কবিতাগুচ্ছ ৪
অমিতাভ সরকার
১
বাইরে বেশ গরম।
শিশিরের শেয়ার পতনে চেতনার সেনসেক্স পড়ছে। গায়ক গাছের তলায় বসে।
গানটা এতদিন পরেও দূর থেকে একইরকমই সুন্দর। 'যদি চাঁদ জাগে কোনো মধুরাতে' - সুবল দাশগুপ্ত
সঙ্গীত কোনোদিন পুরানো হয় না। সঙ্গীর সঙ্গলাভে আকাশের আনন্দ।
আর আকাশটা তো সবারই।
২
অনেকক্ষণ বসে আছি।
সিটটা গরম হয়ে গেছে।
মনটা একই আছে।
ভুলের আতস কাচে বাতাসের হাসিমাখা ভুলগুলো লজ্জায় মুখ ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এই বয়সে আমি চেয়ারম্যান হলে চেয়ারটাই থাকবে না।
গাছেদের মধ্যে আলোর সম্পর্কের জায়গাটা যতটা
কম দেখানো, ভিতরের শিক্ষাটা ততটাই নিবিড়।
যদিও মনের সবটা না বললেও মন ঠিকই বুঝে নেয়।
৩
আমি কাউকে বাদ দিতে চাই না। তবুও দেখি সময়ে ওরা নিজেরাই আমাকে বাদ দিয়ে ফেলেছে।
অনেক গল্পের আবারও ফিরে আসা।
ভুল বুঝি না।
উপেক্ষার বিষপানে আরও অপরিহার্য হয়ে উঠি।
যার যেটা পাবার, তাকে সেই লক্ষ্য থেকে বঞ্চিত করবে, কার সাহস!
৪
সবার মধ্যেই একটা কবিসত্তা আছে।
প্রকাশ পায় না, সেটা আলাদা।
সুযোগটা থাকে না তাই।
মনের রুক্ষ জমির ওঠাপড়া জীবন মাটিতে কষ্টের সোনালি ফসল ওঠে, মেঘ ছোটে, আশার ধানের গোলায় ক্ষুধার নিবিড় শীষে সুরের প্রেমবিন্দু, মাথায় আনন্দের খোরাক, সুখের নিরন্তর পরীক্ষায় অনন্ত জীবনের ডাক, সবশেষে এসে বৃষ্টি পাড়ায় সেই জল জমবেই।
৫
ভাবনা আর চোখে দেখার বিরোধ চিরদিন।
চিন্তায় রোদের চিনি কম।
এত কিছু উন্নতি হল, ফাইভ জি এল,
দমদম শিয়ালদহে ঢোকার আগে সিগনাল আর ঠিক হল না।
জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇
2 Comments
খুব সুন্দর।গভীর অর্থবহ।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো। একদম অন্যরকম ভালো লাগা থাকলো এই কবিতাগুচ্ছের প্রতি। কবির প্রতি।
ReplyDelete