জ্বলদর্চি

নূতন শিক্ষা নীতি ২০২০ (NEP- 2020) - কিছু প্রশ্ন (অন্তিম পর্ব)/সজল কুমার মাইতি


নূতন শিক্ষা নীতি ২০২০ (NEP- 2020)  - কিছু প্রশ্ন  

সজল কুমার মাইতি

অন্তিম পর্ব 

উচ্চ শিক্ষা 

অনুপ্রাণিত, উজ্জ্বীবিত ও যোগ্য শিক্ষকমন্ডলী

নূতন শিক্ষানীতি (২০২০) এটা মেনে নেয় যে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সাফল্য নির্ভর করে উচ্চ গুনমান সম্পন্ন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুনির্দিষ্ট, স্বাধীন ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া ও শর্তাবলী থাকা কাম্য। শিক্ষকমন্ডলীর অনুমোদিত কাঠামোর মধ্যে নিজেদের পাঠক্রম তৈরি করার ও বিদ্যাচর্চার দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করার স্বাধীনতা থাকবে। শ্রেষ্ঠত্বের জন্য উৎসাহদানের ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য উপযুক্ত পুরষ্কার, পদোন্নতি, স্বীকৃতিদানের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্বে উত্তীরনের ব্যবস্থা ও থাকতে হবে। যে সকল শিক্ষক মূল যোগ্যতা প্রমানে ব্যর্থ হবে তারা কৈফিয়তদানে বাধ্য থাকবে।

আদর্শনীতি হিসেবে বাহবাযোগ্য, কিন্তু বাস্তবায়ন কতটা নিখুঁতভাবে সম্ভব তা কেবল ভবিষ্যতই বলবে। আবার এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি পরিমন্ডলের মধ্যে খুব বেশি কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র হয়ে দাঁড়াবে। এটা সর্বদা মনে রাখা উচিত শিক্ষার ফল সুদূরপ্রসারী। জেনারেশনের পর জেনারেশন এর ফল লাভ করতে বা ভুগতে পারে।

উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যকরী প্রশাসন ও নেতৃত্বদান

আগামী পনের বছরের মধ্যে আমাদের দেশের প্রতিটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উপযুক্ত গ্রেড প্রথার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে গ্রেডের মাধ্যমে স্বীকৃতিদান ও গ্রেডেড স্বায়ত্বশাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এই সময়ের মধ্যে প্রতিটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই হবে স্বাধীন ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এবং এদের মূল উদ্দেশ্য হবে উদ্ভাবনশীলতা ও শ্রেষ্ঠত্ব লাভ। প্রতিটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে সর্বোচ্চ গুনমানের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা যায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেষ্ঠত্বের সংস্কৃতির প্রসার ঘটে। স্বায়ত্বশাসন ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক শাসন মূলত শিক্ষামূলক, প্রশাসনিক ও আর্থিক - এই সকল প্রতিষ্ঠানের যেগুলিতে প্রশাসক মন্ডলী আছে তাদের মূল উদ্দেশ্য হল উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করা। সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদ ও নেতৃত্বদানের অধিকার দেওয়া হবে উচ্চ শিক্ষামূলক যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের। শুধু তাই নয়। যারা জটিল পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্বদানের পরিচয় রেখেছেন ও প্রশাসনিক দক্ষতার প্রদর্শন করেছেন তাদের ও এই নেতৃত্বদানের জন্য ও নিযুক্ত করা হবে।

যোগ্য ব্যক্তিই কেবল প্রতিষ্ঠানকে মূল লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করতে পারে। সেই যোগ্য ব্যক্তির নির্বাচন কেবল যোগ্যতা মানের ওপর নির্ভর করবে। অন্য কোনো সুপারিশ খ্রহনযোগ্যতার মধ্যে আসা কাম্য নয়। কিন্তু বতর্মান রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এই প্রয়াসকে কতটা সাফল্য লাভে সাহায্য করবে তা নিয়ে প্রশ্ন অবশ্যই থাকবে। সন্দেহ অবশ্যই হয় যখন দেখি একজন প্রশাসক দু থেকে তিনটি পদে বহাল তবিয়তে বিরাজমান থাকেন, তাও বছরের পর বছর,  তখন অতি উচ্চাশা পোষন আশাহতের কারন হতে পারে।


জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


উচ্চ শিক্ষার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা 

উচ্চ শিক্ষার প্রসারের জন্য এর নিয়ন্ত্রণকারী একটি সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সারা দেশের জন্য থাকবে। এটি হবে Higher Education Commission of India( HECI)। একে সাহায্যের অন্যান্য সহযোগী সংস্থাগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করবে। গুনমান নির্ধারণের জন্য General Education Council (GEI); আর্থিক সাহায্যৃর জন্য Higher Education Grants Council ( HEGC); স্বীকৃতি প্রদান সংস্থা National Accreditation Council (NAC); এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা National Higher Education Regulatory Council ( NHERC)। নিয়ন্ত্রণবিধি হবে ' light but tight'। এই নিয়ন্ত্রণ বিধি হবে স্বচ্ছ ও স্ব প্রকাশের ওপর নির্ভরশীল, পরিদর্শনরাজ এর পরিসমাপ্তি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ন্ত্রণ বিধি তৈরি করার ক্ষমতা থাকবে ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা ও থাকবে। 

উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই কাম্য। গুনমান বজায় রাখতে এটি জরুরি। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরিদর্শকদের যোগতা ও চয়ন নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন ওঠে। তার নিরপেক্ষতা নিয়ে ও প্রশ্ন ওঠে। এসবের উর্ধে উঠে নিরপেক্ষ প্রশাসন দিতে পারলে কেবল আসল লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে।

শিক্ষক শিক্ষা 

শিক্ষক শিক্ষার জন্য ব্যাচেলার অফ এডুকেশন ডিগ্রী প্রদানের জন্য বহুমুখী বিষয় শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে। চার বছরের এই কোর্সে বিষয় ভিত্তিক ও পর্যায় ভিত্তিক ডিগ্রী প্রদানের ও ব্যবস্থা থাকবে। একটি নতুন ও সামগ্রিক শিক্ষক শিক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় পাঠক্রম কাঠামো, NCFTE ২০২১, প্রস্তুত করা হবে। NCTE এই কাঠামো রচনা করবে NCERT এর সঙ্গে পরামর্শ করে। ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা মান হবে চার বছরের সামগ্রিক বি এড ডিগ্রী। এই ডিগ্রীর মধ্যে নানাবিধ জ্ঞানের বিষয় যেমন থাকবে, থাকবে বিদ্যাচর্চার ও বিভিন্ন স্থানীয় বিদ্যালয়ে ছাত্র পাঠদানের ব্যবহারিক শিক্ষন প্রনালীর উচ্চমানের ব্যবস্থা। শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে যেগুলি নিম্নমানের তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে শাস্তি বিধানের ব্যবস্থা থাকবে।

বিধি হিসেবে হয়তো তেমন কিছু বলার নেই, কিন্তু বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রতিষ্ঠান চালানোর খরচ কোথা থেকে আসবে তার কোন হদিশ নেই। শিক্ষক শিক্ষার সময় বিকল্প শিক্ষকের ব্যবস্থা করা, তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী মাইনের ব্যবস্থা করা, এসব সত্যিই কঠিন কাজ। বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু অন্য কথা বলতে অভ্যস্ত।

জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা মিশন

একটি জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা মিশন গঠিত হবে। তার মধ্যে থাকবে একটি বিশাল সংখ্যক বরিষ্ঠ অথবা অবসৃত শিক্ষক যাদের মধ্যে ভারতীয় ভাষা শিক্ষাদানে পারদর্শী শিক্ষক ও। এই সকল শিক্ষকেরা বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বল্প মেয়াদী বা দীর্ঘ মেয়াদী শিক্ষাদান বা পেশাগত সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকবে।

এই প্রস্তাব সফল কিভাবে হবে তার সূত্র কিন্তু নাই। স্কুল শিক্ষায় যখন যথেষ্ট শিক্ষকের অভাব আছে, তখন এই লক্ষ্য কিভাবে সম্ভব তা অজানা।

পেশাদারী শিক্ষা 

সকল পেশাদারী শিক্ষাকে সংঘবদ্ধভাবে উচ্চ শিক্ষার অধীনে আনা হবে। পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠিত কারিগরিবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্হ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, আইন ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা এই সকল বিষয় বা অন্য ক্ষেত্রের বিশ্ববিদ্যালয় সকলকেই বহুমুখী বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনত করা হবে।

বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্প শুনতে ভাল, কিন্তু কতটা সফলভাবে রূপায়ন সম্ভব তা আকাশকুসুম কল্পনা।

শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার 

National Educational Technology Forum (NETF) নামে একটি স্বয়ংশাসিত সংস্থা গঠন করা হবে। শিক্ষা, মূল্যায়ন, পরিকল্পনা ও প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বপক্ষে নতুন নতুন ধারনার মুক্ত বিনিময়ের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই সংস্থা কাজ করবে। উপযুক্ত প্রযুক্তির একত্রিতকরন করা হবে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে। ক্লাসরুম শিক্ষার উন্নয়নে, শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে, পশ্চাপদগামীদের শিক্ষায় প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধিতে এবং শিক্ষামূলক পরিকল্পনা, প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনাকে সরলীকরন করার কাজে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম DIKSHA অথবা SWAYAM এইগুলিকে অধীক সংঘবদ্ধ করে বিদ্যালয় শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষায় ব্যবহার করা হবে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অধীক হারে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করবে সংহতিনাশক প্রযুক্তিবিদ্যার গবেষণার কাজে। শিক্ষাদানের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা সরঞ্জাম ও বিষয় এবং অনলাইন শিক্ষার বিভিন্ন বিভিন্ন পৃথক পৃথক বিষয়গুলির সমন্বয়ের কাজ এই প্রযুক্তি দ্বারা করা হবে।

প্রস্তাব অত্যন্ত উপযোগী, কিন্তু অর্থের সংস্থানের কোনো সূত্রের হদিশ এখানে নেই। অর্থ ব্যতিরেকে এর বাস্তবায়ন কখনও সম্ভব নয়।

অনলাইন শিক্ষা ও ডিজিটাল শিক্ষা 

মহামারী ও অতিমারী ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনলাইন ও ডিজিটাল শিক্ষার প্রসারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। যখন যেখানে প্রথাগত শিক্ষা বা ব্যক্তি উপস্থিতির মাধ্যমে শিক্ষা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে এই অনলাইন ও ডিজিটাল পদ্ধতির প্রস্তুতকরন জরুরি। স্কুল শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষায় ই- শিক্ষার জন্য MHRD তে ডিজিটাল পরিকাঠামো, ডিজিটাল কনটেন্ট ও ক্ষমতা তৈরি করে একটি সর্বক্ষনের ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হবে।

একই প্রশ্ন এখানে ও প্রযোজ্য কারন পরিকাঠামো ও অন্যান্য কাজের জন্য অর্থের যোগান কোথা থেকে হবে তার কোনো ঠিকানা এখানে ও দেওয়া নেই। সেই জন্য বাস্তবায়ন ও কঠিন।

প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা 

এই নীতিতে একশো শতাংশ যুবক ও প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

বহু বছর ধরে এই মিশন চলে আসছে, কিন্তু এখনো একশো শতাংশে আমরা এখনো পৌঁছেতে পারিনি। নিরক্ষরতা দূরীকরণে এখনো দেশ যথেষ্ট পিছিয়ে। আগে সেই লক্ষ্য পূরন জরুরি।

ভারতীয় ভাষার প্রসার

ভারতীয় ভাষার সংরক্ষন, বৃদ্ধি ও প্রানচঞ্চলতা বজায় রাখা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অধিক সংখ্যক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং অধিক সংখ্যক প্রোগ্রামে মাতৃ ভাষা বা স্থানীয় ভাষা ব্যবহৃত হবে। শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে এই ভাষা ব্যবহৃত হবে যার ফলে Gross Enrolment Ratio (GER) বৃদ্ধি পাবে। প্রতিটি ভারতীয় ভাষার শক্তি, ব্যবহার এবং প্রানবন্ততার প্রসার করা ও উদ্দেশ্য। একটি ভারতীয় ভাষা অনুবাদ ও বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ( Indian Institute of Translation and Interpretation) অথবা ( IITI) প্রতিষ্ঠিত হবে।  সংস্কৃত ও অন্যান্য সকল ভারতীয় ভাষা প্রতিষ্ঠান ও বিভাগ সারা দেশব্যাপী প্রভূতমাত্রায় শক্তিশালী করে তোলা হবে। পালি, পারসিয়ান ও প্রাকৃত ভাষার জন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হবে। ধ্রুপদী, জনজাতীয় ও লুপ্তপ্রায় ভাষা সহ সকল ভারতীয় ভাষার সংরক্ষন ও প্রসারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কিছু কিছু মৃত ভাষার পুনরুজ্জীবন দেশপ্রেম প্রদর্শনে বাহবা কুড়াতে সাহায্য করতে পারে। হয়তো পৌরাণিক বিষয় জানতে ও সুযোগ এনে দিতে পারে, কিন্তু বাস্তব কঠিন ভাবে আধুনিক ভাষায় আগ্রহদীপ্ত হয়ে ওঠার সম্ভাবনাময়।

শিক্ষায় অর্থ সংস্থান

শিক্ষায় অর্থ সংস্থানের জন্য এমন একটি ব্যবস্থা প্রচলন করা হবে যাতে বহু বিধ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকবে। এরফলে উচ্চ শিক্ষায় বাণিজ্যকরন রোধ করা সম্ভব হতে পারে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই ধরনের অডিট মানের আওতায় আনা হবে। এবং প্রতিষ্ঠান অমুনাফামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে। কেন্দ্র ও প্রতিটি রাজ্য একসঙ্গে চেষ্টা করবে যাতে অধিক পরিমানে আর্থিক সাহায্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সরকারি সাহায্যের মাধ্যমে আসে। এবং যত শীঘ্র সম্ভব এই সাহায্য GDP র ৬ শতাংশে পৌঁছে যায় তার চেষ্টা করতে হবে।

অর্থের যোগান হল মূল সমস্যা। বাজেটে ৬% অর্থের বরাদ্দ দূর অস্ত। অনেক ক্ষেত্রে তা ৩% এর কম হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

CABE কে শক্তিশালী করা হবে 

CABE ( The Central Advisory Board of Education) কে অধিক শক্তিশালী করা হবে যাতে শিক্ষায় গুনমান বজায় রাখতে সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে। নতুন রূপে ও নতুনভাবে উজ্জীবিত CABE সারাদেশে শিক্ষায় মান বজায় রাখার জন্য অনবরত কাজ করে যাবে। এর দায়িত্ব হবে সারাদেশে শিক্ষার ভিশন নির্মাণে, মূল্যায়নে ও নবনির্মানে রত থাকতে হবে। এই কাজে এই সংস্থা MHRD ও রাজ্যগুলির এই বিষয়ে উচ্চ প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাবে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামো পর্যালোচনার মাধ্যমে ভিশনের পুনর্মূল্যায়নের কাজ ও করতে থাকবে।

মূল সমস্যা সমন্বয়ের। কেন্দ্র ও রাজ্য প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে।

শিক্ষা মন্ত্রনালয়

শিক্ষা ও শেখার ওপর মূল নজর ফিরিয়ে আনার জন্য যেটি কাম্য সেটি হল MHRD কে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে পরিনত করার প্রস্তাব। এর মূল উদ্দেশ্যই হলো শিক্ষায় গুরুত্ব দান শুনতে ভাল, কিন্তু কতটা আসল উদ্দেশ্য সফল হবে তার অপেক্ষায় রইলাম।

সমাপ্ত




Post a Comment

0 Comments