জ্বলদর্চি

রাখহরি পাল ও দিলীপ মহান্তী-র কবিতা

প্রেক্ষিত
রাখহরি পাল

মেয়েটিকে রোজ দেখি বড় চেনা চেনা লাগে
পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে সৌগন্ধে ছোঁয়া যেন কার
দু বিনুনি দুলে সাবধানী চলে যায় সূর্যের আগে। 
ইচ্ছে করে ডেকে বলি,মেয়ে,কি নাম তোমার?

দূর থেকে ফেলে যায় সময় আড়াল করা ভুল
কিছু স্মৃতি-বিস্মৃতি,ভালো-মন্দ মন্দ্র বিকালে
ভুল বা কেন বলি, সূর্যের রঙে আঁকা রামধনু ফুল
বকের পাখাকে ঘিরে নেচেছিল শিরিষের ডালে।

বাক্যহারা নিমেষের সৌরভ ঝরে গেছে যেই
অনৃতের আয়োজন ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে
কোন বাঁকে হারিয়েছি সুগন্ধী রুমাল,মনে নেই
নির্জন দ্বীপে তার চিহ্ন গুলি এলোমেলো ভাসে।

জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 

দিলীপ মহান্তী
ছোঁয়া

পাথর ভাঙার শব্দ ভেসে আসে কানে।
দূরে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের রব;
ধুলোপথে খালি পায়ে রোদকে মাড়িয়ে
পথিক হাঁটছে দ‍্যাখো বাঁচার আগ্রহে!

গানের পাহাড় থেকে নদী ঝরে পড়ে...
সুর তার বয়ে যায় ধূসর হাওয়ায়;
পাথরের ঠোকাঠুকি বালিদের বুকে,
কী তীব্র ভীষণ স্রোত রান্না ঘরে যায়!

অমাবস্যার গান লেখে উপোসী শরীর!
তবুও চারপাশে পতাকা উড়ছে ডালে ডালে;
ঘাসে ঘাসে পায়ের পাতার চেনা স্বর,
আকাশে বাতাসে ঘুরে ছড়ায় খরার খবর!

তবুও ফাল্গুন জাগে!
দগ্ধ হাওয়া কেঁদে যায় ছোঁয়া পেতে
জলের শীতল করতল!

Post a Comment

1 Comments