জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা/ নিমাই জানা

গুচ্ছ কবিতা 
নিমাই জানা


 উপপাদ্যহীন রাতের ব বর্গীয় গর্ভপাত সাপেরা

৫০০ ঋণাত্মক কক্ষের ভেতর বসে থাকা সুদীর্ঘ গম্বুজাকার জিভ ঘনত্বের এন্টিভেনাম ছায়াকাঠিটি রক্তের শিরাপথ বেয়ে যাওয়ার সময় মারিয়ানা খাতের সবুজ মুখো শুক্রানুর মুখ গুলোকে "  ব " চিহ্নের মতো গুঁজে রাখি উপপাদ্যহীন রাতকে তৃতীয় বার গর্ভবতী বানাবো বলে 

আমি দুই হাতে লাইসোজোমের বিষ পাথরের থকথক জমিয়ে রাখছি মৃত্যুর ত্রিকোণমিতি আঁকার জন্য ,
ব্রহ্মপুত্রের মাথায় রাতের বৃষ্টি এলে সব মানুষেরা শ্মশানের দিকে নেমে যায় ,  যাদের দুই হাতে কিছু মারকিউরাস ক্লোরাইড থাকে তারা জানে গার্হস্থ্য জীবনের পর মাঝে মাঝে কমলালেবু ফলের মতো আত্মহত্যা গুলো ধূসর হয়ে যায়
মৃত্যুর পর প্রতিদিন একটি কক্ষের ভেতরে গিয়ে আমরা চক্রাসনে বসে থাকি সর্পিলাকার সাপের মতো বায়বীয় ,  অসম্পৃক্ত দ্রবণ হলেই সকলের প্লাজমার অসুখ সেরে যায় , এই শিরাহীন খনিজ জীবাশ্মের কাছে আমাদের পায়ের ভিতর থেকে আগ্নেয় পর্বত গজিয়ে উঠছে , এসিড ফস খেলে আমার শরনার্থী হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়

তিনি ব্রজধাম ,  তিনি অলৌকিক,  তিনি মহাপ্রবাহ , তিনি এক তরঙ্গের সাধন ভূমি , আমার তৃতীয় ব্রাহ্ম কুণ্ডলীতে হাত রেখে দেওয়ার পর ধ্যানস্থ হয়ে যাচ্ছেন যোগ ক্ষেত্রফলে



লাল সেরামিক মহাপাতক ও ১০০ দৈর্ঘ্যের শ্রুতশ্রব নারী

নীল সরোবর স্নানের পর অতিলৌকিক ঘোড়ারা নাসারন্ধ্র দিয়ে আগুনের ফুলকি প্রকাশ করছে , বৈদিক ঘরের বজ্রকণ্ঠে ৩৩ টি মহাযুগ ও কাল খন্ডের পরিমিতি গুলো সনাতন ছায়ার ভেতর লুকিয়ে দিচ্ছে সায়ন্তনী নারী সমগ্ৰ , পুরোহিত একাকী রৈবতের শাঁখ বাজালেন
আমার নীল বরফখন্ডের মতো মেরুদন্ডের অস্ত্রোপচারের পর সরু সরু সুতো দিয়ে সেলাই করে দিচ্ছে একদল ভিনদেশী নাবিক 

কালো রঙের পোকাগুলো সংক্রমিত হয়ে যাওয়ার পর আমার মেরুদন্ডের ভেতর থেকে ধীরে ধীরে কুরে কুরে খাচ্ছে এক একটা সেরামিক কাগজ ও ক্লামপোজ টু এম এল রুদ্র কণাগুলোকে একা একা বৈষ্ণবনগরে মিলিয়ে দিচ্ছেন রাতের মহা প্রবাহের যুগসন্ধিক্ষণে 
আমার সারা গায়ে কিছু কার্বনেটেড স্ফোটক গাছ গুলো জমিয়ে রেখেছি অনাদি সমুদ্র সেতু পেরিয়ে যাবার জন্মের জন্য 


আমি দুই হাতে ধাতব পাত্রে সাদা সাদা জবা ফুলের গর্ভ রেণু স্থাপন করি , টকটকে লাল রক্তের দাঁতগুলো উলম্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন কোন এক উলম্ব ট্রাপিজিয়ামের ভেতর , হেমটনিকের সাপটি শিথিল নৌকার ভেতর দাঁড়িয়ে নোনাচরে নেমে যাচ্ছে নিজের আঙ্গুলগুলোকে কেরোসিন আগুনে পোড়াবে বলে


উলঙ্গ বস্ত্রালয়ের তৃতীয় প্রহররাজ ও মৃতদেহের সংগীত


তিনি বাঁশি বাজাচ্ছেন , বাঁশি বাজাতে বাজাতে ধূসর হয়ে যাওয়ার সঙ্গম মুহূর্তে পৈশাচিক শরীর নিয়ে আমি আবার নপুংসক হয়ে যাচ্ছি 
মৃতদেহের মতো উলঙ্গ কাঁচ দানা গুলো একা একা পড়ে যাচ্ছে যৌন অন্ধকারের ভেতর , ইলতুৎমিস নিজেই সংগীত বাজাচ্ছেন গ্রীক অফ চ্যারিটি ভেনাস রাজপ্রাসাদে
ব্রজধামের কাছে সব নারীরা উলঙ্গ বাহার বস্ত্রালয়ের ভেতর থেকে তৃতীয় মহামায়ার শরীর বের করছেন 
কোন কাম গন্ধ নেই আমি প্রতিদিন প্রাহিমাঙ্গ ঈশ্বরের সাথে বসে আছি মধ্য দুপুরের প্রায়ান্ধকার দুটো জীবাণুকে জিভের তলায় রেখে
নিজের প্রতিবিম্বকে প্রতিদিন হত্যা করে গুছিয়ে রাখি এক একটা সক্রিয় পুরুষ মানুষের অবৈধ অবয়বের ভেতর
আমি সারারাত সনবিগ্ৰাহী পুরোহিতের মতো দ্রাব্যহীন অশোক ফুল ভক্ষণের পর আমার সারা শরীর থেকে কন্ঠ হীন ঈশ্বর হাঁটতে হাঁটতে মাটির ফাটলেই ঢুকে গেল 
পালকহীন বৃষ্টির মতো আমরা গোপনে গোপনে নিজেদের শ্মশান পোড়াই , মানুষের হাইপোগ্লাসিমিয়ার হৃদয় পোড়াতে ৩৩.৩৬ মেঘাবাইটের নিউক্লিও ফিশাণ লাগে মাত্র , অর্জুন আসলে তৃতীয় বিশ্বের সন্ন্যাস ছিলেন


আসবাবহীন মহাযোগী ও রাতের মৃত মাছেদের আয়না

আমার বাম বুকের কাছে কিছু মৃত মানুষের করোটি জমিয়ে রাখি ব্রহ্মকুণ্ডে কিছু থিওফাইলিনের ঠোঁট ,  আমার শর্মিলাকার মাংসাশী খাদক দাঁতের ১৩ ইঞ্চি পুরু ক্লোরোফরম জলে ভেজা রাতের জ্বরহীন বিছানার উপর প্রতিটি আসবাবহীন মহাযোগীরা রাতের নক্ষত্র ফুল তুলছে

রাতের বেলায় সমৃদ্ধ দেহ হঠাৎ করেই মৈথুন শেষে আবারো শ্মশান পথের দিকে চলে যায় 
আমি নীল ঘর থেকে একটা পাদুকাহীন রাস্তা ধরে আপেল ফলের মতো সব ঘনত্বহীন আয়নার ভেতরে আমাদের মরচে রঙের সংকীর্তনীয়াদের নিয়ে বসে পড়ি
ক্রৌঞ্চদীপের সব পুরুষেরাই মৃত্যুর পর আরও একটা নিজস্ব অশরীরী নোঙর করে তুলে , সেখানে সকলের বল্কল হীন পরিচ্ছদের পুরুষেরাই চরম নদীর দিকে বাষ্পায়ন পাখিগুলোকে উড়িয়ে দেয় 
মহান দিগম্বর আকাশের যোনী ছিদ্রের মতো ঘনত্বহীন ধ্রুপদী ধনুক খন্ড দিয়ে আমি মৃত মাছেদের সিলভিয়ান এলাকার অভয়ারণ্যে নিয়ে কৈশল্যা অন্ধকারে নিজেদের নদীতে ভাসিয়ে দেই গম ক্ষেতের মতো রাত্রির বিষ পানের পর 
আমি শুধু নিজের উত্থিত যৌনাঙ্গ দিয়ে রাতের ৩৪ দৈর্ঘ্যের সব অভয়ারণ্যে নেমে নিজেদের শুক্র চিহ্নের জলাধারে এসে বাতাবি ফলের মত অযৌন অপরাজিতা ফুলে নিজেদের আত্মশুদ্ধি করি

ঈশ্বর ঋষি পুত্র হয়ে যাচ্ছেন সবাই  , আরো একবার নিজ আত্মারামের শরীর খন্ড নিয়ে নিজের অসদ প্রতিবিম্ব কে হত্যা করতে বারবার নিমগ্নস্নানে যায় পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে রজসলা আসবাব , কমলা এন্টারপ্রাইজের ধূসর পলিমারের নারীটি নিজেই খুলে রাখছে শরীরের অপরা ভগ্নাংশগুলো



জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇




বিটাক্যারোটিন রক্ত ও ঈশ্বরের ভৌগোলিক রসায়ন পথ

ঈশ্বর ভৌগোলিক করে দিচ্ছেন আমাদের। 

আমি সারারাত ইছামতি ঈশ্বরীর রক্ত তঞ্চনের গোলাপী শান্তবর্ণগুলি নিয়ে মহাযোজনের অ্যানাফেজ অন্ধকার পথ দিয়ে কোন এক ধূসর উপমহাদেশে চলে যাই 
সেখানে ঈশ্বরের গা ফেটে বেরিয়ে আসছে রক্ত , রক্ত থেকে উড়ে আসা সব গোপন সমুদ্রের তলদেশে একটা শ্বেত পথ , 
প্রতিটি ক্ষুধা তৈরি করছে রাতে , যেখানে কোন প্রহরী নেই  রাতের কোন দিন নেই , এক সালব্যাকট্রাম জনিত শ্বাসকষ্টের দিনের কোন সান্ধ্য কাল নেই 
একটা মহাঘোরের ব্রাহ্ম খন্ড থেকে ঈশ্বর নিজের কপালে বিভুতি খন্ড নিয়ে নিজের জিভ কেটে দিলেন 
এখানে সকলেই শাঁখ বাজাতে পারেন অথচ মহাবীরের পিচ্ছিল জলাশয় জলের ভেতর সারারাত জলজ প্রাণীরা নিজেদের স্তনের নির্গত ভ্রুণ বীজগুলোকে খেয়ে নেওয়ার পর সকলে অদ্বৈত বর্ণের স্বরবর্ণ শরীর বাজাতে পারে
ঈশ্বরের শরীরে ঈশ্বর শুয়ে আছেন , রুক্মিণী অংক দেশে পাদোদক বর্ণের একটা প্রলয় বাতাস
আমাদের সব সঙ্গম শেষ হয়ে গেল মৃত্যুর পর , যারা নিজেদের হাড় ও মাংস খন্ডক গুলো পোড়ানোর পর একা একা মাটির গভীর তলদেশে চলে যায় জ্যামিতিক শিরাবিন্যাস নিয়ে , তারা সেখানে সারারাত ঠোঁটে কালচে রঙের রং মেখে নেওয়ার পর প্রাচীন গরুড়াসনে বসে থাকেন
সারারাত জরা শুদ্ধ মৃতদেহের মতো সঙ্গম শেষে ঈশ্বরী আমাকে পরমাত্মার আলো দেখাচ্ছেন আমি ক্রমশ আলো ছায়া ভৌগোলিক বাতাসের পর বৃষ্টিচ্ছায় প্রদেশে যাই শৈলাকার শরীর নিয়ে ,  সাপ গুলো একা একা মৈথুন করছে

বিটা ক্যারোটিনের ঘরে একা একা মায়াবী শরীর খুঁজে বেড়াচ্ছি দুই হার্জ দৈর্ঘ্যের পেন্ডুলামের সুপার নিউম্যারিকেল সঙ্গীতজ্ঞদের নিয়ে

Post a Comment

0 Comments