জ্বলদর্চি

বার্লিনের ডায়রি--২৪ পর্ব / চিত্রা ভট্টাচার্য্য

চার্লস ব্রিজ প্রাগ

বার্লিনের ডায়রি--২৪ পর্ব  
  চিত্রা ভট্টাচার্য্য
     
 (চেক গণতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ) 

   পূর্ণিমার জোৎস্না ভেজা রাতের মোহিনী মায়ার রুপালী জরির সূতোয় বোনা  আঁচল খানি আজ শহরের গায়ে জড়িয়ে নেই। কতকালের অবহেলায় কলঙ্কিত চন্দ্রিমা ভুষো কালো মেঘেদের কড়া প্রহরার শাসনে আপন চলার পথটি ভুলে গিয়েছে। রূঢ় এক বাস্তবের অন্তর্জালে জড়িয়ে চাঁদ যেন বন্দিনী নিরুপায় রাজকন্যার মত আত্মবিস্মৃত হয়ে নিজস্বতা হারিয়েছে । কফির মগ হাতে  ঋষভ  চার তালার কাঁচে ঢাকা বারান্দা থেকে আকাশের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে ।গরম ধুঁয়ো ওঠা ঢাউস এক কালো কফির মগে চুমুক দিয়ে ঘুমকে পুরোপুরি বিদায় জানাতে শ্রী ও পাশে এসে দাঁড়ায়। মধ্যরাতের আকাশে কালো মেঘের জাল ছিঁড়ে সুড়ি পথ বেঁয়ে চাঁদের  নরম আলো নেমে আসবে ধরার বুকে ।   

  ভোর পাঁচ টায় বাস। এই উইকেন্ডে অদ্রিজা  তিনটে ছুটির দিন পেয়ে প্রাগে যাবার প্ল্যানে ব্যাগ প্যাক  সমেত হোটেল বুকিং টিকিট ভিসা ইত্যাদি রেডি করে রেখেছে। তিতির এখনো গভীর ঘুমে। দশবার ডাকলে ও উঠছি বলে ,পাশ ফিরে আবার কম্বল জড়ায়। ওর খাটের পাশে সাইড টেবিলে ঘন দুধের কফি কাপে পুরু সর পরতে চলেছে।  
ভালটাভা নদী

বার্লিনের আন্তর্জাতিক বিশাল বড় বাস টার্মিনাস টি এখান থেকে যথেষ্ট দূরে, দুবার লোকাল বাস পাল্টে পৌঁছতে প্রায় ৩৫মিনিট লাগবে। শ্রীর মতে অন্তত ঘন্টা দেড়েক আগে বেরোনো উচিত। নিমেষ হারা রাতে প্রবল শীতের দংশন অগ্রাহ্য করে তারই প্রস্তুতিতে ওরা তৎপর হয়েছিল।যদিও ভয় ভাবনা গুলো ওদের পিঁছু ছাড়ছে না। উত্তেজনায় উদ্বেগে অনেক আগেই চোখের পাতা থেকে ঘুম উধাও হয়েছে । ঘরে রুম হীটার থাকলেও বাইরে তীব্র কনকনে ঠান্ডায় অচেনা এই বিদেশের পথে কত রকম অসুবিধা হতে পারে ভেবে, এই ঘোর অন্ধকারে প্রায় নিজেদের সাথে যুদ্ধ করেই ,বেড়াতে যাবার মানসিক প্রস্তুতি চলছিল । 
   
                                
অনেক কাল আগে পড়া মনের গভীর থেকে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের পাতা গুলো এলোমেলো বাতাসে উড়ে  ভীড় জমিয়েছিল ওর সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে।ঘটনার ঘন ঘটায় ভরা সেদিন গুলোর কথা মনে পড়লে আজো ওর সারা শরীর রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠে। সেদিনের স্মৃতির সরণি ধরে বহুক্রোশ পার হয়ে আজ আবার শ্রী 'বার্লিনের ডায়েরি 'খুলে বসেছে। ভ্রমণের গল্পে  ভরা প্রাগে বেড়ানোর তুচ্ছাতিতুচ্ছ ঘটনার সম্ভার দিয়ে ভরে তোলা প্রতিটা পাতা। প্রাগ সম্বন্ধে শ্রীময়ীর কৌতূহল তাই আকাশ ছোঁয়া।  বার্লিনের অসম্ভব ঠান্ডার সেই  শীতের ভোর রাতে --তাপাঙ্কর পারদ  দুই ,তিন ডিগ্রী ছুঁয়েছে। রাত শেষের ঘোর অন্ধকারে ঠকঠক করে হাড়ে কাঁপন লাগে। গা ছমছম করা  নিঃঝুম রাতের শেষ প্রহরে দু চার জন সুদূরের যাত্রী ছাড়া জনমানব শূন্য লম্বা রাস্তা। কাইজার স্ট্র্রীটের পাথরে বাঁধানো হিম পড়া পিচ্ছিল রাস্তায় সাবধানে পা ফেলে  পরিষ্কার ফুটপাতের ওপর দিয়ে খুব সাবধানে পা ফেলে এগিয়ে চলেছে ওরা ।
   ভোর চারটে। রাতের শেষ প্রহর হলে ও আকাশে আলোর মত্ততা নেই । অবশ্য রোড সাইডে শপিংমল, মেডিসিন শপ গুলো সারা রাত খোলা থাকায় এবং স্ট্রীট লাইটের হলুদ আলো পথ প্রদর্শক হয়ে ওদের সাথ দিয়েছিল। যাত্রী সুবিধার্থে এখানে পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট ২৪ ঘন্টাই চালু থাকাতে দূর দেশ গামী বার্লিনের আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাসে পৌঁছতে আধ ঘণ্টা লেগেছিলো। 
দুই পাহাড়ের মাঝে পথ চলে গেছে।

 ঘুম কাতুরে শীতের বার্লিনে বড্ড অলস সূর্য্য, ঘোলাটে কুয়াশায় রাতের আঁধারের কালো খামে ঢাকা জনজীবন  তখন ফায়ার প্লেসের উষ্ণতার আরামে নিদ্রামগ্ন। সকাল সাত টার আগে দিনের শুরুর সম্ভাবনা নেই।  হাড় হিম করা হাওয়া বইছে। ওরা বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছে। 
ওদের চোখের সামনে থেকে সারা ইউরোপে র দূর দূরান্তে  বাস গুলো সর্বত্র ই পাড়ি দিচ্ছিলো,চলছিল শুধু আসা যাওয়ার পালা।  কিন্তু নির্দ্ধারিত সময় একের পর এক পার হয়ে গেলেও  ওদের ফ্লিক্স বাসটির দেখা নেই। মাথার ওপর মুক্ত আকাশ অবিরাম হিমেল হাওয়া ,কোটের পকেটে হাত ঢুকিয়ে শ্রী কাঁপতে থাকে। যাত্রী বোঝাই বাস গুলো আসছে, যাচ্ছে আর তার পেট থেকে রাশাকৃত জনতার ঢল উগ্রে দিচ্ছে।
 বিভিন্ন চেহারার মানুষ বিশাল লম্বা দেহী গোলাপি ফর্সা টিকোলো নাক, টানা নীল চোখ সোনালী চুল মহিলা পুরুষ বৃন্দ ,বা পীতাভ বর্ণের খর্বকায় এবং তামাটে বা কালো নানা ভাষা , নানা ধর্ম, নানা মতের মানুষের মিলন সভা। ব্যস্ত বাস টার্মিনাসে সবাই দূর পাল্লার যাত্রী। তবু জন জোয়ারের এমন প্লাবন দেখে শ্রীর মনে বেশ সাহস এলো। আসলে এখান থেকে ইউরোপের এবং তার আশে পাশের  সব দেশ গুলোর --উত্তর দক্ষিণ পূব পশ্চিম সব দিকেই দূর গামী বাস গুলোর যাত্রা শুরু হয়। ঋষভের পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল ভারতেরই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে আসা বাংলাদেশের  তিন বন্ধু   সুমনা ,সাগর ও অর্ফিন, ওরা ঢাকা নিবাসী।  সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিতে ট্যুরিস্ট বা সেঞ্জেন ভিসায় বার্লিন এসেছে। কাছেই প্রাগ দুদিনে ঘুরবে। মাতৃ ভাষার টান অপ্রতিরোধ্য। তার আলাপচারিতায় ও প্রাণের আনন্দ। শ্রী ওদের সাথে নানান গল্প জুড়ে দিয়েছিল । যেন ওদের কতকাল .ধরে চেনে। 

আরো আধঘন্টা সময় অপেক্ষার পর অবশেষে ওদের নির্দ্ধারিত ফ্লিক্সবাস টির দেখা পেলে জানা গেল বাসটির কিছু যান্ত্রিক সমস্যা দেখা গিয়েছিল তাই দেরীর জন্য কর্ত্রীপক্ষ বিশেষ দুঃখিত ও ক্ষমা প্রার্থী।  পাসপোর্ট ভিসা টিকিটস ইত্যাদি ভ্রমণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনি নিয়মাবলি চেকিং ও ব্যাগেজের লোডিংয়ের শেষে সকাল ছটায় বাসটি প্রাগের পথে যাত্রা শুরু করেছিলো।

 তখন  রাতের আঁধার ফিকে হয়ে গিয়ে   কমলারাঙা প্রথম সূর্যোদয়ের ভোরের আভাস ফুটলো হালকা কালচে নীলে মেশানো পূবের আকাশের বুকে । এক নতুন দিনের পথ চলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে  শিশু সূর্যের  প্রথম আলোর আভাস ছড়িয়ে পড়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিতল বাসটির বিরাট লম্বা আকারের ভেতর বেশ উষ্ণতায় ভরা খুবই  আরামদায়ক। এবং দূরের পথ চলতে সর্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয় প্লেনের মত ছোট ওয়াশ রুম ও বাসের অভ্যন্তরে রয়েছে দেখে অবাক শ্রী   । যাত্রী দের সুবিধার্থে এমন সুব্যবস্থা ওর খুবই  পছন্দের। বাস শহর বার্লিন থেকে সবুজ মাঠ প্রান্তর নদী নালা লেক সড়ক পেরিয়ে পূবদিক ধরে  চেক রিপাব্লিকের দিকে চলেছে । একটু ও ঝাঁকুনি নেই মসৃণ কালো ঝকঝকে রাজপথ অন্য আর একদিকে পীচ ঢালা কালো লম্বা সড়ক পথ চলে গেছে  পোল্যান্ডের দিকে। রোড ম্যাপ হাতে অদ্রিজা বলে বার্লিন থেকে প্রাগের দূরত্ব প্রায় ৩৫১ কিলোমিটার , চার ঘন্টার মত  লাগবে প্রাগে পৌঁছোতে।
🍂

    বাসের জানলা দিয়ে বাইরের দিকে শ্রী তাকিয়ে আছে । যা কিছুই দেখে উত্তেজিত হয়ে তিতির কে দেখানো চাই-ই । আর চিরকালের  শান্ত স্থিতধী মাকে,আবেগে  উত্তেজিত  হতে দেখে মেয়ে হেসে বলে ''তুমি যে একেবারে স্কুলে পড়া তিতিরের মত ছোট্টটি হয়ে গেলে  ''। শ্রীময়ীর উজ্জ্বল চোখে ঝিলিক লাগে , একরাশ খুশি নিয়ে মৃদু হেসে লজ্জিত মুখে হাত চাপা দেয় । 

অফিস কাছারী ,কলকারখানা শহর গঞ্জ ,নগর-শোরুম ,শপিংমল ,বাজার হাট পার  হয়ে ,জন জীবনের সাজানো বাসস্থান একই রকম ধাঁচের বিল্ডিং শিল্প কারখানা গুলো যেন ছবির মত আঁকা মন মুগ্ধ কর। মাঠ ভরা সবুজ শস্য ক্ষেত আদিগন্ত বিস্তৃত প্রান্তর , জনপদ গ্রামীন জীবন পিছনে ফেলে আঁকাবাঁকা পথ ধরে সুদূরে মিলিয়ে যাওয়া পথের টানে বাস ছুটে চলেছে।  বার্লিন থেকে জার্মানি শহরের প্রান্ত সীমার দিকে চলন্ত গাড়ি থেকে নজরে আসে  কত নতুন নামের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি তৈরীর কারখানা। হাইওয়ের পাশে বড় বড় সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে , বিভিন্ন কোম্পানির  নামিদামী সংস্থার জগৎ বিখ্যাত গাড়ির শোরুম।  এবং "টোট্রাক "মানে খাঁচার মত বিরাট ভ্যান লরিতে এই নতুন গাড়ি গুলো তুলে এক শহর থেকে অন্য শহরের প্রান্তে , বিভিন্ন শো রুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 ভারী মজাদার এই দৃশ্যটি ,অনেকটা সময় নিয়ে ওরা বেশ উপভোগ করেছিল। অদ্রিজা শুধু গাড়ির মডেল ,কোম্পানী  ও সংখ্যা গুনতে থাকে। ঋষভ বলে জার্মানি যে বিশ্ব বিখ্যাত গাড়ি শিল্পের উৎপাদক ও  নির্মাণের প্রধান কেন্দ্র তার পরিচয় এ শহরের রাস্তায় বেরোলে সর্বত্র  -- দেখা যায় । ওপাশের সীটে পিতাপুত্রী  বাসের মৃদু মন্দ দুলুনিতে খানিক পরে চোখের পাতা বন্ধকরে  দুজনেই ঢুলছে।             

  শ্রীময়ীর মন  গতকাল সকাল থেকেই খুশি তে ভরে ছিল। অদ্রিজার তত্ত্বাবধানে শ্রী ,ঋষভ বেড়াতে চলেছে প্রাহা তে। ভাবতেই চরম বিস্ময় লাগে। শ্রীর চোখে ঘুম নেই ,আত্মমগ্ন হয়ে ডায়েরির পাতায় খস খস করে ওর কলম চলে। চলন্ত বাসের গতিতে হাতের লেখা শর্টহ্যান্ড বা হিব্রু লিপির মত। শ্রীময়ীর  মৃদু গলায় গুনগুনিয়ে গানের সুরে ভাসে  '',মোর ডানা নাই ,আছি এক ঠাঁই সে কথা যে যাই পাশরি ,আমি চঞ্চল হে আমি সুদূরের পিয়াসী  ''।                        নদীর তীরে শহর

প্রাগের ইতিহাস ভূগোলের পাতা গুলো নতুন করে শ্রীময়ীর ভাবনাকে আচ্ছন্ন করেছিল। প্রাচীন ঐতিহ্য পূর্ণ এই দেশ টি তে বিশাল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা  বেড়াতে আসেন। সু সমৃদ্ধ ঐতিহ্য পূর্ণ এই দেশ টির বিষয়ে ইতিহাসের প্রিয় পাঠ্য বই গুলো যেমন শ্রী কে এককালে অনেক জানায় সাহায্য করেছিল তেমনি এতদিন পর সিলিয়া ,মল্লিকাদের কাছে ও প্রাগের গল্প শুনেছে। সিনেমায় দেখা ,গল্পের বইতে বা ইতিহাসের পাতায় পড়া ১৪ শতকের পাথরের তৈরী চার্লস ব্রিজ ,ধীর লয়ে বয়ে যাওয়া শান্ত নদী ভাল্টাভা-- সেই ঐতিহ্যের শিল্পের নগরী প্রাগ বা চেক গণতন্ত্র প্রাহা।   

 এই রাজধানী শহরটি সৌন্দর্য্যের দিক থেকে প্যারিসের সমকক্ষ। প্রাগে রয়েছে শিল্প সৌন্দর্য্য সংস্কৃতি পরিপূর্ন সহস্র বছরের ইতিহাস। ১৯৮৯ সালের ভেলভেট রেভ্যুলিউশনের মধ্য দিয়ে ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে চেজিয়া বা চেকিয়া (চেক প্রজাতন্ত্র ) মুক্ত হওয়ার পর  প্রাগ শহর ও রোম প্যারিস ইতালি প্রভৃতি শহরের সাথে সম মর্যাদায় একই আসনে বসেছে। চেক ও স্লোভাকিয়া দুটি দেশ মিলে একটি দেশ চেকস্লোভাকিয়া। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরেই ১৯১৮সালের ২৮শে অক্টোবর প্রাগে স্বাধীনতার চুক্তি পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যদিও চেক ও স্লোভাকিয়ার আর্থিক ভারসাম্য সমান্তরাল ছিল না তবুও স্বাধীনতা কামী দুটি দেশ একত্রিত হয়ে আন্দোলন করে স্বাধীনতা লাভ করেছিল। সেই স্বপ্নের নগরী   চেক সাধারণতন্ত্রের রাজধানী প্রাহা তে তিন দিন ! বইয়ে  পড়া দেশ টি কে চাক্ষুষ দেখার সুযোগ এসেছে। শ্রী খুশিতে আত্মহারা।    

  অদৃশ্যলোক থেকে ছন্দে সুরে যেন উৎসবের দামামা বাজছিল। বিশ্ব ভুবন নেচে চলেছে  মহাসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মত। গতকাল সারাটা দিনের মাঝে কত কাজের ফাঁকে বারবার বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখেছিল --আকাশ পারে কোথাও একটু ও কালো মেঘ জমেছে কি না ? সর্বদা এক ভয় শ্রীর মনে যদি হঠাৎ বৃষ্টি নামে ? এখানে  যে খেয়াল খুশি মত মেঘ করে আসে। অভিমানী আকাশের মুখভার হলে কক্ষণ যে এলোমেলো বাতাসের সাথে তুষারপাত বা বৃষ্টি -শ্রাবণের ধারার মত ঝরতে থাকবে তার কোনো ঠিক নেই । তখন বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান প্রোগ্রাম সব পন্ড তো বটেই ,এক তীব্র মানসিক যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। ঋষভ ,তিতিরের কাছে সে এক অকল্পনীয় কষ্ট ।                                                                                                                                                 আজ কিন্তু অন্য রকম এই পাহাড়ের উপত্যকায় অবারিত মায়াময় পাইনের বন ভূমি, কনিফারেরক্ষেত ,খামারবাড়ি ,দুইদিকে ব্যস্ত জীবন। নরম আলোয়  রৌদ্রজ্জ্বল সোনালী সকাল। প্রায় দুই ঘন্টা সময় পার হয়ে গিয়েছে ,বাসের জানলায় চোখ রেখে দেখছে এক অপার্থিব সবুজ শ্যামলিমায় ঘেরা ধরণীর মাথার ওপর সাদা মেঘের পানসী ভাসিয়ে নীলাকাশ --- বাঁধা নিষেধ হীন গন্ডির সীমানা পেরিয়ে চলেছে তো-- চলছেই -----                                                                                                ক্রমশঃ

Post a Comment

0 Comments