গুচ্ছ কবিতা
শ্রীতনু চৌধুরী
কপোত-মিথুন
আকাশ অঙ্গিরা তুমি
দূর মধুপুর
দুরু বুক চকোর কোটি
স্তন-ওম পরিত্রাহি দৌড়।
শূন্য শীতলপাটি কুয়াশা প্রমুখ
কার্নিশে ফরাসকুটি
অপেক্ষা সংসার
রশ্মি শেষে পাই যদি
সামান্য উষ্ণ সমাচার।
একলা অবধদেশ
হিমরোষে পুড়ে খাক
শিমুল ফাগুন
এখনো ওড়াতে পারি
তুলোর পাহাড়
ছাই ঘরে শয্যা সনদ
কপোত-মিথুন।
সেই ঘাসফুল
নীহারিকা নিরঞ্জনে
এখনো বুদ্ধ নয়
বিভূতি বিলাস
ভূতযোগ সমূহ আশ্রয়
কেন্দ্র ও পরিধি মাঝেই
যাবতীয় ঋতু ও রাস
যে সবুজ ধ্বংস জানে
সে'ও তো অমর
মূলের মহিমা শুধু
প্রেমের নতি
একটু হাসি থাক
সেই ঘাসফুলে
মাটির মানুষ যারা
সবাইকে ঘিরে আছে
দুস্তর নিয়তি ।
মহাজাগতিক বৈকুণ্ঠ
গ্রহণ গ্রন্থিমুখে হিমপত্র
পৌষ আঘ্রানি পিঠেপুলি চাঁদ
পূর্ব দিগন্তে তুমি প্রকৃতি পূর্ববাস।
ললাট উদ্ভাসি নিশিপদ্ম,
দিয়েছ কৃষ্ণ ভ্রমরে
আঁধারেও ভীষণ প্রিয়
রমণ অভ্যাস।
চৌহদ্দি চকোর বিকশিত সর্ষেফুল
রাধে,এমন বাসন্তী রাতে
কী করে শয্যা পাতি একাকী অধরে !
লুব্ধক রাতচর জুড়েছে ধামাল
আলোছায়া সৃষ্টিমুখ দ্বিপত্র বলয়
ক্রমশ বিস্মৃত, তবুও
দিতে হবে শিশির জন্ম
প্রভাতী ঘাসের ডগায় ।
এসো না টুকটুকি রাই
দারুন দোহারে এক
মহাজাগতিক বৈকুণ্ঠ সাজাই –
প্রণামী
বন্ধ বিভাব প্রাতঃ
রশ্মি হাত ভীরু জানালায়
এনেছ নতুন দিন
তুমিই, ঊষালী রাই
হিমলগ্ন স্তব্ধ সীমানায় ।
ভীষণ ইগলু ঘরে
একলা পেঙ্গুইন
চারিদিকে তুলো পাহাড়
মানবিক স্পর্শহীন
উষ্ণতা অন্বেষণে
এ যাবৎ হারিয়েছে
কোটি বেদুইন ।
তবুও তুষার গ্রহে
এখনো পাইনি খুঁজে
নূপুরিত আলতা পা
লক্ষ্মীর ধ্বনি
সামান্য নিক্কন স্মৃতি স্বর্ণাবেশ
চির চঞ্চলা তুমি
দেখিয়েও কিছুতেই দেখাবে না
ঝাঁপির ভিতর
কতখানি জমায়িত
প্রেমের প্রণামী ।
1 Comments
খুব ভালো কবিতা। উষ্ণতা অন্বেষণে অনন্য।
ReplyDelete