জ্বলদর্চি

বাগদি চরিত (পঞ্চত্রিংশতি পর্ব) /শ্রীজিৎ জানা

শিল্পী- আরাধ্যা জানা

বাগদি চরিত (পঞ্চত্রিংশতি পর্ব)  

শ্রীজিৎ জানা

সাগরী বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। শরীরের শিরশিরানি ভাব তখনো কাটেনি। খানিকটা ক্লান্ত লাগে। করঞ্জাতলার মাটিতে খোলামকুচি পোঁতা ছিল বোধহয়। মরা  গ্যাঁড়া গেঁড়ির খোলাও থাকা আশ্চর্যের নয়। শুকনো করঞ্জার পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গাছতলায়। তাতে কি আর গা হাত ছড়ে যাওয়া আটকায়। কোন সবুর করে নি ঝন্টু। আচট মাটিতে ফেলে দিলে কি হবে তা ভাবেনি। সাপখোপে তার ভয়ডর নাই। ঘুরঘুট্টি অন্ধকারের ভিতর সাগরী ঝন্টুর চোখদুটো স্পষ্ট দেখতে পায়। ধান সিদ্ধ করার  দোপাকা  উনানের আগুনের মতো দাউদাউ যেন তার তারা জ্বলছে।  সাগরী এমনিতে কাউকে ভয় পায় না। কিন্তু সেই মুহুর্তে তারে বুক ঢিপঢিপ করতে থাকে। ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে। তার ভরী বুকের উঠানামা সে নিজে নিজেই অনুভব করে। ভয়ের কারণ শুধু ঝন্টুর আগুনপারা চোখ নয়, ভয় তার লোখাকেও। দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়ে আসার সময় বেশ কয়েকবার থমকে দাঁড়িয়েছে সে। পেছন ফিরে চারদিক দেখেছে। লোখাকে তার একেবারেই বিশ্বাস নেই। সাগরীর মনে একটা চাপা ভয় ঘুরপাক খায়। হয়তো তাকে নজর করতে পারে। পেছন পেছন আসতে পারে। কিন্তু সে তো এমন কোন আচরণ করেনি যাতে লোখার মনে তাকে নিয়ে সন্দেহ জন্মায়। কিন্তু মাথা থেকে এইসব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে একটা ঘোরের টানে সোজা পুকুর পাড়ে করঞ্জাতলায় হাজির হয়। ঝন্টুর মুখোমুখি দাঁড়াতেই তার পায়ের তলায় কে যেন আঠা ঢেলে দেয়। কিছুতেই তার পা আর নড়তে পারে না। তার পরেও সাগরীর মাথায় হাজার রকম দ্বন্দ্ব লাট্টুর মতো পাক খায়। সাগরী মুখরা,মারাত্মক কঁদুলি। মুখে পচলাপচলির সীমা থাকে না যখন ঝগড়া করে। চোখ গোল করে, চুল খুলে,কোমরে শাড়ীর আঁচল বেড় দিয়ে,হাঁটু অব্দি কাপড় তুলে,ফ্যাসফ্যাসে গলায় যখন সে চিল্লান পাড়ে তখন তার দিকে দেখলে ভয়ে সবার পিলাঘাট সটকায়। সাগরী একথা নিজেও জানে তাকে পাড়া বাখুল সবাই ভয় করে। ভয় করে তার কুঁদুলাপনার জন্য।ইদানীং খুদার কথায়,মা মনসার ভর করার কারণে সে একটু কষ্টেসৃষ্টে চুপ মেরে থাকতে হয়। হঠাৎ এ কোন জগতে পা বাড়াল সাগরী। এর আগে কোনদিন অন্য কোন পুরুষকে স্পর্শ করা তো দূর সেইচোখে ঘুরেও তাকায় নি। তার প্রতিও তো কেউ যেঁচে সোহাগ দেখাতে আসেনি। গায়ের রঙ তার ফর্সা নয়। কিন্তু ভগবান তার শরীরে যেখানে যেটুকু মাংস লাগে তারচে বোধহয় বেশিই দিয়েছে। তার উপরে পান্তা আর টক আমানির গুণে সাগরী আইবুড়ো বয়স থেকে ভালোই ফুলফুলা। 
মেইছেনাদের নাকি হাঁকাড়ে খেতে নাই। সাগরী ঠাকুমাকে একথা অনেকবার বলতে শুনেছে। সাগরী তার খিদার তাড়নাকে কথনো তাই বাইরে বেহায়ার মতো প্রকাশ করেনি। কুটুম বাড়িতে তার খেতে লজ্জা পেত। নেমতন্ন বাড়িতে গেলে তার পেট ভরত না। ঘরে সে আশ পুরে ভাত খায়। দু'পা সামনে মিলে ডান দিকে কোমরের কাছে ভুঁয়ে ভাতের থালা রেখে পেটপুরে খায়। অনেকবার খুদা ঝগড়াঝাটির সময় সাগরীকে খাওয়ার খোঁটা দিয়েছে।
🍂
— বসে বসে ত ওই হাঁসের মত গিলুঠু।অয়ে গতরে বাত ধোরবেনি ত কি। যত তোর মুক চলে,তত যেদি গতরটা চালাতু তবে মোর সংসারের উবগার হত। মোর খেটেলুটে পঁদের বাঁদন ছিঁড়ে যাবে আর উনি বোসে বোসে সুদু কাঁড়ি ক্ঁড়ি কাড়বে।
— মোকে খাবার তুলনা দাওঠ! কাজ কোরিনি ত কুন সতিন এসে ঘরের কাজ গুলান কোরে দিযায় শুনি। খাবার কথা ছোট কথা। তার তুলনা দাওঠ যখন, অই অন্ন মুখে তুলবোনি, দেখ না।
এসব কথার কথা। সাগরীর পেট রাগ বোঝেনা। খিদা মানে না। লুকিয়ে হলেও তাকে পেটে কিছু দিতে হয়। বানি কড়কড়া ভাতেই জল ঢেলে পেঁয়াজ আর লঙ্কা ছিঁড়ে গোগ্রাসে গিলতে থাকে। খাওয়াতে তার লাজলজ্জা নেই। খুদার ঘরে ভাতকাপড়ের অভাব পায়নি সাগরী। কিন্তু খুদার বয়স গড়াতেই অন্য অভাবের তাড়না সাগরীর মনকে অস্থির করে তুলতে থাকে। শরীর তার বাধা মানত না। খুদা তার শরীরের আঁচড়কামড়কে শান্ত করতে পারত না সহজে। সাগরী ভিতরে ভিতরে গোখুরা সাপের মতো রাগে ফুলত। আর দিনের বেলায় কথায় কথায় খুদাকে বাখান দিত। শরীর রাগ মুখে বাখান দিয়ে মেটাত।তবু কখনো তার মন অন্য পুরুষের দিকে ছুটে যায়নি। ঝন্টুর সঙ্গে কথা বলার পর থেকেই তার সেই ভিতরের খিদাটা চাগড় দিয়ে ওঠে। তার তো ভাতের অভাব নেই,কাঁচা টাকার অভাব নেই, তবে শুধু ওই অভাব টুকুই তার থাকবে কেন। কেউ যখন নিজে থেকেই তার দিকে ঢলেছে,তবে সাগরী তাকে ফেরাবে না।

বিছানায় শুয়েও চোখের পাতা এক করতে পারেনি সাগরী। তক্তপোশের উপর উলটপালট খেতে থাকে। ছেলেমোয়েরা পাশের ঘরে ঘুমিয়ে কাদা। কত রকম ভাবনা তার মাথায় চরকির মতো পাক খায়। সাগরী একপেশে হয়ে শুয়ে আছে। আরেকটা সাগরী আপনমনে নিজেই নিজের সাথে কথা বলছে।
—ইটা কি কোরলি তুই, সাগরী? পর পুরুষকে নিজের শরীরটা দিয়ে দিলি! তোর কি কুনু লাজলোজ্জা নাই? পাপের ভয় নাই? সামান্য এট্টু হেলেপ কোরবে বোলে ঝন্টার মতো লোকের কাছে নিজের ইজ্জত দিলি! নাকি তোর লেলচামি দোষের জন্নে এরকম কল্লি! 
এইসব সাতপাঁচ ভাবনা যত মাথায় কিলবিল করে তত সাগরী অস্থির হয়ে ওঠে। বিড়বিড় করে খুদাকে গাল পাড়তে শুরু করে।
— বেদা লউঠাটা এখনো এসেনি ঘরকে। অর জন্নে মোর জীবনটা গৈরাতে চলে গেল। কুনু মুরাদ নাি অর। সুদু টাকাই চিনেছে। ঘরের বউকে কেমন করে রাকতে হয় উ জানেনি কুনুদিন। এখনো এসার নাম করেনি! মদ টেনে পড়ে আছে পাটি অপিসে। তাই নাকি অর শিকড় বাঁদলে কেউ কারো বরকে বল,বউকে বল ভুলাতে পারবেনি। ঝাট্টা মারি অর জড়িজাটকলকে।
এসব বলতে বলতে এক দমকা কেঁদেও ফেলে সাগরী। শুয়েই নাক কান মুলে তিনবার। শিকড়বাকড় নিয়ে উচ্চবাচ্য বলা মানে মা সইবেনি। ভিটামাটি চাটি হয়ে যেতে পারে মায়ের কোপে। মনে মনে বারকতক মা মনসার কাছে ক্ষমা চায়। ভিতরের সাগরীটা পরক্ষণেই আবার কথা বলতে শুরু করে।
— যত হউ সাগরী,তুই খুদা গুনীনের বউ। দশ বিশটা গেরামের লোক খুদা গুনীনকে চিনে। তাবাদে মা ত তোকে ভর করে। পথম দিকে এট্টু আদটু ছলা কত্তু। এখন ত কেমন একটা ঘোরে লুটি পড়ে থাকু। মুখ দিয়ে কত কথা হলহল করে বেরায়। কে কুথা থিকে কবেকার কথা জগি দেয় মুখে বুজতে পারু কি। আগে ত বুত্তা সাইট থিকে কায়দা করে খপর দিত। তার সঙে আরো কিছু মিশিয়ে বোলে দিতম। এখন তাউ কত্তে হয়নি। ইটাকেই নাকে মায়ের দয়া বলে। লোকে মন খুলে দক্ষিণা দেয়। ঝন্টার কাছে শুয়ে তোর শরীল অশুদ্ধ হই গেল,সাগরী। হায় রে সাগরী তোর ঠাঁই নরকেও হবেনি,দেখে লিবি খন!
শরীরের উত্তাপ কোথায় কখন উবে গেছে সাগরী টেরও পাইনি। গা হাত পা তারা কালা মেরে গেছে। আঁচলের খুঁট দিয়ে শুধু সে ঘন ঘন চোখ মুছতে থাকে। হঠাৎ দরজা ঠেলার শব্দ কানে আসে সাগরীর। ইচ্ছে করেই দুয়ারে রেলিঙের জিঁঁজিরে চাবি লাগায়নি সে। তাড়াতাড়ি চোখ মুখ মুছে ঘুমিয়ে থাকার ভান করে সাগরী। খুদা টলতে টলতে ঘরে ঢুকে। কারেন্টের জিরো পাওয়ারের সবুজ লাইট জ্বলছে দেওয়ালে। সেই পুরু আলোর আভায় সাগরীকে দেখে খুদার নেশার ঝাঁঝটা যেন আরো বেড়ে যায়। কিন্তু গায়ে চট্ করে হাত দিতে তার সাহস কুলোয় না। সচরাচর খুদা নেশাভাঙ করে না। আজ ঝন্টুদের খাতির করতে গিয়ে নিজেও বেশ খানিকটা গিলেছে। তবে দেশি মদ নয়। বিদেশি, বুত্তাপদর মুখে শুনেছে মদটার নাম নাকি রাম। বুত্তা হল খুদার সাগরেদ। ভালোই রসিকতা জানে। মদের আসরে এক দু'ঢোক গিলেই হাসতে হাসতে বলে,
— জান, ঝন্টাদ্দো! দিনকাল পড়গেছে মাইরি। সব নেশাভাঙের নাম এখন ঠাকুর দেবতার নামে। মদের নাম রাম,বিড়ির নাম লোকনাথ।  আবার একটা লখ্যি গুটকাও পাওয়া যায় দকানে। ভালোই হোলো বল, ঠাকুরের নাম লিয়ে ঠাকুরের জিনিস খাইঠি। কুনু পাপ হবে নি।
দেশি হলে ভকভক গন্ধ ছাড়ত মুখ দিয়ে। সাগরী রেগে আগুন হয়ে এত রাতেই গাল পেড়ে খুদার চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে দিত। এই মদে তেমন কোন বাস ছাড়েনি। তাবাদে সাগরী উল্টো দিকে মুখ করে ঘুমে অচেতন। তবু এই সময় খুদার ইচ্ছা করে সাগরীর সঙ্গে দুটো কথা বলার। মনের ভিতরটা তার বেশ ফুরফুরা লাগছে। লোখাকে আজকে সে সালিশে নত করতে বাধ্য করিয়েছে। তার আনন্দ তো হওয়ারই কথা। এমন খুশি বউয়ের সঙ্গে ভাগ না করলে কার সঙ্গে কোরবে খুদা। সাগরীকে ঠেলা দেয় খুদা।
— কি রে সাগরী ঘুমে লুটি গেছু নাকি?  কেমন ঝন্টাকে হাত করে পেঁচুয়ারটাকে জব্দ কোল্লম, বল! মোকে আবার ঝন্টা কি বলেঠে জানু? বলে,সাগরী বৌদির জন্নে তমাকে হেলেপ কোল্লম। তুই নাকি তাকে খুব বুজিসুজি ছিলো যে! যাক্, একটা কাজের মতো কাজ হোল। এবার মন্দিরটা করে ধুমধাড়াক্কা করে মায়ের পুজা কোরবো দেখবি। ঘুর না ইদিকে এট্টু। তোর কি আজগে কুিনু ইচ্ছে নাই।
বলেই খুদা হাত দিয়ে টেনে সাগরীকে চিৎ করতে যায়। সাগরী হ্যাঁচকা মেরে হাত ছাড়িয়ে নেয়। ঘুম জড়ানো গলার স্বরের মতো করে বলে,
— মোকে ঘুম পেইচে আজগে। এত রাত অব্দি তুমি কিত্তন মারাও না পাটি অপিসে। মোর ত শরীল বলে কিছু নাই। তমাদের ত সুদু গায়ে উঠতে পারলেই ফুরি গেল।চুপ মেরে ঘুমি যাও। 
খুদা আর জোর করতে সাহস করে না। কিন্তু তার ভিতরের ইচ্ছার পোকাটা কটকট করে কামড়াতে থাকে। 

মনসা মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হচ্ছে খুদা গুনীনের। দূর দূরান্ত থেকে লোকজন এসেছে। অনেকে আগের দিন থেকেও এসেছে। চার- পাঁচশ লোকের খাওনদাওন হবে। ভিটার নীচে কালা জমিতে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছে। তার পাশেই রান্না হচ্ছে। পাড়া বাখুলের সব গিন্নি- বউড়িরা আনাজপাতি কাটতে বসেছে সকাল থেকেই। মন্দিরের সামনে হোমযাগের তোড়জোড় চলছে। মন্দিরের ভিতরে তিনজন বামুন ঠাকুর একতালে মন্ত্র আউড়ে যাচ্ছে। একদিকে মাইকে চন্ডীপাঠ, অন্যদিকে ঢাকের আওয়াজ, তার উপরে ঝাঁঝ,ঘন্টার শব্দে চারিদিক যেন গমগম করছে। লোকজনে গহগহ করছে চারপাশ। গ্রামের গন্যমান্যদের নেমতন্ন দিয়েছে খুদা। পার্টির কাউকে বাদ দেয়নি। আত্মীয়স্বজনদেরও ডেকেছে সে। শুধু এই জাঁকজমকের পুজোয় ডাক পায়নি লোখা। তাতে কোনরকম মনখারাপ নেই তার। ময়নাও সবদিনের মতো ঘরকুটালির কাজে ব্যস্ত আছে। লোখা সকাল থেকেই মাঠে। ময়না রাগেই তাদের দুয়ারের দিকটার রেলিঙ বেঁধে রেখেছে। এছাড়া ছেলে দুটোকে আটকে রাখা যাবেনা। বড়টা কথা শুনলেও,ছোটটা তো ছেলেমানুষ! ঘরের সামনে এতকিছু হলে দুধের বালকদের সহজে ধরে রাখা যায় না। লোখা মাঠে কুমড়ার মাদা কাটলেও কানটা রয়েছে খুদার পুজার মাইকের সাউন্ডে। মা মনসার গান বাজছে মাইকে। গানবাজনা শুনলেই লোখার মন কেমন হয়ে যায়। মাটি কুমানো থামিয়ে আলের উপরটায় বসে পড়ে। গানের রেশ ধরে লোখার মন এখন খুদার পুজাতে ঘুরপাক খায়। হঠাৎ দেখে জগা এসে হাজির তার কাছে। 
— কি করঠ গো লোখাদ্দা? আজগেও কাজ বাদ দওনি! ঘরে তমাদের অতবড় পূজা হয়ঠে, শুনিঠি!
— না খাটলে পেট চোলবে কি কোরে? মোকে কি আর মা মনসা দয়া কোরেচে? মোকে গতর খাটিয়েই ত খেতে হবে? তোর মতো মাছও ত ধত্তে পারিনি!
— বোল্লম বলে কি রগ করঠ? তমরা ত জগা সদ্দারকে মানুষ বোলে গোন্ন করনি। কিন্তু জগা বাগদি সব খপর রাখে গো। তমাদের বিবাদের কথাও জগা সব জানে।
— জানু ত জিগ্যাস কোরুঠু কেনে?
— মোকে ত সবাই অ্যালাফ্যালা ভাবে। বলে জগা বাগদি আবার একটা মানুষ! ত তরা যেদি এত বুজদার থাইলে ইটা কি ধরণের কাজ হয়ঠে! এগ ঘরে এত বোড়ো একটা যোগ্যি হয়ঠে,কুন্তু নিজের ভাইকে বাদ দিয়ে! ইকি বাবলাফুরা বিচার হয়ঠে নাকি! হাজার মুখবাদ্দি হতে পারে,তার কুনু সমাধান নাই। ভাই- ভাইয়ে যেদি মিল না কোল্লু থাইলে কিসের বিচার সালিশ!
—কথাটা বোলতে চাইনি। তুই বোলুঠু বলে, বোলিঠি। কষ্টটা কুথায় জানু যেই ভাইদের জন্নে গলা ফাটালম,তারাই সবাই এসেচে, শুনলম। আমে দুদে মিলে গেল,আঁঠি গড়াগড়ি খায়ঠে। ছ্যানাপেনা গুলানকে পোজ্জন্ত ডাকেনি,এমন অরা,বুজলু! 
— মাথার উবরে ভগমান আছে। সে দেখেঠে। বিচার যা করার, ঠিক সে কোরবে। ভেবোনি।

জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করুন। 👇

Post a Comment

0 Comments