জ্বলদর্চি

তিনটি কবিতা/ দুর্গাদাস মিদ্যা


তিনটি কবিতা 
দুর্গাদাস মিদ্যা


সংযম
                  
ভাঙনের জলে কুলকুচি সেরে
হেঁটে যাই জীবনের দিকে
ফিকে হয়ে যাওয়া সকাল 
যতবার হাতছানি দিয়ে ডাকে
ততবার আলস্য মেঘ হয়ে উড়ে আসে মনের আকাশে। 
যতটুকু মগ্নতা চেয়েছিলে তুমি
ততটুকু দিতে গিয়ে আমি ফতুর হয়েছি। 
অহমিকা শুধু ব্যবধান জানে
তা না হলে মন কেন ছুটে যায় 
অনুরাগের সন্ধানে! 
নাড়ি ধরে যদি টান দাও
তবে নানা রঙ্গ রসে
পূর্ণ হবে প্রেমের কলস 
সময়ে সময়ে গেয়ে উঠবে গান 
যেন মনসার ভাসান। 
আসলে এসব শুধু সময়ের খেলা
তাই যত অবহেলা পড়ে থাকে 
পথের নুড়িপাথর মতো। 
হাতের লাটাই জানে
কোন টানে ঘুড়ি থাকে সংযত। 



বিকলাঙ্গ এই সময়
      
বিকলাঙ্গ কিছু কথা হুড়মুড়িয়ে আসে 
এই সময়ের কান্ড কারখানা দেখে মুখ লুকিয়ে হাসে। 
ভাবে, ভাবতে থাকে সময়ের কথা
তারপর রবাহুত জটিলতা ঘুরপাক খায় আশ্চর্য বিপন্নতায়।
শূন্য ঘরে খেলা করে হাড় হিম করা ভবিষ্যৎ
ঝুটা ইনসান  ক্যায়া বাত বলে
জমিয়ে তোলে মহরত। 
বিস্ফারিত চোখে দেখি
বিকলাঙ্গ সময়ের ছোটাছুটি
হুটোপুটি পড়ে যায় কে কাকে নেবে কব্জায়! 
অঙ্গ দুলিয়ে রেম্পে হাঁটে কেউ কেউ আর যত  ফেউ মজে থাকে চোর সিপাই খেলায়। 
সব দেখে শুনে কিছু কথা বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে থাকে রাস্তায়। 


জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇


অবসন্নতার দেওয়াল

অবসন্ন জীবনের দেওয়াল ভাঙতে ভাঙতে এগিয়ে চলা। 
রাত্রিশেষের উদ্ভাসিত আলো
যে আলো জ্বালালো  আমার প্রাণে
তার গানে মুখরিত আমার আকাশ। 
রমনীয় যা কিছু ঘিরে থাক আমার চারপাশ
হাঁসফাঁস নয় পুষ্পিত পেলবে সেজে উঠুক জীবন উদ্যান। 
বিপন্নতার সহবাস কাম্য নয়
কাম্য নয় পাওয়া না পাওয়ার হা হুতাশ। 
দৃপ্ত পদক্ষেপে জেগে উঠুক নিত্য নৈমিত্তিক জীবন আমার
এই ভাবনায় ভেঙে ফেলি অবসন্নতার দেওয়াল। 

🍁
বাড়িতে বসেই রেজি.ডাক মাধ্যমে জ্বলদর্চির বিশেষ সংখ্যাগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। যোগাযোগ  হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৭৩২৫৩৪৪৮৪



Post a Comment

0 Comments