বাগদি চরিত ( ষটত্রিংশতি পর্ব )
শ্রীজিৎ জানা
মাইকের গান,ঢাকের শব্দ লোখার ছাতির ভিতরটাকে মাটি কোপানোর মতো করে যেন তাড়ছিল। চাপা কষ্ট বেরোতে না পারলে একটা ছটপটানি হয়। জলের ভিতরে অনেক্ক্ষণ ডুবে থাকলে শ্বাস নেওয়ার জন্য বুকটা যেমন হাঁকুপাঁকু করে। দিনকাল ভীষণ বদলে গেছে। লোখা আগে দেখেছে ভাইয়ে ভাইয়ে,এঘর ওঘরে ঝগড়া থাকলে,কোন অনুষ্ঠান বাড়ি আসা মানেই ঠিক মিলমিশ হবে। বাখুলের লোকজন ডেকে বসা হত আগে। লোখা তার দাদার বিয়ের সময় দেখেছে। তাদের সঙ্গে তার সেজ জেঠাদের ঝগড়া ছিল। লোখার বাপ তো কিছুতেই তার ছেলের বিয়েতে তাদের ডাকতে রাজি হচ্ছিল না। ভগী খুড়া তার বাপকে বুঝায়,
— দেক্ গজনা, পাড়া- বাখুল তোকে সমুজাতে হবে। সুপারিভাঙানি ত কোত্তে হবে।গা জুয়ারি কল্লে ত চোলবেনি। তোর টাকা আছে বোলে,লোক বল আছে বোলে নিজে মত করে চলা যাইনি,বুজলু। যত হোক একটা গেরাম ঘরের রীতি ত তোখে মানতে হবে।
— মোর ছেনার বিয়া,মেইছেনা হলেও না হয় দেকতম। তবু অদের মত বেইমানদের হাতেপায়ে ধোরতে পারবোনি কুনুদি। মোর বোড়ো ছেনারও অই একই মত।
—থাইলে ত তোখে পাড়া - বাখুল বাদ দিয়ে কাজ কত্তে হবে।
—কেনে! ইখিনে পাড়া - বাখুলের পশ্ন আসছে কুথা থিকে? বিবাদ ত অদের সঙে। অদেরকে মোদের ডাকার মোটেই ইচ্ছা নাই। তাবলে পাড়া - বাখুলকে বাদ দুব কেনে?
— আনাড়ির মতো তুই ইবার কথা বোলুঠু। ইটা মোদের শহর লয়,গেরাম। গেরামের একটা নিয়ম কানন আছে ত নাকি। গটা পাড়া -বাখুলের লোক নিমনতন্ন পাবে, যগ্যি ঘরে এসে নাক ডুবি খেয়ে যাবে,আর নিজেদের ঘরের একটা লোগ বাদ থাকবে– ইটা কুনু বিচারে হয়নি, বুজলু! হাজর ঝড়াঝাটি হবে, পাড়ার পাঁচজন যেদি সেটা ফসলা কত্তে না পারে,থাইলে তাদেরও যগ্যি ঘরে এসে মুচ্চিমুলা কোরে খাবা সাজে নি, বুজলু!
— তার মানে ভগীদ্দা, তমার কথা মত মোকেই আগে অদের পায়ে ধত্তে হবে! থাইলে ত অদের তিক্ রইল! পাড়া পোতিবেশিরা ত থাইলে ভাববে , মোদেরই দোষ। গয়ে পোড়ে আমরাই আগে ঝগড়া কোত্তে গেছি।
—বুজে দেক গজনা, কাজটা তোর, তোর বেটার বিয়া! মঙ্গল- অমঙ্গল ত মানু – না কি? রক্তমুখা হোয়ে থাকুসিনি। তোর কত্তোব্ব তুই কোরবি। তারা মানুষ যেদি হয় এসবে,আর না হলে না এসবি। তুই কেনে ধম্মপথ থেকে সোরবি।
— কুন্তু বোড়োকোচা ত মোটেই শুনবেনি। তাকে অদের ডাকার কথা বোলতে গেলেই মোর আদায় রাখবেনি।
— থাম দিখি! অরা সুদু আড়নেই ঢ্যাঙা হইচে। নামেই পড়ালিখা শিকেচে। পাড়াঘর- বাখুল- ভাগারিদিয়াজি লিয়ে মোদের গেরামঘরের নিয়মকানন। গায়ের জোরে সবটা উড়ি দিয়া যাইনি রে,বুজলু।
— হয়তো তমার কথা মেনে যাব নাইলে অদের ডাকতে। কুন্তু তখন যেদি আবার ঝুনেপুনে ঝগড়া করে। অর ছোট বেটাটা ত হুটকার গাছ! এমন কিটিসাইজ করে কথা বোলবে, তমার পিত্তি জ্বালি দিবে এগবারে।
— উটাকে আবার চিনি নি। আড়ে নাই কাড়ে আছে,শিকা বাঁক ঘাড়ে আছে, উ শালাটার। বলে বোলবে। কুনু উত্তর তুই কোরবিনি। তারপরে মিটিংয়ে যখন ডাকার কথা বোলবে তখন তুই সব বিবরণ দিবি। সব শুনে হাউস যেরকম রায় দিবে,তুই সেইভাবে চোলবি। তোখে ত আর কেউ তোষ দিতে পারবেনি,ব্যস!
ভগী খুড়ার কথাই শেষমেষ লগে। বিয়ের দু'দিন আগে বাখুল ডেকে বসা হয়। মিটিং শুরুর প্রথমেই লোখার সেজ জেঠাদের ডাকার কথা তুলে বাখুলের লোকেরা। মিটিং থেকে লোখার বাপকে ডাকতে যেকে বলে সবাই। কথামতো লোখার বাপ তার সেজদাদার ঘরকে ডাকতে যায়। কিন্তু তাদের ডাকে কিছুতেই আসতে চায়না। উল্টে ডাকতে যাওয়া নিয়েই আবার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ভগী খুড়ার কথা মতো লোখার বাপ বেশি উত্তর করে না। চলে আসে। কিছুটা রাগ সামলে সবাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
— এই ত তমাদের কথামত আমি ত গেলম। কুন্তু তমরা ত শুনতে পেলে সব নাকি! মোদের কিছু বলার নাই। তমরা যা রায় দিবে,সেটাই করব। কুন্তু আর আমি অদের দিকে ডাকতে যাবনি।
মালপাড়ার একটু মুখপাত গোছের বোনা। বনমালী। লোখার বাপের কথা বলা শেষ হতেই,বোনা গলাটাকে ভারী করে বলতে শুরু করে,
—নাহ্, তমাদের ত আর যাবার দরকার নাই। এবার মোদের বাখুলের পোখ্য থিকে একজন যাবে ডাকতে। যেদি সেই ডাকে অ্যাসে ভাল,নাইলে তাদেরও কুনু কাজে পুরা পাড়া -বাখুল এক ছাদাস যাবেনি। মোর ইটা বেক্তিগত মত। এবার তমরা সবাই বল।
বনমালীর মতামতকে আর কেউ ডিঙাতে সাহস পায় না। উল্টে সকলেই জোরালো সমর্থন করে। বনমালী তাতে আরো উৎসাহিত হয়। এতক্ষণ হাঁটু মুড়েই বসেছিৰ,এবার ডান পা'টা মুড়ে বাম থাইয়ের উপরে তুলে পাতাটা নাচাতে থাকে। ঈষৎ দুলুনি ভাব দেখা যায় শরীরের। বনমালী সালিশে বসলে গলার স্বর ভারী করেই রাখে। সে মনে করে ভারী গলায় কথা বলা মানে,সেই কথার জোর অনেক বেশি হয়। বনমালী এবার বলে ওঠে,
—থাইলে কেউ এগজন যাউ আসন থিকে। নন্দদ্দোকে ডাক দেউয়া হউ। কি বলে তার সুখের বাচকটা লিয়ে এসা হউ। এর পরে যেদি না এসে কাজ আটকাবেনি। তবে বাখুলকে অসম্মান করার জন্নে আমরা অন্য ডিডিশান লুব।
বনমালী তার কথার মাঝখানে এক দু'টা ইংরেজি শব্দ গুঁজে দ্যায়। পাড়ায সেভাবে কেউ পড়াশোনা জানে না। তাতে বনমালীর সুবিধাই হয়। যদিও সে নিজেও জানেনা তার বলা ইংরেজি শব্দগুলোর সঠিক উচ্চারণ কিরকম। পাড়া তরফের ডাকে নন্দ আসে। সবার দিকে জোড় হাত ঘুরিয়ে কপালে ঠেকিয়ে আসনে বসে। বনমালীই পথমে তাকে জিগ্যেস করে,
— কি গ নন্দদা? তুমি কেনে অ্যাসোনি সুপারিভাঙানিযে? তমারি ত ভাইপোর বিয়া নাকি!
— সেকথা বল্লে অনেককিছু বোলতে হয়। কিন্তু সেসব মোকে বোলতে বাধ্য কোরোনি। মোদের তরপ থিকে একটাই কথা অদের কুনু কাজে আমরা এসবোনি।
— ইটা ত তমার রাগের কথা বলা হয়ঠে! ঝগড়াঝাঁটির সময় তুমিও বোলেছ দু'কথা,অরাও বোলেছে। তাবোলে অনুষ্ঠানের সময় সে ত তমাকে উপযাচক হোয়ে ডাকতে গেছে,থাইলে ত তমাদের তিক্ কোরে থাকাটা কি উচিত!
— উসব বুজিনি, যেই মুখে গাল পেড়ে কুনু বাচবিচার রাকবেনি,সেই মুখে ডাকতে গেলেই কি চোলে এসব।
—তার মানে অরাই সব বোলেচে? তমরা কুনু গালিগালাজ পাড়নি?
— কেনে পাড়বোনি। অদের বেখান শুনলে মরা মানুষও জেগে উঠবে।
— থাইলে দোষ উভয়েরই আছে বল? কারো কম,কারো নাইলে একটু বেশি। কুন্তু সে ত তমার কাছে সেলেন্ডার হয়ঠে। থাইলে ত তমাদের এরকম বেবহারটা ঠিক নয়। তুমি একটা বুজক্ষর লোক। তুমিই বিবেচনা করে বল।
— মোর কিছু বিবেচনা নাই,ভাই। মোর ছোটকোচা বলে দিচে অদের সঙে সুপারি কেটে দিতে। কুনু সম্পক্ক না রাখতে।
— ইটা তুমি কি বলঠ গো নন্দদা। পাঁজজনের আসনে বোসে তুমি এতবড় কথাটা বোলতে পাল্লে! কেনে পাড়া বাখুলে কি কুনু বিচারসালিশ নাই। কি এমন মহামারি ঞটে গেছে।
বনমালীকে রাগতে দেখে সভা আরো তেতে উঠে। আসন থেকে নন্দকে স্পষ্ট জানানো হয়,
— থাইলে এই যেদি তসার রায় হয় তবে তমার কাজে পুরা পাড়া কুনু যাবেনি। ইবার তমার ডিসিশান তমার কাছে।
নাহ্, সেই রাতে পাড়ার পাঁচজনে যে জোরালো রায় দিয়েছিল,সেই রায়কে অমান্য করার সাহস কুলায় না নন্দ। যথারীতি লোখার দাদার বিয়েতে সবাই আসে। গায়েগতরে খাটাখাটনি করে। এমনকি ভগী খুড়া লোখার বাপকে এমনটাও বুঝায়,
— তোর ভাই দলের মধ্যে এখন তোর সেজদ্দাই আছে। যত হোক সে বোড়ো। সেজোন্নে তাখে দিয়েই ছেনার নান্নি মুখের শাদ্ধ করা বুজলু।
কথামতো লোখার সেজ জেঠাই তার দাদার নান্দিমুখের শ্রাদ্ধ করে। কোথায় কি মন কষাকষি! কোথায় কি অত ঝগড়াঝাটি! লোখা দেখে এমন মিলঝিল বোধহয় ঝগড়ার আগে ছিল না।
লোখা আপশোস করে সেইসব দিনকাল আর নেই। পাড়া ঘরে বিচারসালিশ আর নেই। এখন শহুরে চাল এসে গ্যাছে গাঁ-গাঁওলির ভিতর। সবই মুখ চাওয়াচাওয়ি ব্যাপার। খুদার বাড়িতে এতবড় মনসা পূজা হচ্ছে। বাখুলের লোকজনকে ডেকে বসার প্রয়োজন মনে করেনি। লোখা মাঠ থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। কাজে তার মনটা কিছুতেই বসছিল না। কোদাল ঘাড়ে নিয়ে আসার সময় দূর থেকে দেখে তাদের ভিটার নীচে লোকজন গহগহ করছে। ভিটার সামনে দিয়ে যেতে লোখার মনটা কিছুতেই টানে না। পিছনের পুকুরপাড়ের রাস্তাটা দিয়ে উঠে আসে। সামনের দুয়ারের রেলিঙে ময়না আগে থেকেই শিকল দিয়ে রেখেছিল,যাতে ছোট ছেলেটা চলে না যায়। বড়টার জ্ঞানগম্য হয়েছে। সে সহজে যাবে না। লোখার চোখমুখ দেখে ময়না বুঝতে পারে তার মনের ভাবগতিক। ভিতরের আগুনকে আর উসকাতে চায় না। শুধু বলে,
– লেয়ে কোরে এস শিগগিরি। ছেনাগুলানকে খিদা পেইচে বোল ছিল।
— যাইঠি। সরসার তেলটা দে দিখি।
জবজবা করে তেল গায়ে পায়ে বুলিয়ে পুকুরঘাটের দিকে হাঁটা দেয় লোখা। চান করতে গেলে লোখা একবাটি তরকারি নিয়ে যায়। ঘাটের ধারে বসে তরকারি খাওয়া তার বহুদিনের অভ্যাস। সরসার তেল ছাড়া লোখা কোন তেল মাখে না। তেল মাখার আগে নাকে কানে আর লাইকুন্ডুতে তর্জনিতে তেল নিয়ে দেয়। আজ ওসব করতে একবারেই ইচ্ছা করে না তার। তবে ঘাটের কাছে গিয়ে সে থমকে দাঁড়ায়। পুকুরঘাটের উল্টো পাড়ে খাওনদাওনের প্যান্ডেল হয়েছে। সেখানেই যত ভীড়। গোটা গ্রামের ঘরপিছু একজন করে নেমতন্ন পেয়েছে। রান্নার লোক এসেছে পাশের গ্রাম থেকে। ময়নার মুখে শুনেছে সব ক্যাটারার দিযে রান্না,পরিবেশন সব হবে। আজকাল আর গেরামের অনুষ্ঠান বাড়িতে মেয়ে বউরা আনাজপাতি কাটে না। গল্পগুজব হাসিঠাট্টা করে কাজ করার দিন ফুরিয়েছে। সুরেন বাগের রান্নার কদর আজ আর নেই। রঙবেরঙে পোশাক পরে লালটুস মার্কা ছেলেছোকরারা খেতে দেয়। মুখে তাদের কথা নেই। হাসি যদিও আছে তাতে কোন প্রাণের সাড়া নেই। খাওদাও আর মুখ বুজে চলে এসো। হোটেলের মতো। শুধু দাম মেটাতে হয় না, ওইটুকুই। তবে গ্রাম্য ঐতিহ্য হারোনোর মূল্য চুকাতে হচ্ছে প্রতি নিয়ত। লোখা দেখে শুধু রান্না- খাওয়ায নয়,তাদের গেরামের মেয়ে বউদের সাজ পোশাকেও কত বদল এসেছে। হাঁ করে চেয়ে থাকে আর ভগী খুড়ার কথাটা মনে পড়তেই সব রাগ ভুলে আপন মনে হেসে উঠে। খুড়া বলে,
– ওরে মোদের বেগদা বউড়ি ঝিউড়িদের সাজের বাহার দেখলে মোরে যাবি। একে ত মোদের গায়ের রঙ ধানসিদ্ধ হাঁড়ির পঁদ। তা হউ,ভগমান যেমন রঙ দিছে। তার উবরে পাউটার লেবড়িয়ে তাকে ফর্সা করার জন্নে হামলি পড়বে। আর ওই চিকচিকানি কাপড়,ঠোঁটে লেপেন্টিক ঘষে মা কালীর মত রক্তমুখ করে লিবে। আর গলায় এমিটেশানের একটা গজমতি হার ঝুলি লিবে। তার পরে ত কাপড় পড়ার ছিরিছারা পাবিনি। আগে তোর খুড়ি ঘমটা দিতনি বলে মোর মা কত গাল পাড়ত। গুড়ালির উবরে কাপড় উঠার জো থাকত নি। ততটা না মানু আজকে,কিছুটা ত মানতে হবে গেরাম-ঘরে। নাইলে শহরাচালের সঙে কি তফাৎ রইল বল দিখি।
🍂
লোখা মুচকি হাসি হাসতে হাসতে পুকুরে নামে। ভগী খুড়ার কথায় সে মজা-ই পায়। তার মনের ভিতরে একটা সেকেলে বুড়ো বাস করে। হালফিলের অনেককিছুকে সে মেনে নিতে পারে না। তাবলে মেয়েবউড়িদের সাজপোশাকের বাহার নিয়ে লোখার কোন নাক তুলাতুলি ভাব নেই। খগেন মাস্টারের কাছে একবার সে শুনেছে বাগদিরা একটু গেঁড়াপারা হয়। গায়ের রঙ হবে শ্যামলা। কিন্তু অনেকের গায়ের রঙ তো বামুন জাতকেও হার মানায়। ঊমানাথ ঠাকুর ছড়াটা লোখা আপন মনে বিড়বিড় করে,
- কালা বামুন, কটা শুদ্রু আর গেঁড়া মুসলমান/ তিন শালাই বড্ড শয়তান। মেস্টার বলে বাগদি শুদ্রু জাতের মদ্দে পড়ে। মানে মোদের গায়ের রঙ কটা ফর্সা হবেনি। হলে জানতে হবে গোলমাল আছে। মেস্টার এও বলে মোরা নাকি আসলি বাগদি নয়,মিশানা বাগদি। শুন,মেস্টারের কথা!
তবে,গায়ের রঙ আর গড়ন নিয়ে কি আসে যায়। তবে প্রত্যেক জাতের একটা ধর্ম আছে। তা দেখলেই চেনা যায়। খগেন মাস্টার বলে,
— কাক হয়ে গড়নে ময়ূর হতে চাইসিনি। কাক থেকেই কাকের ধর্ম পালন কর। ময়ূর ওই রূপের দেমাকেই আর জাতের দেমাকেই মরল। কাকা তো ঝাড়গদার পাখি। নংরা ময়লা পরিস্কার করে চারদিক কত ঝিরঝিরা রাখে বল দিখি। সমাজে কত ধরণের নংরা ছড়ি আছে। যেদি তার একটাও পরস্কার কত্তে পারু জানবি জীবন সার্থক। ওই ময়ূর হয়ে রূপের গাদা লিয়ে থেই ধেই করে লেচে গেলেই হয় নি। জাতের গৌরব বজায় রেখে চলতে হবে বুজলু।
0 Comments