স্কুলে শিক্ষক মশাই শ্রী সীতানাথ দাস কথায় কথায় বলে ফেললেন — 
'স্কুলের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পেতে চাইলে ভালো ছেলে হতে হবে। ক্লাসে প্রথম হতে হবে। সবার প্রথম।'

সীতানাথ বাবু গণিতের শিক্ষক। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকও বটে! রামের ফেভারিট সাবজেক্ট গণিত। সেই সুবাদে সীতানাথ বাবু তার অত্যন্ত প্রিয় একজন স্যার। প্রিয় স্যারের মুখ নিঃসৃত উপদেশ, তার কাছে, সাক্ষাৎ দৈববাণী। অজানা ভয়ে থরথর কেঁপে ওঠে রামের অন্তরাত্মা। শীতঘুম ভেঙে জেগে ওঠে মানবিক উচ্চাকাঙ্খী মন। নিজের লক্ষ্য স্থির করে ফেলল সে। প্রথম হতে হবে ক্লাসে। একদম প্রথম। সবার প্রথম। লক্ষ্য পূরণে আদা জল খেয়ে লেগে পড়ল বছরের শুরু থেকে। আরম্ভ হল নিবিড় অধ্যবসায় আর ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টা। ফল মিলল হাতেনাতে। সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত যত বার রেজাল্ট বের হয়, প্রত্যেক বার ক্লাসে প্রথম হয় সে। প্রথম হওয়া যেন তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ক্লাসে প্রথম হওয়ার ঢের সুবিধা। স্কুলের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা মিলে গেল অনায়াসে। 

বেশ তৃপ্ত সে। উদ্দেশ্য সফল করতে তার জুড়ি মেলা ভার। শুধু শুধু শুকনো প্রতিজ্ঞায় কি আর চিড়ে ভিজে? ভিজবে না। তার জন্য চাই কঠোর মানসিক শ্রম। শারীরিক শ্রমের প্রভাব তো সেখানে নস্যি! ক্লাসে প্রথম হতে গেলে মনঃসংযোগের বিকল্প কিছু নেই। চোখ বন্ধ রেখে ভাবনা প্র্যাকটিস করতে হবে খুব ছোট বয়স থেকে। আগল খুলবে ব্রেনের। বই বন্ধ রেখে মনে মনে নিয়মিত পাঠ আওড়ানো তৈরি করে দেয় সংক্ষেপে লেখার অভ্যাস। যে যত বেশি লেখে, সে তত বেশি জানে। তত বেশি স্মরণে থাকে। তার ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা তত কমে! পরীক্ষার উপযোগী সংক্ষেপে ভালো লেখার অভ্যাস করায়ত্ত হয়। এতেই হল কিস্তিমাত। অভাবনীয় রেজাল্ট!
         
রাত জেগে অঙ্ক কষার সঙ্গে রাত্রির নিবিড় সম্পর্ক। গণিত যে ভালোবাসে, রাত যত বাড়ে, পাল্লা দিয়ে বাড়ে তার অঙ্কের নেশা। এমন অদ্ভুত সম্পর্কের গভীরতার কথা মেধাবী স্টুডেন্ট মাত্রেই কমবেশি জানা। রামকেও গণিতের নেশা পেয়ে বসল। বীজগণিতের সূত্র আওড়ানো হোক কিংবা ত্রিকোণমিতির সূত্র ধরে অঙ্কের কষা— যেকোনও সমস্যার সমাধান না বেরোলে রাতভর দুচোখের পাতা এক করা বেজায় কঠিন হয়। একটি অঙ্কের সমাধান না করে হয়ত শুয়ে পড়েছে রাম, কিন্তু ঘুম আসছে না! বিছানায় ছটফট করে। এক রাতের ঘটনা। এমনই এক অঙ্কের সমাধান করতে না পেরে রাতে দেরিতে ঘুমাতে গেল রাম। সেদিন ঘুমে দুচোখ জড়িয়ে গেল যথারীতি। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এমন সময় বলা নেই, কওয়া নেই, সেই অঙ্কখানি হাজির তার মাথায়। তারপর মাথার এ গলি, ও গলি, সে গলি ঘুরে ফিরে সে এক দিশাহারা অবস্থা। কোনও মতে মিলছে না উত্তর। মাথার মধ্যে উত্তেজনা। উত্তেজনায় মস্তিষ্ক উষ্ণ হয়। আকস্মিক এক অলৌকিক ঘটনা ঘটল। হুররে! আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ আবিষ্কারের মতো হঠাৎ মিলে গেল সমাধান। মিলল হারানো সূত্রের সন্ধান। কিন্তু কলম কই! খাতা কোথায়! তার অঙ্ক কষার খাতা-কলম! হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। বিছানায় উঠে বসে রাম। তখন রাত দুপুর। স্বপ্ন! এতক্ষণ সে স্বপ্ন দেখছিল ঘুমের ঘোরে? আর ঘুম নেই। এখন ঘুমে আচ্ছন্ন নয় সে। অথচ কী আশ্চর্য ব্যাপার! তার চোখের সামনে এখন দিনের আলোর মত স্পষ্ট ভাসছে উত্তর না-মেলা অঙ্কটির সমাধান। ঝটপট আলো জ্বেলে খাতা কলম নিয়ে বসল সে, মাঝ রাতে। সাদা পৃষ্ঠায় খচখচ কতগুলি আঁকচিরা কেটে কষে ফেলল অঙ্ক। মিলে গেল উত্তর। যাক! এইবার খানিক নিশ্চিন্ত! কিন্তু এ কী স্বপ্ন! না, না, এ স্বপ্ন নয়! অবচেতন মনের অলস চিন্তা বই তো নয়। যে-চিন্তায় অনেক ক্ষণ গভীরভাবে আচ্ছন্ন থাকে মন, ঘুমের মধ্যে তাকে অনুসরণ করে ব্রেন। ফলস্বরূপ কখনও সখনও উঠে আসে সঠিক উত্তর। এ হয়তো তারই ফল। আর নাহ! অনেক হয়েছে। হাই উঠছে অল্প বিস্তর। রাত বিরেতে বিক্ষিপ্ত চিন্তার মাঝে জুতসই একখান গভীর ঘুমে পুনরায় জড়িয়ে আসে তার চোখ।  

অঙ্কের প্রতি রামের গাঢ় প্রেম দীর্ঘ দিনের! অঙ্কের মাস্টার সীতানাথ বাবুর সৌজন্যে সেই ভালোবাসা তীব্র থেকে তীব্র হয়। বীজগণিত আর পাটিগণিতে মাস্টার মশাইয়ের দারুণ দখল। দীর্ঘ দিনের অভ্যাসে পাঠ্যপুস্তকের সমস্ত অঙ্ক তাঁর নখদর্পণে। প্রশ্ন শুনে হেলায় বলে দিতে পারেন কমা-পূর্ণছেদ-দাগ নম্বরসহ অঙ্কের উত্তর; অবশ্যই বই না দেখে। এ এক বিরল গুণ, অনেক দিনের অবিচ্ছেদ্য অভ্যাসে যা করায়ত্ত হয়। ক্লাসে সৃজনশীল যে সব স্টুডেন্ট গণিতে তুখোড়, তাদের উপর ব্ল্যাকবোর্ডে অঙ্কটি কষে বোঝানোর গুরু দায়িত্ব ন্যস্ত হত। বেশিরভাগ সময় রামের ডাক আসত। বোর্ডে অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার জুড়ি মেলা ভার। মাস্টার মশাইয়ের অত্যন্ত স্নেহভাজন সে। আসলে এমনি এমনি প্রিয়পাত্র বনে যাওয়া যায় না। প্রিয়পাত্র হতে গেলে চাই কঠোর অনুশীলন। নিয়মিত অধ্যয়ন আর গভীর অধ্যবসায়। এর উপর ভিত্তি করে গুরু-শিষ্যের যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা অবিনশ্বর। চিরকালীন। সস্তা বস্তাপচা আলটপকা কোনও মন্তব্যে কিংবা উটকো ঘটনায় তা মলিন হয় না, নষ্ট হতে পারে না। তা সে যত ভঙ্গুরই হোক সমকালীন সমাজ। সমাজের নৈতিক অধঃপতনের মূলে রয়েছে পারস্পরিক অবিশ্বাস। ভ্রান্ত ধারণা। ছদ্ম নিয়ম-নীতি। মেকি ভালোবাসা। (ক্রমশ...)

তথ্য সূত্র :
• প্রণম্য বৈজ্ঞানিক ড. রামচন্দ্র মণ্ডল মহাশয়
• শ্রী সুদর্শন সেন বিশিষ্ট শিক্ষক ও আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক
• 'মনীষী ড. রামচন্দ্র মণ্ডল' – সম্পাদনা শ্রী জয়দেব মাইতি ও শ্রী সুব্রতকুমার মাঝি

Post a Comment

0 Comments