জ্বলদর্চি

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১২১

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১২১
সম্পাদকীয়,
আমরা যারা বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাদের কাছে ২১ শে ফেব্রুয়ারীর গুরুত্ব অপরিসীম। সে নিয়ে এবারের সংখ্যায় দোলনচাঁপা আন্টি নিবব্ধ লিখেছে আর সবিতা পিসি ছড়া লিখেছে। তোমরা যারা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ো, তারা অনেকেই বাংলা ভালো করে পড়তে লিখতে পারো না। কিন্তু ছোটো বন্ধুরা, বাংলা আমাদের মায়ের মুখের ভাষা। একে দূরে সরিয়ে না রেখে এসো আমরা আমাদের আদরের বাংলা ভাষায় বই পড়ি, লিখি। গান শুনি। তোমরা ভুলে যেও না আমরা ছোটোবেলায় মা সরস্বতীর সামনে স্লেটে বাংলায় অ আ লিখে হাতেখড়ি দিয়েছি। সরস্বতীকে নিয়ে ছড়া লিখেছে সমাদৃতা। আর দেবাশীষ আঙ্কেল একটা শিক্ষামূলক গল্প বলেছেন। তিন ছোট্ট বন্ধু সাঁঝবাতি, আর্শীয়া আর জয়দীপ সুন্দর সুন্দর তিনটি ছবি পাঠিয়েছে, এবারের ছোটোবেলার জন্য। এবার অপু দাদার তোলা ছোট্ট শিশুটির মিষ্টি ছবিটা দেখে বলতো ওকে চেনো কিনা? সোনালি দিদি বহুদিন বাদে পাঠপ্রতিক্রিয়া লিখে পাঠিয়েছে। সেই আনন্দে শেষ করার আগে একটা বাংলা গান করে শোনাবো তোমাদের, "আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলায় গান গাই....." মৌসুমী ঘোষ।


গল্প : প্রাণ ভরিয়ে
কলমে : দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়

এ সকালটা অন্যরকম অভীকের। মনখারাপের সুর সকাল থেকেই। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ও আজ কদমগাছটার নিচে এসে দাঁড়ালো। মায়ের হাতে পোঁতা।মা খুব কদম ফুল ভালোবাসতো। গাছটাকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষন দাঁড়ালো ও। মায়ের গায়ের  গন্ধ পেল যেন ও। চোখের কোণ ভিজে উঠলো এক অবরুদ্ধ কান্নায়। কতোক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে ছিল খেয়াল নেই। হঠাৎ মেয়ের ডাক ! মনে পড়ল আজ মায়ের জন্মদিনে ওরা কিছু কম্বল বিতরণ করে শীতকাতর অসহায় মানুষদের।মা বলতেন, খুব গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়ালেই আমাকে পাবি।তাই সঞ্চিতা ও অভীক মেয়ে বকমকে নিয়ে কম্বল দিতে গাড়ি চালিয়ে দূরে দূরে চলে যায় এইদিনে। কম্বল দেওয়ার সাথে কিছু খাবারের প্যাকেটও তুলে দেয় ওদের হাতে। মেয়ের সারা চোখে মুখে ঝলকে ওঠা আনন্দে অভীক ভিজতে থাকে ভালোলাগায়।ঠাম্মি ছিল বড়ো আশ্রয় বকমের।অভীক বুঝতে পারে,ভেতর ঘরে মেয়েটাও একা হয়ে পড়েছে।তাই এই দিনে ঠাম্মিকে আরো বেশি করে আঁকড়ে ধরতে চায় ও।মন ভরে যায় অভীকের। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা যেন আরো বেড়ে। যায়।নাতনির বুকে বেঁচে আছে আর্তের সেবায়।
    আজ যাবে বকখালির রাস্তায়।হাওয়াখালি গ্রামে ওর বন্ধু হরির বাড়ি। ওকে সঙ্গে নিয়ে চলবে ঐ গ্রামে আজকের কাজ। ডায়মন্ড হারবারের রবীন্দ্র পার্কে র সামনে গাড়ি দাঁড় করালো অভীক।মা বকখালি যাবার পথে এখানে রবীন্দ্রনাথের মূর্তির সামনে চুপটি করে দাঁড়াতো কিছুক্ষণ।তারপর বটগাছটার বেদীতে বসে নদীর দিকে তাকিয়ে গান ধরতেন খালি গলায়।চোখ বুজে গাইতে থাকা মায়ের রবীন্দ্র সংগীত আশপাশের সকলে মুগ্ধ হয়ে শুনতো।তারপর মাটির ভাঁড়ে এককাপ চা খেয়ে আবার চলা। আজও ওরা তিনজনে দাঁড়ালো রবীন্দ্র মূর্তির সামনে। মেয়ে হাত জোড় করে বিড়বিড় করে কি বলে চলেছে !অভীক জানে মেয়ে কি বলছে ঐভাবে।ঠাম্মির শেখানো গানটা ও গাইছে মনে মনে  "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে"!ও  ঠাম্মির কাছ থেকে জেনেছে,এই গান গাইলে মনে একলা চলার শক্তি আসে। এরপর ওরা নদীর দিকে মুখ করে বেদীতে বসলো।আজ জায়গাটা ফাঁকা ফাঁকা। পঁচিশে ডিসেম্বরের ভিড় আজ অন্যমুখে,অন্য মননে ! সঞ্চিতা গুনগুন করে গান ধরলো। চেনা রবীন্দ্র সংগীত।অভীক ও বকম গলা মেলালো ওর সাথে। মায়ের প্রিয় গানটাও গাইলো ও "এসেছিলে তবু আসো নাই জানায়ে গেলে "।কিছুক্ষণ নদীর দিকে তাকিয়ে বসে থাকলো চুপ করে ওরা।মগ্নতায় যে মা ফিরে ফিরে আসে !
         এবার গাড়ির দিকে চললো ওরা। পাশের চায়ের দোকানে চা খেয়ে গাড়িতে উঠবে।বকম প্রজাপতি বিস্কুট খেতে ভালোবাসে। ছেলেবেলায় ও বাগানে প্রজাপতির পেছনে ছুটতো। নাচতে নাচতে গাইতো " প্রজাপতি, প্রজাপতি! কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা !"ওরা খুব হাসতো তখন ওর কান্ড দেখে। প্রজাপতিগুলোও ‌ যেন মজা পেত ওর গানে। নেচে নেচে ওর কাছেই উড়ে বেড়াতো। এখানেও ওর ঠাম্মি জড়িয়ে। ঠাম্মির কাছ থেকে শিখেছিল গানটা। আজও প্রজাপতি বিস্কুটের মধ্যে বোধহয় ও ওর ঠাম্মিকে খোঁজে।
          হঠাৎ একটা আওয়াজে ওরা তাকিয়ে দেখলো এক বয়স্ক ভিখারীকে সামনের চা ওলা ও দোকানের কয়েকজন খুব মারছে।দোকানী লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দিল ভিখারীকে। ভিখারীর কপালটা কেটে রক্ত গড়াচ্ছে । আশপাশের উপস্থিত সকলে চুপ করে দাঁড়িয়ে।যেন কারো কিছু করার নেই।অভীক উঠে দাঁড়ালো। দোকানীকে মারতে বারণ করলো বৃদ্ধকে। পকেট থেকে রুমালটা বের করে ওর কপালে চেপে ধরলো।বকম ছুটে এসে বৃদ্ধকে তুলে বসালো রাস্তার পাশে। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলো,ঐ বৃদ্ধ ভিখারী কেক চুরি করে খাচ্ছিল। বড়দিনের বিক্রির জন্য সাজানো ছিল সব কেক।ও সুযোগ বুঝে চুরি করে খাচ্ছিল। পাশের দোকানের লোক দেখতে পেয়ে ধরে ফেলে হাতেনাতে।তারপর শুরু হয় মার। শুধুমাত্র একটা কেকচুরির জন্য এরকম নির্দয় হতে পারে মানুষজন! বকমের চোখে বিস্ময়।ও মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কেকের দাম দিয়ে দিল। নির্লজ্জ দোকানী হাত পেতে টাকাটা নিয়েও নিল।অভীক দোকানীর দিকে তাকিয়ে করুণার হাসি হাসলো শুধু।বাড়ির বৃদ্ধ বাবার কথাও মনে পড়েনি মানুষগুলোর এভাবে মারার সময়। কপালের রক্ত পড়েই চলেছে। রুমালটা বেশ ভিজে গেছে এরমধ্যে।
      বৃদ্ধকে গাড়িতে তুলে নিল ওরা। খোঁজ নিয়ে জানল, একটু দূরেই একটা ডাক্তারখানা আছে। বৃদ্ধের কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হবে মনে হচ্ছে।কাটা জায়গাটায় বেশ ধুলো লেগে আছে। পরিস্কার না করে দিলে সেপটিক হয়ে যেতে পারে। সঞ্চিতা ও বকমেরও মত একটা ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়ার। বৃদ্ধের সারা মুখ জুড়ে কদিনের ক্ষিদের আগুন। লুচি তরকারির একটা প্যাকেট হাতে দিতেই বৃদ্ধ গোগ্রাসে খেতে লাগল।একচোখ জল। মুখের কাশের জঙ্গল বেয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগলো গাড়ির সিটে। কষ্টে বাকরুদ্ধ ওরা তিনজনই। বকমের চোখে জল। বৃদ্ধের মুখের দিকে তাকিয়ে ও যেন ক্ষিদের জ্বালা বোঝার চেষ্টা করছে ! নাকি বৃদ্ধের মুখেও ও ওর ঠাম্মিকে খোঁজার চেষ্টায়।
       হঠাৎ বকম বলে উঠলো," এই দাদুর হাত দিয়েই আজ কম্বল ও খাবার বিতরণ হবে "।ওর ঠাম্মি বলতো , সমব্যথী হলেই কাজে পূর্ণতা আসে। গরীবের কষ্ট এক অসহায় সহায়সম্বল হীন বৃদ্ধ ছাড়া আর কেই বা বুঝবে ! মেয়ের এ হেন বিচারে চোখ ফেটে জল বেড়িয়ে এলো। সঞ্চিতার চোখেও জল। বকমের মানবিকতার পাঠ ঠাম্মিরই দেওয়া।ঠাম্মি যেন ওর সান্তা ! সব সমস্যার সমাধান যেন ঠাম্মির দেওয়া শিক্ষার ঝোলায় বকমের ! বৃদ্ধকে গাড়িতে বসিয়ে ওরা চললো হাওয়াখালির দিকে। 
জয়দীপ সাহা
ষষ্ঠ শ্রেণী,সোদপুর হাই স্কুল,উত্তর ২৪ পরগণা


একুশ আসে একুশ হাসে 
সবিতা বিশ্বাস 

জানুয়ারীকে পিছনে ফেলে ফেব্রুয়ারী আসে 
কৃষ্ণচূড়া পাপড়ি ঝরায় বাংলার ঘাসে ঘাসে 
চোখের জলে স্মরণ করি দামাল ছেলের মুখ 
ভাষাকে বাঁচাতে স্তব্ধ হল রফিক শফিক বুক 

একুশ তারিখ বুলেট গুলি ঢাকার পথে লড়াই 
টপকে বেড়া কাঁটাতারের ভাষার জন্য বড়াই 
রাত্রি জাগে শহীদ মিনার চোখের জলে ভেসে 
গঙ্গার জল উপচিয়ে পড়ে পদ্মা পানিতে মেশে 

জানুয়ারী মাস চলে যেতেই ফেব্রুয়ারী আসে 
দুই পারের আকাশে বাতাসে বর্ণমালা ভাসে 
আউল বাউল ভাটিয়ালি গায় একতারাটি হাতে 
বাংলা মায়ের স্নেহের পরশ ঝরে সবার মাথে 

একুশ আসে একুশ হাসে ভোরের আলো মেখে 
সারা বিশ্ব বিস্মিত চোখে ভাষার গরব শেখে
বাংলা ভাষীরা একসাথে গায় যুদ্ধ জয়ের গান 
বাংলা আখর বর্ণমালা সব বাঙালির প্রাণ |
আর্শীয়া রায়
কৃষ্ণনগর পাবলিক স্কুল, নার্সারি,নদীয়া


বসন্ত পঞ্চমী
সমাদৃতা রায় 
একাদশ শ্রেণী, উত্তরপাড়া গার্লস হাই স্কুল, জেলা হুগলি


সরস্বতী মায়ের সাথে এসেছিল সেই কতদিন আগে
মায়ের সাথে এসেছিল সেই কতদিন আগে
তারপরতে একলা আসে পঞ্চমীতে মাঘে
হস্তি কিম্বা দোলায় এলে দীর্ঘ হত পথ

তাইতে আসে আকাশ পথে হংস যে তার রথ
তাইতে আসে আকাশ পথে হংস যে তার রথ
পাড়ার যত দস্যি ছেলে কুমোর পাড়ায় গেল
হল্লাকরে বাগ দেবিরে সঙ্গে নিয়ে এলো

সাঁঝবাতি দাস
দ্বিতীয় শ্রেণী, বিড়লা হাই স্কুল, মুকুন্দপুর, কোলকাতা

স্মরণীয় দিবস
একুশে ফেব্রুয়ারি 
(আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস)
কলমে - দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে


১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ। ভারতবর্ষ স্বাধীন হল কিন্তু দ্বিখণ্ডিত হয়ে, জন্ম নিল পাকিস্তান নামে আর এক রাষ্ট্র। সেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হলো উর্দু মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নির্দেশে, কিন্তু পাকিস্তান তো শুধুমাত্র পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে নয়, পূর্ব-পাকিস্তান অর্থাৎ স্বাধীনতা পূর্ববর্তীকালের বাংলা আর অধুনা বাংলাদেশ নামে পরিচিত। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ যেখানে বেশিরভাগ বাঙালি, তারা বাংলা ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত, শুধু তাই নয় তাদের খাওয়া-দাওয়া ওঠা-বসা পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে একেবারেই আলাদা। তারা তা মেনে নেবে কি করে! বাংলা ভাষার
বদলে উর্দুকে আপন করে নিতে। 1948-1949 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী -অধ্যাপকরা ভেতরে ভেতরে প্রতিবাদী হয়ে উঠছিল নেতা মুজিবুর রহমানও চাইছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের(অধুনা বাংলাদেশ) ভাষা বাংলা হোক। 1952 খ্রিস্টাব্দে একুশে ফেব্রুয়ারি বাঁধ ভাঙা প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠল ছাত্রসমাজ, রফিক, বরকত ও জব্বার ভাষা আন্দোলনের শরিক হয়ে আন্দোলনে গর্জে উঠে এগিয়ে চলল বাংলা ভাষাকে তার যথাযোগ্য মর্যাদায় যোগ্য স্থান দেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা হল এবং আন্তর্জাতিক মর্যাদার স্থান পেল বাংলা ভাষা কিন্তু কতগুলো সতেজ প্রাণের রক্তে স্নাত হয়ে। 
আমরা আজ শুধুমাত্র সভা-সমিতি করেই নয়, আরো আত্মপ্রত্যয় ও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের বাংলা ভাষার বহ মানতা যাতে ঠিক থাকে। তবেই সেদিনের জব্বার ও বরকতের আত্ম বলিদান সফল হবে। শেষে একটা কথাই বলতে পারি,
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি"।

জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


পাঠ প্রতিক্রিয়া
(জ্বলদর্চি ছোটোবেলা ১২০ পড়ে সোনালি জানা যা লিখল)

মৌসুমীদির সম্পাদনায় "জ্বলদর্চি " আমার কাছে যেন ছোটবেলার এক মানসভ্রমণ পত্রিকা।অপূর্ব সুন্দর এই জার্নি।

প্রথম যে স্টপেজে চোখ আটকে যায় তা সুদীপ পাত্র মহাশয়ের প্রচ্ছদ চিত্রটি। মিঠে রোদ এসেছে মাটির উঠোনে।মাদুর পেতে বসে এক কিশোরী মনোযোগ দিয়ে পড়ছে। পেছনে মাটির দেওয়ালে রঙিনচিত্র। পোষা পায়রা, মুরগি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধামসা মাদলে শুধু তালের অপেক্ষা। এই তো আমাদের আটপৌরে ছেলেবেলা!
আরও কিছুদূর যেতেই পৌঁছে গেলাম বইমেলায়। হাজার হাজার বইয়ের সমাবেশ। রুপা চক্রবর্তী তার কবিতায় সেই বই-সমুদ্র থেকে দু একটি আনন্দ-মুক্তো সংগ্রহ করে নিতে বলেছেন। ছোটোবন্ধুরা, তোমরা করেছো তো?

এসে পৌঁছালাম জংশনে।দিলীপবাবুর 'সংস্কৃতির বন্ধু '।অসাধারণ একটি শিক্ষণীয় গল্প। মূলচরিত্র দুটির মধ্যে দিয়েই লেখক দেখিয়ে দিয়েছেন সংস্কৃতির বিপরীতে মাথাচাড়া দেওয়া অপসংস্কৃতি।
মানুষ নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করার তীব্র আস্ফালনে মত্ত।অথচ পৃথিবী ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি পশু,মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার যোগ্যতা রাখে।তথাকথিত বোকা বলে পরিচিত গাধার মধ্যে দিয়ে লেখক সেই বার্তাই দিলেন।এখনও যদি আমরা সচেতন না হই তো আর কবে?

এরপরে রিয়া মন্ডলের কবিতা। পেলাম পূজোর গন্ধ। এই মেলা, হইচই, আনন্দ যেন কখনই পুরোনো হয়না।

একেবারে শেষে এসে দোলনচাঁপা তেওয়ারী দের বিশ্ব ক্যান্সার দিবস নিয়ে একটি উৎকৃষ্ট প্রবন্ধ। 'ক্যান্সার' শব্দটার মধ্যে যে ভীষণ ভয় লুকিয়ে আছে, এই প্রবন্ধ তাতে যে জ্ঞানের আলো সঞ্চার করবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আর রং-তুলি হাতে যে খুদে শিল্পীরা পত্রিকাটিকে রঙিন করে তুলেছে, সৌনকশৌর্য, তুহিন, রুহানা তাদের জন্য অনেক আদর। এভাবেই ছোটো ছোটো চারাগাছগুলি হয়ে উঠুক মহীরুহ। আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।


Post a Comment

0 Comments