গুচ্ছ কবিতা -৩
রূপকুমার কর্মকার
সহজিয়া
অনেক হলো শহুরে কথকথা
তৈরী হলো অনেক অলীক গানও
অনেক হলো চাঁদ জোছনা কাব্য
আচ্ছা... তুমি চর্যাপদ জানো?
যেখানে মানুষ প্রাণ ভরে শ্বাস নেয়
যেখানে মানুষ খোলা আকাশই বাঁচে
খড়ের চলার পাহাড়ি ওই ঘরে
প্রেম বেঁচে থাকে ভালবাসার আঁচে
তত্ব কথা জানিনা অত শত
জানি ওখানে জীবন জুড়ে সুর
অন্ধকারে জোনাকির ওড়া উড়ি
ব্যথাবোধ শুধু নিছকই কর্পূর
যদি ঝেড়ে ফেলে বৃথা চাদরের ঋণ
ভেসে যাই এই যাপন দূরে ফেলে
যেমনি করে অঙ্কুরোদগম হয়
প্রাণ বায়ু আর উর্বর মাটি পেলে
তেমনি যদি চর্যাপদে বাঁচি
সহজিয়া হয়ে নিজেদের খুব চিনি
যদি আমি হই সাধক কানহু পাদ
তুমি পারবেনা হতে ...সাধিকা ডোম্বিণী?
অভিশপ্ত রাত
লিখতে গিয়ে কেঁপে যাচ্ছে হাত
রক্ত ক্ষরণে রিক্ত বুকের বাসা
এভাবেই কি পাহাড় চূড়ায় উঠেও
পিছলে পড়ে খাদের তলায় আশা!
সব দিন সমান যায়না জানি
নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়া বাঘ
সবাই যখন আমার দেশের ছেলে
বেশিক্ষণ কি করতে পারি রাগ!
কোথায় গেল আগের সেই ম্যাজিক? কোথায় যে গেল বুকের সেই পাটা?
ভেবেছিলাম এবার মিলিয়ে যাবে
১২ বছর পুরনো সেই ঘা টা
শুধরানোর উপায় নেই তো আর
অপেক্ষা আর শুধুই দিন গোনা
আসছে বার আবার দেখা হবে
এটাই এখন মনের সান্তনা
কে মোছাবে বেদনা অশ্রু জল!
চার বছর অপেক্ষায় এখনো আরো
আজকে রাতে ঘুম হবে না জানি
আজকে রাতে উনুনও জ্বলেনি কারো
অজ্ঞাতবাস
যা ছিল আগুন ছাই দেখছো তাকে
নেড়িও তাই হাতির পিছনে ডাকে!
রাষ্ট্র যখন চেপে ধরে গলা
পথই গর্ত নতুন কি আর বলা
আকাশ জুড়ে উড়ছে কালো ধ্বজা
হোক না কষ্ট ..লড়াই করেই মজা
তবেইতো ছাই আবার ফিনিক্স হয়
হোক বিলম্ব সত্যকে নয় ভয়
সমুদ্র যা নেয় আবার তীরে ভাসে
ফুরোয় যে দিন আবার ফিরে আসে
বৃষ্টিতে প্রান যেমন গজায় ঘাসে
আসল যোদ্ধাই শেষ হাসি হাসে
সব অপমান সময়ই ফিরিয়ে দেবে
আজকে ওসব দরকার নেই ভেবে
আজকের দিনে এটুকুই শুধু বলা
অজ্ঞাতবাস.....তাই বীরও বৃহন্নলা
🍂
0 Comments