জ্বলদর্চি

বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে পালপাড়া কলেজে লিটল ম্যাগাজিনকে নিয়ে সেমিনার

বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে পালপাড়া কলেজে লিটল ম্যাগাজিনকে নিয়ে সেমিনার 


সাধারণত লিটল ম্যাগাজিন বিষয়ে কোনও প্রতিষ্ঠানকে চর্চা করতে দেখা যায় না। প্রথানুগ রীতির বাইরে বেরিয়ে সেটাই করে দেখালো পূর্ব মেদিনীপুরের যোগদা সৎসঙ্গ পালপাড়া মহাবিদ্যালয়। 

শনিবার কলেজের বাংলা বিভাগের উদ্যোগ ও অভ্যন্তরীণ গুণমান নিশ্চয়করণ শাখার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হল একদিনের এক সেমিনার। সেমিনারের বিষয় ছিল : 'বাংলা সাহিত্য ও লিটল ম্যাগাজিন'। স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনায় উঠে এলো বাংলা সাহিত্যে লিটল ম্যাগাজিনের গুরুত্ব। আর সেই সূত্রে আলোচিত হল সংবাদপত্র, সাময়িকপত্রের সঙ্গে লিটল ম্যাগাজিনের পার্থক্যের দিকগুলো। উঠে এল লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের প্রসঙ্গ।
সেমিনারের প্রধান বক্তা ছিলেন ঋত্বিক ত্রিপাঠী, যিনি নিজেই 'জ্বলদর্চি' নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করে চলেছেন দীর্ঘ তিরিশ বছর। সেইসঙ্গে, লিটল ম্যাগাজিনের নানা সমস্যা ও দাবিকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় সোচ্চার হতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর বক্তব্য, "লিটল ম্যাগাজিন আর সংবাদপত্র এক নয়। অথচ আজও লিটল ম্যাগাজিনকে সরকারি রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া হয় সংবাদপত্র হিসাবেই। উচ্চ শিক্ষায় লিটল ম্যাগাজিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু সরকারি উদ্যোগে লিটল ম্যাগাজিনের সংরক্ষণাগার নেই।" তিনি এও জানান, লিটল ম্যাগাজিনের পাঠাগার ও সংরক্ষণাগারের দায়িত্ব নিতে পারে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে উদাসীন।
ছাত্রছাত্রীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এদিনের সেমিনার অন্য মাত্রা পায়। উপস্থিত ছিলেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রদীপ্তকুমার মিশ্র, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মৃণালকান্তি দাস, অধ্যাপিকা শ্রীমতী পণ্ডিত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা পারমিতা গাঙ্গুলি, বিএড বিভাগের অধ্যাপক শেখ মনিরুল  ইসলাম প্রমুখ। এঁদের বক্তব্যেও উঠে এল বাংলা সাহিত্যকে কিভাবে দিনের পর দিন লিটল ম্যাগাজিন সমৃদ্ধ করে চলেছে। স্বাগত ভাষণ দেন অধ্যাপিকা শ্রীমতী পণ্ডিত। সেমিনারের অভিমুখ নির্ণয় করেন অধ্যাপক মৃণালকান্তি দাস। 

এদিনের সেমিনারে 'বিন্দুতে সিন্ধু: প্রসঙ্গ বাংলা লিটল ম্যাগাজিন' নামে একটি পত্রিকাও প্রকাশ পায়, যেখানে লিটল ম্যাগাজিন নিয়ে কলম ধরেছেন মৃণালকান্তি দাস, শ্রীমতী পণ্ডিত, ঋত্বিক ত্রিপাঠী, সুমনা পাল মণ্ডল, সুশান্ত বেরা, শুভব্রত মাইতি প্রমুখ। 

 অধ্যক্ষ প্রদীপ্তকুমার মিশ্র জানান, "এই ধরনের সেমিনারে ছাত্রছাত্রীরা সমৃদ্ধ হয়। আগামীদিনেও আমরা এই রকম সেমিনারের উদ্যোগ নেব।"
জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇




Post a Comment

0 Comments