জ্বলদর্চি

কবিতার দিনে/আবীর ভট্টাচার্য চক্রবর্তী

কবিতার দিনে
আবীর ভট্টাচার্য চক্রবর্তী


(১)
নিবিড় ভালোবেসেই তাকে নিবিড় করে পাওয়া;
প্রেরণা স্বরূপ আভাসে ভাসে অনুভবী সে মায়া। 

অভ্যস্ত যাপনে জাগে আলোময় সুরেলা সঙ্কেত
যে জন পেয়েছে তাকে,তার বোধ দিব্য অনিকেত। 

বর্তূল উপেক্ষাব্যথা অস্বীকৃত অপরা সংলাপে
কাব্য অজেয় সুধা, তার স্হিতি নিত্য বিপ্রতীপে।
 
লৌকিক আশায় দেয় ভ্রান্তিহরা স্বস্তির নির্দেশ
 গভীর নির্জন সুখে এ সাধনা ধ্রুব অনিঃশেষ। 

প্রেমেরও অধিক প্রেমে জ্বলে ওঠে অনির্বাণ আলো
মরমী যে জন তাকে আজন্মই কবিতা স্পর্শালো!... 


(২) 
আমার শব্দ তোমার মন ছুঁলে
এই বসন্তে মোহন বিপর্যয় 
শব্দগুলোও ধুসর রঙ ভুলে
রামধনুতে নিয়েছে আশ্রয়। 

এই তো সেই আকিঞ্চন রীতি
রূপকথায় যেমন যা যা হয়… 
কাব্যে শুধু কল্পনা-প্রেম-গীতি, 
তবুও শেষে সৃষ্টিসুখেরই জয়। 

আমার শব্দ তোমার মন ছুঁলে
স্বপ্ন-অধীর কলমে অরুণোদয়
আমার লিখন স্বচ্ছতোয়া হলে
অন্ত্যমিলের আর করি না ভয়। 


(৩) 
কবিতাদেউল থেকে কখনও দূরে চলে গেলে...
এ জীবন স্পষ্টতই প্রেমহীন হবে
পূর্ণ আকাঙ্ক্ষাসুখে ক্লেদ-ঈর্ষা-কালো
আলিঙ্গনে থাকবে না জোছনার আলো!

যে আসঙ্গে পাপ নেই,যার প্রেমে স্পর্শাতীত সুখ
কবিতা-কাননে তার অকলঙ্ক চরণই পড়ুক
বিপ্লবের চেতনায় জাগরিত হয় যেন মানবিক মুখ
অসহায় সমাজের দেহে মনে দুখ ; গভীর অসুখ...

এসো বন্ধু,বাক দাও সুকল্যানী আলোর উৎসারে
অসুরের নশ্বরতা হেরে যাক সে কাব্যঝঙ্কারে
সুরের অমৃতধারা নিত্যবহ নব নব সৃষ্টির প্রাক্কালে
কবিতা দেউল থেকে যেওনা কখনও দূরে চলে…


জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇



Post a Comment

0 Comments