জ্বলদর্চি

বার্লিনের ডায়েরি --২৫ পর্ব // চিত্রা ভট্টাচার্য্য

চার্লস ব্রিজ

বার্লিনের ডায়েরি -২৫ পর্ব // চিত্রা ভট্টাচার্য্য                             (রাজধানী প্রাগের পরবর্তী অংশ )

নীলাম্বরী মেঘের দল কে সাথে নিয়ে দুরন্ত গতিতে বাস চলছে। কোলের ওপর ডায়েরি খুলে শ্রী নির্বাক চোখে বাইরের অপরূপ দৃশ্যে মন ডুবিয়ে দিয়েছে ।  পান্না সবুজ গালিচা বিছানো উপত্যকা, অন্তহীন পার্বত্য অঞ্চলের বুক চিরে বানানো সর্পিল চলার পথে ওর দৃষ্টি থাকলেও সাধের রোজনামচায় প্রাগের ইতিহাস ভূগোলের বর্ণনার সাথে যাত্রা পথের গল্প ও লেখা চাই। অন্যান্য সহ যাত্রীরা নিজেদের ল্যাপটপ বা বই পড়ায় মগ্ন হলেও তিতিরের মত কেউ কানে হেডফোন লাগিয়ে চোখ বুজে আছে। পাশের সীটে ঋষভ প্রাগের একটি রঙিন ছবির ম্যাগাজিনে মনোনিবেশ করে পাতা উল্টে শ্রী কে দেখালে গভীর আগ্রহ নিয়ে ও ম্যাগাজিন টি দেখতে শুরু করে। 
শহরের বাড়িগুলো প্রায় সব একই রকম

প্রাগের পশ্চিম প্রান্তে বোহেমিয়ার পার্বত্যমালায় বেষ্টিত সবুজ নীলের মাঝে সুন্দর দেশটির ছবিটি ভারী মনোমুগ্ধ কর। পূর্বের নিম্ন ভূমি অঞ্চলে রয়েছে সাইলেসিয়া, মধ্যস্থলের কেন্দ্রে সর্বাপেক্ষা বড়ো শহর রাজধানী প্রাগ। মৃদুস্বরে ঋষভ জানায় চেক প্রজাতন্ত্রের অন্যতম বৃহত্তম এবং সমগ্র ইউরোপীয় প্রজাতন্ত্রের ১৪ তম বৃহত্তম শহর হিসেবে প্রাগ পৃথিবীর ইতিহাসে আজো উজ্জ্বল। এর পূবদিকে রয়েছে স্লোভাকিয়া ,উত্তরে পোল্যান্ড ,দক্ষিণে অস্ট্রিয়া এবং পশ্চিমে জার্মানি। বেশ কিছু ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান বোহেমিয়া মোরাভিয়া সাইলেসিয়া ইত্যাদি অঞ্চলগুলো একত্রিত হয়ে গড়ে উঠেছে এই অপরূপা চেকরিপাব্লিক দেশটি।  

গ্রামীন জনপদ আঁকাবাঁকা পথের সুদূরে মিলিয়ে যাওয়া সমতল ভূমির চড়াই উৎরাই পার হয়ে মাইলের পর মাইল সোনালী ফসলের বাহারি স্নিগ্ধ পরিবেশ।আছে আপেল আঙ্গুর চেরীর বাগান অথবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমার আঘাতে  বিদ্ধস্থ জনশুন্য লোকালয়ের পরিত্যাক্ত অঞ্চলে বসত বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দৃশ্য। পাথুরে পাহাড়ের গা বেয়ে ঝর্ণা ছলছল শব্দে তরঙ্গে বয়ে যায়। হ্রদের জলে সকালের সূর্য ঝাঁপ দিয়ে ডুব সাঁতার কাটে। বাস ড্রেসডেনে পৌঁছলে সেখানে চেকপোস্টে আইনি ফর্মালিটির  জন্য দশ মিনিটের বিরতিতে কিছু যাত্রীরা নীচে নামলেন।ড্রেসডেনেই তাদের গন্তব্য স্থল। কিছু নতুন যাত্রীরা ও বাসে উঠলেন। প্রাগে পৌঁছতে এখনো যে দুই ঘন্টা বাকী। বাস টি  হঠাৎ থেমে যাওয়ায় অদ্রিজা চমকে ওঠে, ওর চোখের পাতায় জড়িয়ে আসা তন্দ্রা পলকে উধাও  হয় ।
রাজধানী প্রাগ বা প্রাহা

 পাহাড়ের গায়ে শ্যাওলা ঘন সবুজের সাথে এক আকাশ সুধাময়ী নীলে গা ভাসিয়ে আবারো একই রকম অন্তবিহীন কনিফারের ক্ষেতের মখমলি গাঢ় সবুজের সাথে তাল মিলিয়ে বিলাসী কর্মব্যস্ত শহর নগর জনপদ অতিক্রম করে বাস এসে পৌঁছলো অবিরাম বয়ে যাওয়া স্বচ্ছ কল্লোলিনী ভাল্টাভা নদীর তীরে গড়ে ওঠা প্রাগের সীমান্তে। ঋষভ বিস্ময়ে অভিভূত। 

তিতির  এক গাল হেসে বলে দেখ,অন্যান্য দেশের  মত  ইমিগ্রেশান  বা চেকিংয়ের ঝামেলা একেবারে কিছু নেই যেন একই রাজ্যের অন্য প্রান্তে এলাম।  শ্রীময়ী লক্ষ্য করে, এতক্ষণ প্রাগের সীমান্ত পর্যন্ত পুরো জার্মানি যেন এক সদ্য যৌবনা প্রাণ চঞ্চলা সাজগোজে পরিপূর্ণ সুন্দরী অপ্সরীর মত ছিল । কিন্তু এ প্রান্তের রাস্তাগুলো  জার্মানি দেশটির রাস্তার মত অত সুন্দর সু সজ্জিত নয়। দুদিকেই একই রকম ব্যারাকের মত ঘর বাড়ি। সর্বত্র কমিউনিস্ট আমলের ছোঁয়া রয়েছে। এ দেশের তফাৎ টা চেকরিপাব্লিকে পৌঁছেই বেশ পাল্টে গেছে।
 ঋষভ  বলে মাত্র ১৯৯২ সাল থেকে প্রাগ দেশটির ঐতিহাসিক কেন্দ্র ওয়ার্ল্ডহেরিটেজ সাইট ইউনেস্কো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে দেশ টি সোভিয়েত দেশের প্রভাবাধীন ছিল। এবং ১৯৯৩  সালের পর  থেকে সায়ত্ব শাসন লাভ করার পরে দেশের অর্থ নীতির বেসরকারি করণ করা হয়। বর্তমানে চেক প্রজাতন্ত্র ইউরোপের সবচেয়ে শিল্পে সমৃদ্ধ পূর্ণ দেশ হিসাবে অন্যতম প্রধান স্থানাধিকারী হলেও কিছু সময় লাগবে সমৃদ্ধতর হতে। যদি ও চেক বর্তমানে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সদস্য।

 শ্রী র প্রাগে পৌঁছে মন খারাপ হয়ে যায়। বার্লিন থেকে রওনা হওয়ার পর যে সোনালী আকাশ এতক্ষন সাথে ছিল, প্রাগে এসে এক লহমায় সে হারিয়ে গিয়েছে। ভুষো কালো মোষের মত গম্ভীর জলদ মেঘের বোঝা বয়ে আকাশ যেন এক্ষুনি ভেঙে পড়বে তৃষিত ধরণীর বুকে। কুয়াশা ঢাকা স্যাঁৎস্যেতে ঘ্যান ঘ্যানে বৃষ্টি ভেজা সাড়ে দশটার সকাল দেখে  শ্রীময়ীর চোখ ছলছলিয়ে ওঠে।

  তিতির করুন চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে হায় রে ! এ কোন দেশে এসে পৌঁছলাম ? এমন বৃষ্টির তো পূর্বাভাস পাইনি । বেড়ানো যে একদম মাটি হবে । সেদিনের ডায়েরির পাতায় শ্রী লিখেছিল  ''এলেম নতুন দেশে''। যেখানে পৃথিবী থমথমে জরাগ্রস্থ ক্লান্ত জবুথবু হয়ে আছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কালচে স্লেট রঙে চারিদিক মোড়া । খুব ঠান্ডার সাথে ইলিশেগুঁড়ি বৃষ্টির নিঃশব্দে ঝরে পড়ার গল্প চলছে । বাস স্ট্যান্ডে কিছু লোকের ভীড় আছে তবে হৈচৈ নেই ,শান্ত ঝিমোনো পরিবেশ। ঋষভ বলে ,এরা বেশ ধূম পানে অভ্যস্ত। দেখ কত অজস্র পোড়া সিগারেটের শেষ অংশ টি পথের ধারে পড়ে আছে। বার্লিনের পথে কিন্তু এমন টা কোথাও দেখিনি। বেশ অগোছালো ভাব।

তিতির কোনো দিকে না তাকিয়ে জল কাদা ডিঙিয়ে রাস্তায় সামনেই যে রেস্তোরাঁ টি দেখতে পেল তাতে ঢুকে প্রথমেই মিল্ককফির সাথে এগস বার্গার অর্ডার দিয়েছিলো। গরম এক কাপ চমৎকার কফির স্বাদ মুখের মধ্যে নিয়ে গলা বেয়ে ভিতরে চালান করে দিয়ে প্রায় হাড় হিম করা ঠান্ডায় শ্রীময়ী প্রাণ ফিরে পেয়ে ছিল। ওরা বার্গার ও এগ স্যান্ডউইচ সহ ব্রেকফাস্ট করে বাইরে এলে বৃষ্টি ততক্ষণে একটু থেমেছে।  
   
অদ্রিজা বার্লিন থেকে বুকিং করা এপার্টমেন্ট টি খুঁজতে গিয়ে ফোনে নেটওয়ার্ক কাজ না করায় এক  গলদঘর্ম অবস্থায় পড়লো। ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে কলকাতার মত সাহায্য করার লোক মোটেই এগিয়ে আসেনা । ওদের ইংলিশ উচ্চারণটাও মারাত্মক খারাপ বোঝার সাধ্য নেই। বৃষ্টি ভেজা বাতাসের সাথে বাস স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে  ওল্ড প্রাগ স্কোয়্যারে পৌঁছে সামনেই এক রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কের বিরাট বিল্ডিঙের ঝুল বারান্দার তলায় ব্যাগ ব্যাগেজের লটবহর সমেত শ্রী দাঁড়িয়ে রইলো।  বিকলফোন টি শত চেষ্টাতে ও সাড়া না দিয়ে যেন মজা দেখছে।  অগত্যা ঠিকানা লেখা কাগজ টির ভরসায় বুক করা এপার্টমেন্টটি খুঁজতে তিতির ডানদিকের রাস্তায় গেলে ঋষভ উল্টো  দিকের গলিতে।  আকাশ কালচে মেঘের ভারে নত হয়ে আছে যখন তখন ভেঙে পড়বে। টিপটিপ করে বৃষ্টির কমি নেই এবং কুয়াশার ঘন আড়ালে সব অস্পষ্ট।  পাঁচ মিনিট কে মনে হচ্ছে এক ঘন্টা।  লাল ওভার কোট মেরুন  টুপি মাথায় ফর্সা লম্বা কোনো মেয়েকে ঐ দিক থেকে এগিয়ে  আসতে দেখলেই শ্রী ভাবছে ঐ বুঝি তিতির আসে। কাছে এলে বোঝা যায় চোখের ভুল। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজে তিতির ও ঠিকানা খুঁজে না পেয়ে ক্রমশঃ অধৈর্য্য হয়ে উঠেছে । দুশ্চিন্তায় ওর মুখখানি শুকিয়ে ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। চোখের কোণে জল টলটল করছে এই বুঝি উপচে পড়বে ।  ঋষভের ও মেজাজ সপ্তমে । 

   শ্রী বিল্ডিঙের তলায় দাঁড়িয়ে ,উল্টো দিকের এক মেডিসিন শপে ল্যান্ডলাইনের সাবেকি আমলের রিসিভার ও টেলিফোন  টি দেখে  তিতির কে আস্বস্থ করে বলে ওদের কাছে গিয়ে  মুখে নয়   problem  ও phone  no টা কাগজে লিখে জানাতো । ওরা নিশ্চয়ই সমস্যাটা বুঝতে পারবে। এবং এই বুদ্ধি টা বেশ কাজে ও লাগলো। দোকান থেকে ফোনে মালিকের সাথে যোগাযোগ করায় পাঁচমিনিটের মধ্যেই এপার্টমেন্ট খুঁজে পাওয়া গেলো। সবচেয়ে মজার তিতির অন্তত ঐ রাস্তায় বিল্ডিংটির সামনে বার সাতেক  চক্কর কেটেছে। কিন্তু বাড়ির নাম্বার ও মালিকের নাম ভিতর দিকের লেটার বক্সের গায়ে লেখা থাকায় ওর চোখে পড়ার কথা নয়। যাইহোক অবশেষে মানসিক শান্তি নিয়ে বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে লিফ্টে চড়ে চার তালার এপার্টমেন্ট টি তে পৌঁছে মন ভারী খুশি হয়ে গেল।  

🍂

ঘরে ঢুকেই সেগুন কাঠের কালো বার্নিশ করা পালঙ্কের খাটে  দুধ সাদা ধবধবে বিছানা ও কম্বল। কাঁচ ঢাকা জানলায় হালকা আকাশী রঙের ভেলভেটের  পর্দা । ঘরের মেঝেতে দামী পার্শিয়ান নরম কার্পেটে পা ডুবে যায়। ড্রেসিংটেবিলের ওপর পোর্সিলিনের  সুদৃশ্য ফুলদানীতে সাদা লিলির সাথে নানা রঙের ডেইজি ও পপির বাহার দেখেই একরাশ খুশি লাগে। দেওয়ালে হাতে আঁকা ভাল্টাভা নদীর ওপর চার্লস ব্রিজের ছবি। বসার ঘর টি ও সুদৃশ্য রুচি সম্মত শৌখীন ফার্নিচারে সাজানো । ছোট্ট ফ্রীজে চার টি  বিয়ারের ক্যান মজুত রয়েছে তবে অবশ্যই ফ্রী নয়। কিচেনের কলে গরম জল ,টেবিলে চা কফি চিনি দুধ ফ্রী। রান্নার বাসন পত্র সব সাজানো ব্যবস্থা নিখুঁত।  

ওরা বেশ ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত। আবার রুম হিটারের উষ্ণ আরাম দায়ক স্পর্শে চোখ বুজে আসছিল। বাইরে বেড়িয়ে এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় খেতে যাওয়ার  ধৈর্য্য  একটুও অবশিষ্ট ছিল না।  
সেদিনের কথা আজো খুব মনে পড়ে। কোনো বৃষ্টি ভেজা দিনে উড়ো হাওয়ায় এলোমেলো জলের ছাঁট এসে ভিজিয়ে দিলে স্মৃতি গুলো যেন দমকা বাতাসের মত মনের আঙিনায় লুটোপুটি খায়।       

 শ্রীময়ীর বহু দিনের অভ্যাস লম্বা ট্যুরে গেলে, ব্যাগ প্যাকিং এর সময় চাল ডাল নুন তেল ঘী ,মসলা আলু পেঁয়াজ এবং ব্রেড মাখন সঙ্গে নেবেই। সেদিনের বিনা আড়ম্বরে আধ ঘন্টার মধ্যে ক্লান্ত শ্রান্ত হাতে বানানো খিচুড়ি আর আলু পেঁয়াজ ভাজা যা প্রায় ক্ষিদের মুখে    খেতে অমৃত সমান লেগেছিল। প্রাগ নগরীর সুসজ্জিত এপার্টমেন্টের ডাইনিং টেবিলে বসে সেদিন স্বহস্তে বানানো এমন লা -জবাব খিচুড়ি খেয়ে ঋষভ তিতির মহা খুশি। বলে , যে কোনো দামী রেস্তোরাঁর খাবার কে -ও স্বাদে গন্ধে হার মানিয়ে দিতে পারে । শ্রী বলে দূর--- সাথে ডিম ভাজা না হলে খিচুড়ি যে মোটেই জমে না।
ওল্ড প্রাগের বাড়ি

আহারের পর  বিশ্রাম নিতে গিয়ে ফায়ারপ্লেসের আরামে তিন জনেই নিমেষে গভীর ঘুমে অচেতন । এবং ঘুম ভাঙলো যখন সান্ধ্য অন্ধকার নেমেছে। গরম পোশাকের ওপর রেনকোট চাপিয়ে অদ্রিজার সাথে ঝিরঝিরে বৃষ্টি গায়ে মেখে পুরোনো প্রাগের নগরীর বৃষ্টিস্নাত রাস্তায় দাঁড়িয়ে শ্রী ভাবে বহু শতাব্দী পূর্বে এটি ছিল বোহেমিয়া রাজ্যের রাজধানী। এখানে গথিক বারোক রেনেসাঁ ক্লাসিক্যাল সেমি ক্লাসিক্যাল ইত্যাদি বিভিন্ন যুগের স্থাপত্যের চমৎকার সব নিদর্শন রয়েছে ।বহু বছরের পুরোনো স্টাইলে বানানো একই রঙের ও উচ্চতার বাড়ি গুলো স্থাপত্য শিল্পের ঐতিহ্যর স্মারক।কিন্তু এমন পাগলের প্রলাপের মত বৃষ্টিতে কী করে সে সব দেখা সম্ভব ? ওরা  এক বাগানের  কাছে এলে স্নিগ্ধ সৌরভে মন ভরে উঠলো। সামনেই রয়েছে একটি পুরোনো ক্যাথলিক চার্চ। তার মার্বেল পাথরের সাদা সিঁড়িগুলো সারাদিন বৃষ্টির জলে ধুয়ে আরো সাদা হয়ে গিয়েছে।

   একদা বিধ্বংসী বোমার আঘাতে বিদ্ধস্থ  হয়ে ও ক্ষয় ক্ষতি সামলে পুনরায় এমন সুন্দর নিখুঁত ভাবে স্থাপত্য শিল্পের ঐতিহ্য বহন করে স্বগর্বে  এমন সু প্রতিষ্ঠিত প্রাগ কে দেখলে বাকরুদ্ধ হতে হয়।বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যালোকের মায়াভরা আলোর সাথে বিদ্যুৎ বাতির  হলুদ মালায় সেজে এক রহস্যময়ী সুন্দরী পরীর রূপে প্রাগ বা প্রাহা হঠাৎ জেগে উঠেছে। ওর মাটির তলে হারিয়ে যাওয়া  নগরীর পাণ্ডলিপি ,  ইতিহাসের খোঁজে শ্রী র মন উৎসুক হয়ে ওঠে । কিন্তু বৃষ্টি আবার ঝাঁপিয়ে এলো । কোনো মতে দৌড়ে ওরা মাথা বাঁচিয়ে ঘরে ফিরে এল।                                                                              ক্রমশঃ

Post a Comment

0 Comments