জ্বলদর্চি

তমাল লাহা ও এস. মহীউদ্দিন-এর কবিতা

অসতর্ক কাচ
তমাল লাহা

তুমি নেই ; অতিষ্টবেষ্টিত এই দুর্গম আমি 
অপেক্ষার লুব্ধকে শ্রেয়। 
আর কোনো প্রয়োজনও নেই ; পথের বৈশাখ 
কিছু লুকিয়ে রোহিত, আর কিছু ভদ্র-চাঁদ যাযাবর 
প'ড়ে আছে ঘি-মাখা পাঁপড়ের মতো, আধখাওয়া 
মোহিত বিস্মৃত ;

এখন নদীর কাছে চাওয়া যায় স্নানপ্রবণতা, 
আগুনের গা থেকে খুলে নিয়ে অগ্নিগহনায় 
স্বসম্মত নিঃস্ব হওয়া যায় ; নিশ্চিত, প্রশ্নচিহ্ণে

তবু সেই অহংকার, তোমার-আমার, তার কিছু 
অসতর্কে, সময়ের মেরুদন্ড বিক্রি ক'রে বাঁচে।

তুমি নেই ; তবু যেন বিঁধে আছো আজও 
চিড় ধরা কাচে।



জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 
নীলকণ্ঠ পাখি 
এস. মহীউদ্দিন

নীলকণ্ঠ পাখি তুমি। উড়ে বেড়াও ধূসর ডানাজড়ানো 
ধুলো পাখির জীবনবিন্যাসে। উড়ে যাও- দূর আকাশের
ছায়াপথে পরমাকে ভালোবেসে, আকণ্ঠ ডুবে আছো 
নীল বিষণ্ণতা বিষে...

আজো সমুদ্র ভাঙে ঢেউ, সোনালী ডানার চিল উড়ে যায় শূন্যতার বুকে । নোনা হাওয়ায় ভাসে চিক্‌চিক বালি, 
কান্নার কাতরতা। গ্রামগঞ্জে ভেসে আসে রূপশালী 
ধানের দিগন্ত জোড়া মাঠ...

তুমি নীলকণ্ঠ পাখি- হিজল অরণ্যের অন্ধকারে তোমার ছায়ারা প্রতিদিন হেঁটে যায় একা, একাকী নিঃসঙ্গ --
নির্জনতার সাথে। তোমার পাখি ঠোঁটে ঝুলে থাকে 
বাংলা কবিতার বর্ণমালা; প্রিয় অক্ষরের বিন্যাস, শব্দের বিস্তার।


Post a Comment

1 Comments

  1. দুটি কবিতাই ভালো লাগলো

    ReplyDelete