জ্বলদর্চি

জীবিকা ও যাপন /ঋত্বিক ত্রিপাঠী

জীবিকা ও যাপন
ঋত্বিক ত্রিপাঠী 

অলংকরণ: শুভ্রাংশু শেখর আচার্য্য 

বিজ্ঞাপন কী ?

আপনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কিংবা হতে পারে, আপনি আপনার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা পেতে চাইছেন। তাহলে অবশ্যই 'বিজ্ঞাপন' বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা থাকা প্রয়োজন। কারণ, বিজ্ঞাপনের ওপরই আপনার উন্নতি অবনতির আসল রহস্য লুকিয়ে আছে।

আপনি একটি সংস্থা খুলতে চান। আপনি মানে এক। বহু খদ্দের / গ্রাহকের প্রত্যাশা করছেন। তার মানে আপনি এক থেকে বহু হতে চান। এর জন্য চাই প্রচার। প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল বিজ্ঞাপন। কীভাবে তা সম্ভব, একটু ব্যাখ্যা করা যাক।

১)   প্রথমে আপনার সংস্থার / ব্যবসার চরিত্র নির্ণয় করুন। অর্থাৎ কোন ধরনের গ্রাহক / খদ্দের আপনার ওপর নির্ভর করছে। কিংবা বলা যেতে পারে আপনি কাদের দিকে তাকিয়ে আছেন।
২)  ধরুন, আপনি একটি ভূষিমাল দোকান খুলতে চান। তাহলে দোকানের নাম দিতেই পারেন 'প্রতিদিন' কিংবা 'রান্নাঘর' কিংবা 'রন্ধন'।

৩)   এই নামকরণটিকে সামান্য বিশ্লেষণ করুন। যেমন ধরুন বলা হল 'কর্তা গিন্নির প্রথম পছন্দ' কিংবা 'অতীত থেকে বর্তমান, সব প্রজন্মের জন্য....... (এই অংশটি ছোট হরফে ব্যবহার), তারপর 'রান্নাঘর' শব্দটিকে বড় করে ব্যবহার করা গেল।

৪)   আপনার পছন্দমত লোগো ও বিজ্ঞাপনের ভাষার স্টাইল একই রাখার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে উপযুক্ত ঠিকানা ও ফোন নম্বর ব্যবহার করুন।

৫)   ঘনঘন বিজ্ঞাপনের ভাষা ও লোগো বদলাবেন না।

৬)   আপনার সংস্থা / দোকানের সামনে রুচিসম্মত ভাবে বিজ্ঞাপনের বোর্ডটিকে ব্যবহার করুন। বিভিন্ন শ্রেণির কিছু মানুষের অভিমত জানতে চান— বিজ্ঞাপনের কোনও ত্রুটি আছে কি না।

৭)   ব্যবসা খোলার প্রথমে এলাকা সমীক্ষা করুন। তাতে বোঝা যাবে ব্যবসাটা চলবে কি না। যখন নিশ্চিত হবেন তখন বিজ্ঞাপনের কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন-

ক) কিছু বাড়ি / ফ্ল্যাট / অফিস গিয়ে নমস্কার করে আপনার ব্যবসার কথা (খুব সংক্ষেপে) জানান, ঠিকানাযুক্ত ভিজিটিং কার্ড দিন ।

খ) হাসিমুখে, কেবল আবেদন নিবেদনের মাধ্যমেই আপনার ব্যবসার কথা  জানান।

গ)   হ্যাণ্ডবিল করে, সংবাদ পত্রের মাধ্যমেও প্রচার করতে পারেন।

ঘ)   স্থানীয় ছোট বড় পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দিতে পারেন।
৮)   দু / তিন মাস অন্তর আত্মসমালোচনায় বসুন। কর্মচারীদের নিয়েও আলোচনা করুন। প্রয়োজনে আপনার শুভানুধ্যায়ীর সঙ্গে পরামর্শ করুন। ভাল হয় প্রতিষ্ঠিত কোনও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া।

৯)  বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহকের মন জয় করতে হবে। গ্রাহকের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে। মিথ্যা কিংবা বাড়িয়ে প্রচার করলে সাময়িক লাভ হবে কিন্তু মিথ্যা ধরা পড়লে চরম ক্ষতি।

১০) বিজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে অথচ আপনি গ্রাহককে সঠিক পরিষেবা দিতে পারলেন না সে ক্ষেত্রে আপনার ত্রুটি স্বীকার করুন অকপটে। বিজ্ঞাপনের ভাষা পরিমার্জন করুন।

১১) ব্যানার, হ্যাণ্ডবিল, পত্রিকার বিজ্ঞাপন ইত্যাদির পাশাপাশি আপনারও (যিনি জনসংযোগ তথা ব্যবসা করছেন) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আপনার ব্যবহার, ভাষা, রুচি, পোশাক, কথা বলা ইত্যাদিও বিজ্ঞাপনের ভূমিকাই গ্রহণ করে।

আপনার সংস্থার (ব্যবসার)  বিজ্ঞাপন কেমন হবে

ব্যবসার চরিত্র অনুযায়ী বিজ্ঞাপনের ভাষা হবে— এটাই একমাত্র চরম সত্য কথা। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। অনেক বিজ্ঞাপন সংস্থা অর্থের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণ ও প্রচারের দায়িত্ব নেন। তাতে অবশ্য আপনাকে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে। সেই খরচ বহন করার ক্ষমতা আছে কি না আগে ভাবুন। সে ক্ষমতা না থাকলে আপনার পরিচিত রুচিবান কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নির্বাচন করে পরামর্শ নিন। প্রয়োজন মনে করলে বিনা খরচে এ বিষয়ে পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন 'জ্বলদর্চি'র সঙ্গে।
জরুরি পরামর্শ

১)  মানুষের সময় কম। তাই কম শব্দে জরুরি কথা ব্যবহার করুন আপনার বিজ্ঞাপনপত্র (হ্যান্ডবিল) কিংবা হোর্ডিং-এ।

২)  ভাষা ও বানান সম্পর্কে সচেতন হোন। সেই ভাষা (বাংলা / ইংরজি / হিন্দি) ব্যবহার করুন, যাতে অধিকাংশ মানুষই বুঝতে পারেন। প্রয়োজনে দুটি ভাষাও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩) 'সততাই একমাত্র মূলধন' 'খুচরো দিন, না হলে হবে না' এ সব পুরনো ও বোকা বোকা কথাগুলো বর্জন করুন।

৪) জ্ঞান দেবার ভঙ্গি যেন না থাকে। বিষয়ের সঙ্গে অমিল রয়েছে এমন সব ছবি কখনই ব্যবহার করবেন না।

৬) স্বতন্ত্র ভাষা ও ভঙ্গি আপনার রুচির পরিচয় দেবে। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করবে।

৭)   কার্টুন কিংবা হাস্যরসের জন্ম দেবে এমন বুদ্ধিদীপ্ত ছবি ব্যবহার করতেই পারেন ।

৮)  সব ধর্মের মানুষের দিকে সমান নজর দিন। বিভিন্ন উৎসবে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলবেন না। সব উৎসবকেই সমান মর্যাদা দেবেন।

৮)   ক্যালেণ্ডারের মাধ্যমে আপনার সংস্থার বিজ্ঞাপন দিতে যাওয়ার সময় খেয়াল করুন, আপনার বিজ্ঞাপন যেন খুব বড় না হয়ে যায়। ক্যালেণ্ডারের ছবি ও ডেট-এর আকারের দিকে (একটু যেন বড় হয়, দূর থেকে দেখা যায়) নজর দিন। বাজেট কম হলে পকেট ক্যালেণ্ডার করতে পারেন।

৯)  সারা বছর নায্য দাম নিন। এতে আপনার গ্রাহক সামান্য হলেও অভিমান করতেই পারেন। তাঁর মনে হবে একটুও কম করে না। বছরের কোনও একটি উৎসবে তাঁকে ডেকে সামান্য উপহার দিন। আপনার সম্পর্কে তাঁর ধারণা ভাল হবে।

১০)  আপনি ভাবছেন — আপনার ব্যবসা তো ভালই চলছে। সুতরাং আমার বিজ্ঞাপন - কিংবা ব্যবহার (চরিত্র) নিয়ে ভাবার দরকার নেই। মনে রাখবেন বহু ক্রেতাই আপনার কাছে আসে বাধ্য হয়ে। যখন অন্য কোনও দোকান / সংস্থা গড়ে উঠবে তখন আপনাকে করবে টা-টা। তাই আপনার ব্যক্তিত্ব / ব্যবহারও বিজ্ঞাপনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আপনার ব্যক্তিত্বকে কীভাবে ব্যবসার উপযোগী করবেন

বিক্রয় ও জনসংযোগ প্রতিনিধি হিসাবে অবশ্যই আপনাকে আপনার ব্যক্তিত্ব ও ব্যবহার রীতির ওপর নজর দিতেই হবে। সরকারী চাকরি না পেয়ে ব্যবসা করতে শুরু করলেন অথচ নিজের কাজের প্রতি ভালোলাগা বোধ নেই – এমন যেন না হয়। প্রথমত নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালবাসা আনুন। এটাই আমার একমাত্র জীবিকা —একে আরও সুন্দর, আরও উন্নত করতে আমিই পারি এই আত্মবিশ্বাস আনতেই হবে। আপনার সহকারী / কর্মচারীদের নিয়ে নিয়মিত মিটিং করুন ও আপনার পরিকল্পনা জানান। তাঁদের ভাবনাকেও গুরুত্ব দিন।
এ বিষয়ে জরুরী পরামর্শ

১) অন্যের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান। একই বিষয়ের পাশাপাশি দুটি দোকান। একটিতে অসম্ভব ভিড়, অন্যটিতে চিরন্তন নির্জনতা - কেন এই বৈপরীত্য— নিজেই বিশ্লেষণ করুন।

২)  উচ্চ-মধ্য-নিম্ন সব শ্রেণির ক্রেতাকেই সমান মর্যাদা দিন। ক্রেতার সময় নষ্ট করবেন না।

৩)৷ নিজের উদ্দেশ্যকে মুখ্য করুন। বলবার ভঙ্গিকে সুন্দর করুন। নানা ধরনের ক্রেতা / গ্রাহক আসবেন। প্রত্যেকের ব্যবহার একই হবে না। আপনাকে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করতে হবে।

8)  আপনার মনকে প্রস্তুত রাখুন। সাফল্য আসবেই। এর জন্য চাই অনুশীলন। অবসর সময়ে মনে মনে অভ্যাস করুন —কীভাবে আরও সুন্দর করে কথা বলা যায়।

৫) গ্রাহক / ক্রেতা কী বলতে চান তার চোখের দিকে চোখ রেখে আগ্রহের সঙ্গে কথা শুনুন। সঠিক পরিষেবা না দিতে পারলে দুঃখ প্রকাশ করুন। আবার আসার জন্য আবেদন করুন।

৬)সময় সম্পর্কে সচেতন হোন। নিজের প্রতি আস্থা বাড়ান। অযথা জ্ঞান দেবেন না। সহযোগিতার আবেদন করুন। আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা যেন কোনও ভাবেই না নষ্ট হয়। সাফল্য সম্পর্কে আশাবাদী হোন। সামান্য ক্ষতিতে ভেঙে পড়লে চলবে না।

৭)  জনসংযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয় হল : (১) বক্তা, (২) বক্তব্য, (৩) শ্রোতা। অর্থাৎ কাকে বলছেন। কী বলছেন? কী ঢঙে বলছেন। হেয় কিংবা ব্যঙ্গ করবেন না। বরং সুযোগ পেলেই প্রশংসা করুন। তবে বক্তব্যকে সীমার মধ্যে ধরে রাখুন। বক্তব্যকে সজীব করতে হাস্যরস আনুন। মুখে হাসি আনতে অর্থের খরচ হয় না। আন্তরিকতাকে গভীর করুন। শ্রোতা পছন্দ না করলে বক্তব্যকে সংক্ষিপ্ত করুন, ইতি টানুন, অন্য প্রসঙ্গে যান। শুধু বক্তা না হয়ে শ্রোতাও হতে হবে আপনাকে। ক্ষেত্রবিশেষে ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানান। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারও জরুরী। কণ্ঠস্বর দৃঢ় অথচ নমনীয় হোক। নিজের পোশাকে যেন শুদ্ধ রুচির ভাব ফুটে ওঠে। অকারণ বাকযুদ্ধে নিজেকে যুক্ত করবেন না ।

৮)  নিজের কাজে শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে লেগে থাকতে হবে। নতুন নতুন পরিকল্পনা মাথায় এলে লিখে রাখুন। উপযুক্ত সময়ে যাতে সেগুলিকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়। নিজেকে সামাজিক কল্যাণের সঙ্গেও যুক্ত রাখুন। এতে ব্যক্তিত্ব বাড়বে। নিজের প্রতি নিজের আস্থা বাড়বে।

৯)  ব্যবসা যখন চরমে উঠেছে বলে মনে করছেন, তখনও বিজ্ঞাপনের প্রতিই আরও আস্থা রাখুন। আরও আরও বেশি করে বিজ্ঞাপন দিন। নিজেকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলুন। শাখা অফিস খোলার কথা ভাবুন। কিন্তু কোনও সময়ই অহংকারী হবেন না। মনে করবেন না শেষ সীমাতে পৌঁছে গেছেন। কারণ, উন্নতির চরম কিংবা শেষ সীমা হয় না ।

আরও পড়ুন 
বিজ্ঞাপনের বিকল্প বিজ্ঞাপনই || ঋত্বিক ত্রিপাঠী 

🍂
জ্বলদর্চির প্রিয় বিজ্ঞাপন সংস্থা, যাঁরা নিয়মিত সঙ্গে থাকেন :

১. সিমবায়োসিস ফার্টিলিটি সেন্টার, রবীন্দ্রনগর, মেদিনীপুর 
২. সাহা অলঙ্কার, সরল বাবুর বাজার, মেদিনীপুর
৩. মেদিনীপুর স্ক্যান সেন্টার, মেদিনীপুর শহর
৪. গণপতি বসু স্মৃতি সমাজকল্যাণ সমিতি, মেদিনীপুর শহর 
৫. বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেদিনীপুর শহর 
৬.গড়বেতা কলেজ, পশ্চিম মেদিনীপুর 
৭. রয়্যাল আকাডেমি, মেদিনীপুর শহর 
৮. নিউ এক্সপার্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেদিনীপুর শহর 
৯. নিউ সাহা অলঙ্কার ভবন, মেদিনীপুর শহর 
১০. ন্যাশনাল অর্থো- সার্জিক্যাল সেন্টার, রবীন্দ্রনগর, মেদিনীপুর শহর 
১১. জেড পোয়েমস, মেদিনীপুর
১২. সংশপ্তক পত্রিকা,  মেদিনীপুর শহর 
১৩. কথাছন্দ, এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর 
১৪. এন.আর.সাহা এন্ড সন্স ( জুয়েলার্স), রাজাবাজার, মেদিনীপুর শহর 
১৫. মল্লিক পুস্তকালয়, শিববাজার, মেদিনীপুর শহর 
১৬. মেসার্স আর.আর. হার্ডওয়ার, মির্জাবাজার, মেদিনীপুর শহর
১৭. সুচেতনা করেসপণ্ডেন্স, বার্জ টাউন, মেদিনীপুর শহর 
১৮. গ্রিফিনস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, খড়্গপুর 
১৯. শ্রী দুর্গা প্রেস এন্ড অফসেট, বেলদা বাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর 
২০. দি ট্রি কিডস্ স্কুল, জজ কোর্ট রোড, মেদিনীপুর শহর 
২১. ভগবতী দেবী প্রাইমারি  টিচার্স' ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, খাকুড়দা, পশ্চিম মেদিনীপুর 
২২. রাধাকান্ত সুইটস, স্টেশন রোড, মেদিনীপুর শহর 
২৩. স্বর্ণময়ী যোগেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়, নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর 
২৪. হিজলি কলেজ, খড়্গপুর
২৫. খাটরাঙ্গা সুধীরচন্দ্র বিদ্যাপীঠ ( উচ্চ মাধ্যমিক), পশ্চিম মেদিনীপুর 
২৬. বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড, ছোটবাজার, মেদিনীপুর শহর 
২৭. মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস), মেদিনীপুর শহর 
২৮. মেদিনীপুর ল' কলেজ, রাঙামাটি, মেদিনীপুর শহর 
২৯. শিলদা কলেজ, ঝাড়্গ্রাম
৩০. জুপিটার কেটারার, মেদিনীপুর শহর 
৩১. জাগরী পাবলিশার্স, মেদিনীপুর 
৩২. মুগবেড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড, পূর্ব মেদিনীপুর 
৩৩. মা রটন্তী জুট ইন্ড্রাস্ট্রি প্রা. লিমিটেড, দক্ষিণ দিনাজপুর 
৩৪. সারদা এসোসিয়েটস, শরৎপল্লী, মেদিনীপুর
৩৫. গভঃ জেনারেল ডিগ্রি কলেজ, লালগড়, ঝাড়্গ্রাম 
৩৬. রাজা এন.এল.খান মহাবিদ্যালয়, মেদিনীপুর শহর 
৩৭. দিপুভাই পালকেমিস্ট, খড়্গপুর
৩৮. অনুরাধা সাইবার কাফে, জুখিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর 
৩৯. মা রাজেশ্বরী ইলেক্ট্রিক্যাল, রাজাবাজার, মেদিনীপুর শহর 
৪০. ধাওয়ার মিষ্টি, বেলদা, পশ্চিম মেদিনীপুর 
৪১. শাহীন টেলিকম অনলাইন সলিউশান, জুখিয়া,  পূর্ব মেদিনীপুর 
৪২. রাসায়নিক সার বিক্রেতা অভয়চাঁদ মাইতি ও বাদশা মাইতি, মাধাখালী, পূর্ব মেদিনীপুর 
৪৩. খিলাড়ী ডেকোরেটরস, ঝাড়গ্রাম
৪৪. মেসার্স  সাঁতরা স্টোর, মেদিনীপুর শহর 
৪৫. সৌমেন্দ্র সরকার (স্টার হেলথ এন্ড আলাইড ইনস্যুরেন্স কোম্পানি  লিমিটেড), মেদিনীপুর 
৪৬. আই প্যালেস,  রবীন্দ্রনগর, মেদিনীপুর শহর
৪৭. সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয়, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়্গ্রাম
৪৮. মাতৃত্ব, রবীন্দ্রনগর, মেদিনীপুর 
৪৯. আর.আলম এন্টারপ্রাইজ, নিমতলা চক,  মেদিনীপুর শহর 
৫০. কিনোভা,মেদিনীপুর শহর 
৫১. মেসার্স নীলকান্ত ফিনট্রেড লিমিটেড, গৌহাটি
৫২. সূর্য্যকান্ত সাহা এন্ড সন্স জুয়েলার্স, বড়বাজার, মেদিনীপুর শহর 
৫৩. মনজিনিস, হেড পোস্ট অফিস রোড, মেদিনীপুর শহর
৫৪. পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, মেদিনীপুর শহর 
৫৫. লোকনাথ টিম্বার, পঞ্চুর চক, মেদিনীপুর শহর 
৫৬. মেড প্লাস, রাজাবাজার, মেদিনীপুর শহর 
৫৭. বিনায়ক এনক্লেভ, তাঁতিগেড়িয়া, মেদিনীপুর শহর 
৫৮. রূপশ্রী, কর্ণেলগোলা, মেদিনীপুর শহর 
৫৯. ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, স্টেশন রোড, মেদিনীপুর শহর 
৬০. চন্দ্রকোনা বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়,  পশ্চিম মেদিনীপুর 
৬১. জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতি, পশ্চিম মেদিনীপুর 
৬২. স্কয়ার ড্রাগ ড্রিস্ট্রিবিউটারস, শিলিগুড়ি 
৬৩. SBI গ্রাহক সেবা কেন্দ্র, রাজাবাজার, মেদিনীপুর শহর 
৬৪. শঙ্কর এন্টারপ্রাইজ,  দার্জিলিং
৬৫. লালপ্যাথ ল্যাব, মাধাখালি, পূর্ব মেদিনীপুর 
৬৬. সিলভার হাউস জুয়েলার্স, বেলদা, পশ্চিম মেদিনীপুর 
৬৭. দি উৎসব ক্যাটারার, সিপাই বাজার, মেদিনীপুর
৬৮. ডিটিডিসি, মেদিনীপুর
ও অন্যান্য অনেকেই।

Post a Comment

0 Comments