বাগদি চরিত (চতুর্ত্রিংশতি পর্ব)
শ্রীজিৎ জানা
নতুন মনসা মন্দির বলে কথা! জাঁজমক করে প্রতিষ্ঠা না করলে লোকে কি বলবে! তার উপরে অনেক ঝড়-ঝাপটার পরে খুদা মনসা মন্দির করতে পেরেছে। আগে ভিটার কোণে মনসা তলায় বসেই ঝাড়ফুঁক করত,কবচ বাঁধত। মনসা পূজার সময় মনসাতলার গায়েই প্যান্ডেল করে প্রতিমা বসাত। লোক তো নেহাত কম আসেনা!
দূর দূরান্ত থেকে পূজা দিতে আসে। খুদা গুনীনের হাত যশের কথা বহুদূর অব্দি লোকজন জানে। বটু গুনীনের সময় থেকেই তাকে তো সবাই চিনত। পূজার সময় মায়ের কাছে কত মানত পড়ে। কোন বৎসর খুদাকে প্রতিমা গড়ার খরচ ব্যায় করতে হয় না। কেউ না কেউ প্রতিমা মানত করেই থাকে। তার উপরে কেউ মনসামঙ্গল দলের খরচ দেয়। কেউ ওইদিনের খাওয়াদাওয়ার খরচ বহন করে। তারপর তো ঢাক, বাজিপটকা অনেকেই দেয়। একপ্রকার পূজায় খুদার কোন খরচ হয় না বললেই চলে। কিন্তু পূজার ফুল,দশকর্মা,শাড়ী ইত্যাদি আর যা কিছু তা কাউকে দিতে দেয় না খুদা। পনের কুড়ি দিন আগে থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় খুদার মনসা পূজার। কিন্তু ওই মন্দির না থাকার কারণে কেমন একটা ফাঁকা ফাঁকা মনে হত খুদার। অনেকবার রুগীদের বাড়ির লোক গল্প করতে করতে তাকে বলেছে,
—- ম্যানেজার, ইবার একটা মায়ের থায়ী আসন কর। নাইলে ঠিক মানায়ঠে নি। তমার উবরে মায়ের কত দয়া। মোদের উবরেও তার দয়ার শেষ নাই। এখনো যেদি তার একটা থায়ী বেদি না থাপন কর, তবে সিটা অনাচার হবে। তোমার মত কি বল?
— তা কথাটা ত তমরা অনাজ্জ বলনি। উ বেটির দয়াই ত তমাদের কাজ করে দিতে পারঠি। আমারো কি মনে হয়নি,ভাবঠ। নিজের ঘরটা বাগানার আগে তমাদের সাগরীমা ত মোকে কতবার বারণ কোচ্ছিল। বোলছিল,আগে মায়ের থান কর,তাবাদে নাইলে মোদের ঘর কোরবে। কুন্তু ওই জাগার জন্নেই ত কত্তে পারঠি নি। উ বেটি দয়া কোরু থাইলে ঠিক করে লুব। তাবাদে তমরা ত আছ। মায়ের মন্দির হলে তমরা কি আর মুখ ঘুরি লিবে।
— তা ক্যানে! জাগার সমিস্যা মিটি গেলে মন্দির লাগা দাওনা। সবাই সাহায্য কোরবো তখন।
— সিটার চিন্তা ত কোরিই নি। এই ত গত বছর পান্নার এগজনকে গেঁড়িভাঙা কাল সাপে কেটছিল। বেটা তার বোড়ো সনাবালা। মোর কাছকে যখন আনে তখন মুখ দিয়ে গ্যাঁজা হানেঠে। সে যাই হোক,উ বেটার দয়ায় দু'দিন দু'রাত তার পিছানে লেগে বিষ তুলে দিলম। সবাই ত ভেবছিল সে টিকবেনি। তার বেটা বউমা পেলেন ভাড়া করে বোম্বে থিকে এসে হাজির মোর দয়রে। মোর হাতেপায়ে ধরে সেকি কাঁদাকাটা। বলে,মোর বাপটাকে বাঁচি দাও,যা লাগে আমি দুব। আমি বলি দেখ বাপু বাঁচানার মালিক অই বেটি। অই মনসার থানে জিয়ে জানাও,যা করার অই কোরবে। তখন সেই মানত করে যে,মোর বাপকে যেদি ভাল করে দাও ত তমার মন্দির আমিই কোদ্দুব। উ বেটি নিজের জগাড় নিজেই কোল্লিচে।
—- থাইলে সমিস্যাটা কুথায়?
— সমিস্যা বুজতে পারনি? থাইলে এতক্ষণ কি শুনুঠ? মোর সান ভাইটা ত কুরকুটার গাছ। উই ত বাধা দেয়ঠে। আর কুনু ভাইয়ের আপত্তি নাই। তার মানে বুজনি,হিংসায় জোলে পুড়ে মরে যাইঠে। বাপের ভিটা ত বাটা কেটে ভাগ হয়নি। ত আমি মনসাতলার গা লেগে মন্দিরটা কোরবো বলে ঠিক করেচি। কুন্তু উ কোত্তে দিবেনি। তাই দেখনা তমার সঙে এসব কথা বোলিঠি আর কিনা অর বউ গা আড়াল করে শুনেঠে। যেই ঘরের লোক এল অম্নি কানে বিষ ঢালতে লেগে গেল। আর মোর ভাইটিও হইচে মাগের ভেড়া। কি আর বোলবো বল দিখি নিজের মায়ের পেটের ভাইকে লিয়ে। ইসব জন্তনা লিয়ে মোকে কাজ কোত্তে হয়ঠে।
— কুন্তু মন্দিরটা ত খুম দরকার গো ম্যানেজার। এখন ত আবার সাগরী মাকে মায়ের ভর হয়।
— সেই লিয়ে আরো চিন্তা বেড়ে গেছে। শনি- মঙ্গলবার মা অকে ভর করে। কত সব গনাতে অ্যাসে। বোসতে দিতে পারিনি। খুম খারাপ লাগে। তবে ইবার ঝন্টা কটাল বলে পার্টির এগজনকে ধরেচি। মোকে কথা দিচে একটা সমাধান ঠিক কদ্দিবে।
ঝন্টু কটাল সমাধান করে দেয়। সমাধান মানে কৌশলে রাজি করিয়ে খুদার পক্ষে মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়া। সেক্ষেত্রে খগেন মাস্টারকেও তোয়াজ করতে ছাড়েনি। মন যুগিয়ে কত রকমের প্রশংসার কথা মাস্টারকে নিয়ে বলতে থাকে। খগেন মাস্টার সেইসব কথায় সহজে ভেজার পাত্র যে নয়,তা কেউ না জানুখ লোখা জানে। তাছাড়া মাস্টার কোন জটিলতা পছন্দ করে না। সেই কারণে আগেভাগেই লোখাকে বুঝিয়ে রেখেছিল,
—দ্যাক্ আমি যাব ঠিবই কিন্তু পথম কথা তুই ত মাথা গরম করে পচলাপচলি কোরবিনি। তাবাদে খুদাদ্দা যেমন মর্দির কোচ্চে কোরু। তুই সুদু ভিটায় তোর অংশ বুজে লিবি। ইটা ত বুজেচু যে অন্য তোর ভাই দাদারা তোের সঙে নাই। থাইলে ক্যানে তুই তাদের জন্যে মাথা ফাটাবি? তোর অংশের বাটাকেটে ভাগ করে লে। থাইলেই ঝামেলা চুকে যাব।
প্রথম দিকে লোখা গোঁ ধরে থাকলেও পরে সাতপাঁচ ভেবে মাস্টারের কথায় রাজি হয়। আমিন ডেরকে ভিটা মাপজোক করে যে যার অংশে পিলার পুঁতে দেয়। খুদা তার পছন্দসই সিজমনসার তলায় মন্দির তৈরি করে। লোখা জানে ব্যাগড়ামি করতে পারত মাসরটার কিন্তু করেনি। ঝন্টু কটালও জানে খগেন মাস্টার মিটিংকে ভেস্তে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। অথচ কেন করল না সেটাই তার মাথায় ঢুকে না। ভাবে এটা আসলে তার কথার প্যাঁচের জোর। আর খুদা মনে করে ঝন্টু কটালের জন্যই তার জয় হয়েছে। ভাই শত্রুর মত বড় শত্রু আর কেউ নাই। সেই শত্রুকে সে পরাজিত করতে পেরেছে। এমন জয়ের উল্লাস তাই ধুমধাম করেই করা দরকার। মন্দিরও করেছে চোখে লাগার মতো। পান্নার সেই সোনাওয়ালা তার কথা রেখেছে। খুদাকে দু'হাত ভরে টাকা দিয়েছে মন্দির নির্মাণে। মন্দির তৈরির সময় সব কাজ দেখাশুনা করে দিয়েছে ঝন্টু। খুদার অত সময় কোথায়। এখন ত এক'দু দিনের জন্য কাঁসাই পারের দিকে ডাক এলে চলে যায়। সেইসময় রাতদিন ঝন্টু পড়ে থাকত তার ঘরে। সেইসময় খুদা ঘরে থাকত না বলে কোন রুগী তাদের বাড়িতে আসত না। খুদা আগেই জানিয়ে দিত কোন কোন দিন সে ঘরে থাকবে না। তাবাদেও না জেনে কেউ এলে সাগরী তাদের টুকিটাকি শেকড়বাকড় দিতে পারত। তবে মনে মনে বিরক্ত হত। বিরক্তি তার ওষুধ দেওয়ার জন্য নয়।ওষুধ দিলে ত সে টাকা পাবে। বিরক্তি তার ঘরে এই সময়ে লোকজন আসায়। সাগরী এখন ঘর ফাঁকা পেতে চায়। ছেলেমেয়েরা স্কুল চলে যায়। প্রায় ফাঁকাই থাকে। শুধু ঝন্টু এলে সাগরী বিরক্ত হওয়ার বদলে শিলাইয়ের জলের মতো কলকলিয়ে ওঠে। ঝন্টুর সঙ্গে ঠাট্টা ইয়ার্কিতে মশগুল হয়ে যায়। সাগরীর চেযে বয়সে খুব ছোট নয় ঝন্টু। তবে খুদার সঙ্গে তার বয়সের অনেক ফারাক। বুড়া হাড়ে তেমন একটা জোর অনুভব করতে পারে না সাগরী। তার পেটের যেমন খিদা,শরীরেও তেমনি।
সেদিন মিটিং চলাকালীন ঝন্টুর চাহুনিতেই আগুনের আঁচ পেয়েছিল সাগরী। তাবাদে আগেও যতবার এসেছে ঠারঠুরে ঝন্টু তার ইচ্ছার কথা বলেছে।
— থাইলে ঠাকুরপো মোদের সমিস্যাটা মিটমাট কদ্দাও না। তমাদের পাটির কাজে নাইলে তমার দাদা কিছু দিবে।
🍂
খুদা তখন তফাতে বসে ওষুধ বাঁধায় ব্যস্ত। মাঝে মাঝে ঘাড় বাঁকিয়ে সাগরীর সঙ্গে ঝন্টুর কথা বলা দেখে। কোন কিছু শুনতে পায় না। ঝন্টু তাল বুঝে টোপ ফেলায়
— সুদু পাটিবকেই দিবে মোকে কিছুি দিবেনি।
—- তা কেনে! তমাকেও নাইলে তসার দাদা কিছু দিবে। কুন্তু ওই কুরকুটাকে জব্দ কোত্তেই হবে।
— তা নাইলে হবে। কুন্তু দাদাই সুদু দিবে তুমি কিছু দিবেনি।
— আমি কুতথিকে দুব। মোর আর কি আছে।
—- তমার যেটা আছে সেটা কারো নাই। দিলেও শেষ হবে নি। আর লিয়েও শেষ কোত্তে পারবোেনি।
ইশারা বুঝতে পারে সাগরী। হেসে ওঠে সে। সেই হাসির সাথে চোখে-মুখের ইষৎ লজ্জার আভা স্পষ্ট চোখে পড়ে। আর এই ভেবে ভিতরে ভিতরে আহ্লাদে গমগম করতে থাকে যে এই বয়সেও তাকে কোন পুরুষ পেতে চায়। ঝন্টুকে সে আগে থেকেই জানে। তার স্বভাব চরিত্র অনেকের মুখে শুনেছে। মেয়েদের শরীরের প্রতি তার প্রবল নেশা। সাগরী সেই নেশার ভিতর কোন দোষ খুঁজতে চায় না। সে তো কাজের বদলে কিছু পেতে চায়। তাদের এরকম একটা সমস্যা ঝন্টু মিটমাট করে দেবে বলেছে। তার বদলে যদি কিছু চায় তাতে সাগরী কোন অন্যায় দেখে না। পাপ কি জিনিস সাগরী কোনদিন চোখে দেখেনি। পাপ বলে যদি কিছু হয় তবে সেও ত পাপী। সাগরী জানে তাকে মা মনসা ভর করে না। তার উপরে মায়ের কোন দয়া নেই। সবই ভাঁওতা। সেই ভাঁওতাবাজি তাকে শিখিয়েছে তার স্বামী। বান্তুর দোষ আছে, ঈশান কোণ দিয়ে জঁকা যায়, পাশের বাড়ির লোকজন সুবিধার নয়, তারাই তুকতাক করেছে- এরকম কয়েকটা ধরা কথা বললেই হল। ব্যস্ তার প্রতিকারের জন্য কি করতে হবে সেইসব খুদা বাতলে দ্যায়। বিশ্বাসযোগ্য করতে দোষ কাটানোর নাম করে তাদের বাড়ি যেতে হয়। বাড়ির চারদিকে সরষায় মন্ত্র পড়ে ছড়ায়। কখনো দেশি কালো মোরগ জোগাড় করে রাখতে বলে। উদ্ভট মন্ত্র উচ্চারণ করে চারদিকে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করে। শেষে গভীর রাতে বাস্তুর ঈশান কোণে সেই মন্ত্রপূত মোরগকে বলি দিয়ে দোষ কাটান করে। বিনিময়ে মোটা টাকা নেয়। আজকাল সবাই আড়ালে বলতে ছাড়ে না,
— খুদা ম্যানেজার পুরা ব্যাবসা শুরু কদ্দিছে। সেই খুদা আর নাই। উ যে বটু গুনীনের সেঙাত সেটা পুরাই ভুলে গেছে।
এসব উটকা কথায় খুদার কোন যায় আসে না। সাগরীরও কানে তুলে না কোন কথা। তার নামেও পাড়া বাখুলের মেইয়ারা কত কত কথা বলে হাটে,ঘাটে।
– উ মাগীকে মা মনসা ভর করে না হঁপা করে। মুখে দিনরাত আচালিপচালি করেঠে! সুগড়িআবড়ি বারখেনের ধার ধারেনি,তাকে নাকি মা দয়া করেচে। আর লোক পেলনি। মায়ের দয়া পেতে হলে সুদ্দসাদ্দ থাকতে হয়। উ মাগীর কুনু ত বাচবিচার দেকতে পাইনি।
সাগরী নিজেও জানে রেগে গেলে তার মুখের ভাষার ঠিক থাকে না। রাগ তার অন্য কারণে। পেট পুরে সে খেতে পায় খুদার সংসারে। কিন্তু কিছুতেই তার অন্য খিদা মিটে না। অথচ সাহস করে এতদিন কারো কাছ থেকে খাবার পেতে চায়নি। ঝন্টুর ইশারাকে সে তাই ফিরাতে চায় না।
সেদিন মিটিং শেষ হতে অনেক রাত হয়ে যায়। খুদা মন জোগানোর জন্য আগে থেকেই ঝন্টুদের জন্য মদ- মাংসের আয়োজন রেখেছিল গোপনে। মিটিং শেষে কথামতো সেই সব খাবার খুদা নিয়ে আসে পার্টি অফিসে। জাঁকিয়ে আসর বসে। খুদাও সেদিন জয়ের আনন্দে আশ পুরে খেতে থাকে। এই খাওয়ার ফাঁকেই ঝন্টু বাইর থেকে আসার নাম করেই বেরিয়ে আসে। তার চোখে তখন ভাসছে সাগরীর মাংসল শরীরটা। নেশার ঘোরে নেই শরীর যেন তাকে চুম্বকের মতো টানতে থাকে। ঝন্টুর খিদা টাকার প্রতি, শরীরের প্রতি। খাবার সুস্বাদু হলেই হল। আর কোনকিছু তার ভাবনার মধ্যে আসে না। গাঢ় অন্ধকার ফুঁড়ে ঝন্টু দ্রুত হাঁটা দেয় খুদার ঘরের দিকে। এই ধরণের খেলায় সে ওস্তাদ। সাগরীও সেইসবে শোওয়ার জন্য বিছানা করছিল। ছেলেমেয়েরা তার ঘুমে অচেতন। ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে টর্চের এক ঝলক আলো দেখতে পেতেই তার বুকটা ছ্যাঁত করে ওঠে। মাথা ভিতরে তারও কতকিছু ঘুরপাক খাচ্ছিল। ধীর পায়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে। প্রথমটা ঠাহর করতে পারে না। টর্চের আলো তাদের ঘরের পিছনে পুকুর পাড়টার কাছে থমকে যায়। পরক্ষনেই ঠিক তাদের জানালাটার দিকে বার কয়েক আলো ফেলে। বুক ধড়ফড় করতে থাকে সাগরী। এদিকওদিক তাকিয়ে সেই আলো লক্ষ্য করে হাঁটা দেয়। কাছে গিয়ে দেখে ঝন্টু কটাল। মিশকালো রাত সাঁইসাঁই করছে। পুকুড় পাড়ে করঞ্জা গাছের তলায় দুটো শরীর খুব কাছাকাছি। একে অপরের নিঃশ্বাসের উত্তাপ অনুভব করতে পারছে। বুকের ধড়ফড়ানি তখনো কমেনি সাগরীর। এই মুহুর্কে কোথায় যেন উবে গেছে তার সাহস! কিছু বলতে যাওয়ার আগেই দুটো হাতের ফাঁসে তাকে বেঁধে ফেলে ঝন্টু। থরথর করে কেঁপে ওঠে সাগরী। সাপের জোড় লাগা সে দেখেছে কতবার। এখন যেন এই করঞ্জা তলায় নিকষ অন্ধকারে দুটো সাপের জোড় লেগেছে। পুরুষ সাপটা তাকে দুমড়েমুচড়ে দিচ্ছে। ছোবলের পর ছোবল বসিয়ে দিচ্ছে তার সারা শরীরে। দোপাকা উনানের আগুনের মতো দাউদাউ করছে তার শরীরী আগুনের শিখা। এমন উত্তাপ সে তো আগে পায় নি। খুদা তাকে এই আগুনের হদিশ দিতে পারেনি এতকাল। সে পরাজিত পুরুষ সাপটার কাছে। সারা শরীরে তার গরম বিষ চটচট করছে। সাগরী ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এতদিন পর তাকে কেউ পরাজিত করেছে।এই পরাজয়ের আনন্দই অন্যরকম। গাঢ় একটা চুম্বনে ঝন্টুকে তার তৃপ্তির কথা জানিয়ে দ্রুত পায়ে ফিরে আসে ঘরে। এসে দেখে খুদা তখনো ফেরেনি। রাত আরো গাঢ় হয়।
0 Comments