জ্বলদর্চি

বিজ্ঞাপনের বিকল্প বিজ্ঞাপনই /ঋত্বিক ত্রিপাঠী

The alternative to advertise is advertising

বিজ্ঞাপনের বিকল্প বিজ্ঞাপনই

ঋত্বিক ত্রিপাঠী 


এককথায় বিজ্ঞাপন হল অর্থ ও শ্রমের বিনিময়ে নিজস্ব পণ্যের কিংবা ভাবনার প্রচার ও প্রসার। ইংরেজিতে বলি advertising। এর মূল লক্ষ পণ্য ও সচেতনতামূলক ভাবনাকে অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সম্ভবত মিশরীয়রা প্রথম বিজ্ঞাপনের প্রচলন করে দেওয়ালে পোষ্টার লাগিয়ে। ২০১৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায় সমগ্র পৃথিবীতে বিজ্ঞাপনের জন্য যত টাকা খরচ হয় তার শতকরা হিসেবে টেলিভিশনেই বেশি করা হয়(৩৪.৮%)। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞাপন ব্যবহারে সোস্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব বাড়ছে খুব দ্রুত গতিতে। কারণ তরুণ প্রজন্ম ডুবে আছে গুগুল,  অ্যাপ, ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপে। নিত্যনতুন পণ্য ও ভাবনাকে জানতে ও জানাতে বিজ্ঞাপনের বিকল্প নেই।
বিজ্ঞাপন সংস্থার ব্যক্তিত্ব ও রুচি অনুযায়ী বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হয় ভাষা ও চিত্র। গ্রাহকের ভাবাবেগ অনুযায়ী ভাষা হবে সহজ ও সরল। সাধারণ ও প্রাজ্ঞ সব শ্রেণির মানুষের জন্য যেহেতু বিজ্ঞাপন। আর বিষয় অনুযায়ী চিত্র। যেহেতু ব্যক্তি পূজায় আমাদের আকুলতা চিরকাল— তাই বিজ্ঞাপন সংস্থা তাঁদের বিজ্ঞাপনকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে স্বনামধন্য ব্যক্তিদের কাজে লাগান। আমরাও সরল বিশ্বাসে বিশ্বাসী হই। আস্থা রাখি সেইসব পণ্যের প্রতি, ভাবনার প্রতি।কখনও উপকৃত হই, কখনও-বা হই না। বিশ্ববরেণ্য চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায় ১৯৪৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।
বিজ্ঞাপনের সঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামও জড়িয়ে। সেসময় বহু বিজ্ঞাপনে রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ভাষা ও বাণীর পরিচয় মেলে। সুলেখা কালির বিজ্ঞাপনে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন," সুলেখা কালি। এই কালি কলঙ্কের চেয়েও কালো।" রবীন্দ্রনাথের এমন প্রশংসায় সুলেখা কালি যে অনেকটাই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল, তা তো স্বীকার করতেই হয়। এছাড়াও ভারতের পূর্ব রেলওয়েতে ব্যবহৃত হতো তাঁর কবিতার অংশ:"রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা/ ভাবিনি সম্ভব হবে কোনদিন।" তিনি কে.এল.  এম. রয়্যাল ডার্চ এয়ারলাইন্স- এর বিজ্ঞাপনও নির্মাণ করেন। কোনও কোনও সংস্থাকে তাঁর নিজের ছবিও ব্যবহার করতে দিতেন। কোথাও-বা ব্যবহৃত হত তাঁর স্বাক্ষরযুক্ত আর্শীবাদবাণী, কখনও তাঁর অটোগ্রাফ।
অনেকের ধারণা নিছক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যেই বিজ্ঞাপন  প্রচার। অনেকে ভাবেন ব্যবসা তো ভালই হচ্ছে সুতরাং আর বেশি বিজ্ঞাপনে খরচ নিষ্প্রয়োজন। এসব ধারণা একমুখী। ভুল। আসলে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে, বিশ্বাযোগ্যতা দৃঢ় করতে নিয়মিত বিজ্ঞাপন জরুরি। কারণ আজ বিজ্ঞাপন প্রচার গ্রাহককে শুধু শিক্ষিত করে, তা নয়-- দীক্ষিতও করে। তাই বিজ্ঞাপনের বিকল্প বিজ্ঞাপনই।
🦚
আমাদের প্রিয় বিজ্ঞাপন সংস্থা, যাঁরা নিয়মিত সঙ্গে থাকেন :

১. সিমবায়োসিস ফার্টিলিটি সেন্টার, রবীন্দ্রনগর, মেদিনীপুর 
২. সাহা অলঙ্কার, সরল বাবুর বাজার, মেদিনীপুর
৩. মেদিনীপুর স্ক্যান সেন্টার, মেদিনীপুর শহর
৪. গণপতি বসু স্মৃতি সমাজকল্যাণ সমিতি, মেদিনীপুর শহর 
৫. বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেদিনীপুর শহর 
৬.গড়বেতা কলেজ, পশ্চিম মেদিনীপুর 
৭. রয়্যাল আকাডেমি, মেদিনীপুর শহর 
৮. নিউ এক্সপার্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেদিনীপুর শহর 
৯. নিউ সাহা অলঙ্কার ভবন, মেদিনীপুর শহর 
১০. ন্যাশনাল অর্থো- সার্জিক্যাল সেন্টার, রবীন্দ্রনগর, মেদিনীপুর শহর 
১১. জেড পোয়েমস, মেদিনীপুর
১২. সংশপ্তক পত্রিকা,  মেদিনীপুর শহর 
১৩. কথাছন্দ, এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর 
১৪. এন.আর.সাহা এন্ড সন্স ( জুয়েলার্স), রাজাবাজার, মেদিনীপুর শহর 
১৫. মল্লিক পুস্তকালয়, শিববাজার, মেদিনীপুর শহর 
১৬. মেসার্স আর.আর. হার্ডওয়ার, মির্জাবাজার, মেদিনীপুর শহর
১৭. সুচেতনা করেসপণ্ডেন্স, বার্জ টাউন, মেদিনীপুর শহর 
১৮. গ্রিফিনস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, খড়্গপুর 
১৯. শ্রী দুর্গা প্রেস এন্ড অফসেট, বেলদা বাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর 
২০. দি ট্রি কিডস্ স্কুল, জজ কোর্ট রোড, মেদিনীপুর শহর 
২১. ভগবতী দেবী প্রাইমারি  টিচার্স' ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, খাকুড়দা, পশ্চিম মেদিনীপুর 
২২. রাধাকান্ত সুইটস, স্টেশন রোড, মেদিনীপুর শহর 
২৩. স্বর্ণময়ী যোগেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়, নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর 
২৪. হিজলি কলেজ, খড়্গপুর
২৫. খাটরাঙ্গা সুধীরচন্দ্র বিদ্যাপীঠ ( উচ্চ মাধ্যমিক), পশ্চিম মেদিনীপুর 
২৬. বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড, ছোটবাজার, মেদিনীপুর শহর 
২৭. মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস), মেদিনীপুর শহর 
২৮. মেদিনীপুর ল' কলেজ, রাঙামাটি, মেদিনীপুর শহর 
২৯. শিলদা কলেজ, ঝাড়্গ্রাম
৩০. জুপিটার কেটারার, মেদিনীপুর শহর 
৩১. জাগরী পাবলিশার্স, মেদিনীপুর 
৩২. মুগবেড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড, পূর্ব মেদিনীপুর 
৩৩. মা রটন্তী জুট ইন্ড্রাস্ট্রি প্রা. লিমিটেড, দক্ষিণ দিনাজপুর 
৩৪. সারদা এসোসিয়েটস, শরৎপল্লী, মেদিনীপুর
৩৫. গভঃ জেনারেল ডিগ্রি কলেজ, লালগড়, ঝাড়্গ্রাম 
৩৬. রাজা এন.এল.খান মহাবিদ্যালয়, মেদিনীপুর শহর 
৩৭. দিপুভাই পালকেমিস্ট, খড়্গপুর
৩৮. অনুরাধা সাইবার কাফে, জুখিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর 
৩৯. মা রাজেশ্বরী ইলেক্ট্রিক্যাল, রাজাবাজার, মেদিনীপুর শহর 
৪০. ধাওয়ার মিষ্টি, বেলদা, পশ্চিম মেদিনীপুর 
৪১. শাহীন টেলিকম অনলাইন সলিউশান, জুখিয়া,  পূর্ব মেদিনীপুর 
৪২. রাসায়নিক সার বিক্রেতা অভয়চাঁদ মাইতি ও বাদশা মাইতি, মাধাখালী, পূর্ব মেদিনীপুর 
৪৩. খিলাড়ী ডেকোরেটরস, ঝাড়গ্রাম
৪৪. মেসার্স  সাঁতরা স্টোর, মেদিনীপুর শহর 
৪৫. সৌমেন্দ্র সরকার (স্টার হেলথ এন্ড আলাইড ইনস্যুরেন্স কোম্পানি  লিমিটেড), মেদিনীপুর 
৪৬. আই প্যালেস,  রবীন্দ্রনগর, মেদিনীপুর শহর
৪৭. সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয়, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়্গ্রাম
৪৮. মাতৃত্ব, রবীন্দ্রনগর, মেদিনীপুর 
৪৯. আর.আলম এন্টারপ্রাইজ, নিমতলা চক,  মেদিনীপুর শহর 
৫০. কিনোভা,মেদিনীপুর শহর 
৫১. মেসার্স নীলকান্ত ফিনট্রেড লিমিটেড, গৌহাটি
৫২. সূর্য্যকান্ত সাহা এন্ড সন্স জুয়েলার্স, বড়বাজার, মেদিনীপুর শহর 
৫৩. মনজিনিস, হেড পোস্ট অফিস রোড, মেদিনীপুর শহর
৫৪. পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, মেদিনীপুর শহর 
৫৫. লোকনাথ টিম্বার, পঞ্চুর চক, মেদিনীপুর শহর 
৫৬. মেড প্লাস, রাজাবাজার, মেদিনীপুর শহর 
৫৭. বিনায়ক এনক্লেভ, তাঁতিগেড়িয়া, মেদিনীপুর শহর 
৫৮. রূপশ্রী, কর্ণেলগোলা, মেদিনীপুর শহর 
৫৯. ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, স্টেশন রোড, মেদিনীপুর শহর 
৬০. চন্দ্রকোনা বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়,  পশ্চিম মেদিনীপুর 
৬১. জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতি, পশ্চিম মেদিনীপুর 
৬২. স্কয়ার ড্রাগ ড্রিস্ট্রিবিউটারস, শিলিগুড়ি 
৬৩. SBI গ্রাহক সেবা কেন্দ্র, রাজাবাজার, মেদিনীপুর শহর 
৬৪. শঙ্কর এন্টারপ্রাইজ,  দার্জিলিং
৬৫. লালপ্যাথ ল্যাব, মাধাখালি, পূর্ব মেদিনীপুর 
৬৬. সিলভার হাউস জুয়েলার্স, বেলদা, পশ্চিম মেদিনীপুর 
৬৭. দি উৎসব ক্যাটারার, সিপাই বাজার, মেদিনীপুর 
৬৮. ডিটিডিসি, মেদিনীপুর
অন্যান্য অনেকেই।
🍁
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপনের নানা দিক || শুভশ্রী রায় 
🍂

Post a Comment

0 Comments