জ্বলদর্চি

বাঁশী ছেড়ে দণ্ড হাতে-১০/দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী

বাঁশী ছেড়ে দণ্ড হাতে
দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী         

প্রথম ভাগ - বৃন্দাবন পর্ব

      
দশম পর্ব

আমাদের গাইডের কাছে এই মন্দির সম্বন্ধে বিশদে বলার কথা বলতে তিনি বললেন "১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত ধনী শেঠ লক্ষ্মীচাঁদের দুই ভাই শেঠ গোবিন্দ দাস ও শেঠ রাধাকৃষ্ণ এই সুবিশাল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরটি শ্রীরঙ্গনাথজীউ বা শ্রীবিষ্ণুর। শ্রী সম্প্রদায়ের বৈষ্ণবগণ বিষ্ণুকে রঙ্গনাথ নামে অভিহিত করে থাকেন। এই শ্রীসম্প্রদায় হলেন দক্ষিণ ভারতের রামানুজ সম্প্রদায়। শেঠজীদের গুরুদেব স্বামী রঙ্গাচার্য এই মন্দিরের নকশা তৈরী করেছিলেন। মন্দিরটি দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্য কলায় নির্মিত। ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরের নির্মাণকার্য শুরু হয় এবং ছ' বৎসর সময় লেগেছিল নির্মাণ কার্য শেষ করতে। তখনকার দিনে ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল এই মন্দির নির্মাণ করতে। প্রথম প্রাচীরটি যেটি মন্দিরের চতুস্পার্শ ঘিরে আছে সেটিকে এক সরলরেখায় অবস্থান করলে দেড় মাইল লম্বা। দুটি গোপুরমের দূরত্ব ৫০০মিটারের বেশী। মন্দিরের এলাকা ৭৭৩ ফুট লম্বা আর চওড়া ৪৪০ ফুট। দু সারি প্রাচীরের মাঝখানে সামনের দিকে রয়েছে বিশাল জলাশয়। বহু মূর্তি ও বিগ্রহ রয়েছে নাট মন্দিরে, গর্ভ মন্দিরে আর বাইরের ছোট ছোট মন্দিরে। চৈত্র মাসে ১০ দিন ধরে ব্রহ্মোৎসব পালিত হয়। তখন অষ্টধাতুর শ্রী রঙ্গনাথ বিগ্রহকে রথে করে নিয়ে যাওয়া হয় রঙ্গনাথজির বাগানবাড়িতে। সেই সময় এখানে বিরাট মেলা হয়। হাজার হাজার পুণ্যার্থী সেই সময় বৃন্দাবনে আসেন। রথের আগে হেঁটে যান ভরতপুরের রাজার রক্ষী দল রঙ্গনাথজীউকে অভ্যর্থনা জানাবার জন্য। বাগান বাড়িতে সভামণ্ডপ তৈরি করা হয়। সমস্ত বাগানটি আলো দিয়ে সাজানো হয় আর বাজি পোড়ানো হয়।
এই মন্দির স্থাপনের পিছনে একটি কাহিনী আছে যেটি অনেকেই জানেন না। আমাদের গাইড বললেন অষ্টম শতকে কৃষ্ণভক্ত দক্ষিণ ভারতীয় সাধ্বী গোদা (অন্ডাল) দেবী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্বামীরূপে পাবার জন্য এত আকুলভাবে সর্বদা স্মরন মণন করতেন যে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তাঁর প্রার্থনা পূরন করে তাঁকে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন যে তিনি তাঁর স্বামী হবেন। সাধ্বী গোদা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে তাঁর তামিল ভাষায় রচিত ধর্মীয় স্তোত্র 'থিরুপ্পাভাই' গ্রন্থে যেখানে শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা এবং বৃন্দাবন নিয়ে তার অন্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছিলেন। এছাড়াও অন্ডাল দেবী তাঁর জীবনের তিনটি ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন তাঁর রচিত 'নাচিয়ার তিরুমোঝি' নামক ধর্মগ্রন্থে। সেখানে বর্ণনা করা আছে তাঁর প্রথম ইচ্ছা ছিল তাঁর জীবন যেন বৃন্দাবনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পদতলে অতিবাহিত হয়। দ্বিতীয় ইচ্ছে ছিল ভগবান শ্রীকৃষ্ণই যেন তাঁর জীবনের স্বামী হন এবং তৃতীয় ইচ্ছা ছিল শ্রীকৃষ্ণকে যেন তিনি শতপাত্রে ক্ষীর খাওয়াতে পারেন। তাঁর প্রথম দুটি ইচ্ছা তাঁর জীবদ্দশায় পূরণ হয়েছিল কিন্তু তৃতীয় ইচ্ছা পূরণ করতে পারেননি। তার তৃতীয় ইচ্ছা একাদশ শতকের বৈষ্ণব সাধক রামানুজাচার্য পূরণ করেছিলেন। দক্ষিন ভারতীয় রীতিতে যেমন বর যখন বিয়ে করতে যান তার হাতে একটি ছড়ি বা দণ্ড থাকে এখানের বিগ্রহেও তেমনি শ্রীকৃষ্ণ বা রঙ্গনাথজীর হাতে একটি দণ্ড আছে। তাঁর ডান দিকে গোদা দেবী এবং বাঁদিকে গরুড়দেবের বিগ্রহ।
শ্রীরঙ্গনাথজীর মন্দির থেকে বেরিয়ে আমাদের গাইড আমাদেরকে একটি সরু  গলিরাস্তা দিয়ে নিধুবনের নিকটে রাধারমন মন্দিরে নিয়ে গেলেন। আমরা মন্দিরে পৌঁছে দেখতে পেলাম তখন পিচকিরির সাহায্যে রঙের ফোয়ারাতে এবং গুলাল (আবীর) দিয়ে ঠাকুরজি ও রাধারানীর ঐতিহ্যমণ্ডিত দোল উৎসবকে স্মরন করে সকলকে রঙিন করে দেওয়া হচ্ছে। দোল উৎসবের চার দিন আগেই এখানে সকলে আনন্দে মাতোয়ারা। মন্দিরে যেতে আমাদের গায়েও গুলাল ও রঙের কিছুটা এসে লাগল। রাধারমন নামটির তাৎপর্য হলো শ্রীরাধাকে যিনি আনন্দ দান করেন বা রমন করেন অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ, তাঁকেই রাধারমন বলা হয়েছে। বৃন্দাবন মানেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও রাধারানীর লীলাস্থল। গাইড বললেন "জানেন এই মন্দিরের একটি কিংবদন্তি আছে"। কিংবদন্তি জানতে চাইলে তিনি শুরু করলেন। "শ্রীকৃষ্ণদাস কবিরাজ বিরচিত চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে ১৫১১ খ্রিস্টাব্দে শ্রীক্ষেত্র থেকে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব দক্ষিণ ভারতের শ্রীরঙ্গম তীর্থে যেয়ে শ্রীরঙ্গম মন্দিরের পুরোহিত ভেঙ্কট ভট্টের গৃহে আথিত্য গ্রহণ করেন। তিনি যখন সেখানে গিয়েছিলেন তখন ভেঙ্কট ভট্টের পুত্র গোপাল ভট্টের বয়স মাত্র এগারো বৎসর। এই ভেঙ্কট ভট্ট ছিলেন রামানুজ পন্থী বৈষ্ণব, কিন্তু শ্রীচৈতন্যদেবের প্রভাবে তাঁরা গৌড়ীয় বৈষ্ণবমত গ্রহণ করেন। বালক গোপাল ভট্টের সেবা ও ভক্তিতে মহাপ্রভু সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দীক্ষা দেন এবং আসার সময় বলে এসেছিলেন তার পিতা-মাতার দেহাবসানোর পরে সে যেন বৃন্দাবনে চলে যায়। পিতা-মাতার দেহান্তের পরে ৩০ বৎসর বয়সী গোপাল ভট্ট মহাপ্রভুর আদেশ মত বৃন্দাবনে চলে আসেন এবং সেখানে তিনি শ্রীকৃষ্ণের সাধন ভজনে নিজেকে নিয়োজিত করে রাখেন। শ্রীক্ষেত্রে মহাপ্রভুর অন্তর্ধানের সংবাদ শুনে গোপাল শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েন। এই সময়ে একদিন রাত্রে তিনি স্বপ্ন দেখেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তাকে বলছেন 'গোপাল, তুমি নেপালে যেয়ে কালিগন্ডকী নদীতে স্নান করে আমার দর্শন পাবে'। এই কথা শোনার পরে গোপাল একাকী পদব্রজে নেপালে যেয়ে কালিগন্ডকী নদীতে ডুব দিয়ে স্নান করে সূর্য অঞ্জলি দেওয়ার সময় তাঁর হাতে একটি শালগ্রাম শিলা উঠে আসে। প্রথমে তিনি শালগ্রাম শিলাটি পেয়ে আশ্চর্য হয়ে যান এবং ডুব দিয়ে শালগ্রাম শিলাটি নদীতে রেখে দেন। কিন্তু এরপরে যতবার তিনি ডুব দিয়ে অঞ্জলি দিতে যান প্রতিবারেই তাঁর হাতে একটি করে শালগ্রাম শিলা উঠে আসে। এইভাবে বারো বার তাঁর হাতে বারোটি শালগ্রাম শিলা উঠে আসে। এই সময়ে দৈববানী হল 'তুমি এই বারোটি শালগ্রাম শিলা নিয়ে যেয়ে বৃন্দাবনে তোমার সাধন মন্দিরে স্থাপন কর'। দৈববাণী অনুসারে গোপাল ভট্ট বারোটি শালগ্রাম শিলা নিয়ে এসে বৃন্দাবনের যমুনা তীরে কেশিঘাটে তাঁর ভজন কুটিরে পূজার্চনা শুরু করেন।         
🍂
                        
কিছুদিন পরে বৃন্দাবনে এক শেঠজী এসে গোপাল ভট্টকে ঠাকুরের জন্য মূল্যবান পোষাক ও অলঙ্কার দিতে চান। কিন্তু গোপাল ভাবলেন এই মূল্যবান অলঙ্কার ও পোষাক কিভাবে তিনি শালগ্রাম শিলাদের অঙ্গে স্থাপন করবেন। এইকথা চিন্তা করে তিনি শেঠজীকে সেগুলি ফেরত নিয়ে যেতে বলতে তিনি সেগুলি নিতে অস্বীকার করেন। অগত্যা গোপাল ভট্ট সেই অলংকার ও পোশাকগুলি শালগ্রাম শিলাগুলির উপরে একটি কাপড় ঢাকা দিয়ে রাত্রিতে রাখলেন। ভোর রাত্রিতে গোপাল যমুনা নদীতে স্নান করে পুজো করতে এসে দেখেন ঢাকা দেওয়া শালগ্রাম শিলাগুলির মধ্যে একটি শালগ্রাম শিলা ত্রিভঙ্গ মুরারি বংশীবাদক শ্রীকৃষ্ণ রূপে বিগ্রহের আকার ধারণ করেছেন। এই ঘটনায় তিনি আশ্চর্য হয়ে যান এবং আনন্দে অশ্রু বিসর্জন করেন। কারণ মূল্যবান পোশাক ও অলঙ্কারগুলি কিভাবে তিনি শালগ্রাম শিলার অঙ্গে সংস্থাপন করবেন এই চিন্তায় সারারাত তিনি ভালোভাবে ঘুমোতে পারেননি। ভক্তের চিন্তার ভার লাঘব করে স্বয়ং ভগবান নিজের রূপ পরিগ্রহ করে তাঁর সামনে সাকার রূপে বিরাজিত। শালগ্রাম শিলা থেকে ভগবানের সাকার রূপে বিরাজিত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছিল ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দে বৈশাখ মাসের নৃসিংহ চতুর্দশী তিথিতে। ভগবান সাকার রূপে বিরাজিত হওয়ার পরে গোপালভট্ট চিন্তা করলেন ভগবানকে অন্নভোগ নিবেদন করতে হবে। সেই জন্য তিনি এক ভক্ত পরিবারের সাহায্য নেন এবং অদ্যাবধি তাদের বংশধরেরা মন্দিরের সেবা কার্য করেন গৌড়ীয় বৈষ্ণব মঠের প্রবর্তিত নিয়ম অনুসারে। অন্নপাক করার জন্য রান্নাঘরে যেয়ে গোপাল ভট্ট যে মন্ত্রের সাহায্যে অগ্নিপ্রজ্বলন করেছিলেন আশ্চর্যের বিষয় সেই অগ্নি আজও বিদ্যমান। একথার সত্যতা নিরূপণ করতে পারলাম মন্দিরের সেবাইতদের কাছ থেকে। আরো একটি আশ্চর্যের বিষয় দিল্লির ধর্মান্ধ সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে যখন মথুরা ও বৃন্দাবনের মন্দিররাজি ধ্বংস করা হয়েছিল তখন কিন্তু রাধারমন মন্দিরে তার আঁচ লাগেনি। ভগবানের সাকাররূপ পরিগ্রহ হবার পরে গোপাল ভট্টই মন্দির নির্মাণ করেন এবং সেই মন্দির আজও বৃন্দাবনের সাতটি উল্লেখযোগ্য মন্দিরের মধ্যে অন্যতম। ৫৫৭ ফুট উচ্চতার এই মন্দিরটি গোপাল ভট্ট গোস্বামী রাজস্থানী ঘরানায় ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন। যে স্থানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সাকার রূপ পরিগ্রহ করেছিলেন সেই স্থানটি একটি অশ্বত্থ বৃক্ষের তলায়। প্রবাদ আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বৎসর পূর্বে সেই স্থানেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও রাধারানী তাঁদের রাসলীলা সম্পন্ন করেছিলেন। বর্তমানে মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের ত্রিভঙ্গমুরারী নয়নাভিরাম মূর্তি বিরাজিত। তাঁর বাম পাশে একটি মুকুট রাখা আছে এবং ১১টি শালগ্রাম শিলা আজও পূজিত হন। তাঁর বাঁশী তার পাশেই রাখা আছে। এছাড়াও মন্দিরে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের কৌপীন, উত্তরীয় এবং বসার পিড়ি  আজও সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা আছে। ভগবানের সাকাররূপ আবির্ভাব দিবস অর্থাৎ নৃসিংহ চতুর্দশীর  পরের দিনে বিগ্রহকে ৫০০ লিটার দুধ দিয়ে অভিষেক করানো হয়। এখানকার মুখ্য উৎসবগুলি হল আবির্ভাব দিবস, জন্মাষ্টমী, রাধাষ্টমী, রথযাত্রা, ঝুলন যাত্রা, বিজয়া দশমী এবং দোল উৎসব। ১৫৭৮ খ্রিস্টাব্দে গোপাল ভট্টের মৃত্যুর পরে তাঁর দেহ মন্দির প্রাঙ্গনে সমাহিত করা হয় যে স্থানে শালগ্রাম শিলা থেকে ভগবান সাকার রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন তার পিছনে। গোপাল ভট্ট ছিলেন মহাপ্রভুর ছয়জন শিষ্যের অন্যতম।
রাধারমন মন্দির থেকে বেরিয়ে গাইড বললেন একটু তাড়াতাড়ি চলুন নিধুবন বন্ধ হয়ে যাবে। এই কথা শুনে আমরা তাড়াতাড়ি হেঁটে নিধুবনে এসে পৌছালাম যাতে সন্ধ্যের পূর্বে নিধুবনে দেখা শেষ করে বেরিয়ে যেতে পারি। সন্ধ্যের পরে সন্ধ্যা আরতি হয়ে গেলে এখান আর কাউকে থাকতে দেওয়া হয় না। সন্ধ্যা আরতি হয় রাত্রি আটটায়। আমরা জিজ্ঞেস করলাম "নিধুবনে সন্ধ্যা আরতির পরে কেন আর থাকা যায় না?" আমাদের প্রশ্নের উত্তরে গাইড বললেন “বৈষ্ণব পদাবলী থেকে জানা যায় কৃষ্ণের সঙ্গে রাধার অপার্থিব, চিরশাশ্বত এক প্রেমের কাহিনি। যে অজৈবিক প্রেমের আকুলতায় সমাজ সংসার তুচ্ছ করে প্রেমিক শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে অভিসারে যেতেন শ্রীরাধা। সেই মিলনের সাক্ষী থাকত রাতের আঁধার আর গহন অরণ্য। কৃষ্ণভক্তরা বিশ্বাস করেন, আসলে বৃন্দাবনের কাছেই ছিল মধুবন নামের সেই অরণ্য, যেখানে মিলিত হতেন রাধাকৃষ্ণ। বর্তমানে বৃন্দাবন লাগোয়া নিধিবন বা নিধুবনকেই সেই প্রাচীন মধুবনের মর্যাদা দেন তাঁরা। তাঁরা মনে করেন, এখনও রাতের অন্ধকারে সেই উপবনে আবির্ভাব ঘটে শ্রীকৃষ্ণের। জেগে ওঠে দ্বাপর যুগের সেই প্রাচীন মধুবন। আর সেই কারণেই সন্ধ্যার পর এই বন কিংবা বনের ভিতরে থাকা মন্দিরে কারও প্রবেশ করা নিষেধ। সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত রহস্য যেন ঘিরে রয়েছে এই নিধুবনকে”। 
                                                  পরবর্তী অংশ একাদশ  পর্বে

Post a Comment

0 Comments