জ্বলদর্চি

হেমচন্দ্র কানুনগো (অগ্নিযুগের দ্রোণাচার্য, অস্ত্রগুরু, রাধানগর) /ভাস্করব্রত পতি

মেদিনীপুরের মানুষ রতন, পর্ব -- ১০১
হেমচন্দ্র কানুনগো (অগ্নিযুগের দ্রোণাচার্য, অস্ত্রগুরু, রাধানগর) 

ভাস্করব্রত পতি

'বাবুমশাই, আপনারা সব জানুনগো
কে ছিলেন এই কানুনগো। 
ছিলেন নাকো অনেক দূরের
ছিলেন তো এই মেদিনীপুরের;
নাম ছিল তাঁর হেমচন্দ্র
দেশের দুঃখে অতন্দ্র..... 
শ্বেতদ্বীপের ঐ অসুরগুলো
ছুটে এল বাড়িয়ে নুলো--
তৈরি ছিল সব বিভীষণ
চলল শাসন শোষন কি যে ভীষণ'। 

১৮৭১ সালের ১২ ই জুন মেদিনীপুরের নারায়নগড়ের রাধানগর গ্রামের এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন হেমচন্দ্র কানুনগো। বাবা ক্ষেত্রমোহন দাস কানুনগো এবং মা কমলেকামিনী কানুনগো। দুই কন্যা ও এক পুত্র তাঁদের। হেমচন্দ্রের দিদি মানসসুন্দরী পাঁচ বছর বয়সে মারা যান। আর ছোট বোনের নাম মোক্ষদাসুন্দরী।  শরৎকুমারী কানুনগোকে বিবাহ করেন। এক ছেলে মানববন্ধু কানুনগো। হেমচন্দ্রের জ্ঞাতিদের কারও পদবী দাস 'ব্যবর্ত্তা' বা কারও 'দাস কানুনগো' ছিল। উৎকল প্রদত্ত সম্মানজনক পদবী এই 'কানুনগো'। তবে হেমচন্দ্র তাঁর পদবীতে থাকা 'দাস'কে দাসত্বসূচক মনে করে কেবল 'কানুনগো'ই লিখতেন। খণ্ডরুইগড়ের রাজবাড়ী তাঁর মাতুলালয়। সেই মাতুল বংশের একজন ছিলেন কালীপ্রসন্ন গজেন্দ্র মহাপাত্র। তিনি ইংরাজী কেতায় অভ্যস্ত হলেও মনে প্রাণে ইংরেজ বিদ্বেষী ছিলেন। এই মাতুল হেমচন্দ্রকে নিজের ছেলের মতো স্নেহ করতেন। বিপ্লবমন্ত্রের বীজ শৈশব থেকেই তাঁর মনে গাঁথা হয়েছিল, যা বিকশিত করেন 'মেদিনীপুরের বিপ্লব গুরু' জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসু।
রাধানগর গ্রামে হেমচন্দ্র কানুনগোর বসতবাড়ি

খাকুড়দার বাড়মোহনপুরের মধ্য ইংরেজি স্কুলে প্রাথমিক পড়াশোনা। এখানে এম ই পাশ করেন। তখন ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ভূদেব চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। এরপর এন্ট্রান্স পাস করেন মেদিনীপুর টাউন স্কুল থেকে। এফ এ (ফার্স্ট আর্টস)তে ভর্তি হন মেদিনীপুর কলেজে। কিন্তু তা সম্পূর্ণ করতে পারেননি। বরং চলে যান তখনকার কলকাতার ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল কলেজে (এখনকার নীলরতন সরকার হাসপাতাল) ডাক্তারি পড়তে। তিন বছর পড়ার পর সেটিও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ফের ভর্তি হন গভর্ণমেন্ট আর্ট কলেজে। সেখানে ছয়মাস স্থায়ী ছিলেন। আসলে ঐ স্কুলের তখনকার ফরাসি সাহেব গ্যাবিনকে বদলীর প্রতিবাদে ঐ কলেজে পড়া ছেড়ে দেন। বরং তৎক্ষণাৎ ভর্তি হন বৌবাজার আর্ট গ্যালারিতে। এখানেও বেশিদিন পড়েননি। 
রাধানগর গ্রামে হেমচন্দ্র কানুনগোর মূর্তি

অবশেষে পড়াশোনা স্থগিত রেখে ফিরে আসেন মেদিনীপুর। এখানে কিছুদিনের মধ্যেই মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে ড্রইং শিক্ষকরূপে এবং মেদিনীপুর কলেজে ল্যাবরেটরী অ্যাসিস্টেন্ট পদে নিযুক্ত হন। এই স্কুলে থাকাকালীন তিনি বিপ্লবের ছোঁয়ায় নিজেকে পরিশীলিত করেন। তখন থেকেই মনের মধ্যে উঁকি দিতে শুরু করে শক্তিশালী বোমা তৈরির পরিকল্পনা। ১৯০২ তে বিপ্লবী জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসুর সহকর্মী হয়ে মেদিনীপুরে গুপ্ত সমিতি স্থাপন করেন। এইসময় মেদিনীপুরে এসে অরবিন্দ ঘোষ হেমচন্দ্র সহ কয়েকজনকে বিপ্লবী গুপ্ত সমিতির অনুমোদিত পদ্ধতি অনুসারে গীতা স্পর্শ ও তরোয়াল সাক্ষী করে শপথ গ্রহণ করান এবং বিপ্লব মন্ত্রে শিক্ষা দেন। হেমচন্দ্র যোগ দেন মেদিনীপুর জেলা বোর্ডের অধীনে খোঁয়াড় ও ফেরিঘাট পরিদর্শনের কাজে। তমলুক ও কাঁথি মহকুমার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে যুবদের উৎসাহিত করতেন বিপ্লব মন্ত্রে। সেখানে আখড়া স্থাপন, লাঠিখেলা, কুস্তি, তলোয়ার চালানো, ব্যায়াম প্রদর্শন ইত্যাদি শিক্ষাদান করতেন। অবশেষে চাকরিটা ছেড়ে দেন এইসব কাজ করার লক্ষ্যে। ১৯০৩ সালে ভগিনী নিবেদিতার হাতে বিপ্লবী আখড়ার উদ্বোধন করেন। ১৯০৫ এ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। ১৯০৬ সালে সারা জেলা ভ্রমণ করেন এবং বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুকে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন। কলকাতা যাত্রা করলেন বিপ্লবী কাজের জন্য। ১৯০৬ এর ১৩ ই এপ্রিল অশ্বিনী কুমার দত্তের উদ্যোগে বরিশালে প্রাদেশিক সম্মেলনে যোগদান করেন। সেখানে ছোটলাট ব্যামফিল্ড ফুলারের নির্দেশে বন্দেমাতরম ধ্বনি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু বাঙালিরা তা মানেননি। বরং ফুলার সাহেবকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে নেয় তৎক্ষণাৎ। সেই মোতাবেক গোপনে চললেন শিলং। কেননা সেখানেই ছুটি কাটাচ্ছিলেন ফুলার। সেখানেই মারবার বন্দোবস্ত করা হয়। স্টেশনে তাঁর সঙ্গী ছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত। যদিও তাঁদের এই পরিকল্পনা সফল হয়নি। কেননা, গোয়ালন্দ হয়ে দুদিন পরে গুয়াহাটি পৌঁছে শুনলেন ফুলারের বদলি হচ্ছে। তিনি ফিরে যাচ্ছেন। তাঁদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখে ফুলার নিরাপদেই মুম্বাই হয়ে বিলেত চলে গেলেন। 
হেমচন্দ্র কানুনগোর আঁকা ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকা

১৯০৬ এর ১৩ ই আগস্ট বোমা তৈরি শেখার জন্য ইউরোপ পাড়ি দেন। তুতিকোরিন হয়ে কলম্বো গিয়ে ফ্রান্সের মার্শাই যান। মার্শাই থেকে সুইজারল্যান্ড, পরে প্যারিসে গিয়ে বিষ্ফোরক রসায়ন বিদ্যায় অধ্যয়ন করেন। ১৯০৭ সালে ভারতের জাতীয় পতাকা তৈরি করে জার্মানির স্টুটগার্টে দ্বিতীয় বিশ্ব সোশ্যালিস্ট সম্মেলনে ভারতের হয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মহিলা মাদাম কামার হাতে তা অর্পন করেন। এই পতাকায় ছিল লাল, হলদে বা গেরুয়া ও সবুজ, পরপর এই তিনটি রং, ওপরে লাল রং। তাতে আটটি আধফোটা সাদা পদ্ম, যা ভারতের আটটি প্রদেশের প্রতীক। মাঝখানে গেরুয়ার ওপর দেবনাগরীতে লেখা ছিল 'বন্দে মাতরম'। তলটি সবুজ রঙের উপর এক ধারে সূর্য ও অন্য ধারে অর্দ্ধচন্দ্র ও তারা। সূর্য হিন্দুর ও অর্দ্ধচন্দ্র মুসলমানের প্রতীক। এই পতাকাই ভারতের প্রথম পতাকা। সেদিন আরও দুটি পতাকা তিনি দিয়েছিলেন মিঃ রানাকে। রানা সেগুলির একটি দেন জহরলাল নেহেরুকে। আরেকটি দেন বালগঙ্গাধর তিলককে, যা এখন রয়েছে পুনার তিলক মন্দিরে। বিপ্লবী বীর দামোদর সাভারকর এই পতাকাটিকে 'ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকা' বলে সম্মান জানিয়েছেন। ১৯০৮ সালে নেপলস থেকে মুম্বাই, মুম্বাই থেকে নাগপুর, মেদিনীপুর হয়ে কলকাতা পৌঁছান। 
হেমচন্দ্র কানুনগোর পরিবারের বর্তমান বংশধর

হেমচন্দ্রের তৈরি প্রথম বোমা দিয়ে ফরাসি চন্দননগরের মেয়র তার্দিভিলকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এরপর স্প্রিং লাগানো দ্বিতীয় একটি বইবোমা ব্যবহার করে কিংসফোর্ডকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাঁকে বদলি করা হয় মুজফফরপুরে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হতেই তৃতীয় বোমা নিয়ে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীদের পাঠানো হয় মুজফফরপুরে আবারও কিংসফোর্ডকে হত্যার জন্য। উল্লেখ্য, ফুলার হত্যার পরিকল্পনার সময় থেকেই প্রফুল্ল চাকিকে চিনতেন হেমচন্দ্র। আর ক্ষুদিরামকে বেছেছিলেন মেদিনীপুর থেকেই। ফলে বলা যায় এই পরিকল্পনায় এঁদের দুজনকে পাঠানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মেদিনীপুরের এই বীর সন্তান হেমচন্দ্র কানুনগো। 
হেমচন্দ্র কানুনগোর বসতবাড়ি দেখতে প্রতিদিন বহু মানুষ যায় রাধানগর গ্রামে

১৯০৮ এর ৩০ শে এপ্রিল মুজফফরপুরে কিংসফোর্ডের গাড়ি মনে করে দুই ইংরেজ মহিলার গাড়িতে হেমচন্দ্রের তৈরি বোমা নিক্ষেপ করে ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকি। এই ঘটনার তদন্ত করে বাংলার বিপ্লবীদের ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। ২ রা মে মানিকতলা সহ বিভিন্ন আখড়া থেকে অন্যান্য অনেকের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন হেমচন্দ্র। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে তাঁদের কারাবাস শুরু হয়। সেই সাথে বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে 'রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ' অভিযোগে  'আলিপুর বোমার মামলা'র বিচার শুরু হয় ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বার্লির আদালতে। যা শেষ হয় ১৯০৯ এর ফেব্রুয়ারি মাসে। এই জেলের মধ্যেই পরিকল্পনা করা হয় বিশ্বাসঘাতক নরেন্দ্রনাথ গোঁসাইকে হত্যা করার। হত্যার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন হেমচন্দ্র। যাবতীয় সহায়তা করেন তিনি। ১৯০৮ এর ১ লা সেপ্টেম্বর হেমচন্দ্রের দেওয়া পিস্তলের সাহায্যে নরেন্দ্রনাথ গোঁসাইকে হত্যা করেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং কানাইলাল দত্ত। 

৬ ই মে এই মামলার রায়ে ১৭ জনকে বেকসুর খালাস এবং ১৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়। মামলায় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ওকালতিতে ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবন দীপান্তর (১২১ ধারায়) এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার শাস্তি দেওয়া হয় হেমচন্দ্রকে। আর ফাঁসি হয়ে যায় উল্লাসকর দত্ত এবং বারীন্দ্রকুমার ঘোষের। ১৯০৯ এর ১১ ই ডিসেম্বর বন্দীদের শুরু হয় কালাপানি যাত্রা। বিদায়ের সময় কয়েদি গাড়িতে তিনি গাইলেন নিজের লেখা গান --
'বিদায় লইয়া এবে যেতেছি চলিয়া ভাই, 
কর্মক্ষেত্রে শিশু মোরা, ক্ষম যত দোষ তাই! 
কত যে রহিল আশা
না পূরিল কর্ম তৃষা
হৃদয়ে লুকায়ে জ্বালা কারাবাসে চলে যাই। 
ভারতের ছবি আঁকি
হৃদয় মাঝারে রাখি, 
কারাগারে দীপান্তরে পূজিব যেথাই যাই'। 

১৯০৯ থেকে ১৯২০ পর্যন্ত আন্দামানের সেলুলার জেলে বন্দী ছিলেন তিনি। ১৯২০ সালে তিনি মুক্তি লাভ করেন। ফিরে এসে কলিকাতা এলগিন রোডে ডাঃ মানবেন্দ্র রায়ের গঠিত রেডিক্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। ভারতের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকা সত্ত্বেও আর কখনও রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণে আগ্রহী হননি। ১৯৪৮ সালে ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। 'Unsung Heroes of Freedom Struggle in Anamous Who's Who'তে হেমচন্দ্র কানুনগো সম্পর্কে লেখা হয়েছে "Hemchandra was son of Khetramohon was residence of Narayangarh, Midnapore Bengal. Members of the Manicktala group. Went to France to learn Bomb makings. Sent up in the  Alipore bomb case. Sentenced on 23 rd November 1909 to transportation for life leader Section 121. Indian Penalcode. Deported to Andamans, prisoners no 31553, repatraiated in 1920"। মোট দুখানা বই লিখেছেন তিনি। একটি  'বাংলার বিপ্লব প্রচেষ্টা' (১৯২৮ এর ১ লা জুন) এবং অন্যটি 'অনাগত সুদিনের তরে' (১৯৪৪)। 

কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর নাম দিয়েছিলেন 'অগ্নিযুগের দ্রোণাচার্য'। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর উপন্যাস 'প্রথম আলো'তে স্থান দিয়েছেন হেমচন্দ্রকে। শঙ্করের উপন্যাস 'মানব সাগরের তীরে'তে এসেছে হেমচন্দ্রের কথা। শেষ জীবনে চিত্রশিল্পে মনোনিবেশ করেন। ইউরোপীয় চিত্রের অনুকরণে তাঁর আঁকা চিত্রগুলি সংরক্ষিত রয়েছে গোপ প্রাসাদে। নাড়াজোলের রাজকুমার দেবেন্দ্রলাল খানের গোপ প্রাসাদের নক্সা এঁকে দিয়েছিলেন এই হেমচন্দ্র। একাধারে চিত্রশিল্পী, কথাশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী অন্যদিকে স্বাধীনতা সংগ্রামী -- এক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মেদিনীপুরের এই মানুষটির জীবনাবসান ঘটে ১৯৫১ সালের ৮ ই এপ্রিল। 
"সেই অভিরাম স্মৃতি স্তম্ভের পাদ দেশে 
সুনীল আকাশে কতো গ্রহ তারা কেবল একটি চন্দ্র, ভারতবর্ষে কতো বীর মহান; একজন 'হেমচন্দ্র।'
ওগো কর্ণধার তোমারে করি নমষ্কার-
স্বাধীন হাওয়া ঝড়ের বেগে আনলে যে জোয়ার ...
আনন্দ মঠের মহামন্ত্রে যাত্রা হ'ল শুরু 
বানালে বোমা অগ্নিযুগে ওগো "অস্ত্রগুরু”, 
তোমার তৈরী অস্ত্র নিয়ে শহীদ "ক্ষুদিরাম”- 
আলিপুরের বোমা মামলায় তুমিই "অভিরাম”, 
ওগো কর্ণধার তোমারে করি নমস্কার-
স্বাধীন হাওয়া ঝড়ের বেগে আনলে যে জোয়ার। 
ভাঙ্গতে হবে ব্রিটিশ শাসন হটাও ইংরাজ, 
শপথ নিলেন দ্রোণাচার্য্য আনবেন স্বরাজ। 
আন্দামানে পাঠানো হলো, ছিলেন দ্বীপান্তরে- 
উপেন, বীরেন, ইন্দু আদি মরেন পোর্টব্লেয়ারে,
ওগো কর্ণধার তোমারে করি নমস্কার-
স্বাধীন হাওয়া ঝড়ের বেগে আনলে যে জোয়ার। । 
ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকা শোভে দেশ ও জাতির শিরে। প্যারিসে বসে তৈরী তোমার সুনীল সাগর পারে, 
জাতীয় জীবনে জাতির হাতে সেই পতাকা আজও- 
মন্ত্র মোদের বন্দেমাতরম ভারতবাসী জাগো,
ওগো কর্ণধার তোমারে করি নমস্কার-
স্বাধীন হাওয়া ঝড়ের বেগে আনলে যে জোয়ার"।

🍂

Post a Comment

0 Comments