জ্বলদর্চি

কয়েকটি রম্য কবিতা-২০ / শুভশ্রী রায়


কয়েকটি রম্য কবিতা-২০ / শুভশ্রী রায়

আকাশপুর

মেঘের বাড়ী আকাশপুর,
এখান থেকে অনেক দূর!
ভাসিয়ে হাল্কা নীল ভেলা,
যেতে চাই আমরা ও বেলা;
চল, চল এখনি রওনা দিই
প্রিয় স্বপ্নগুলো সঙ্গে নিই!


জঙ্গল-কথা

গভীর হরিৎ বড় জঙ্গল,
বুকে মানুষের সমস্ত মঙ্গল!
সবুজ শেষ করছে কারা যেন,
তাদেরকে মানুষের শত্রু মেনো।

আমরা যারা নিজেদের শুভার্থী,
জানি বনের কাছে মানুষ চিরপ্রার্থী,
এস শপথ নিই, করব না সবুজ নষ্ট;
অরণ্য কমলে ভাবী পৃথিবীরও কষ্ট।


বিপরীত নদী 

একই নদী কখনো কালো, কখনো নীল জল
একটা নদী জানে কত রকম ছল!
একটা নদী কখনো সরু একটা সাদাসিধা খাত,
বর্ষায় সেই এ কূল ও কূল অতল।

অপার নদী, হাজার হাজার কাহিনীভরা স্রোতও
ফসলের ক্ষেত ভরিয়ে দেওয়ার ব্রত,
সেই সঙ্গে কত ঘর, কত স্বপ্ন খেয়ে নেওয়ার গল্প
ভালো আবার ভালোর বিপরীতও।

🍂


রংবহুরে 

না, না, মনখারাপের কথা মোটে বলব না আমি,
বরং মনমেজাজ ভালো করা টানা গল্পগাছা হো'ক,
কষ্টের মেঘে মেঘে যদি বা ঘনায় আঁধার অনেক;
দেখে নেব মেঘের সঙ্গী কয়েক টুকরো আলোক।

বড় বড় গাছ কেটে মুড়িয়ে দিচ্ছে লোকজন, ঠিক,
কিছু গাছ আজও আগলে রেখেছে শহর মমতায়,
গাছগাছালি ফুল ফোটাচ্ছে, পাখীরা সভা বসায়;
সুন্দর ছড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতির নিজস্ব ক্ষমতায়।

কত না ফেরিওয়ালা হাঁক দিয়ে যায় বিচিত্র সুরে!
ফুলঝাড়ু, আচার, সাইকেলে মিষ্টি নিয়েও আসে,
বসতি সকাল-দুপুর-বিকেলে একেক রকম ব্যস্ত;
দুপুর জুড়ে উদাস হয়ে ফেরিওয়ালার ডাক ভাসে।

দিন রাত বাড়ীর পাশ দিয়ে নানা রকম গাড়ি যায়,
পুরনো বাহনের জঘন্য ধোঁয়া আর শব্দ ততোধিক,
তারই মধ্যে কোনও পাখী অপার্থিব স্বরে কিছু বলে-
ইঁটের অহং, আত্মাহীন ফ্ল্যাট মুহূর্তে অলৌকিক!

Post a Comment

0 Comments