জ্বলদর্চি

তেলকুপী:দামোদর গর্ভে ডুবে যাওয়া মন্দির নগরীর ইতিহাস /সূর্যকান্ত মাহাতো

জঙ্গলমহলের জীবন ও প্রকৃতি

পর্ব - ৬৭

তেলকুপী:দামোদর গর্ভে ডুবে যাওয়া মন্দির নগরীর ইতিহাস

সূর্যকান্ত মাহাতো


"দামোদর নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ এক গুচ্ছ পরিবেশ সংরক্ষণের কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছিল মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের 'টেনেসি ভ্যালি অথরিটির' আদলে 'দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন'(DVC)। ১৯৪৮ সালের ৭ই জুলাই 'Act No XIV of 1948' আইন বলে DVC স্থাপিত হয়। সে সময় কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জহরলাল নেহেরু। এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিধান চন্দ্র রায় এবং পার্শ্ববর্তী বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ সিনহা। খুবই মহৎ উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে অন্য একটি ইতিহাসের সলিল সমাধিও ঘটে গিয়েছিল।"

বন্ধুর মুখে এমন কথা শুনে কিছুটা অবাক হলাম। মনে মনে ভাবছিলাম কোন ইতিহাসের কীভাবে সলিল সমাধি ঘটেছিল? বন্ধুকে মনের মধ্যে জেগে ওঠা প্রশ্নগুলোই করলাম।

বন্ধু বলল, "D V C প্রকল্প রূপায়ন করতে গিয়ে পাঞ্চেতে  ১৯৫৯ সালে দামোদর নদের ওপর দুটি বড় বাঁধ নির্মাণ করতে হয়েছিল(উইকিপিডিয়া মতে)। দেবলা মিত্রর মতে বাঁধের কাজ আরো আগে শুরু হয়েছিল। কারণ ১৯৫৭ সালেই নদের জল 'তেলকুপি' গ্রামকে গ্রাস করতে শুরু করেছিল। দামোদরের সেই ফুলে ওঠা জলরাশির নিচেই তাই একসময় চলে গেল দশম থেকে একাদশ শতাব্দীতে নির্মিত তেলকুপীর মন্দির নগরী। তলিয়ে গেল হাজার বছরের ইতিহাস। লালপুরের কাছে এখনো যে দুটি মন্দির কোমর সমান জলে দাঁড়িয়ে আছে তারাও এখন মৃত্যর প্রহর গুনছে। কিছুটা দূরে আরো একটি মন্দির আছে। তবে সেটা বেশির ভাগ সময়ই জলে ডুবে থাকে। কেবল গ্রীষ্মকালে জলস্তর কিছুটা নেমে গেলে তার আবির্ভাব ঘটে শ্বাস নেওয়ার জন্য।" 

"স্থানীয় মানুষ ও প্রশাসন সে ব্যাপারে কি কোন ভূমিকা নেয়নি?"

"এ ব্যাপারে জানা যায় যে, ১৯৫৭ সালে জলস্তর তেলকুপীকে একটু একটু করে গ্রাস করতে শুরু করলে স্থানীয় মানুষ তেলকুপীর মন্দিরগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে প্রতিস্থাপন করার আবেদন জানিয়েছিলেন। এবং কর্পোরেশনকে বলা হয়েছিল প্রত্নতাত্বিক জরিপ দিয়ে তেলকুপীকে সেই আওতার বাইরে রাখা যায় কিনা ভেবে দেখতে। কিন্তু ১৯৫৯ সালে মন্দিরগুলোর ডুবে যাওয়া থেকে শেষ পর্যন্ত কোন কিছুই নাকি করা হয়নি।"(Telkupi- a submerged temple site in West Bengal)

তারপর আমি সেই তেলকুপি ও তার মন্দির নগরীর ইতিহাস শুনতে বসলাম।

"তৈলকল্প। অধুনা তেলকুপী। দামোদর নদের তীরে গড়ে ওঠা একটি গ্রাম। প্রাচীন ইতিহাস আর ঐতিহ্য ছিল যার দিকে দিকে। অথচ সেই ঐতিহ্য আর ইতিহাস ধীরে ধীরে আজ দামোদর নদ ও পাঞ্চেত জলাধারের পেটে চলে গেছে। তরুণদেব ভট্টাচার্যর মতে, এই 'তৈলকল্প' অতীতে শুল্ক প্রদানকারী এক 'পরগনা' বা 'সামন্ত' রাজ্য ছিল।(পুরুলিয়া, পৃষ্ঠা- ১০২)। বিনয় ঘোষ 'তেলকুপী' বর্ণনা প্রসঙ্গে 'কোট' করে বলেছেন, তেলকুপী "containing perhaps the finest and largest number of temples within a small space"। জে. ডি. বেগলার লিখেছেন Chutia Nagpur circle এর একটি প্রসিদ্ধতম স্থান হল 'তেলকুপী',(পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা- ৪৪৫)। নগেন্দ্রনাথ বসু বলেছেন, 'তেলকুপী' হল তৈলকম্পির(রাজা রুদ্র শিখরের রাজ্য) বিকৃত রূপ( বঙ্গের জাতীয় সংস্কৃতি, রাজন্যকান্ড)। দেবলা মিত্র বলেছেন, 'তেলকুপি' একসময় শিখর রাজা রুদ্র শেখরের রাজধানী ছিল।(Telkupi- a submerged temple site in west bengal)

"বিশিষ্ট কবি 'সন্ধ্যাকর নন্দী' তার 'রামচরিতম' এর দ্বিতীয় পরিচ্ছদের ৫ম শ্লোকে 'তৈলকম্প' বা 'তেলকুপী'র কথা উল্লেখ করেছেন---
"শিখর ইতি সমরপরিসর বিসরদরি রাজ রাজীগণ্ড গর্ব্ব গহন দহন দাবানলস তৈলকম্পীয় কল্পতরু রুদ্রশিখর (রামচরিতম, ২/৫)

"তবে ইউ. এন. ঘোষাল কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে 'তৈল'কে যে এক ধরনের 'শুল্ক কর' বলে, সে কথা উল্লেখ করেছেন। (Contribution to the history of the Hindu revenue system, 1929) আবার ডক্টর D.C. Sircar বলেছেন 'কানাড়া' ভাষায় 'কম্পন' কথাটির মানে হল 'পরগনা' (Indian Epigraphical Glossary, 1966) সুতরাং পূর্বে উল্লেখিত তরুণ ভট্টাচার্য যে 'তেলকুপীকে শুল্ক প্রদানকারী 'পরগনা' বলেছেন তা মোটেই অযৌক্তিক কিছু নয়।"

"স্থানীয় মানুষেরা তেলকুপীর নাম নিয়ে কি বলেন?"

গ্রামবাসীরা এ ব্যাপারে কিছু জানে না। দেবলা মিত্রও সে কথা বলেছেন, Of the origin of the name the local people have nothing to say.( page 1 (Telkupi---a submerged temple site in West Bengal, p- 1)  তরুণদেব ভট্টাচার্য আবার অন্য একটি মতও প্রকাশ করেছেন, তিনি বলেছেন যেহেতু শুল্ক 'তৈলঙ্গ'দের দেওয়া হত। তাই 'তৈলঙ্গ কম্পন' থেকেও 'তৈলকম্প' নামটি আসা অসম্ভব কিছু নয়। (পুরুলিয়া, পৃষ্ঠা ১০২)"

"তেলকুপীর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ঠিক কোথায়?"

"মূলত দুটি কারণে। একটি  হল, এটি এক সময় শিখর রাজাদের রাজধানী ছিল। দুই, জায়গাটি এক সময় 'মন্দির নগরী' হিসেবে গড়ে উঠেছিল। এছাড়াও  তাম্রলিপ্ত নদী বন্দরে যাওয়ার জন্য জলপথও ছিল এই 'তেলকুপী' দিয়ে।"

"রাজধানী যে ছিল তার কি কোন প্রমাণ আছে? এই যেমন রাজপ্রাসাদ বা ওই জাতীয় কোন কিছু?"

"দেবলা মিত্র গবেষণার কাজে যখন তেলকুপি এসেছিলেন (১৯৫৯ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি) তখন স্থানীয় মানুষ তাকে কিছু জায়গা দেখিয়েছিলেন। যার প্লট নম্বর ছিল ২০৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৭, ও ৪৮। এই প্লটগুলোর উপর বিভিন্ন ইট ও পাথরের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখেছিলেন তিনি। এবং জায়গাটিকে স্থানীয় মানুষেরা 'মহল' নামে ডাকে। (Telkupi- a submerged temple site in West Bengal, p-2)। সুতরাং এটা থেকেই অনুমান করা যায় অনেক পূর্বে এখানেও শিখর রাজাদের একটি রাজপ্রাসাদ গড়ে উঠেছিল।" 

"এইভাবে বারবার 'দেবলা মিত্রের' নামটা উঠে আসছে কেন? কে ছিলেন তিনি?"
জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇
"মানে! ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে যাঁর এত অবদান তাকে আজ অনেকেই দেখছি চেনে না। আরে তিনিই তো প্রথম মহিলা (১৯২৫-২০০৩) হিসাবে ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের প্রথম মহিলা ডাইরেক্টর জেনারেল ছিলেন।(জ্ঞান ও বিজ্ঞান জুলাই সংখ্যা ২০১২ শতাব্দী দাস পেজ ৩৭৫) এই তেলকুপীর মন্দির নিয়ে তিনিই প্রথম যথার্থ গবেষণা করেন। তার এই গবেষণা বা থিসিসের জন্য ১৯৬৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে "গ্রিফিথ" পুরস্কার প্রদান করেন। ১৯৭৫ সালে পান ডক্টরেট ডিগ্রী। এ বিষয়ে তার ইংরেজিতে লেখা উল্লেখযোগ্য বইটির নাম হল, "Telkupi- a submerged temple site in West Bengal"। সুতরাং 'তেলকুপী' নামটার সঙ্গে দেবলা মিত্র অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ১৯৫৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তেলকুপী এসে এখানকার মন্দিরগুলোকে নিয়ে যে পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা করেছিলেন। তার সেই গবেষণায় কেবল মন্দিরগুলোই নয় তেলকুপীর প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে তার সামগ্রিক চিত্রটাই তিনি তুলে ধরেছেন।"

"দেবলা মিত্র ছাড়াও এই মন্দির নিয়ে আর কাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায়? পূর্বে কি সেরকমভাবে গবেষণা হয়েছে?"

" যে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করতেই হয় তারা হলেন, জে. ডি. বেগলার, হান্টার, টি ব্লোক, কুপল্যান্ড, নির্মল কুমার বসু প্রমুখ। গবেষণা বলতে তখন কেবল পরিদর্শন ও রিপোর্ট টুকুই তারা তৈরি করেছিলেন। তার মধ্যে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিওলজিস্ট, এবং ফটোগ্রাফার জে. ডি. বেগলার(Joseph David Belar)(১৮৪৫- ১৯৪৫) উল্লেখযোগ্য একটি নাম। পরবর্তী কালের গবেষকরা তার রিপোর্টকেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেন। তার রিপোর্টকে ভিত্তি করেই তারা গবেষণার কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছেন।  বেগলার সাহেব দুবার তেলকুপী এসেছিলেন 1872 -73 সালে। তিনি এই স্থান পরিদর্শন করে মোট ১৩ টি মন্দির দেখেছিলেন। সংক্ষেপে তাদের বর্ণনাও দিয়েছেন - "Report of a Tour through the Bengal Provinces 1878(Vol-VIII)" এ। বেশ কিছু মন্দিরের ছবিও তখন তিনি তুলেছিলেন।

"দামোদর নদের তীরে তেলকুপী গ্রামের ছোট্ট পরিসরে এতগুলো মন্দিরের সৌন্দর্য ও সমাবেশ দেখে অবাক হয়ে পড়েছিলেন। তিনি মন্দিরগুলোকে তিনটি পৃথক পৃথক স্থানে দলবদ্ধ ভাবে দেখেছিলেন। সবথেকে বড় মন্দিরের গ্রূপটি ছিল গ্রামের একেবারে প্রান্ত সীমায় নদীর ধারে। দ্বিতীয় গ্রূপটি ছিল গ্রামের কাছে। আর মন্দিরের শেষ গ্রূপটি ছিল গ্রামের পশ্চিমে। তিনি বড় গ্রূপটির যে ১৩টি মন্দির দেখেছিলেন তার বর্ণনা দিয়েছেন এই ভাবে---
১ নং মন্দিরটি উত্তরে অবস্থিত দক্ষিণমুখী ও এককক্ষ বিশিষ্ট। দেবতা বলতে একটি শিবলিঙ্গ। অলঙ্করণ তেমন একটা নেই।
২নং মন্দিরটি পূর্বমুখী। প্রবেশ দ্বারে লক্ষ্মীর ভাস্কর্য। দুটি হাতি জল ঢালছে। দেবতা শিবলিঙ্গ। মন্দিররের ওপরের অংশ ভাঙা।
৩) ২নং মন্দিরের মতোই। তবে পশ্চিমমুখী এবং আবর্জনায় ঢাকা।
৪নং মন্দিরটি পূর্বমুখী। প্রবেশ দ্বারে পদ্ম ভাস্কর্য। দেবতা বিষ্ণুর চার সজ্জা মূর্তি।
৫নং মন্দিরটি পূর্ব মুখী। দরজার উপর গনেশা। মন্দিরের চূড়া নেই।
৬নং মন্দিরটি পূর্বমুখী ও আয়তনে বেশ বড়। গর্ভগৃহ, মহামন্ডপ, অর্ধ মন্ডপ, বারান্দা সবই ছিল। গর্ভগৃহের ছাদটি উপরের কক্ষের ছাদ বলে সেই চাপে ভেঙেও গেছে। 
৭ নং মন্দিরটি উত্তরমুখী ছোট এককক্ষ মন্দির। প্রবেশ দ্বারে গনেশা। দেবতা দ্বি বাহু যুক্ত মূর্তি যার দুটো হাতে পদ্ম। উপরের কোন উড়ন্ত মূর্তি ছিল।
৮ নং মন্দিরটিও পূর্বমুখী একটি বড় মন্দির। ভারী ছাদ যুক্ত। টাওয়ারটি বেশ রুচিশীল এবং নানান অলঙ্কারে অলঙ্কৃত। দেবতা শিবলিঙ্গ। 
৯নং মন্দিরটি উত্তরমুখী ছোট মন্দির। প্রবেশদ্বারে পদ্মের ভাস্কর্য। একটি ঘর ও গর্ভগৃহ। দেবতা চার বাহুর বৈষ্ণব মূর্তি।  মূর্তিটি দরজার দিকে মুখ করে ছিল না। হয় তাকে অপসারণ করা হয়েছিল নয়তো প্রবেশ দ্বার পরিবর্তিত হয়েছিল। পশ্চিম দিকে একটি  কুলুঙ্গিও ছিল। 
১০ নং মন্দিরটিও বড় মন্দির। তিনটি প্রবেশ পথ। পদ্মের ভাস্কর্য। দেবতা শিবলিঙ্গ। 
১১ নং মন্দিরটি ছোট ও পূর্বমুখী। গনেশার ভাস্কর্য। দেবতা শিবলিঙ্গ। 
১২ নং মন্দিরটি ১১নং এর মতো পূর্বমুখী। দেবতা লিঙ্গ ও অর্ঘ্য মূর্তি। 
১৩ নং মন্দিরটি পশ্চিমমুখী। দরজার ওপর গনেশা। 

এ ছাড়াও অন্য দুটি গ্রূপেও তিনি অনেকগুলি মন্দির মূর্তি ও ভগ্নাবশেষ দেখেছিলেন। অবাক করা বিষয় হল দামোদরের মন্দির গ্রাস করা DVC নির্মাণের আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। কারণ বেগলার বলেছেন তার দুবার তেলকুপী পরিদর্শনের মাঝে পাঁচ বছরের ব্যবধান ছিল। আর এই সময়ের মধ্যেই বন্যা একটি মন্দিরকে খেয়ে ফেলেছিল। বন্যা যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তা ১০নং মন্দিরের চূড়ায় বালির স্তুপ দেখেই সেটা অনুমান করতে পেরেছিলেন।

এরপর ডব্লিউ. ডব্লিউ. হান্টারও তেলকুপীর মন্দিরের কথা বলেছেন। তিনি আট(৮) থেকে নটি(৯) মন্দিরের কথা উল্লেখ করেছেন। "বিরূপ" নামে একটি মূর্তি পূজার প্রচলনের কথাও বলেছেন। তবে তিনি নাকি সেটা সে সময় দেখতে পাননি (Statistical Account of Bengal, W.W. Hunter)

তারপর তেলকুপী পরিদর্শন করেন টি ব্লক(T. Bloch)। তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক সার্ভেয়ার ছিলেন। ১৯০৩ সালে তেলকুপী পরিদর্শনে এসে যে রিপোর্টটি তিনি তৈরি করেছিলেন, সেখানে বেগলারের দেখা ১৩ টি মন্দিরের মধ্যে তিনি মাত্র দশটি(১০) মন্দির দেখেছিলেন। তবে প্রায় চল্লিশটি মন্দিরের অস্তিত্বের কথা তিনি স্বীকার করেছিলেন। তার দেখা মন্দিরগুলোর মধ্যে এক কক্ষ বিশিষ্ট ছোট মন্দির যেমন ছিল তেমনি একশিলা মন্দিরও তিনি লক্ষ্য করেছিলেন। 'দেবতা' বলতে 'মহাদেব' ও 'লিঙ্গ'র কথায় উল্লেখ করেছেন। কয়েকটি মন্দিরে 'সূর্য' দেবতা ও দেখেছিলেন।(an report arch. surv. Bengal circle for the year ending with April 1903(Calcutta 1903), page 1

এরপর কুপল্যান্ডও তেলকুপি বর্ণনায় সেখানকার মন্দির সম্পর্কেও বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন তবে তা অনেকটাই বেগলার সাহেবের বর্ণনারই অনুরূপ।( বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট গেজেটারস মানভূম, ১৯১১)
চলবে...

Post a Comment

1 Comments

  1. A very useful content for history researchers.

    ReplyDelete